তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২২
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা ঈর্ষণীয়
--- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী উদ্যোগ এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের চাহিদা এবং বাংলাদেশের বাজার বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে এ দেশের তরুণ প্রজন্ম উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের দক্ষতার ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের গ্রিন ভিউ হলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ ইভেন্টে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে চ্যাটবট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভ সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজমত ইকবাল। তিনি কথোপকথন বা চ্যাটভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ডেটাসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, এটুআই এর ব্যবস্থাপক আরফে এলাহী মানিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক সাইফউদ্দিন মোঃ তারেক।
#
কামরুল/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২১
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৪৪ ট্রাকের মাধ্যমে ৩৩ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৩ শত ৭১ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ হাজার ২ শত ৭৬ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৭ শত ৯১ পিস পোশাক, ১৫ হাজার ৯ শত ২৮ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার ৪টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ২ হাজার ৯ শত ৬২ মেট্রিক টন চাল, ৮০ মেট্রিক টন ডাল, ৮৭ হাজার ৯ শত ৬৯ লিটার তেল, ৬১ মেট্রিক টন লবণ, ৭০ মেট্রিক টন চিনি, ২ হাজার ২ শত ৮ কিলোগ্রাম আটা, ৭২ হাজার ৬ শত ৭০ কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ, ১৬ হাজার ১ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডিল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত “অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা” নামক সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখার চলতি হিসাব নং ৩৩০২৪৬২৫ এ আজ পর্যন্ত ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার ৩ শত ৬ টাকা জমা রয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২০
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৩ শত ৩৩ জন পুরুষ ও ৩ শত ৪০ জন নারী মিলে ৬ শত ৭৩ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৩৭ জন পুরুষ ও ৬ শত ৯৪ জন নারী মিলে ১ হাজার ৪ শত ৩১ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪ শত ৬৪ জন পুরুষ ও ৫ শত ৮৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫১ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৬৩ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ৪৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৫ শত ১২ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৪৫ জন পুরুষ ও ৬ শত ৯৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৪ শত ৪৪ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৭৭ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৫ শত ৮ জন নারী মিলে ২ হাজার ৫ শত ৮৫ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ১ শত ৫৩ জন পুরুষ ও ৬৩ জন নারী মিলে ২ শত ১৬ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৯ শত ১২ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭ শত ৭২ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৮ শত ২০ জন । অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৯
৭ই মার্চের ভাষণে মানুষের আকাক্সক্ষা প্রতিধ্বনিত হয়েছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব মানব সভ্যতার ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এ ভাষণ এখন শুধু আর বাঙালি জাতির একার নয়। সারা পৃথিবীর মানুষের। পৃথিবীর শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষরা এ বক্তৃতা থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো’র ‘মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের হাজার বছরের আকাক্সক্ষার প্রকাশ ঘটেছে এ ভাষণে। এ বক্তৃতার দিকনির্দেশনা নানাভাবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সবাই মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন, ইউনেস্কো’র মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হওয়া একটি অনন্য ঘটনা। ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলেই এ অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, ভূমিকা এবং দিকনির্দেশনায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো’র ইন্টান্যাশনাল মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৮
বাংলাদেশকে সাড়ে আট মিলিয়ন ডলার কারিগরি সহায়তার আশ্বাস
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের সাথে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কইকা) বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ঈধৎু ঐুঁহমঁব ঔড়ব আজ ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে তাঁর অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে কইকা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে করবে বলে ঈধৎু ঐুঁহমঁব ঔড়ব আশা ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, রাজশাহী টিটিসি উন্নয়নের জন্য কইকা ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় মোট ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে গৃহীত নতুন একটি প্রকল্পে কইকা ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবন সংস্কার, আধুনিক প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি স্থাপন, বিভিন্ন ট্রেডের জন্য যুগোপযোগী কারিকুলাম তৈরি ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশের অভিবাসনে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প, কর্মসূচি গ্রহণের জন্য কইকাকে অনুরোধ জানান সচিব। তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য কোরিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৭
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৫
রাজনৈতিক আত্মহত্যা করেছে খালেদা জিয়া ও বিএনপি
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গি-জামাত-রাজাকারের সাথে জোট বেঁধে খালেদা-বিএনপিচক্র রাজনৈতিক আত্মহত্যা করেছে। আজ রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ইশা খাঁর ব্যাংকোয়েট হলে সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বময় বাঙালি চেতনার জাগরণ' শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য সবসময়ই শক্তির উৎস, দিকনির্দেশক ও গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক রাজনীতির বিষয়ে বলেন, ‘ডালপালার মতো জঙ্গি-জামাত-রাজাকারদের সাথে নিয়ে খালেদা-বিএনপিচক্রই রাজনীতিতে জাতীয় চেতনাবিরোধী জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানে না, তার স্বাধীনতার ঘোষণা, একাত্তরের গণহত্যা, ৩০ লাখ শহিদ এবং দেশের সংবিধানও মানে না, তাদেরকে রাজনীতিতে হালাল করার কোনো ওকালতি চলে না।’
ইনু বলেন, ‘জঙ্গি-জামাত-রাজাকারের সাথে জোট বেঁধে রাজনৈতিকভাবে আত্মহত্যাকারী খালেদা-বিএনপিচক্র দেশে আবার পাকিস্তানের বীজ বুনতে চায়। সেকারণেই তাদের স্থান রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরেই।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অধ্যয়ন করতে হলে সে সময়ের এ ভূ.খ-ের রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পূর্বাপর ঘটনা বিশ্লেষণ করতে হবে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা ইনু এসময় ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের পরদিন থেকেই পূর্ব বাংলা স্বশাসনে চলে গিয়েছিল এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তার সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের বর্বরতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চ থেকে তিনি পাকিস্তানের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। দুই রাষ্ট্রের যুদ্ধে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
আয়োজক সংগঠন সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, ঢাকা উত্তর আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি আলহাজ মোঃ মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, আওয়ামী নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন সভাপতি ও দৈনিক নবচেতনা সম্পাদক লায়ন সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৪
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১৩
মেধাবী জাতি গড়তে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সাভার (ঢাকা), ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর):
মেধাবী জাতি গড়তে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই আর এজন্য গবেষণা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। জাতীয় প্রয়োজনে নব নব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০১৭’’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও প্রাণিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল, এই মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে। সরকারের ভিশন-২০২১কে সামনে রেখে গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দুইদিনের এই কর্মশালার আলোকে যে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক।
দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীসহ প্রায় ২৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ আলম/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১২
বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে ‘টানেল’ নির্মাণ করা হবে
-- নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
ঢাকার সদরঘাট অঞ্চলের বুড়িগঙ্গা নদীর দু’পাড়ের যাত্রীসাধারণের সহজে যাতায়াতের লক্ষ্যে নদীর তলদেশে ‘টানেল’ নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন এবং নতুন সম্প্রসারিত টার্মিনাল ভবনে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় নান্দনিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা হকারমুক্ত করা হয়েছে। নতুন টার্মিনাল ভবন, পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, বনায়ন ও পন্টুন বৃদ্ধির ফলে যাত্রী সাধারণের চলাচলের সুযোগ সুবিধা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ২০১০ সালের ১লা জুলাই থেকে ঢাকা সদরঘাটকে ইজারাদার মুক্ত করা হয়েছে। পোস্তগোলার নিকটস্থ শ্মশানঘাটে নতুন একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এলক্ষ্যে সদরঘাট থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তা বিআইডব্লিউটিএর অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লঞ্চে উঠার আগে টিকেট সংগ্রহ করে সদরঘাটে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে। এতে যাত্রী হয়রানি অনেকাংশে কমে আসবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জের জিনজিরা থেকে শত শত লোক নৌকা ও ট্রলারে নদী পাড় হয়। বড় বড় লঞ্চ ও কার্গোর প্রপেলারে লেগে নৌকা ও ট্রলার দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এত জানমালের অনেক ক্ষতি হয়। টানেল নির্মাণ হলে নৌকা ও ট্রলারের যাত্রী সাধারণ দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাবে।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৪৮ ঘণ্টা
শীতলপাটিকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
আজ ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউনেস্কোর ওঈঐ কমিটির ১২তম অধিবেশনে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ২০১৭ (ঞযব ওহঃধহমরনষব ঈঁষঃঁৎধষ ঐবৎরঃধমব ড়ভ ঐঁসধহরঃু) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে ইউনেস্কোর ওহঃবৎমড়াবৎহসবহঃধষ ঈড়সসরঃঃবব ভড়ৎ ঃযব ঝধভবমঁধৎফরহম ড়ভ ঃযব ওহঃধহমরনষব ঈঁষঃঁৎধষ ঐবৎরঃধমব এর ১২তম অধিবেশনে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ঞযব ওহঃধহমরনষব ঈঁষঃঁৎধষ ঐবৎরঃধমব ড়ভ ঐঁসধহরঃু) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রস্তাবনা উত্থাপন করে।
#
ফয়সল/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩১০
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির ৩৬তম বৈঠক কমিটির সভাপতি কাজি কেরামত আলীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য আলহাজ এডভোকেট মোঃ রহমত আলী, মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, মোঃ আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
৯ম জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন পর্যন্ত এবং ১০ম জাতীয় সংসদে সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সময়ে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণের ওপর আলোচনা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পসমূহের বিবরণ উপস্থাপন করা হয়। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কর্তৃক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে মতামত প্রদান করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, সারাদেশে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৫৩টি নদীর খনন কাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নদী খনন কাজের মধ্যে ৪টি নদী খনন প্রকল্প কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ২০টি প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ে সারাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/সেলিম/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭২০ঘণ্টা
Handout Number : 3308
UNRC plays role a sustained solution to the Rohingya issue
- Shahriar Alam