Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩৮৫৯

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

নিউইয়র্ক, ১৭ ডিসেম্বর :
    আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৪৫তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের শুভ সূচনা হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শুরু হয় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে। আলোচনা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও কলামিস্টসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসী বাঙালিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, বাঙালির বিজয় অর্জনের ইতিহাস, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
    যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালিদের সমাগমে মুখরিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘জাতির পিতা অত্যন্ত সুনিপুণভাবে, ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন’। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বই ছিল বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার মূলমন্ত্র। বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী ও জনমুখী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি প্রবাসী বাঙালিদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো ব্যাপকভাবে জানতে এবং এরই আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করেন।
এর আগে সমবেত সুধীমন্ডলীর উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটি মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান বাংলাদেশকে একটি দৃশ্যমান শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটছে।
    আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।

#

সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৩০  ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩৮৫৮

পাকিস্তানে মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপিত

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ৩  পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :
    পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে ৪৬তম মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপন করেছে। হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে চান্সারি ভবন আলোকসজ্জিত ও বিজয় দিবসের পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়।
    সকালে চান্সারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার তারিক আহসান। পতাকা উত্তোলনকালে মিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় বিজয় দিবেেসর তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথাসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানের কথা বর্ণনা করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার তারিক আহসান দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ত্রিশ লাখ শহিদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তারিক আহসান সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ অনুসরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলকে নিষ্ঠার সাথে নিজ-নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
    আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
    পরিশেষে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

#

ইকবাল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮২৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৮৫৭
মিত্রবাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
ঢাকা, ৩  পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :
    একাত্তরের মিত্রবাহনীর ভারতীয় সদস্য এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
    রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৯জন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী চট্টগ্রাম বন্দরের ‘মাইন সুইপিংয়ে’ অংশ নেওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঁচজন সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
    এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানসহ ভারতীয় হাইকমিশন, রাশিয়ান দূতাবাস, মুক্তিযুদ্ধ ও পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপসি'ত ছিলেন।
    ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও রাশিয়ার অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে’ ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরেই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের এক অনন্য দৃষ্টানত্ম স'াপন করেছে ভারত। আর রাশিয়ার সমর্থন আমাদের ন্যায্য অধিকারকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
    অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তরের বন্ধুদের বাংলাদেশ যথাযথ সম্মান করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
    অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সহায়তা করেছে তা বিশ্বে বিরল। 
    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যখন বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যম্ভাবী তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রবিরতির প্রসত্মাব তুললে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিসত্মানি বাহিনীর পুতে রাখা মাইন অপসারণ করে। এসময় কয়েকজন সোভিয়েত সেনা নিহত হন।
    রক্তের বিনিময়ে ভারত, রাশিয়া আর বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা দৃঢ়তর হয়েছে বলে মন্ত্রী উলেস্নখ করেন।
    উলেস্নখ্য, মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস সিহতার নেতৃত্বে ভারতীয় এবং ভিক্তর কঝরিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার নৌ সেনা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
#
মারম্নফ/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫৬
আগামীকাল আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
    আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলড়্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম বি.এসসি আজ ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয়ের সভাকড়্গে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে  তিনি বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের সুরড়্গায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে কর্মসংস'ানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে,  যা বাংলাদেশে অভিবাসন খাতের গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ।
    মন্ত্রী আরো বলেন, আগামীকাল আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস, অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে প্রতিবছর ১৮ই ডিসেম্বর পালিত হয় আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বর্তমানে বিশ্বের ১৬১টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটির অধিক কর্মী কর্মরত আছেন। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে অভিবাসী কর্মীরা যে অক্লানত্ম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সে অনবদ্য অবদানকে মূল্যায়ন করাই এ দিবেসের উদ্দেশ্য। ‘উন্নয়নের মহাসড়কে, অভিবাসীরা সবার আগে’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লড়্গ্যে সরকার জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 
    মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবসের গুরম্নত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দিবসটি উপলড়্গে টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার ও জাতীয় দৈনিকসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এ উপলড়্গে দিন ব্যাপী র‌্যালি, আলোচনা সভা, ২০১৫ সালের জন্য নির্বাচিত সিআইপিগণের সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, বিশেষ স্যুভেনির প্রকাশ, বির্তক প্রতিযোগিতা, অভিবাসন মেলা, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধমে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং বিদেশে অবসি'ত দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে এ দিবসটি জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক উদ্‌যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
     তিনি আরো জানান, ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দড়্গিণ পস্নাজা হয়ে বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যনত্ম বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে এবং সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অভ্‌ ফেইমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রী, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স'ায়ী কমিটির সভাপতি নূরম্নল মজিদ হুমায়ুন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্‌রিয়ার আলম। বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত থাকবেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি'ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির’র আয়োজনে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে অভিবাসীদের অবদান’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও আনত্মর্জাতিক সংস'া অভিবাসন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লড়্গ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লড়্গ্যে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হবে। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 
    এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারম্নল হক, জনশক্তি, কর্মসংস'ান ও প্রশিড়্গণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপসি'ত ছিলেন। 
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৫০ ঘণ্টা

 


তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫৫

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ
                                     -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):

স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের সকল ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতি ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবে। আর এ  ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে  ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছবে দেশ। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রার এ দুর্বার গতি কোন অপশক্তি থামাতে পারবে না।

 মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে এলজিইডি সদর দপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল   উন্মোচন ও স'ানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি স্বাধীনতার ৪৫ বছরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। স'ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ স'ানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের  ইতিহাস ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ সকল প্রতিষ্ঠানের জনবান্ধব বিভিন্ন কর্মকা-ের কথা ও তাঁর বক্তব্যে উলেস্নখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, এলজিইডি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামী পাঁচ বছরে নদী খনন সহ গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস'ার উন্ন্‌য়নে নতুন রাসত্মা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে তাঁর মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তিনি বলেন।

ক্ষুধা ও দারিদ্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সরকারের বিভিন্ন সফলতা উলেস্নখ করে বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু আয়, প্রবৃদ্ধির হার, শিক্ষা, স্বাস'্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে সফলতায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।

#

জাকির/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫৪

গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস'াই বর্তমান বিশ্বে চলমান সরকার ব্যবস'াগুলোর মধ্যে উত্তম
                                                                                              -- স্পিকার 

লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ১৭ ডিসেম্বর :

স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস'া বর্তমান বিশ্বে চলমান সরকার ব্যবস'াগুলোর মধ্যে উত্তম। তিনি বর্তমান তরম্নণ সমাজকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস'ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 গতকাল লন্ডনে ৬২তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সম্মেলনের ৬ষ্ঠ দিনে অনুষ্ঠিত জেনারেল এসেম্বলিতে চেয়ারম্যানের বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্পিকার বলেন, শুরম্ন থেকে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন গণতান্ত্রিক চর্চা ও এর বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সুফল সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের শিড়্গার্থীকে আগ্রহী ও সচেতন করে তুলতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সিপিএ সারা বিশ্বের ১৮৫টি পার্লামেন্ট সদস্য ও আইন প্রণয়নকারী সংস'ার সদস্যদের একটি মিলনড়্গেত্র। এতে উন্নত, স্বল্প উন্নত ও ড়্গুদ্র ড়্গুদ্র রাষ্ট্রের পার্লামেন্ট সদস্যগণ রয়েছেন। সিপিএ’র এ বহুমুখীতা একে সমৃদ্ধ করেছে, যা সংসদ সদস্যগণের জন্য উদ্ভাবনী চিনত্মার ড়্গেত্র তৈরি করে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সিপিএ গণতন্ত্র বিকাশের যে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তাতে শিড়্গার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রের সুফল ও এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা সম্ভব হবে। তিনি এ কর্মসূচির সফল বাসত্মবায়নের জন্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
   
সম্মেলনে সিপিএ’র ৯টি অঞ্চল-আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটিশ দীপপুঞ্জ ও ভূমধ্যসাগরীয়, কানাডা, ক্যারিবিয়ান, আমেরিকাস এন্ড আটলান্টিক, ভারত, প্যাসিফিক এবং দড়্গিণ এশিয়া অঞ্চলের ৫২টি দেশের স্পিকার, সংসদ সদস্য ও সংসদ স্টাফ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।   

#

মোতাহের/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৪০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫৩
মাদরাসা পাঠ্যবইয়ের  ডিজিটাল ভার্সন উদ্বোধন
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
    আজ ঢাকায় সেগুনবাগিচায় আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মাদরাসা শিড়্গা ধারার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলামি ও আরবি বিষয়সমূহের ইন্টার-অ্যাকটিভ ডিজিটাল মাদরাসা টেক্সটবুক (্‌আইডিএমটি)-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। 
    শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ মাদরাসা শিড়্গা বোর্ডের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪টি টেক্সট বই- কুরআন মজিদ, আকাইদ ও ফিকাহ এবং আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের  ডিজিটাল ভার্সন আজ প্রকাশ করা হলো। এ চারটি বই এখন অনলাইন বা অফলাইন সুবিধা নিয়ে ইলেকট্রনিক বিভিন্ন মাধ্যমে, যেমন- কম্পিউটার, ট্যাব বা মোবাইল ফোনে পড়া যাবে। আইডিএমটিতে শিড়্গার্থীদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দের অর্থ, বাসত্মব উদাহরণ এবং ছবি ও ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে।
    ২০১৭ সাল থেকে দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণির শিড়্গার্থীরা এ ই-লার্নিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। শিড়্গার্থীরা বাংলাদেশ মাদরাসা শিড়্গা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বই বা কনটেন্ট বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়তে পারবে।
    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মাদরাসা শিড়্গা ব্যবস'ার আধুনিকায়নে সরকার সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মাদরাসা শিড়্গার্থীরা ইসলামি শিড়্গার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান, দড়্গতা ও প্রযুক্তি আয়ত্ত ও ব্যবহার করতে সড়্গম হবেন। তিনি বলেন, মাদরাসা পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশের ফলে শিড়্গার্থীরা এখন সহজেই বইগুলো পড়ার সুযোগ পাবে। সাধারণ পাঠ্যক্রমের আরো ১৬টি বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
    তিনি বলেন, মাদরাসা শিড়্গার উন্নয়নে এ সরকার অনেক পদড়্গেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩শ’ ৪২টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, আরো ৫০৯টি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ৩১টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। আরো ২১টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হবে। তিনি বলেন, এ সরকারই ইসলামি শ্‌ড়্িগা ও গবেষণার উন্নয়নে আরবি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।
    প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জানুয়ারির ১ তারিখে প্রি-প্রাইমারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যনত্ম সকল শিড়্গার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হবে উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিনেই শিড়্গার্থীরা পুরো সেট বই হাতে পাবে, যা বিশ্বে একটি উদাহরণ। তিনি বলেন, আমাদের নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা প্রযুক্তি শুধু আমদানি করব না, আমাদের প্রযুক্তি ও জ্ঞান রপ্তানিও করব।
    তিনি বলেন, নোট বই, গাইড বই এবং কোচিং বাণিজ্য চলবে না। তবে, পশ্চাৎপদ শিড়্গার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার ব্যবস'া রাখতে হবে। সকলের মতামতের ভিত্তিতেই শিড়্গা আইন প্রণয়ন করা হবে।
    বাংলাদেশ মাদরাসা শিড়্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম ছায়েফ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ, কারিগরি ও মাদরাসা শিড়্গা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিড়্গা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, মাদরাসা শিড়্গা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বিলস্নাল হোসেন এবং বুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. সোহেল রহমান বক্তৃতা করেন। 
#
আফরাজুর/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫২

আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ ডিসেম্বর আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৬ উদ্‌যাপন উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এ বছর ‘আনত্মর্জাতিক  অভিবাসী  দিবস ২০১৬’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি  আনন্দিত।  এ  দিবস  উপলড়্গে  আমি  প্রবাসে কর্মরত  সকল বাংলাদেশি  অভিবাসী ভাই-বোন ও  তাদের পরিবারের সদস্যদের  শুভেচ্ছা  জানাচ্ছি।
    বাংলাদেশকে  ড়্গুধা  ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে  অভিবাসী  কর্মীদের  অবদান  অপরিসীম। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নিম্নমধ্যম  আয়ের দেশে  পরিণত হওয়া  এবং বৈদেশিক  মুদ্রার শক্তিশালী রিজার্ভ  গঠনে অভিবাসী কর্মীদের  অবদান উলেস্নখযোগ্য।
    দড়্গ জনশক্তি  গঠন এবং  সুষ্ঠু অভিবাসন ব্যবস'াপনায়  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয় এবং  এর  আওতাধীন  সংস'া  ও দপ্তরসমূহের  গৃহীত  পদড়্গেপসমূহ  ইতোমধ্যে  আনত্মর্জাতিক  পরিম-লে  প্রশংসিত  হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস'ান  প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজেশনের  ফলে বিদেশগামী কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি  এবং বিদেশস'  নিয়োগকারী এজেন্সি  ও কর্তৃপড়্গের  সাথে যোগাযোগ  সহজ  হয়েছে। এর ফলে সম্প্রতি  বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের হার  এবং  গুণগত মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।  এছাড়া  প্রবাসীদের  মূল্যবান রেমিটেন্স প্রেরণও সহজ, সাশ্রয়ী  ও নিরাপদ হয়েছে।
    আমরা প্রবাসী  কল্যাণ  ব্যাংক  প্রতিষ্ঠা করেছি।  এ  ব্যাংক  হতে অভিবাসী কর্মীগণ  সহজ শর্তে  ঋণ গ্রহণ  করতে  পারছেন। বৈদেশিক কর্মসংস'ান বেকারত্ব দূরীকরণ ও  দারিদ্র্যবিমোচনের ড়্গেত্রে  সম্ভাবনার  নতুন দিগনত্ম উন্মোচিত হয়েছে।
    আমি আশা করি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয় বিদেশে শ্রমবাজার অনুসন্ধান  ও  সম্প্রসারণ, উপযুক্ত  প্রশিড়্গণের  মাধ্যমে  দড়্গ কর্মী  সৃষ্টি, অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয়  প্রকল্প গ্রহণ ও  বাসত্মবায়নে  আরও বেশি নিবেদিত হবে।
    অভিবিাসীগণ  সততা ও নিষ্ঠার  মাধ্যমে বহির্বিশ্বে  বাংলাদেশের  ভাবমূর্তি  আরও  উজ্জ্বল  করবেন  এ  প্রত্যাশা  করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১  বাসত্মবায়নের  মাধ্যমে  আমরা  বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির  পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার  বাংলা বিনির্মাণে সড়্গম  হব।
    আমি ‘আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, 
    বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

#

মনিরম্নন/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                     নম্বর : ৩৮৫১
আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর)
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৮ ডিসেম্বর আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৬ উদ্‌যাপন উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    “প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে             ‘আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৬’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলড়্গে আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রানেত্ম অবস'ানরত অভিবাসীদের আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
    অভিবাসীরা এ দেশের গর্বিত সনত্মান। অভিবাসী কর্মীগণ তাঁদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছেন। একইসাথে পরিবার পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ এবং তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাই একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতি গঠনে তারাও গর্বিত অংশীদার। তাদের অবদানের কথা জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
    বিশ্বব্যাপী নানা অসি'রতার কারণে অভিবাসন আজ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিসি'তিতে দেশের অভিবাসী ভাই ও বোনদের অনেক সময় প্রতিকূল পরিবেশে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। জীবনের ঝুঁকি ছাড়াও কম মজুরি, অনিরাপদ কর্মপরিবেশ, দীর্ঘ  কর্মঘণ্টা ইত্যাদি তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদাকে ড়্গুণ্ন করছে। এ পরিসি'তির উন্নয়নকল্পে অভিবাসী কর্মীদের বৈধ কাগজপত্র, দড়্গতা, ভাষাগত জ্ঞান, অবস'ানকারী দেশের সংস্কৃতি জানাসহ সে দেশের আইনের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তাছাড়া দেশের ভাবমূর্তি ড়্গুণ্ন হয় এ ধরণের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে অভিবাসী ভাই ও বোনেরা প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।
    সরকার অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজতর করতে অভিবাসন ব্যয় হ্রাস, রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকা- সে্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, অনিয়মিত অভিবাসন রোধসহ নানা কর্মসূচি বাসত্মবায়ন করছে। তা সত্ত্বেও অভিবাসন ব্যবস'াপনা আরো সহজীকরণসহ অভিবাসী ভাইবোনদের কল্যাণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রণালয় যুগোপযোগী পদড়্গেপ গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমাদের মিশনগুলোও প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার, কল্যাণ ও জীবনমান উন্নয়নে আরো তৎপর হবে বলে আমি মনে করি। আমি অভিবাসীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
    আমি আনত্মর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৬ উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                         নম্বর : ৩৮৫০

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর)

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ ডিসেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৬ উদ্‌যাপন উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

    “ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর  দেশে  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৬ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলড়্গে আমি এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশিস্নষ্ট  সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। 

    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর  একটি জরম্নরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে এ সার্ভিসের সদস্যরা গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ভূমিকম্প, অগ্নি দুর্ঘটনা,  নৌযান দুর্ঘটনা ও সড়ক দুর্ঘটনাসহ  যে কোন দুর্যোগে এ বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। জনগণের জান-মাল রড়্গা করেন। 

    আওয়ামী লীগ সরকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য গত আট বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাসত্মবায়ন করেছে। আমরা অগ্নি-প্রতিরোধ ও নির্বাপণ বিধিমালা ২০১৪ প্রণয়ন করেছি। নতুন নতুন ফায়ার  স্টেশন স'াপন করা হয়েছে।  দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কর্মসূচি বাসত্মবায়ন করা হচ্ছে। আমরা অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজের জন্য সর্বাধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি। কর্মীদের  পেশাগত দড়্গতা বৃদ্ধির লড়্গ্যে দেশে ও বিদেশে উচ্চতর প্রশিড়্গণের ব্যবস'াও করা হয়েছে।

    আমরা এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ  রেশন সুবিধা, ৩০% ঝুঁকিভাতা ও মর্যাদাপূর্ণ নতুন  পোশাক প্রবর্তন করা হয়েছে। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদকের সংখ্যা ও সম্মানীর পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের এ সকল পদড়্গেপের ফলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীগণ অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে আরও উদ্যমী হয়েছেন। 

    আমি আশা করি, এ বিভাগের কর্মীরা সাহস, দড়্গতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে  যে  কোন দুর্যোগে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের জান-মাল রড়্গায় আরও যত্নবান হবেন।

    আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৬ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, 

Todays handout (7).docx