তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০০
বর্তমান সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, তা বাস্তবায়নও করে
--- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
বান্দরবান, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী বলে শুধু স্বপ্ন দেখায় না, তা বাস্তবায়নও করে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এলাকার দুস্থ ও গরিব অসহায় পরিবারের নারী-পুরুষের মাঝে মাসিক নিয়মিত খাদ্যশস্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত চাল দিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা, বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে বই বিতরণ, বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে লেখাপড়া করার সুযোগসহ নানামুখী জনকল্যাণমূলক সেবা দিয়ে আসছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ প্রমুখ।
#
জুলফিকার/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৯
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে
উত্তরণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেমন বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেজন্য এ সরকার বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়নে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রতিবছর বাজেট বাড়িয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান’ শীর্ষক সেমিনার আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক এবং পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান মোঃ আব্দুল মোমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নূরুল করিম।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করেছে। নীতি-নির্ধারণ পর্যায়ের সহযোগিতা এবং উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গত কয়েক বছরে দুর্লভ সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ইউনিট সংবলিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হবে।
এছাড়া, পরমাণু চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষ্যে একটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (নিনমাস) এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪টি ইনস্টিটিউট অভ্ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (ইনমাস) প্রতিষ্ঠা, উত্তরবঙ্গে খনিজ সম্পদ প্রধান জেলা জয়পুরহাটে দেশের প্রথম ও একমাত্র খনিজ ও ধাতব বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অভ্ মাইনিং এ খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন, দেশের জনসাধারণ তথা ছাত্র সমাজকে বিজ্ঞান মনস্ক গড়ে তোলা ও মহাকাশ সম্পর্কে বিনোদনের মাধ্যমে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের প্রথম প্লানেটেরিয়াম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপন এবং দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ উল্লেখযোগ্য।
#
কামরুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৮
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে
--- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে বর্তমান সরকারকে আরো একবার ক্ষমতায় আসতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় পিআইডি সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ঐতিহাসিক সাফল্য জাতীয় পর্যায়ে উদযাপনের অংশ হিসেবে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ৬৪টি জেলা তথ্য অফিস ও ৪টি উপজেলা তথ্য অফিস একযোগে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের যে উন্নয়ন তা একদিনে অর্জিত হয়নি। সরকারের ধারাবাহিকতা এই উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আরো এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে জনগণের সমর্থন কামনা করে বলেন, বর্তমান সরকার আবার ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে আমরা শিগ্গিরই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারবো। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে সরকারের যে উদ্যোগ বিশেষভাবে কাজ করেছে তা হচ্ছে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, পলিসির ক্ষেত্রে দক্ষতা, কঠোর মনিটরিং এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তারানা হালিম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে যে তিনটি সূচক রয়েছে, সবগুলো সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। জাতিসংঘের মানদ- অনুযায়ী মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৩০ মর্কিন ডলার হলেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক মানদ- অনুযায়ী, ৬৬ বা এর বেশি হলে বাংলাদেশের সূচক ৭২ দশমিক ৯ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের মানদ- ৩২ বা এর কম, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক ২৪ দশমিক ৮। এছাড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী খাদ্য, যোগাযোগ, রিজার্ভসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারে অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের অংশীদার জনগণের কাছে সরকারের এই সাফল্য ও অর্জনের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। এ জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার বেশির ভাগ নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছে বলেই এদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে। তিনি বলেন, যখন দেখি বিশ্বসেরা নেতৃবৃন্দের নামের তালিকায় এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম উঠে আসে তখন বুঝতে পারি তিনি এদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
এনায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৭
অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক ও শারীরিক উন্নয়ন
--- অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সবদিকে কিছু না কিছু করতে হয়। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক ও শারীরিক উন্নয়ন।
মন্ত্রী আজ সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃঅফিস ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা ২০১৮ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেটা একটু ব্যতিক্রম। সাধারণত ক্রীড়া, সংগীত ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা আলাদাভাবে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক যে আয়োজন করেছে সেটা একইসাথে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আজকের এ উদ্যোগ তাদের কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্যকে প্রতিফলত করবে। এ আয়োজনটি সিলেটে করার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট শাখার নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহ আলম।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়সহ মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া সিলেট, বরিশাল ও রংপুর অফিসের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর মন্ত্রী মদনমোহন কলেজে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্মৃতিস্মারক হিসেবে রাখার জন্য ‘উজ্জীবন প্লাটিনাম জুবিলি চত্বর’ নামে একটি চত্বরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।
#
শাহেদ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৬
বলাকায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
বিমানকে বিশ্বমানের এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ যে ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে সে ধারাবাহিকতায় বিমানকেও বিশ্বমানের একটি এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তিনি সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য বিমানের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ দুপুরে বিমানের প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা’য় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আকাশপথের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা ১৯৭২ বাংলাদেশ বিমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতীয় পতাকাবাহী হিসেবে বিমানকে দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই যাত্রীসেবা এবং পণ্য পরিবহণে বিমানকে তৎপর থাকতে হবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আকাশপথে যাত্রীর উল্লম্ফন ঘটেছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন গন্তব্যে বিমানকে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিতে হবে এবং এটি করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিমান আরো সক্রিয় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
মতিবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অবঃ) ইনামুল বারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমদ।
#
মাহবুবুর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৫
চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
জঙ্গি-রাজাকারদের রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরে রাখুন
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং জঙ্গি-রাজাকারসঙ্গী খালেদা জিয়াকে একপাল্লায় মাপার মধ্যপন্থা ছাড়ুন। কারণ, এ মধ্যপন্থা জঙ্গি-রাজাকারদেরই উৎসাহিত করে, শক্তি যোগায়। আর জাতির প্রয়োজনে রাজনীতি ও ক্ষমতা থেকে জঙ্গি-রাজাকারদের চিরবিদায় জানান।’
আজ বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের স্টুডিও থিয়েটার ময়দানে প্রয়াত জাসদ নেতা এডভোকেট আব্দুল কালাম আজাদের নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার বা গণতন্ত্রী আর চক্রান্তকারীদের একপাল্লায় মাপার মধ্যপন্থার রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এই পথ পরিহার করে দেশকে রাজাকার-চক্রান্তকারীদের হাত থেকে রক্ষায় সকলকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সময়মতো নির্বাচন করা এবং জঙ্গি ও রাজাকারদের নির্বাচন ও ক্ষমতার বাইরে রাখাই এখন জাতির কর্তব্য।’
মুক্তিযোদ্ধা ইনু এসময় প্রয়াত জননেতা আব্দুল কালাম আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘প্রয়াত এই জননেতা মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সবসময় অটল ছিলেন, মূলধারার সেনানী ছিলেন। তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বন করেননি, অন্যায়ের সাথে আপোশ করেননি। তাঁর স্মৃতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।’
নাগরিক কমিটির সভাপতি সাবের আহমেদ আসগরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মাহফুজুর রহমান, আহম্মদ শরীফ মনির, এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন বাবুল, জাসদ নেতা তৈয়বুর রহমান, বার কাউন্সিল নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমেদ, সিপিবি নেতা অশোক সাহা, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা স্বপন সেন প্রমুখ।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৪
ভারতে ডব্লিউটিও মিনিস্টেরিয়াল মিটিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী
দোহা রাউন্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর দোহা রাউন্ডে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়িত হলে বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডব্লিউটিও এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা, সেগুলো সকল উন্নত দেশ দিচ্ছে না। ডব্লিউটিও-কে কার্যকর করতে দোহা মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। দারিদ্র্যবিমোচন ও শিল্পায়নের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০২৭ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন তা বাস্তব। উন্নয়নশীল দেশের জন্য যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশ সেগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম।
মন্ত্রী আজ ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ইনফরমাল ডব্লিউটিও মিনিস্টেরিয়াল মিটিংয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রুভুর সভাপতিত্বে বাণিজ্যমন্ত্রীদের এ মিটিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, কানাডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ বিশে^র ৫৩টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী অথবা তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া এভরিথিং বাট আর্মস এর আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধার ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। এজন্য বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ এখন বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউটিও’র বিগত মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা, প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অভ্ অরিজিন, সার্ভিস ওয়েভার, ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করার মতো প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য খুবই প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
মন্ত্রী পরে কনফারেন্সের ওয়ে ফরওয়ার্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সাক্ষাতের সময় যে ৫জন বাণিজ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার মধ্যে অন্যতম।
#
লতিফ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৩
গত ১৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের পদ থেকে বদলি হয়ে ১৮ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন তিনি। সোমবার বিকেলে বিদায়ি ভারপ্রাপ্ত তথ্যসচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদের বিদায় অনুষ্ঠানের পর আজ পূর্ণদিবস মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন আবদুল মালেক।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে তথ্যসচিব আবদুল মালেক সহকারী কমিশনার পদে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেটে সহকারী কমিশনার, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং রাজশাহীর দূর্গাপুরে থানা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও রংপুর সদরে এবং পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক, মাগুরা জেলা পরিষদ সচিব, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপসচিব হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব, পরবর্তীতে অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবদুল মালেক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ হতে বিএসএস (অনার্স) সহ মাস্টার্স ডিগ্রি ও পরবর্তীতে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী তথ্যসচিবের জন্মস্থান পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯২
দশম জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৮তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং সাবিনা আক্তার তুহিন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে পাট অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে পাট অধিদপ্তরকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়। এ অধিদপ্তর কর্তৃক পাট চাষিদের সার্বিক কল্যাণার্থে ‘উচ্চফলনশীল (উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জুন, ২০১৭ তারিখে সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে এবং প্রস্তাবিত ৩টি নতুন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে তাঁত খাতে বিদ্যমান মোট হস্তচালিত তাঁত, চালু ও বন্ধ তাঁত, মোট তাঁতির সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বশেষ একটি তাঁত শুমারির কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মার্চ ২০১৮ এর মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে এবং প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে উক্ত তথ্য হালনাগাদ করা হবে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া তাঁত শিল্পের পূর্ণ বিকাশে শুল্কমুক্ত সুতা আমদানি ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সকল বীর সৈনিকের অমর স্মৃতির প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সেইসাথে সম্প্রতি নেপালে দুর্ঘটনা কবলিত ‘ইউএস বাংলা’ বিমানে আরোহিত যাত্রীদের মধ্যে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিটিএমসি ও তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।