Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ এপ্রিল ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৫ এপ্রিল ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১৭১১

 

বাংলাদেশকে চামড়া রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০-এ

নিতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

                                     ---শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :    

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চামড়া রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন,  সরকার চামড়া শিল্পকে অন্যতম অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এই শিল্পটি ২০১৭ সালে “প্রোডাক্ট অভ্ দ্য ইয়ার” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এ খাত থেকে মোট রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট জিডিপির ১ শতাংশ করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যানারির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট অর্জিত হলে কমপ্লায়েন্স চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির মূল উপায় হলো চামড়া খাতকে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের  মানদন্ডে উত্তীর্ণ করা। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো সকল অংশীজনের সক্রিয় সম্পৃক্ততা। এজন্য প্রয়োজন একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এ খাতের বিকাশে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি পর্যাপ্ত কার্যকর অবকাঠামো গঠন, অর্থায়ন এবং অন্যান্য আইন-কানুন ও বিধি-বিধান নিশ্চিত করা, অভিজ্ঞতা স্থানান্তরে সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করার জন্য সরকারি খাতের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। পোশাক শিল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এই কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। এজন্য তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের এবং দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, বিএসসিআইসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, আইএলও এর অফিসার ইন-চার্জ মরিস ব্রুক, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক জে এম কামরুল আনাম এবং নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।

 

#

আকতারুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/২১৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ১৭১০

 

নোয়াবের বিবৃতি নাকচ, গণমাধ্যমকর্মী আইনের পক্ষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :    

 

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনের প্রয়োজন নেই’ এমন বিবৃতি নাকচ করে দিয়েছেন দেশের সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। এ আইন তাদের দাবিতে হচ্ছে এবং দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রয়োজন, বলেন তারা।

 

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজি) আয়োজিত ইফতার ও আলোচনায় বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতেই গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণীত হচ্ছে। আইনের খসড়ার কিছু ধারা পরিবর্তন-পরিমার্জনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার এ আইন যারা চান না, তাদের সাথে আমরা একমত নই। 

 

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ প্রধান অতিথি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করে। সরকার চায় গণমাধ্যমের আরো বিকাশ হোক। গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকদের স্বার্থেই করা হয়েছে। এর খসড়া আরো পরিবর্তন-পরিমার্জন করার কাজ চলছে।

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একসাথে চলবে, গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা চলবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান,  ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

#

আকরাম/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০৩১ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                       নম্বর: ১৭০৯

 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে শেখ হাসিনার কর্মীরা কখনো আপস করে না

                                                     ---পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :    

 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, “আমরা সবাই মুজিব হবো, মুজিব হত্যার বদলা নিবো, এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নিবে।’’ এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ প্রকম্পিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। আমরা সবসময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত মনে করি। কারণ, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের প্রশ্নে শেখ হাসিনার কর্মীরা কখনো আপস করে না।

আজ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীবৃন্দের ইফতার মাহফিলপূর্বক আলোচনা সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে একটি বিশ্বমানের বাসযোগ্য দেশে পরিণত হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের মর্যাদার আসনে আসীন। আগামী নির্বাচনেও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদেরকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পূরিপূর্ণরূপে একটি বিশ্বমানের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

এনামুল হক শামীম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছি। পরবর্তীতে অগণিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে কারাবরণ, দেশত্যাগ, অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব মেধা ও কর্মের মাধ্যমে আজকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত। আজকে ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ়তা, সততা, নিষ্ঠা এবং সাহসিকতার সঙ্গে।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আমিনুল ইসলাম আমিন, গোলাম রাব্বানী চিনু, শামসুন্নাহার চাঁপা, বাহাদুর বেপারী, অজয় কর খোকন, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, আফজালুর রহমান বাবু, মারুফা আক্তার পপি, দেলোয়ার হোসেন, বদিউজ্জামান সোহাগ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

গিয়াস/নাইচ/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০৫২ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                     Number : 1708

Foreign Minister Dr Momen calls for Investment from CICA Member States

Dhaka, 25 April 2022 :

            Foreign Minister Dr A K Abdul Momen has called for investment from CICA (The Conference on Interaction and Confidence Building Measures in Asia) member states while holding a meeting with Kairat Sarybay, the Executive Director of CICA at a city hotel this morning. 

            The meeting had representation from the CICA Secretariat and the Ministry of Foreign Affairs of the Government of Bangladesh. The meeting saw an enriching discussion between the Foreign Minister and the Executive Director of CICA. 

            During the meeting, Foreign Minister Dr Momen invited investors from CICA member states to invest in different sectors, particularly priority sectors in the Economic Zones of Bangladesh. The current work priorities of Bangladesh regarding CICA areas of cooperation were laid out with due importance. 

            Foreign Minister appreciated the role of Kazakhstan for its leading initiative to establish CICA, which has emerged as a vital forum for pursuing peace, security and development in Asia.  He also underscored the need for regular exchange of visits at the high political and official levels as it is a very important tool for strengthening existing relations. The meeting concluded with a shared interest to collaborate and share experience towards a more efficient partnership in the days to come.

            CICA is a multi-national forum for enhancing cooperation towards promoting peace, security and stability in Asia. It is a forum based on the recognition that there is a close link between peace, security and stability in Asia and in the rest of the world. The 27 Member States, while affirming their commitment to the UN Charter, believe that peace and security in Asia can be achieved through dialogue and cooperation leading to a common indivisible area of security in Asia where all states co-exist peacefully and their peoples live in peace, freedom and prosperity.

            Executive Director Sarybay is on an official visit to Bangladesh from 23 to 26 April 2022. During the visit, Sarybay also met the officials of Bangladesh Institute of International and Strategic Studies (BIISS).

#

Mohsin/Nice/Rafiqul/Mahmud/Joynul/2022/1930hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ১৭০৭

 

গণমাধ্যমকর্মী আইন : সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে বিভিন্ন বিবৃতি

বিএনপি একটি জালিয়াত রাজনৈতিক দল

                                                  ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল):  

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি শুধু মিথ্যাবাদীই নয়, একটি জালিয়াত রাজনৈতিক দল। মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করা, ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহের ফোন নিয়ে মিথ্যাচার, জার্মান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিকৃত করা -এসব ঘটনাই তার প্রমাণ।’

আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপির বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জার্মানির মতো একটি দেশের রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এরকম প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করা আমাদের দেশে নিকট অতীতে কখনো ঘটেনি। বিএনপি যে বিভিন্ন সময়ে বিদেশিদের সাথে দেখা করে বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা কথাবার্তা বলে, তার অনেকগুলো যে বানোয়াট, সেটিরই প্রমাণ হচ্ছে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি কয়েক বছর আগে ছয়জন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে তাদের পক্ষে বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলো। সে প্রেক্ষিতে তৎকালীন মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস এবং একই কমিটির সদস্য এনজেল বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, এই ধরনের জালিয়াতি অগ্রহণযোগ্য, এটি কখনো হওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব সম্ভবত মারুফ কামাল একবার সাংবাদিকদের ডেকে বলেছিলেন যে, অমিত শাহ বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করেছেন। পরবর্তিতে অমিত শাহের অফিস থেকে বলা হয় যে, অমিত শাহ কোনো ফোন করেননি। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে, বিএনপি একটি জালিয়াত রাজনৈতিক দল।’

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন-নোয়াবের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নোয়াব তো বলেছে এ আইনের প্রয়োজন নেই। তাদের বিবৃতিতে এটিও বলা আছে যে, যেহেতু প্রেস কাউন্সিল, ডিএফপি আছে সুতরাং এ আইনের কোনো প্রয়োজন নেই। আপনারা জানেন, প্রকৃতপক্ষে প্রেস কাউন্সিল এবং ডিএফপি কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে না। টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্যও কোনো আইন নেই।’

‘সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ আইন হলে যখন তখন গণমাধ্যম থেকে যে ছাঁটাই হয় বা নিয়োগপত্র দেয় না, সেটি করা সম্ভবপর হবে না, তখন বেতন, ভাতা, গ্র্যাচুইটি নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে, ছাঁটাই করলেও সাংবাদিকরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘মালিকদের একটি পক্ষ সবসময় চায় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরনের আইন না হোক এবং তাদের একটি পক্ষ যে এই আইন চায় না, সেটির বহিপ্রকাশ হচ্ছে নোয়াবের এই বিবৃতি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আইন করার দাবিটা এসেছিলো এবং সে কারণেই গণমাধ্যমকর্মী আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং, সংসদে উত্থাপনের পর এখন সংসদীয় কমিটির পরীক্ষাধীন প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পরিবর্তন-পরিমার্জন করে যাতে সাংবাদিকদের স্বার্থ পুরোপুরি সংরক্ষিত হয় সে জন্য আমরা একমত। এ সত্ত্বেও বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। কেউ বুঝে বিবৃতি দিচ্ছে, কেউ অন্যরা বিবৃতি দিয়েছে সেজন্য বিবৃতি দিচ্ছে আবার কেউ কেউ এ আইন চায় না সেজন্য বিবৃতি দিচ্ছে।’

‘আমরা যেখানে আইনটি পরিমার্জন-পরিবর্তনের জন্য একমত সেখানে কি এসব বিবৃতি আসলে প্রয়োজন আছে?’ প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরং বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দিয়ে এই যে সৌহার্দ্যপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ আছে, সেটিকে আসলে নষ্ট করা হচ্ছে।’

এসময় আইনের খসড়া নিয়ে চলমান কাজ সম্পর্কে ড. হাছান মাহ্‌মুদ জানান, ‘প্রথমত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো প্রস্তাবিত আইনের যে ধারাগুলো পরিমার্জন-পরিবর্তন প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। এরপর আমরা মালিক পক্ষের সাথেও আলোচনা করবো, কারণ মালিকরা এটি বাস্তবায়ন করবেন। এরপরে সেটি সংসদীয় কমিটি বিবেচনা করবে, খুব বেশি পরিবর্তন হলে তাদের আইনগত পরামর্শ নিতে হতে পারে। সেটি সংসদীয় কমিটি ভালো বলতে পারবে।’

#

আকরাম/নাইচ/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৭২৬ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                     Number : 1706

BANGLADESH AND DENMARK STRENGTHEN

THEIR GREEN AND SUSTAINABLE PARTNERSHIP

Dhaka, 25 April 2022 :

            Bangladesh Minister of Foreign Affairs Dr. A K Abdul Momen and Danish Minister for Development Cooperation Flemming Møller Mortensen signed a Sustainable and Green Framework Engagement to strengthen the partnership on climate and green transition between the two countries. The document signed was in presence of Her Highness Royal Crown Princess Mary of Denmark.

            Celebrating the 50 years of diplomatic relations, the Ministers have taken the Bangladesh-Denmark relations to a new level. The two countries wish to partner towards attaining a sustainable and greener future globally. The focus will be on Climate Change Adaptation and Mitigation, Environmental Damage and Loss of Biodiversity, in the framework of the 2030 Agenda for Sustainable Development and the Paris Agreement on Climate Change. 

            Bangladesh and Denmark share a joint commitment in tackling global challenges such as climate change and achieving the Sustainable Development Goals. Denmark is the first country to enter into a Framework Engagement with Bangladesh aiming to provide knowledge and technology towards attaining a sustainable and greener future. The cooperation will bring all instruments into play, ranging from diplomatic action and development cooperation to climate funding and investments, trade and private sector relations, including public-private partnerships.

            During the ceremony, the Bangladesh Minister for Foreign Affairs said that the Framework Engagement would serve as an expression of intent between Bangladesh and Denmark, which will be supplemented by an Action Plan involving the concerned government entities: 

            "This initiative signals our two countries’ shared interest in further diversifying the content of our bilateral relations. It should help build synergies between Bangladesh’s home-grown climate change adaptation strategies and Danish innovation and technological expertise."  

            The Danish Minister for Development Cooperation stated that he was very pleased to sign the agreement during his first visit to Bangladesh: 

            “Denmark and Bangladesh are two countries with a strong and active engagement in the global climate agenda. Signing of the green framework document today, signals that we are ready to ‘walk the talk’ on the commitments made in the Paris Agreement – the international treaty on climate change”.

#

Mohsin/Pasha/Rafiqul/Mahmud/Joynul/2022/1645 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৭০৫

সৈয়দা আশিকা আকবরের মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :    

টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীর নওয়াব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর নাতনি এবং সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরীর কন্যা সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিকা আকবরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

 

মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মধুপুর-ধনবাড়ীর উন্নয়নে ও শিক্ষাবিস্তারে নওয়াব পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

উল্লেখ্য, সৈয়দা আশিকা আকবর আজ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

#

কামরুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৩৮  ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ১৭০৪

 

মিজোরাম ও বাংলাদেশ সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপন করলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে

                                                                                                               -- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,  ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য মিজোরাম  সীমান্তে একটি বর্ডার হাট স্থাপন করা হবে। মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার সাজেক এ একটি বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে মিজোরাম  প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, উভয় দেশ এ বিষয়ে একমত হয়েছি। মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক  সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাষ্টিক ও খাদ্য পণ্যসহ চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন পণ্য মিজোরামে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সেখানে এসকল পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। একই সাথে মিজোরামের পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ, বিখ্যাত বাশ ইত্যাদি বাংলাদেশে আমদানি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে একটি বর্ডার হাট স্থাপনের ফলে মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের  দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যে সকল সমস্যা ও করণীয় রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

          বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী Dr. R. Lalthangliana আজ মিজোরামের কনফারেন্স হলে একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্ট স্বাক্ষর করে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবেশী দেশের সাথেও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। মিজোরাম রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক  বাণিজ্য বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য  সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য বাণিজ্যবৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে।

          ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করে উভয় দেশের মালামাল পরিবহণ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এখানে বর্ডার হাট স্থাপন করা হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং বাণিজ্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

          উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২২-২৫ এপ্রিল মিজোরাম রাজ্য সফর করেন। এ সময় তিনি মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে বর্ডারহাট স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। উভয় দেশের সীমান্ত এলাকার সিলসুরি-সাজেক এলাকা পরিদর্শন করেন। মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের ৩১৮ মিলোমিটার সীমানা রয়েছে।

          সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী মিজোরামের চিফ মিস্টিার Zoramthanga এবং মিজোরাম রাজ্যসভার স্পিকার Lalrinliana Sailo এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং উভয় দেশের সার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

          মিজোরাম এর সরকারি দলের ডেপুটি চিফ হুইপ Lalrintluanga Sailo, MLA, মিজোরাম সরকারের কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান K. Laldawngliana, MLA এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

বকসী/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৭১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর: ১৭০৩

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজেরাই ইনট্রান্সপ্যারেন্ট

                      --স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :    

“করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন : অন্তর্ভূক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ” শিরোনামে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত যে রিপোর্ট টিআইবি (ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) করেছে তা ভীত্তিহীন, উদ্যেশ্য প্রণোদিত ও জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য।

আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্প্রতি টিআইবি কর্তৃক স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা জানান।

টিআইবি জরিপ প্রসঙ্গে প্রথমেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার সবশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। মন্ত্রী জানান, যেখানে WHO চাহিদা অনুযায়ী একটি দেশের ৭০ ভাগ মানুষের টিকার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৭৫ ভাগ জনসংখ্যাকে অর্থাৎ প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। বুস্টার ডোজই দেয়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষকে।

টিআইবি রিপোর্টে জরিপ করা হয়েছে মাত্র ১৮০০ মানুষের ওপর। স্বাস্থ্যখাত টিকা দিয়েছে ১৩ কোটি ডোজ। তাহলে কোথায় ১৩ কোটি মানুষ আর কোথায় মাত্র ১৮০০ জন মানুষের জরিপের ফলাফল। সেই জরিপও করা হয়েছে ফোনে ফোনে কথা বলে। প্রতিবেদনে টিআইবি একটার পর একটা মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

টিআইবি প্রতিবেদনের অসংলগ্ন তথ্যগুলি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘টিআইবি বলেছে দেশের ৭ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ করোনায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। দেশে করোনায় ৩০ হাজারের কম মানুষ মারা গেছে অথচ তারা বলছেন ৭ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ মারা গেছেন বিনা চিকিৎসায়। টিকা ব্যবস্থাপনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। আমরা কেবল নিজেদের কেনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছি। এর সাথে সাড়ে ৯ কোটি ডোজ টিকা যেগুলো সরকার বিনামূল্যে পেয়েছে সেগুলোর মূল্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। ক্রয়কৃত ও উপহার হিসেবে পাওয়া টিকার মূল্য ধরেই ৪০ হাজার কোটি টাকা বলা হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে ৪০ লাখের বেশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা পায়নি। এটিও সঠিক তথ্য নয়। দেশে বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আছে ১ কোটি ২০ লাখের মতো। সরকার সবার আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দিয়েছে। তারপর অন্যান্য মানুষকে দেয়া হয়েছে। কোথাও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা  পায়নি এমন কথা জানা যায়নি। এরমধ্যে যারা নেয়নি তারা ইচ্ছে করেই নেয়নি। তবে টিকাদানে সরকারের স্বদিচ্ছার কোন ঘাটতি ছিল না। টিকাদানে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কোনো কোনো জায়গায় ৬৬-৬৭ টাকা করে ঘুষ দিয়ে টিকা নিতে হয়েছে। ৬৬-৬৭ টাকা আজকাল কাউকে এমনি এমনি দিলেও নিতে চায় না। অথচ এটি প্রচার করা হলো দুর্নীতি হিসেবে। ল্যাব সংখ্যা কম, চিকিৎসা সেবা পায়নি মানুষ। অক্সিজেন ঘাটতি ছিল নানা বিষয়ে জরিপে বলা হয়েছে যার কোনটিই সত্যি নয়। দেশে কোথাও অক্সিজেন ঘাটতি হয়নি। আমেরিকার রেমডিসিভির ওষুধ সবার আগে বাংলাদেশে চলে এসেছে, সেটিও সরকার বিনামূল্যে দিয়েছে। এরপরও টিআইবি বলছে দেশে ওষুধের ঘাটতি ছিল। মূলতঃ টিআইবি স্বাস্থ্যখাতের অর্জনকে ম্লান করে দিতেই এই রিপোর্ট করেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে যখন দেশে বিদেশে সবাই প্রশংসা করছে তখন তারা এরকম মনগড়া ও ভীত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি পড়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকেই ইনট্রান্সপ্যারেন্ট মনে হয়েছে। স্বাস্থ্যখাত টিআইবির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছে বলে জানান তিনি।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমিএ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

মাইদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৫৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                 নম্বর : ১৭০২

 

আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য

                                                          -- কৃষিমন্ত্রী

 

টাঙ্গাইল, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

            কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, সবসময়ই গণতন্ত্র চর্চা করে এসেছে। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। আগামী নির্বাচনেও দলটি গণতন্ত্র চর্চা করবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ। কোনো দেশীয় শক্তি, চক্রান্তকারী ও বিদেশিদের যারা পা চাটে- এমন কেউ এ নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারবে না।

            আজ টাঙ্গাইল শহরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, একই সাথে আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক বিশ্ব বা সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে যতই শক্তিশালী দেশ হোক-তারা কোনোক্রমেই যেন আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোনো রকম হস্তক্ষেপ না করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে তারা কোনো পক্ষ নেবে না, এটিই স্বাভাবিক; এটিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সকলের কাছে এটিই প্রত্যাশা করি। কোনো দেশের কোনো রকম হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না। 

            আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কি

2022-04-25-15-57-d62f9d433c4cade130128543c821d515.doc