তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৭
চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতালে হেল্প ডেস্ক খোলা হচ্ছে
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই ) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা প্রশমনে প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনে জয়েন্ট পেইন ক্লিনিক বা আর্থালজিয়া ক্লিনিক খোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখান থেকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি বা ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হবে। দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালেও এই সেবা দেওয়া হবে।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সকল হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের কাছে মন্ত্রীর এই নির্দেশনা পৌঁছে দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার (চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) খোলা হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করার জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর আওতায়। চিকিৎসক ও সাধারণ জনগণের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক হটলাইনও চালু করা হয়েছে যার ফোন নম্বর হচ্ছে ০১৯৩৭-১১০০১১, ০১৯৩৭-০০০০১১। চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য িি.িরবফপৎ.মড়া.নফ ভিজিট করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৬
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে মিশরের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউনেস্কো’র মহাপরিচালক নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই ) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত মাউশিরা খাত্তাব (গড়ঁংযরৎধ কযধঃঃধন)-এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশে মিশর দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ওয়ালিদ শামসেলদিন ( ডধষরফ ঝযধসংবষফরহ), ডেপুটি হেড অভ্ মিশন শেহাব মেক্কি (ঝযবযধন গবশশু), তৃতীয় সচিব আহমেদ জাকি (অযসবফ তধশর) এবং মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব আহমেদ সভি (অযসবফ ঝড়নযর) এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৮ বছরে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ছেলেমেয়েকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে। ২০১২ সালের মধ্যেই সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে। মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ১৪ ভাগ এখন কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে।
প্রতিনিধিদল ইউনেস্কো’র পরবর্তী মহাপরিচালক নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, মিশরের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব নাজমুল হক খান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজ/মাহমুদ/শেফায়েত/আব্বাস/২০১৭/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৫
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নাব্যতা সংকট নেই
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই ) :
আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি রুটে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধের খবরের প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধের খবর সঠিক নয় বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি রুটে প্রচ- ¯্রােত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ফেরি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে; তবে এ রুটে নাব্যতার কোন সংকট নেই। ¯্রােত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে নির্দিষ্ট রুটের পরিবর্তে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে যথারীতি ফেরি চলাচল করছে। উক্ত রুটে নাব্যতা সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে খননের জন্য ড্রেজার প্রস্তুত রয়েছে।
সুতরাং ¯্রােত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে যাত্রী সাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৪
নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনে বাংলাদেশ সফল
--- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ আয়োজনের লক্ষ্যে গঠিত সাব কমিটিসমূহের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক এবং অতিরিক্ত সচিব নাসরিন আক্তারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন
মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের হার এখন শতকরা ১০ ভাগেরও কম। এক্ষেত্রে আমরা পাশর্^বর্তী দেশসমূহের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমাদের প্রতি ৮০ জন নাগরিকের জন্য ১ টি করে পানির উৎস রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি করে পানির উৎস নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯-৩০ জুলাই ঢাকায় ২৮টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘ওয়াটার সাসটেইনস ডেভেলপমেন্ট’ সেøাগানে পানি সম্মেলন ২০১৭ অনুষ্ঠিত হবে।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৩
এইড ফর ট্রেড শীর্ষক সভায় যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই ) :
জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ‘৬ষ্ঠ গ্লোবাল রিভিউ অভ্ এইড ফর ট্রেড’ শীর্ষক সভায় যোগদান করতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিশ^বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এর মহাপরিচালকের আমন্ত্রণে তিনি এ সভায় যোগদান করছেন।
২০০৫ সালে বিশ^বাণিজ্য সংস্থা’র হংকং মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নয়ন দেশসমুহের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইড ফর ট্রেড কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ মোতাবেক প্রতি দু’বছর অন্তর এইড ফর ট্রেড কর্মসূচির কার্যকারিতা পর্যালোচনা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০০৭ সাল থেকে গ্লোবাল রিভিউ অভ্ এইড ফর ট্রেড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১১ থেকে ১৩ জুলাই এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সভার মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রোমোটিং ট্রেড, ইনক্লুসিভ্নেস এন্ড কানেকটিভিটি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। এবারের সভায় বিগত দিনে বাণিজ্য সহায়তামূলক কর্মসূচির কার্যকারিতা পর্যালোচনার মাধ্যমে পরিবর্তিত কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গ্লোবাল রিভিউ-এর হাই লেভেল সেশনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন এবং বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন। এইড ফর ট্রেড ইন এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক: প্রোমোটিং কানেকটিভিটি এন্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক রাউন্ড টেবিল সেশনে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এর পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ^বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক, আইটিসি’র মহাপরিচালক এবং আংটার্ডের মহাপরিচালক, যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এবং বিশ^ব্যাংকের সিনিয়র ডিরেক্টরের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এতে করে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রাপ্তির পথ সুগম হবে।
জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান, ইকোনমিক মিনিস্টার সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু এবং মিনিস্টার ট্রেড মোস্তফা আবীদ খান বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ১৪ জুলাই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসী/সাহেলা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯২
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের মত এবারও বাংলাদেশে ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ঋধসরষু চষধহহরহম: ঊসঢ়ড়বিৎরহম চবড়ঢ়ষব, উবাবষড়ঢ়রহম ঘধঃরড়হং’ অর্থাৎ ‘পরিবার পরিকল্পনা : জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পরিবার পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী জীবনের মৌলিক অংশ হিসেবে স্বীকৃত। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি টেকসই করতে পরিবার পরিকল্পনা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহীতার হার বৃদ্ধি পেলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার কমে যায়, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ রোধ করা যায়। সন্তান কম থাকলে স্বল্প আয়েও আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকা যায়। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পরিকল্পিত পরিবার গঠনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীগণ প্রতিমাসে ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতি পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এসব উদ্যোগের ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে এবং পরিকল্পিত পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবার পরিধি ও মান আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সুস্থ-সবল জাতি গঠনে পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের সেবা অবকাঠামোসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানাই। এ কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম, সচেতন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানাই।
আমি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৭-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯১
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা
দিবস-২০১৭ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ঋধসরষু চষধহহরহম: ঊসঢ়ড়বিৎরহম চবড়ঢ়ষব, উবাবষড়ঢ়রহম ঘধঃরড়হং’ তথা ‘পরিবার পরিকল্পনা : জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’ দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পরিবার পরিকল্পনা বা পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। পরিবারের আকার ছোট হলে তা সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, আর্থসামাজিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধি করে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। সরকার বিষয়টির গুরত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
দারিদ্র্যের সাথে জনসংখ্যা, বৃদ্ধির একটা ধনাত্মক সম্পর্ক রয়েছে। তাই পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের হার বাড়াতে হবে। পরিকল্পিত পরিবার গঠনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের নিকট পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে হবে। বিদ্যমান কর্মসূচিতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকা-ের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যাবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা সেবাসহ অন্যান্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৭ উদ্যাপন সফল হোক-এ প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
#
আজাদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৭/১০০০ ঘণ্টা