তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫
কক্সবাজারে নারী প্রশিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ চলাকালেই
ল্যাপটপ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
কক্সবাজার, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প: প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের এক সপ্তাহ পর ল্যাপটপ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আজ হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছি। যেখানে প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ শেষে নারী উদ্যোক্তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ভবিষ্যতে এটাকে আরো বর্ধিত করতে পারি তাহলে স্কুলের
ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসটাইম শেষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের রিসোর্সগুলো বেকার তরুণ-তরুণীদের ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকদেরকেও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে আমরা আইটি সেক্টরে আরো ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করব। পাশাপাশি নারী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে আগামীতে ‘হার পাওয়ার-২’ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যেখানে আরো প্রায় দেড় লাখ তরুণীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা এর ধারাবাহিকতা চালু রাখব। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূরণে স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দর এলাকায় চলমান ড্রাইভ টেস্ট-এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
#
বিপ্লব/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই (Hara Shohei) আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেইকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাপান ও জাইকা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অ্যাশপন্ডে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল করা হবে। সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়েও আলোচনা চলছে। মহেশখালি থেকে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য একটি পাইপলাইন প্রয়োজন। জাইকা পাইপলাইন স্থাপনে বিনিয়োগ করতে পারে। বিশাল সমুদ্রের সুনীল অর্থনীতির সুফল আমরা পাচ্ছি না। এখানেও জাইকা বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারে। মানবসম্পদ উন্নয়নে জাইকার আরো অবদান প্রত্যাশা করছি।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাইকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। প্রতিবছরেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবেশ সুরক্ষা ইত্যাদি কাজে জাইকা বিনিয়োগ করছে। মাতাবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গ্যাস লিকেজ ডিটেকশন ও গ্যাস খাতের ডিজিটাইজেশনে জাইকার অবদান দৃশ্যমান করছে ও করবে। বিপিএমআই এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাইকা কাজ করতে ইচ্ছুক। এসময় তিনি মাতারবাড়িতে বিদ্যমান অব্যবহৃত ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমুহিদে (Ichiguchi Tomohide) উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৩
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করলেন অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ওয়েবসাইট www.npa.gov.bd এর উদ্বোধন করেছেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে যে তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে তা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণে এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা ও হালনাগাদ তথ্য পরিবেশনের ওপর অর্থমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী দেশব্যাপী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কার্যক্রমে জনগণকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল মাধ্যম ও ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান অর্থমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁরা যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রতিপালনে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকবে বলে সভাকে অবহিত করেন।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পূর্ণ IT প্লাটফর্ম এ তৈরি। এখানে নিবন্ধন থেকে শুরু করে চাঁদা দেয়া-সহ সম্পূর্ণ ব্যবস্থা www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সম্পন্ন করতে হয়। বিগত ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধনের পর এই ওয়েব প্লাটফর্মেই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে, যা এখনও চলমান আছে।
অর্থ বিভাগের অধীনস্থ নতুন দপ্তর হিসাবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের জনবল, দৈনন্দিন কার্যক্রম, ট্রেন্ডার নোটিশ, APA, কর্মকর্তাদের কর্মবণ্টন প্রভৃতির আলোকে একটি ওয়েবসাইট নির্মাণ প্রয়োজন ছিল। সে লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের A2I এর সাথে যোগাযোগ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য যে স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট রয়েছে তার আঙ্গিকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.npa.gov.bd তৈরি করা হয়। এ ওয়েবসাইটটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় তৈরি করা হয়েছে। এ ওয়েবসাইটির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী যে কেউ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। এ ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি নিবন্ধনের জন্য www.upension.gov.bd তে লগইন করতে পারবেন। এ উদ্যোগটি বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর নিকট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বার্তা পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
শরীফ/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা
Handout Number: 52
78 percent of the 100 working days action plan announced
by the Ministry of Environment has been implemented
--- Environment Minister
Dhaka, 4 July 2024:
Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said that 78 percent of the 100-day priority action plan of the Ministry of Environment has been implemented. Among the 28 declared priorities for institutional capacity building, pollution control, waste management, environment, forest and biodiversity conservation and combating climate change, 22 have been fully implemented and 4 have been partially implemented. If partial implementation is taken into consideration, the implementation rate will be 85 percent. Despite the initiatives taken, the implementation of the 2 priorities has not been possible, the implementation work is ongoing.
Environment Minister Saber Hossain Chowdhury gave all the information in the press briefing held on today in the meeting room of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change regarding the implementation of the priority action plan of 100 working days announced by the ministry.
The Minister of Environment said that various effective initiatives have been taken to update the organogram (manpower structure) of the Ministry and the Departments/Organizations under its jurisdiction to increase the institutional capacity. Effective monitoring has been initiated through artificial intelligence and smart technology.
Saber Chowdhury said, approval for some procedural matters is under process. At least one action has been taken to address pollution from each source of air pollution. At least 581 brick kilns have been raided across the country to prevent air pollution. Initiatives have been taken to update the Noise Pollution (Control) Rules, 2006.
The Environment Minister said that initiatives have been taken to formulate ‘National Solid Waste Management FrameworkÕ. In order to protect the environment, environment and biodiversity from plastic pollution, a list of ÔSingle Use PlasticÕ and primary data collection activities have been started. The draft of ÔExtended Producer ResponsibilityÕ has been finalized with the aim of properly managing the waste generated from the products of the manufacturers and importers. Initiatives have been taken to introduce online monitoring through smart technology to keep the ETP of industrial plants running effectively. An initiative has been taken to declare ÔSingle Use PlasticÕ free in the secretariat. Instructions have been issued to all ministries from the Cabinet. Two ÔSingle Use PlasticÕ free school campuses have been implemented for each division to prevent environmental pollution.
The Environment Minister said that an initiative has been taken to formulate an action plan for greening the school-college syllabus/textbook to increase the awareness of young students on the conservation of environment, forest, environment and biodiversity. Initiatives have been taken for mapping the hills, hills and natural reservoirs located in different parts of the country. Initiatives have been taken to simplify the process of granting environmental clearance. Actions have been taken to bring green category clearances under ÔSelf AssessmentÕ. Initiatives have been taken to update the categories of industrial establishments and projects considering the extent of activities of industrial establishments or projects and the scope, extent of possible pollution caused and possible harmful effects on the environment and human health. Evacuation proposal of 51 thousand 7 acres of encroached forest land has been prepared and sent to the district administration. Initiatives have been taken to implement the proposal to rescue 1 lakh 87 thousand acres of encroached forest land sent earlier. Compensation against persons/institutions polluting the environment has been revised. Online case management system has been launched to consolidate monitoring of proper implementation of High Court judgments for protection of environment, forests, environment and biodiversity.
Saber Chowdhury said, ÔBangladesh Climate Development PartnershipÕ finalization activities have been implemented with the aim of dealing with environmental and climate impacts through meaningful and effective cooperation. The NAP conference has been organized by the Ministry of Environment, Forest and Climate Change in Dhaka in April 2024. Guidelines have been formulated for screening proposals under the Climate Change Trust Fund. The project has been taken up with the aim of obtaining financing from the International ÔLoss and Damage FundÕ.
The minister said that initiatives have been taken to formulate a Ôpartnership frameworkÕ with development partners, NGOs and CSOs on environment and climate and work is underway to implement Ôwhole of governmentÕ and Ôwhole of societyÕ approaches by increasing inter-ministerial coordination. A proposal was sent to the Finance Department and the National Board of Revenue to include the ÔClean and GreenÕ theme in the budget, and this initiative will be taken in the next financial year as well. In order to control air pollution and protect agricultural land, the initiative to approve the revised roadmap for using hundred percent blocks in government construction could not be finalized. A draft strategy has been formulated for the implementation of the ÔMujib Climate Prosperity PlanÕ, the work of finalization is in progress.
A draft action plan to reduce the production and use of single-use plastics has been formulated but could not be finalised. An initiative has been taken to start two Zero Waste Villages in one division with the aim of better waste management. The minister sought the cooperation of all in controlling the country's environmental pollution, protecting forests, and combating climate change. He said that the ministry will continue to take steps according to the rules of business.
The secretary of the ministry Dr. Farhina Ahmed, Additional Secretary Iqbal Abdullah Harun, Dr. Fahmida Khanom and Tapan Kumar Biswas, Director General of Department of Environment Dr. Abdul Hamid and Gobinda Roy, Deputy Chief Conservator of Forest Department, along with senior officials of the Ministry were present.
#
Dipankar/Sayem/Shafi/Rana/Sanjib/Joynul/2024/2100 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের WPPF-এ প্রায় ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের Workers Profit Participation Fund (WPPF)-এ প্রায় ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে দেশের স্বনামধন্য ৩টি প্রাইভেট কোম্পানি।
আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত WPPF -এর চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিকেলস কোম্পানি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড-এর প্রতিনিধিদল শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে যথাক্রমে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৬ টাকা, ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ৭১৮ টাকা ও ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪৫ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী দেশের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, WPPF -এর মূল লক্ষ্য হলো শ্রমিকদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কোম্পানির মালিকানা ও পরিচালনায় তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। কোম্পানি ৩টিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের এই প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন-সহ মন্ত্রণালয় ও কোম্পানি তিনটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
নোবেল/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে রিক্রুটিং
এজেন্সিকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে (১৮ জুলাই ২০২৪) ফেরত দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল আমরা বায়রা (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ্ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি)-এর সঙ্গে বসেছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন, যেসব কর্মী যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তারা (বায়রা) ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণকারী নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নেবে। কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়ায় জড়িত সকল রিক্রুটিং এজেন্সির নিকট থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের টাকা ফেরত প্রদানের বিষয়টি বায়রা তত্ত্বাবধান করবে। তিনি আরো বলেন, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর টাকা ফেরত দিতে অসহযোগিতা করলে বায়রা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে এবং মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। সেই হিসাবে ১৭ হাজার ৭৭৭ জন যেতে পারেননি।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার ১৫ দিন দেখব কতজন কর্মীকে টাকা প্রদান করা হয় তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীগুলো যেন তাদের সমুদয় টাকা ফেরত পায়। আশা করি, বায়রা ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে।
চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের তথ্য জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, এ মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। আমাদের বিষয়গুলো তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আশা করছি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দ্রুত খুলবে। আবার বাজার খুললে যারা যেতে পারেনি তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
#
সৈকত/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯
ডেঙ্গু পরিস্থিতি এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সন্তোষজনক
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। যদিও আমরা চাই, ডেঙ্গু পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকুক৷ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু প্রত্যাশা করি না। কিন্তু পরিসংখ্যান বিবেচনায় আমরা এখনো ভালো অবস্থায় আছি।
আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ডেঙ্গু-সহ মশকবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটি’ এর ২০২৪ সালের ২য় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যচিত্র তুলে ধরে বলেন, গত ২ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫১ জন, মৃত্যু ৪৬ জন। পক্ষান্তরে ভারতে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৭ জন, শ্রীলঙ্কায় ২৩ হাজার ৯৩১জন, মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার ৬৫০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৮৮ হাজার ৫৯৩ জন। এছাড়া সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশেও গত ২৭ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর ঢাকা শহরের মানুষকে অধিক সচেতন করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সকলে কাজ করে যাচ্ছে। জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভা পর্যায়ের গঠিত কমিটিগুলো যাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে সে বিষয়ে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবছরও দেশের সকল জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারকে এ সংক্রান্ত গৃহীত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। যে অঞ্চলগুলোতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে আমরা সে অঞ্চলকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করছি। তাৎক্ষণিকভাবে হটস্পটে প্রতিনিধি গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে রোগীর বৃত্তান্ত নিয়ে আমরা আক্রান্ত রোগীর অঞ্চল চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
পবন/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮
জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। সিটি করপোরেশনসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। একসময় শান্তিনগর, তেজগাঁও এলাকায় বৃষ্টি হলে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি আটকে থাকত, এখন সে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ অতিবৃষ্টির কারণে ধানমণ্ডিসহ যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়, তা বৃষ্টি থামার পর ঘণ্টাখানেক পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এছাড়া যেসব এলাকায় এখনও জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে, তা দূরীকরণে সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সহ সব প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে৷ স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
পবন/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৭
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিতদের দেশপ্রেম, সময়ানুবর্তিতা
ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের আহ্বান গণপূর্ত মন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিতদের দেশপ্রেম, সময়ানুবর্তিতা, জনগণ ও আইনের প্রতি আনুগত্য এবং সরকারের নীতি-দর্শনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১৩১, ১৩২, ১৩৩ এবং ১৩৪তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের তৃতীয় মেস রজনী ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, যে আবেগ ও অনুভূতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে মিশে আছে তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ত্রিশ লাখ শহিদ জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং ২ লাখ মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা যাবে না এবং জনগণের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক সরকারের কিছু নীতি-দর্শন থাকে। সেই নীতি-দর্শনের প্রতি কর্মকর্তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকতে হবে। সরকারের সকল কর্মসূচি যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, অসম্প্রদায়িক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও কুসংস্কারের অবসান ঘটিয়ে আমাদেরকে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি- জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, রূপকল্প ২০৪১ ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেবা প্রদানের জন্য এই নিবিড় প্রশিক্ষণ আপনাদেরকে আরো যোগ্য, দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত, সাহসী, গতিশীল এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত নাগরিকবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক স্মার্ট জনপ্রশাসন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে আসন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ স্মার্টলি মোকাবিলা করবে।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ও সরকারের সচিব ড. মোঃ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চলমান প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৬
কাবাডি ও দাবা খেলাকে স্কুল পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
কাবাডি ও দাবা খেলাকে স্কুল পর্যায়ের সকল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে এ কথা জানান। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, কাবাডি ও দাবা বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় দুইটি খেলা। খেলা দুইটিকে এগিয়ে নিতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে যাতে কাবাডি ও দাবা খেলাকে সকল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। এ সকল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে যদি খেলা দুইটিকে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে জাতীয় পর্যায়েও ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে।
মন্ত্রী বলেন, যে সকল ক্রীড়া ফেডারেশন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভালো ফলাফল করছে, তাদেরকে আরো ভালো ফলাফল অর্জনে মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সময় ক্রীড়া ফেডারেশনের জন্য বাজেট বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৮তম বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন।
#
আরিফ/সায়েম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &nb