Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ৬১৬

 

ডট বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে

                                    -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি):

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডট বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত, সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা প্রদান করা সম্ভব নয়। সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হলে সমস্ত ডোমেইন নাম এবং সমস্ত ইমেইল ঠিকানা সমস্ত সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সঠিকভাবে কাজ করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশের গৌরবময় ডোমেইন নেম.বাংলা (ডট-বাংলা) এর সর্বজনগ্রাহ্যতার ওপর বিআইজিএফ আয়োজিত অনলাইনে বাংলাদেশ কনসালটেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিআইজিএফ চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট  জিয়া-রং লো,   এশিয়া-প্যাসিফিক এর  ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারমাদ হুসেন, আইডিএন এর সিনিয়র ডাইরেক্টর ড. অজয় এবং বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক  ড. মোঃ রফিকুল মতিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এবং ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নম্বরের নেতৃত্বে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন। তিনি (আইক্যান) বাংলায় টপ-লেভেল ডোমেইন (টিএলডি) এগিয়ে নেওয়ার জন্য ডট বাংলা টপ লেভেল ডোমেইন (টিএলডি) এর সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।  সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রকৃত বহুভাষিক ইন্টারনেটের জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা, যেখানে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা স্থানীয় ভাষায় সম্পূর্ণভাবে নেভিগেট করতে পারে। ডোমেইন নাম শিল্পে প্রতিযোগিতা, ভোক্তাদের পছন্দ এবং উদ্ভাবনের জন্য নতুন জেনেরিক টপ-লেভেল ডোমেইন সম্ভাব্যতা আনলক করার চাবিকাঠিও। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার বলেন, এখনই সময় সার্বজনীন স্বীকৃতির জন্য সিস্টেম প্রস্তুত করার এবং ভবিষ্যতের সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্টারনেট তৈরি করার। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনসালটেশন অন ইউনিভার্সাল অ্যাকসেপ্টেন্স অভ্‌ ডট-বাংলা-তে চারটি প্রস্তাবিত অ্যাকশন পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়: ইউএ-এর বাংলাদেশের নীতির সুপারিশ করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে একটি স্টেয়ারিং কমিটি গঠন করা, সহকর্মী বা অন্য কোনো রেজিস্ট্রি থেকে শিক্ষা গ্রহণ, নীতি এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি স্থানীয় কমিটি গঠন ইউ এ এমবি এবং ইউএ লোকাল ইনিশিয়েটিভ ইউএএসজি স্টিয়ারিং কমিটিতে যোগদান।   

বক্তারা বৈশ্বিক স্টিয়ারিং কমিটির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ও পরামর্শ দেন। তাঁরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিষয়টির প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

#

শেফায়েত/নাইচ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১.০০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                           Number: 615

Deputy Prime Minister of Mauritius termed Bangladesh as

the Shining Example of Socio-economic Development

Dhaka, February 16:

Deputy Prime Minister of Mauritius, Louis Steven Obeegadoo has termed Bangladesh as the shining example of development. He noted the miraculous progress that Bangladesh achieved in the socio-economic sector over the last decade. Obeegadoo made this remark yesterday when Foreign Secretary Ambassador Masud Bin Momen paid a courtesy call on the Deputy Prime Minister at his office in Port Louis, Mauritius. During the meeting with Deputy Prime Minister a wide range of bilateral issues were discussed.

            The Deputy Prime Minister commented that people of his generation get inspiration from Bangladesh´s struggle for freedom. He expressed satisfaction the way Bangladesh handled the Covid-19 situation to protect its people and bring back the economy on the right track.

            Mr. Obeegadoo highlighted the need for signing of MOU on Tourism cooperation between the two countries. His government is ready to sign the instrument during the visit of Bangladesh´s Foreign Minister to Mauritius this year, he said. He underlined that tourism is the lifeline of the Mauritian economy which was badly hit due to Covid-19 pandemic. Ambassador Masud replied that in order to promote tourism, visa processing must be made easier. He proposed to appoint an Honorary Consul in Bangladesh to expedite the visa processing or a Consular Officer from Mauritian Embassy in New Delhi could visit Dhaka at a regular interval for visa purposes or online visa facilities can be introduced. Deputy Prime Minister assured to look into the matter of appointing an honourary consul.

            Ambassador Masud stressed the need for direct air connectivity for promoting tourism. He also emphasized on concluding the air service agreement between the two countries. The Deputy Prime Minister emphasize​d​ on concluding all pending agreements/ MOUs to strengthen cooperation between the two friendly countries.

Foreign secretary also held meetings with other ministers of Mauritius government during his three-day official visit. During the meeting with the Minister of Labour, Human Resource Development and Training, Minister of Commerce and Consumer Protection Mr. Soodesh Satkam Callichurn, Ambassador Masud extended sincere thanks from the government and the people of Bangladesh for taking good care of Bangladeshi workforce during the pandemic.

The labour Minister mentioned that the Bangladeshi workforce earned a huge reputation for their sincerity, dedication to work and law-abiding nature. Mauritius is actively considering recruiting Bangladeshi workforce once Covid situation returns to normalcy and the economy gets momentum, he added. Callichurn, who is also in charge of Commerce Ministry, underlined the importance of FTA/ PTA between the two countries to promote trade and investment. He emphasized on commencing the negotiation soon.

            Ambassador Masud also visited CMT Textile Factory where over 1200 Bangladeshi skilled workforce are employed of which most of them are women. He interacted with them and inquired about their welfare. They expressed satisfaction over the work environment while sharing their experiences with the Foreign Secretary of Bangladesh.

#

Mohsin/Nice/Rahat/Mosharaf/Salim/2022/20.38 Hrs. 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ৬১৪

 

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি):

 

প্রতিবছরের মতো এবারও ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

          শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে গত ১৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব কর্মসূচি গৃহীত হয়।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা হবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা  প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন চূড়ান্ত করবে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ২ জন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। শহিদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ব্যতিরেকে কাউকে শহিদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

          দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানসমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহিদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহিদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহিদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংবাদপত্রসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হবে। শহিদ মিনার সংলগ্ন এলাকার আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শহিদ মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। শহিদ মিনার এলাকার আশেপাশে ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করবে। একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় সকল ধরনের সরঞ্জামাদিসহ ফায়ার সার্ভিস টিম প্রস্তুত রাখা হবে।

 

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বাংলাদেশ মিশনসমূহ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি. প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা, পুস্তক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে যেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাঙালি অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

 

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান এবং নৌযানের সাহায্যে ঢাকা শহর সংলগ্ন নৌপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর তিন ধরনের পোস্টার মুদ্রণ করবে যার মধ্যে প্রথমটি হবে সর্বজনীন, দ্বিতীয়টি স্কুল-কলেজের শিশু-কিশোরদের জন্য এবং তৃতীয়টি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ ও বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক দূতাবাসসমূহে প্রচারের জন্য। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আরকাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রন্থমেলা, আলোচনাসভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধীনস্থ শাখা জাদুঘরসমূহ এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সকল প্রত্নস্থল ও জাদুঘরসমূহে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশুদের বিনা টিকিটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

 

 #

 

ফয়সল/নাইচ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ৬১৩

 

বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১১ জন অস্বচ্ছল ক্রীড়াসেবীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১১ জন অস্বচ্ছল ক্রীড়াসেবীকে ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে  ক্রীড়াসেবীদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। 

 

চেক বিতরণকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন। করোনাকালেও তিনি অসহায়, দুস্থ ও অসচ্ছল ক্রীড়াসেবীদের সহায়তা করতে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ৩০ কোটি টাকা সিডমানি প্রদান করেছেন।

 

বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সচিব রেখা রানী বালোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মোঃ মোশারফ হোসেন মোল্লাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

#

আরিফ/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/২০১০ ঘণ্টা 

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর: ৬১২

 

বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ

                         ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’

‘আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতা যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য’ বলেন মন্ত্রী।

আজ রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন, ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইহান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি ৫ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।

সবাইকে সাথে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না, বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।

এর আগে বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভুক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। সভা শেষে অতিথিবৃন্দ ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জি এবং সুরসম্রাট বাপ্পী লাহিড়ির মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং বাপ্পী লাহিড়ি’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং সুরসম্রাট বাপ্পী লাহিড়ি তাদের কণ্ঠ ও সুরের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। ভারতের মাটিতে এই দুই মহান শিল্পীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

চলমান পাতা-২

 

পাতা-২

 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান তাঁর শোকবার্তায় বলেন, কণ্ঠের জাদুতে কয়েক দশক ধরে সংগীত জগৎকে মাতিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পী লাহিড়ির গান ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য স্থান করে নিয়েছে। তাদের মহাপ্রয়াণ বাংলা সংগীতের জগতে এক বেদনাবিধূর অধ্যায়।

বইমেলায় তথ্যমন্ত্রী

এদিন বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের স্টল উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। এর আগে নজরুল মঞ্চে কবি আসলাম সানী’র কাব্যগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনার জয় বিশ্বের বিস্ময়’, ড. মজিদ মাহমুদের ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু : মহাজীবনের মহাকাব্য’, ফারুক হোসেনের ‘ছড়ায় বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গীতিকার সুজন হাজং, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ ও গ্রন্থকারেরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

আকরাম/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৬১১

 

ইউপি নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে উপযুক্ত বার্তা দিয়েছে

                                                     --খাদ্যমন্ত্রী

 

 

নওগাঁ (নিয়ামতপুর), ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিএনপি মুখে বলছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিন্তু তলে তলে তারা ইউপি নির্বাচনে ছিলো, প্রার্থী দিয়েছে আবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। ইউপি নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে উপযুক্ত বার্তা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের জোয়ারে বিএনপির অনেকের মসনদ ভেঙে গেছে।

আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে পাঠানোর অন্যায্য আবদার করে বিএনপি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে তাদের পছন্দের ডাক্তার দিয়ে বাসায় বসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার সুস্থতা চায় না, তারা চায় বিএনপি নেত্রীর লাশ। তারা লাশের রাজনীতি করতে চায়, আন্দোলন জমাতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব আন্দোলন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। একটি দলের নেতারা টিকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। অথচ দেশে টিকার অভাব নেই, ১০ কোটির বেশি টিকা এখনো হাতে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক ওয়ার্ডে ক্রাশ কর্মসূচির আওতায় গণটিকা দেওয়া হবে। এসময় তিনি সকলকে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসেন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারি, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবেদ হোসেন মিলন, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বক্তব্য রাখেন।  

পরে খাদ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৩ জেলার ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট ৩ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। নওগাঁ জেলায় মোট ২৮ হাজার সাইলো বিতরণ করা হবে, যার মধ্যে আজ নিয়ামতপুর উপজেলায় এ কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হয়।

এর আগে মন্ত্রী নিয়ামতপুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ এর উদ্বোধন করেন।

 

#

কামাল/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৯৫১ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর: ৬১০

 

প্রাণিসম্পদ খাত হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত

                                   ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাত হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহত্তর খাত। এ খাত হবে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি খাত। এ খাত হবে দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মেটানোর সবচেয়ে বড় একটি খাত। এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা ও খামারিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র প্রাণিসম্পদ খাতকে উদারভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। করোনায় যখন এ খাত নুয়ে পড়ছিল, তখন সরকারের উদ্যোগে বিদেশ থেকে পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড ও এনিমেল ফিড আনার জন্য সরাসরি বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন ও বন্দরে যোগাযোগ করা হয়েছে, পরিবহন সহজ ও উন্মুক্ত করাসহ সর্বত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে যারা শিল্প স্থাপন করতে চায় তাদের জন্য উৎসে কর এবং অপ্রয়োজনীয় কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যাতে এ খাত বিকশিত হতে পারে। শুধু সরকারের পক্ষে একা সব কিছু করা সম্ভব নয়। সরকার পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেবে, নীতি- নির্ধারণী সহযোগিতা দেবে। বেসরকারি খাত অথবা সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘দেশে মাংস উৎপাদন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেটা অতীতে অকল্পনীয় ছিল। আমরা বিদেশ থেকে মাংস আনব না বরং বিদেশে মাংস রপ্তানি করব-এ প্রত্যয় আমাদের রয়েছে’।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে এখন আমাদের প্রয়োজন গুণগত ও টেকসই উন্নয়ন। উৎপাদিত মাংস যেন পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটায়, খাবারের চাহিদা মেটায়। সেটার গুণগত মান যেন উন্নত হয়। সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত মানোন্নয়নে আমরা দেশে আধুনিক গবেষণাগার স্থাপন করেছি। এ বিষয়ে বেসরকারি খাত উদ্যোগ নিলে তাদের সহায়তা করা হবে।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়।

#

ইফতেখার/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৮৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ৬০৯

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯২৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ সময় ৩২ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।    

 

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫ জন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৮৮৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৬ জন।

 

#

 

জাকির/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৭১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :   ৬০৮

 

সিলেট ও রংপুর বিভাগের জয়িতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত

2022-02-16-15-25-0a65bc16b06f8888ec11157e954d768f.doc