Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ August ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১০ আগস্ট ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৭৬

কারিগরি প্রশিক্ষণ মানসম্মত ও যুগোপযোগী হতে হবে
                   -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

    শ্রম ও কর্মসংস্থান  প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরির  জন্য কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কারিগরি প্রশিক্ষণ হতে হবে মানসম্পন্ন এবং যুগোপযোগী।

    তিনি আজ ঢাকায় তেজগাঁওয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল-এনএসডিসি এর সম্মেলন কক্ষে এনএসডিসি'র উদ্যোগে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শুমারি'২০১৫ ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  একথা বলেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে এ ধরনের শুমারি একটি মাইলফলক। পরবর্তীতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির  জন্য সরকারের নানামুখী  উদ্যোগ গ্রহণে এ শুমারি সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে এ ধরনের শুমারি এটিই প্রথম। তিনি বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য সরকার জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নিয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে  কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩ হাজার ১৬৩টি  এবং এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ জন।

    কর্মশালায় এনএসডিসি'র প্রধান নির্বাহী এবিএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব মিকাইল শিপার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো, আলমগীর অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  মিঞা আব্দুল্লাহ মামুন, ইসি-এনএসডিসি'র কো-চেয়ার সালাহ উদ্দিন কাশেম খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীগণ বক্তৃতা করেন।

#

আকতার/মাহমুদ/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২১০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৭৫

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

দশম জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৬তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে  আজ সংসদ  ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, টিপু সুলতান, মোঃ ইয়াসিন আলী এবং মেরিনা রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

         ৩৫তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং জাতীয় পরিবেশ নীতি‘২০১৭, কার্যকরণ ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় ।

         সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে যাদেরকে সরকারি জমি প্রদান করা হয়েছে সেগুলো প্রতি বছর নবায়ন ও একটি নির্ধারিত হারে টাকা প্রদান এবং এসব জমিতে কোনোভাবে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ না করতে পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

জাতীয় পরিবেশ নীতি‘২০১৭, কার্যকরণ ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে কমিটির সদস্যদেরকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ প্রদানের পরামর্শ প্রদান করা হয়।

         পাহাড়ধসের কারণ এবং ভবিষ্যতে পাহাড়ধস ও জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধে সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো এবং বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বৈঠক আহ্বান করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

এমাদুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২০৭৪
 
 
সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে
                                        --- স্পিকার
 
সিঙ্গাপুর, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি রাষ্ট্রের সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বিস্তারে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আজ সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট ভবনে সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার লিম বো চুয়ান (খরস ইরড়ি ঈযঁধহ) এর সাথে সিপিএ বিষয়ক এক বৈঠকে একথা বলেন।
বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন, সিপিএ সিঙ্গাপুর ব্রাঞ্চের কার্যক্রম ও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে বিশ্বের তরুণ সমাজকে আগ্রহী করে তুলতে সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ তরুণ, এই তরুণ সমাজকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, আসন্ন ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন ১-৮ নভেম্বর, ২০১৭ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সফল করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি সিঙ্গাপুরের ডেপুটি স্পিকারকে অবহিত করেন। এসময় তিনি সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধিদলকে আসন্ন সিপিএ সম্মেলনে অংশগ্রহণের  আমন্ত্রণ জানান।
সিঙ্গাপুরের ডেপুটি স্পিকার কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন পরিচালনায় বাংলাদেশের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজনে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। স্পিকারের নেতৃত্বে আসন্ন ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন সফল হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে স্পিকার সিঙ্গাপুর পার্লামেন্ট ভবন ঘুরে দেখেন।
#
কামাল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯১০ঘন্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২০৭৩
 
 
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
দশম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৫তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মোঃ আব্দুল হাই, মোঃ হাবিবর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, রনজিৎ কুমার রায়, মোঃ আনোযারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম এড্ভোকেট অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর কার্যক্রম, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের কার্যক্রম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সকল প্রকল্পের ঢ়যুংরপধষ ধহফ ভরহধহপরধষ ধপযরবাবসবহঃ, বিজিএমইএ সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে যে সব বক্তব্য রেখেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এবং সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য আশু পদক্ষেপ নিতে কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে কমিটি চট্টগ্রাম বন্দরের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রেস কনফারেন্স করার সুপারিশ করে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নিয়ন্ত্রণাধীন সেন্টমার্টিনস্থ স্টেশনকে ‘সেন্টমার্টিন ল্যান্ডিং স্টেশন’ বা ‘সেন্টমার্টিন অফশোর ল্যান্ডিং স্টেশন’ নামকরণ করার সুপারিশ করে কমিটি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 
#
সাব্বির/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৭২

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল এবং ভারতের
অরবিন্দ ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালকে কেন্দ্র করে দেশের সকল জেলার জন্য ‘ভিশন সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় এই ‘ভিশন সেন্টার’ শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষের অন্ধত্ব দূরীকরণে মাইলফলক হিসাবে ভূমিকা রাখবে।

আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল আই কেয়ার এর সাথে ভারতের অরবিন্দ ইনস্টিটিউটের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ভিশন সেন্টার’কে কেন্দ্র করে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ১২০ উপজেলায় আই ক্যাম্প ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে জনগণের জন্য চক্ষু চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

 দেশে অন্ধত্ব নিবারণসহ চোখের চিকিৎসায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নে  শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটকে সহযোগিতা করবে ভারতের তামিল নাডু রাজ্যের আন্তর্জাতিকমানের বিশে^র সর্ববৃহৎ চক্ষু হাসপাতাল লায়ন্স অরবিন্দ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। আজ দুটি স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই সহযোগিতার পথ প্রশস্ত হলো।

অরবিন্দ হাসপাতালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অরবিন্দ আই কেয়ার সিস্টেমের নির্বাহী পরিচালক তুলশী রাজ রাভিলা (ঞযঁষধংরৎধল জধারষষধ) এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল আই কেয়ারের পক্ষে লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুদ্দীন আহম্মদ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অর্থ ইউনিটের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং অরবিন্দ ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৭১

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশে^র সর্ববৃহৎ এই বার্ন ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

আজ দুপুরে চাঁনখারপুলে ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করছে। আমাদের সৌভাগ্য যে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বার্ন ইনস্টিটিউট আমাদের দেশে হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এর উদ্বোধন হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ^াস প্রতিদিন লাখ লাখ অগ্নিদগ্ধরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে এসে উন্নত সেবা নিতে পারবে।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানসহ সেনাবাহিনী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬’র এপ্রিলের ৬ তারিখ চানখাঁরপুলে ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৩ মাস আগেই কাজ শেষ হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

দুই তলা বেইজমেন্টসহ মোট ১২ তলা ভবন হবে তিনটি ব্লকে। একটি ব্লকে বার্ন, একটিতে প্লাস্টিক ও অন্যটিতে একাডেমিক ভবন হবে।  
#

পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৭০

ঢাকায় উদ্বোধন, কলকাতায় সমাপ্ত
শেখ কামাল স্মৃতি আন্তর্জাতিক মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা ২৪ ডিসেম্বর শুরু

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

    শেখ কামাল স্মৃতি আন্তর্জাতিক মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দু’টি ভাগে এ আয়োজনের শেষাংশ ২৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।

    আজ রাজধানীর পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের সভাপতি হাসানুল হক ইনু  এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার তারিখসহ বিস্তারিত ঘোষণা করেন।

    ১৮ আগস্ট  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শেখ কামাল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চিত্র থেকেই এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার লোগো নির্বাচিত হবে বলে সম্মেলনে জানান তিনি। আর খেলাগুলো হবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া চত্বরের মোহাম্মদ আলী কিক-বক্সিং স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে।

    বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের দলপ্রধান ও কোচের যাতায়াত ভাড়া কনফেডারেশন থেকে দেয়া হবে এবং কলকাতায় বাংলাদেশী খেলোয়াড়, সংগঠক, বিচারক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের (পত্রিকা ও টিভি) যাতায়াত ভাড়া ও থাকা খাওয়ার যাবতীয় খরচ কনফেডারেশন বহন করবে বলে জানান  মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাসান-উজ-জামান মনি।

#

আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৬৯

জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তাদের সঞ্চয় বাড়ানো হবে
                                  -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। এ লক্ষ্যে জনগণের সঞ্চয় বাড়ানোর বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তারা যাতে সঞ্চয় বাড়াতে পারে সে লক্ষ্যে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৭তম সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক ও এনআইএলজি’র মহাপরিচালক তপন কুমার কর্মকারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
    
    মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ভেবে-চিন্তেই নিয়েছেন। এ প্রকল্প বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূর না হওয়া পর্যন্ত চলবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থাকবে। এর মূলধন বর্তমানে ৮ হাজার কোটি টাকা হলেও ভবিষ্যতে এ মূলধনের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা হবে। বর্তমানে ৪০ হাজার সমিতি, আগামী বছর এর সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছাবে। তিনি এনআইএলজি, বার্ড, আরডিএ-কে এই প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করতে বলেন। গবেষণার মাধ্যমে এ প্রকল্পকে আরো জনবান্ধব করার উপায় খুঁজে বের করতে বলেন।

    মন্ত্রী এনআইএলজি’র কার্যক্রম আরো গতিশীল করারও নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করলে এ বিশাল সংখ্যক প্রতিনিধি প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। মন্ত্রী এসময় জুন ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৩৪৩টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৯৫ জনকে প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে এর সংখ্যা কয়েক গুণে উন্নীত করার নির্দেশনা দেন।
#

জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৪৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৬৮

নারী ক্ষমতায়নে তথ্য সচিবের ভিডিও কনফারেন্স

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের অংশ নারী ক্ষমতায়নের পদক্ষেপগুলো সচল রাখতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা তথ্য অফিসারের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ।

    ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধই যথেষ্ট নয়, পরিবার ও সমাজে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে’, বলেন মরতুজা আহমদ। এসময় প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক ও পুলিশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে সমগ্র জেলায় এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা গড়তে তথ্য অফিসারকে নির্দেশ দেন তিনি।

    আজ রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে এ ডিজিটাল সম্মেলনে তথ্য সচিবের সাথে অতিরিক্ত সচিব রোকসানা মালেক, যুগ্মসচিব ইব্রাহিম খলিল, আয়োজক সংস্থা গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জাকির হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অপরদিকে জেলা প্রশাসক খান মোঃ নূরুল আমিন ও জেলা তথ্য অফিসার কাজী গোলাম আহাদের সাথে দু’দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ যোগ দেন।

#

আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৬৭
 
সংসদ কমিটির ১২তম বৈঠক 
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট ) :                                                                                              
জাতীয়  সংসদের ‘সংসদ কমিটির ১২তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। 
কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য, নূর-ই-আলম চৌধুরী, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, পঞ্চানন বিশ্বাস, ফজলে হোসেন বাদশা, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আসলামুল হক এবং তালুকদার মো. ইউনুস বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউস্থ সংসদ সদস্য ভবনের লিফটগুলো দ্রুত পরিবর্তনের সুপারিশ করে। 
বৈঠকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়াস্থ সংসদ সদস্য ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য ভবনে অপরিচিত ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কামরা পরিচারক ও নিরাপত্তা প্রহরীর শূন্য পদসমূহে দ্রুত জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সংসদ সদস্য ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে পরিচছন্নতা কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউস্থ ৬নং সংসদ-সদস্য ভবনের পশ্চিম পাশে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর নিজস্ব জমিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হলে সংসদ সদস্যগণের আবাসিক  ভবন সমূহের স্বকীয়তা ও নিরাপত্তা ক্ষুণœ হওয়ার বিষয়টি নীতি নির্ধারকদের অবহিত করার সুপারিশ করে। এছাড়া অদূর ভবিষ্যতে সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণে উক্ত জমির প্রয়োজন হবে মর্মে কমিটি মতামত ব্যক্ত করে। 
কমিটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নিমিত্ত সদস্য ভবন এলাকায় রাতে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা, পারিবারিক অতিথি ব্যতীত অন্যান্য দর্শণার্থীর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ এবং সদস্য ভবন সমূহের ছাদসহ, অন্যান্য জায়গায় অবৈধ অবস্থানকারীদের তল্লাশি এবং অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে। 
বৈঠকে সংসদ-সদস্য ভবনের মেইন গেইটে দর্শনার্থীদের অপেক্ষা করার জন্য ওয়াশরুমসহ শেড নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। 
কমিটি সংসদ-সদস্য ভবনের অভ্যন্তরে স্টিকার বিহীন কোন গাড়ী প্রবেশ করতে না দেয়া এবং সংসদ-সদস্য ভবনের অভ্যন্তরে গাড়ী প্রবেশের সময় গেইটে আন্ডার ভেহিকেল সার্চ এর মাধ্যমে চেক করা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে। 
বৈঠকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
হালিম/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৬১১  ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৬৬
 
 
পতাকা বিধিমালা সঠিকভাবে মেনে চলার নির্দেশ
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
 
 
জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নির্দেশ করে। সকল সরকারি ভবন, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত ভবনে সকল কর্মদিবসে পতাকা উত্তোলনের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া ঈদ-এ মিলাদুন্নবি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও সরকার ঘোষিত অন্য যে কোনো দিবসে বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলক। তা ছাড়া শহিদ দিবস ও জাতীয় শোক দিবসে বা সরকার ঘোষিত অন্যান্য দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনে একেকজন একেকভাবে পতাকা ওড়াচ্ছেন বা অর্ধনমিত রাখছেন। এক্ষেত্রে পতাকার রং, আকার-আকৃতি বা উত্তোলনের ধরনের মধ্যেও গরমিল দেখা যায়। এই গরমিল রোধ করার জন্যে সরকার জাতীয় পতাকা বিধিমালা যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯৭২ সালে প্রণীত ‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা’য় জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। 
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(১) অনুযায়ী “প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা হইতেছে সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।” অন্যদিকে পতাকা বিধিতে বলা হয়েছে, পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং সবুজের ভিতরে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। জাতীয় পতাকার মাপ হবে ১র্০ীর্৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত এবং বৃত্তটি দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হবে। ভবনে পতাকা ব্যবহারের তিন ধরনের মাপ হচ্ছে ১র্০ীর্৬, র্৫ীর্৩ এবং ২.র্৫ী১.র্৫। তবে অনুমতি সাপেক্ষে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে ভবনের আয়তন অনুযায়ী বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শন করা যাবে। গাড়িতে ব্যবহারের মাপ হচ্ছে বড় গাড়ির জন্য ১র্৫র্ ীর্৯র্  এবং ছোট গাড়ির জন্য ১র্০র্ ীর্৬র্ । 
জাতীয় পতাকা কোনো অবস্থায়ই সমতল বা সমান্তরালভাবে বহন করা যাবে না এবং উত্তোলনের সময় সুষ্ঠু ও দ্রুতলয়ে উত্তোলন করতে হবে এবং সসম্মানে অবনমিত করতে হবে। মোটরগাড়ি, নৌযান, উড়োজাহাজ ও বিশেষ অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য সময় পতাকা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উত্তোলিত থাকবে এবং সূর্যাস্তের পর কোনো মতেই পতাকা উড্ডীন অবস্থায় থাকবে না। কোনো কারণে পতাকার অবস্থা ব্যবহারযোগ্য না হলে তা মর্যাদাপূর্ণভাবে সমাধিস্থ করতে হবে। ২০১০ সালে প্রণীত সংশোধিত পতাকা বিধি অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ- প্রদানের বিধান রয়েছে। 
১৫ আগস্ট সমগ্রজাতি শ্রদ্ধাভরে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহাপ্রয়াণ তথা জাতীয় শোক দিবস পালন করবে। তাই দেশ ও জাতির পিতার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকেই জাতীয় শোক দিবসসহ সকল দিবসেই সরকার নির্ধারিত পতাকা বিধি অনুসরণ বাঞ্চনীয়।    
#
অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৭/১৫২২ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৬৫
 
আমদানিকৃত পিঁয়াজ দ্রুত খালাসে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ 
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট ) :                                                                                              
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে পিঁয়াজ, লবণ, আদা, রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও মিশর থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বাজারে আসবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মিশর থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজ খালাসের জন্য চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, গরম মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। 
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ-উল আযহায় চামড়ায় ব্যবহার এবং ভোজ্য লবণের চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের চলমান ২ শত ৩২ টি লবণ মিলকে ২ হাজার ১ শত ৫০ মেট্রিক টন করে লবণ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের লবণ উৎপাদনকারি ও মিল মালিকরাও রয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্যক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন। পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে যাতে কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি দেশের প্রচারমাধ্যম তথা সাংবাদিকদের দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানান।
বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, আমদানি ও রপ্তানি অধিদফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মালিক ও প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
বকসী/অনসূয়া/গিয়াস/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৫৩১ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২০৬৪
 
এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে জাইকা-র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট ) :                                                                                              
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে আজ তাঁর অফিসকক্ষে জাইকা-র বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোসি নিশিকাতা সাক্ষাৎ করেন। তিনি তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত সচিব সৌরেন্দ্র নাথ
Todays handout (4).docx