তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১২
তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল
-- পার্বত্য মন্ত্রী
রুমা (বান্দরবান), ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বান্দরবান জেলার মধ্য রুমা উপজেলা ছিল অতি দুর্গম ও পশ্চাৎপদ। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পার্বত্য জেলাগুলোতে রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, খিয়াং, বিদ্যুৎ, সোলার, কৃষি এবং পর্যটন বিকাশসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে যেখানে কলেজ আছে সেখানে ভার্সিটি, যেখানে স্কুল আছে সেখানে ডিগ্রি কলেজ তৈরি করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, হেনরী কিসিঞ্জারের আখ্যায়িত সেই তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
আজ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা পরিষদ ভবন চত্বরে রুমা উপজেলায় কর্মরত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসব কথা বলেন।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।
পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রশস্ত সড়ক হয়েছে আর যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকলক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সুন্দর ও পর্যটকবান্ধব হয়েছে। দেশের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
#
রেজুয়ান/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১১
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।’
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপি এবং জামাত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুনসন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে। এবং তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বরযাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না।’
‘একজন সাধারণ মানুষের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া মানে সেই পরিবারটাকে জ্বালিয়ে দেওয়া, কারণ সেটার ওপর তার পরিবার নির্ভর করে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী, এরা দুস্কৃতকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাবো এই দুস্কৃতকারীদের প্রতিহত করার জন্য। সরকার এই দুস্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সব দুস্কৃতকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।’
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহ্মুদ। এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫-৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আরো কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না।
‘এই সমস্ত বিবৃতি আমাদের দেশেই শুধু ছাপায়, আমাদের দেশের গণমাধ্যম এদের মূল্য দেয় এবং গণমাধ্যমে না ছাপালে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ হয়ে যেতো’ মন্তব্য করেন হাছান মাহ্মুদ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি একপেশে পক্ষপাতদুষ্ট সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে, বহু আগেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করেন সম্প্রচার মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠনে নাই একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কি বললো, না বললো এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।’
এর আগে বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপায়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে পোমরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘যারা মানুষ ও গাড়ি পোড়ায়, রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না। রাঙ্গুনিয়ায় তারা যদি নামার চেষ্টা করে, তাহলে এলাকাবাসী তাদের শায়েস্তা করবে।’
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১০
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শামীম আলম দীপেনের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সিনিয়র সদস্য ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের সাবেক মহাসচিব শামীম আলম দীপেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক দীপেনের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ তাঁর শোকবার্তায় শামীম আলম দীপেনের কর্মময় সাংবাদিকতা জীবনের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা
Handout Number : 1509
Foreign Minister underscores digitalization in public services
Dhaka, 31 October :
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen underscored the importance of digitalization in public services and its role in societal evolution. He highlighted AI's impact on e-commerce and the significance of accessible financial services for all.
He made this call in a high-level Ministerial Conference titled "Responsible AI for Shared Future" held in the Ruposhi Bangla Grand Ballroom at Inter Continental Dhaka on Monday (October 30, 2023) evening in the first day of two day long "Transformative Smart Bangladesh Summit". Dr. Momen, joined the event virtually, emphasizing Bangladesh's digital journey and the transformative power of AI in shaping modern societies.
In his speech Dr. Momen applauded the launch of the "e-quality Centre for Inclusive Innovation," a joint initiative by the Ministry of Foreign Affairs and a2i, as a pivotal step towards eradicating the digital divide and fostering inclusivity. He also acknowledged the commendable efforts of the IT and ICT wing of the Ministry of Foreign Affairs in developing and strengthening the Digital Public Infrastructure and Digital Operating System ecosystem for Bangladesh.
The summit organized by ICT Division and a2i focuses on various facets of Digital Public Infrastructure (DPI) and Artificial Intelligence (AI) with the aim of bridging the digital divide. State Minister for ICT Zunaid Ahmed Palak shared insights into the pivotal role of artificial intelligence. Planning Minister M. A. Mannan was present in the inaugural ceremony of the summit.
The event featured a panel discussion moderated by Anir Chowdhury, Policy Advisor of a2i, highlighting AI's role in reducing digital disparity and fostering sustainability. Mohammad Navid Shafiullah, Additional Secretary of the ICT Division, delivered the welcome remarks, setting the stage for a series of thought-provoking discussions.
Sir Geoff Mulgan, Professor at University College London (UCL) and former CEO of Nesta, UK added an international perspective to the discourse. Ministers from various countries, including Gambia and São Tomé and Príncipe, contributed valuable insights to the conference.
The summit brought together leaders from diverse sectors, including public and private, academia, entrepreneurs and international experts, alongside senior officials from the ICT Division and a2i, all united in their commitment to shaping a digitally inclusive and forward-thinking Bangladesh.
#
Masum Billah/Pasha/Sanjib/Mosharaf/Salim/2023/20.45 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৮
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর প্রজ্ঞাপন জারি
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনীত শিল্পী কলাকুশলীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আজ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম প্রযোজিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং মোঃ তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘পরাণ’ চলচ্চিত্র যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মনোনীত হয়েছে।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক মনোনীত হয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (প্রধান চরিত্রে) মনোনীত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী (সুচিন্ত্য চৌধুরী) ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য তাকে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (প্রধান চরিত্রে) যুগ্মভাবে মনোনীত হয়েছেন জয়া আহসান (চলচ্চিত্র ‘বিউটি সার্কাস’) ও রিকিতা নন্দিনী শিমু (চলচ্চিত্র ‘শিমু’)।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এ আজীবন সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনা (রওশন আরা রোজিনা)।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে মনোনীত হয়েছে এস এম কামরুল আহসান প্রযোজিত ‘ঘরে ফেরা’; শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে মনোনীত হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া প্রযোজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মনোনীত হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান (পরাণ); পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী আফসানা করিম (আফসানা মিমি) (পাপ পুণ্য); খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সুভাশিষ ভৌমিক (দেশান্তর) ও কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মোঃ সাইফুল ইমাম (দীপু ইমাম) (অপারেশন সুন্দরবন)।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যুগ্মভাবে মনোনীত হয়েছে বৃষ্টি আক্তার (রোহিঙ্গা) ও মুনতাহা এমিলিয়া (বীরত্ব); শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মোছাঃ ফারজিনা আক্তার (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া); শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম খান (রিপন খান) (পায়ের ছাপ)।
যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ গায়ক মনোনীত হয়েছেন শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার) (অপারেশন সুন্দরবন, গান- এ মন ভিজে যায়...) ও চন্দন সিনহা (হৃদিতা, গান- ঠিকানা বিহীন তোমাকে....)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...), শ্রেষ্ঠ গীতিকারের মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল ইসলাম (জীবন) (পরাণ, গান-ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে...) ও শ্রেষ্ঠ সুরকার মনোনীত হয়েছেন শওকত আলী ইমন (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...)।
যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার মনোনীত হয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর (দামাল) ও খোরশেদ আলম (খসরু)(গলুই); শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা এস এ হক অলিক (গলুই), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান (মজনু) (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (হাওয়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জায় তানসিনা শাওন (শিমু) এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান মোঃ খোকন মোল্লা (অপারেশন সুন্দরবন)।
#
সাইফুল্লাহ/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৭
কালাজ¦র নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):
কালাজ¦র নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ৩ দিনব্যাপী চলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে এই স্বীকৃতির সনদপত্র তুলে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক Dr. Tedroj Adhanom Ghebreyesus এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সম্মেলনে উপস্থিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল। এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ¦র নির্মূলে বিশ্বের প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগতও প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সকলেই গর্বিত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শ ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশের প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটি থেকে ঐ এলাকার প্রায় ৬ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলো থেকে ৩০ রকমের ওষুধ দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জরিপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জন হয়েছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে ‘The Sheikh Hasina Initiatine’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতা, করোনাকালীন দুর্যোগে ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
উল্লেখ্য, আজ ভারতের দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবাসহ স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অর্জন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, পূর্ব-তিমুর, উত্তর কোরিয়াসহ ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী Dr. Manshukh Mandaviya । সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক Mr. Tedroj Adhanom Ghebreyesus এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পরিচালক Poonam Khetrapal Singh ।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ দলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহঃ অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
#
মাইদুল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৬
সকল ধর্মের আয়োজন ও আনন্দ উৎসব আমাদের সবার
-- পার্বত্য মন্ত্রী
বান্দরবান, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ চিরন্তন উক্তিটি আমাদের সবার। সকল মানুষের প্রাণের উক্তি, সর্বজনীন মনের উক্তি এটি। তিনি বলেন, সকল ধর্মাবলম্বীর মানুষ হিসেবে আমাদের এ উক্তিকে লালন করে চলতে হবে। তিনি বলেন, সকল ধর্মের বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বর্ণাঢ্য আনন্দ উৎসব আমাদের সবার। সবার অধিকার আছে সকল ধর্মের উৎসবে শামিল হওয়ার।
গতকাল রাতে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমার শেষ রজনীর বিশেষ অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
রাজার মাঠে আয়োজিত রঙিন এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রংয়ের ফানুস বাতি প্রজ্জ্বলন আর রং বেরংয়ের আতশবাজি ফোটানোকে ঘিরে শতশত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বান্দরবান জেলা শহর। রঙিন ফানুস বাতির রঙিন আলোয় মুখর ওঠে পাহাড়ের আকাশ। ভেদাভেদ ভুলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করে এই উৎসবে।
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ মহারথ বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজারমাঠ অতিক্রম করার সময়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা রথে মোমবাতি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে এবং বুদ্ধ মূক্তিকে প্রণাম নিবেদন করে বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন। এই সময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী ও সহধর্মিণী মেহ্লাপ্রু উপস্থিত থেকে রথে প্রণাম নিবেদন করেন এবং রথে মোমবাতি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহআলম, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যরাতে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে রথ উৎসর্গের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তিনদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের সমাপ্তি হয়েছে।
#
রেজুয়ান/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৫
পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন করতে হবে
-- ডাক ও টেলিযোগাযো মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। স্মার্ট নাগরিক কিংবা স্মার্ট সমাজ দক্ষ মানবসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষা মানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা। তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য শিক্ষার আমূল পরিবর্তন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির ১৯৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারীদের সাথে আয়োজিত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বিসিএস ৩৮তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষা ক্যাডারের প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষার আমূল পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই মেধাবী। তারা যে কোনো জটিলতা ধারণ করতে সক্ষম। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। মন্ত্রী বলেন, এখনকার যুগে বাস করে কেউ যদি কোনো ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে না পারে তবে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের পাঠ দানের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। আরো এক হাজারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে।
মন্ত্রী দেশের দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ দানের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যেসব স্কুলে কম্পিউটার আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্বের যেকোনো মানদণ্ডকে তারা অতিক্রম করতে পারবে।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক শাহ মোঃ আমির আলীর সভাপতিত্বে একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নিজামুল করিম বক্তৃতা করেন। মহাপরিচালক প্রিন্টিং শিল্পে কম্পিউটার সংযুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার প্রবর্তন এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে মোস্তাফা জব্বারের অবদান তুলে ধরেন।
#
শেফায়েত/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ সময় ৩২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৩
একনেক সভায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্পের অনুমোদন
ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ প্রায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২১ হাজার ৫৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে “পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ”প্রকল্প, “যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১: নদীতীর সংরক্ষণ ও নদী শাসন (কম্পোনেন্ট-১)” প্রকল্প এবং “পদ্মা নদীর ভাঙন হতে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলাধীন তালবাড়িয়া এবং কুমারখালী উপজেলাধীন শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি এলাকা রক্ষা” প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি এবং পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন” প্রকল্প এবং “রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন” প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রকল্প যথাক্রমে “লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক)” প্রকল্প, “সিলেট বিভাগ গ্রামীণ অ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন” প্রকল্প, “নওগাঁ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “মাগুরা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “জয়পুরহাট জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “ইনার সার্কুলার রিং রোডের বেড়িবাধ রায়ের বাজার স্লুইস গেইট থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন” প্রকল্প এবং “আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ” প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে “দেশের ৬৫৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন” প্রকল্প, “ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ-NAAND” প্রকল্প এবং “Learning Acceleration in Secondary Education (LAISE)” প্রকল্প; বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের “বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ” প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অফসাইট পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন” প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের “১০ জেলায় বিএসটিআই’র আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন” প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে “Installation of Smart Prepaid Gas Meters, SCADA & GIS at PGCL Franchise Area” প্রকল্প, “Gas Sector Efficiency Improvement & Carbon Abatement Project [Installation of Smart Prepaid Gas Meter for TGTDCL]” প্রকল্প, “Smart Metering Energy Efficiency Improvement Project [Installation of Prepaid Gas Meter for TGTDCL]” প্রকল্প; “ইনস্টলেশন অভ্ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন” প্রকল্প এবং “বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন
-২-
পাইপলাইন নির্মাণ” প্রকল্প; সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে “মতলব উত্তর-গজারিয়া সড়কে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ” প্রকল্প, “রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদি-হিজলা মহাসড়ক (জেড-৮০৩৪)-এর ৮ম কিলোমিটারে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপরে মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণ” প্রকল্প, “চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (১)” প্রকল্প, “আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলি টানেল সংযোগ সড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ