তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৬
‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
দেশের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনকে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান করা হয়েছে।
আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) তে এটিএন বাংলা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক পরিবেশমন্ত্রীর হাতে এ পদক তুলে দেন। এটিএন বাংলার সিনিয়র উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান) নওয়াজেশ আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১১টি পৃথক ক্যাটেগরিতে ১১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পদক গ্রহণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ, বন সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সরকারের একার পক্ষে দুঃসাধ্য কাজ। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানাই।
‘বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়ন’ ক্যাটেগরিতে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’-এর জন্য নির্বাচিত করায় মন্ত্রী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে সবাইকে কাজ করার এবং বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
#
দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/মাহ্মুদ/শামীম/২০২৩/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৫
তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
দলের তৃণমূলের ঐক্য, সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারাই দলের প্রাণ, আপনারাই দলের জীবনীশক্তি। সুতরাং আপনাদের ঐক্য, সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তিকে বাড়াবে।’
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে-দেশ যে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে না কি দেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাই।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ হারবে মনে করতে হবে সেখানে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেনি। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। যে যতো কথাই বলুক, বিশ্বে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করে ‘দি ইকোনোমিস্ট’ রিপোর্ট ছাপিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য দেশ পারছে না, আমরা পারছি।’
তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ়তর করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘ইদানিংকালে কোথাও কোথাও এক বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় গত সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটি নতুন ধরা সংযোজন করা হয়েছে যে, কমিটি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে তা না হলে সেটি বাতিল করা হবে। সুতরাং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্মেলন করে আসা হয়, কমিটি হয় না, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও হয় না। এগুলো পরিহার করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। কিছুদিন পরপর বর্ধিত সভা যেমন, থানা কমিটি হলে ইউনিয়নের ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা ডাকা প্রয়োজন। তাহলে দলের মধ্যে একটা ঐক্য-সংহতি তৈরি হয়।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় নেতা শাহবুদ্দিন ফরাজি, আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/পাশা/আরমান/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৪
শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যেরও প্রচার প্রয়োজন
টিভি বার্তা সম্পাদকদেরকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনায় সাফল্যের পাশাপাশি কিছু ভুলত্রুটি থাকে কারণ কোনো সরকার পৃথিবীতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে না। অতীতেও পারে নাই, এখনও পারবে না, ভবিষ্যতেও না। সে কারণেই শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যটাও তুলে ধরতে হয়।’
আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিরোধীদলের কথা শুনলে তা মনে হয় না। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঐ পারে গিয়ে তারা বলে যে, ‘দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি’। সেই বক্তব্যগুলো আবার সবক’টি টেলিভিশনে ভালোভাবে প্রচার হয়। সবার বক্তব্যই প্রচার হতে পারে, কিন্তু সত্যি ঘটনাটাও প্রচার হতে হবে, তাহলে মানুষ সঠিক উপসংহারে উপনীত হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকবৃন্দ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে মালিকদের কথা শুনতে হয়, কিন্তু প্রতিদিন ‘ডে-টু-ডে এফেয়ার, আওয়ার-টু-আওয়ার এফেয়ার’ বার্তা প্রধানরা, সম্পাদকরা করেন। কোন সংবাদটা যাবে বা যাবে না, কতটুকু যাবে, কোন বাইট যাবে, সেটি আপনারাই নির্ধারণ করেন। সুতরাং গণমাধ্যম কি পরিবেশন হচ্ছে সেই নিয়ন্ত্রণটা আপনাদের হাতে। এ জন্যই আপনাদের সাথে আমি বসতে চেয়েছি।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম মানুষের মনন তৈরি করে, মানুষের কাছে সমাজের বিশ্বের চিত্র পরিস্ফুটন করে এবং তা থেকে মানুষ তার ধারণাটা তার নিজের কল্পে সংগ্রহ করে। সে জন্য গণমাধ্যমে কীভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে টেলিভিশনের দায়িত্ব আমাদের সংস্কৃতিচর্চা এবং সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচন করা। সমাজ যে দিকে তাকায় না রিপোর্টের মাধ্যমে সেগুলোকে তুলে আনা যাতে সমাজ ও সরকার সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অর্থাৎ মানুষের মনন, দেশ, সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় টিভি চ্যানেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তাঁর হাত দিয়ে প্রথমে ইটিভি তারপর এটিএন বাংলা, চ্যানেল আইয়ের যাত্রা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত আমার জানামতে ৩৬টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে গত ১৪ বছরে বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সবকিছুর এক্সপোনেনসিয়াল গ্রোথ হয়েছে এবং মেধাবীরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন। প্রাইভেট টেলিভিশন ১০টি থেকে ৩৬টি, দৈনিক কাগজের সংখ্যা সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ১২শ’, হাতেগোনা কয়েকটি থেকে অনলাইন পোর্টাল কত হাজার সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়।’
বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি, যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছে উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল আছে তা নয়, আমাদের জিডিপিও বাড়ছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৭৬ কি ৮০ বিলিয়ন ডলার এখন তা পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ছিল ৬শ’ ডলার, এখন ২ হাজার ৮শ’ ৮৪ ডলার, যেটি ভারতকে ছাড়িয়েছে। আর সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, মানবউন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে আমরা ৭-৮ বছর আগে ছাড়িয়েছি। বিশ্বের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যমে আমাদের প্রশংসা হচ্ছে, দেশে সব গণমাধ্যমে তেমনটি নেই।’
নিজ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেওয়া জন্য। দেশের টেলিভিশনের কোনো সিরিয়াল ছিলো না, ক্যাবল অপারেটরদের সাথে দেন-দরবার করতে হতো, সেই সিরিয়ালটা আমরা শুরুতেই ঠিক করেছি। বিদেশি টেলিভিশনে আমাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবো কেউ ভাবেনি, টেলিভিশনের মালিক পক্ষও ভাবেনি। এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম এমনকি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও বলে রেখেছিলাম যে তোমাদের দেশেও এ আইন আছে, আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। সেটি আমরা কঠোর হস্তে করেছি।’
ড. হাছান মাহ্মুদ উল্লেখ করেন, ‘৩০ বছর চেষ্টার পর আমি দায়িত্ব নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ফ্রি ডিটিএইচ ডিসের মাধ্যমে বিটিভি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি, সেখানে বাংলাদেশ বেতারও এখন শোনা যায়। আমাদের শিল্পীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশি সিরিয়ালের যথেচ্ছ প্রচার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পাশের দেশ বা অন্য দেশ থেকে বিজ্ঞাপন বানিয়ে আনা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আমরা সেটারও লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি এবং বিদেশি শিল্পীদের ক্ষেত্রে বাড়তি কর দেওয়ার বিধান চালু করেছি।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই : তথ্যমন্ত্রী
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ২০১৮ সালের আগেও একই ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিশাল জোট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন মানুষ বলেছিল ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’। এবারও তারা একই কথা বলছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও থাকবে। সুতরাং তাদের নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করবো তারা নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
সংবাদপত্রে চাকরিরতদের জন্য ওয়েজবোর্ড আছে কিন্তু বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই -এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড আমাদের সংসদে পাশ করা আইন, যা শুধুমাত্র সংবাদপত্রে কর্মরতদের জন্য করা হয়েছে। সেটি পরিবর্তন করতে হলে আইনটিই পরিবর্তন করতে হবে। সুতরাং ওয়েজবোর্ড নয় বরং যারা সম্প্রচার মাধ্যমে কাজ করে তাদের আইনি সুরক্ষা দরকার। সে জন্য গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি আমরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়েছি এবং তারা অংশীজনদের মতামত চেয়েছে। এ আইন পাস হলে সম্প্রচার মাধ্যম, প্রিন্ট ভার্সন এবং অনলাইনে কর্মরতদেরও সুরক্ষা হবে।’
#
আকরাম/পাশা/আরমান/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৩
ভূমি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে
আমাদের উদ্দেশ্য স্মার্ট এবং টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপন
---ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রদান করতে ভূমি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে আয়োজিত ১৩৩তম সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডার এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের -৭০ জন কর্মকর্তা নিয়ে আয়োজিত ৬ সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি আজ শেষ হল। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডিএলআরএস) সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের থেকে ভূমিমন্ত্রীর কী আশা, তা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে কষ্ট দেবেন না, আপনাদের আউট অভ্ দ্যা বক্স চিন্তা করতে হবে এবং মানসিকতা বদলাতে হবে, আপনাদের কর্তব্য সচেতন হতে হবে এবং মানুষকে কীভাবে সেবা দেওয়া যায় সেটা আপনাদের চিন্তা-ভাবনায় থাকতে হবে’। মন্ত্রী এ সময় প্রশিক্ষণ শেষ করা কর্মকর্তাদের ভূমি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় শুরু হওয়া ভূমি সংস্কার কার্যক্রম আজ কেবল স্লোগানে সীমাবদ্ধ নয় - আজ তা বাস্তবতা। তিনি বলেন, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ, যারা সমাজে ওয়াচডগ হিসেবে ভূমিকা রেখে থাকেন, তারাও বর্তমান সরকারের ভূমি সংস্কার কার্যক্রমকে অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ বলে বর্ণনা করছেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়কে সরকারের ‘টপ-ফাইভ পারফর্মিং মিনিস্ট্রি’ বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। আমরা আরো ভালোভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা ভালো কাজ করে ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ তৈরি করে দিতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য স্মার্ট এবং টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপন।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিকের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক এবং ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এই কোর্সটির পরিচালক এবং ডিএলআরএস-এর পরিচালক এজাজ আহমেদ জাবের। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী তিনজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
#
নাহিয়ান/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৯২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৮৮২
কর্মদক্ষ মানুষ নিয়ে গড়া হবে আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’
....শিল্পমন্ত্রী
বেলাব (নরসিংদী), ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে যদি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কাজটি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মদক্ষ মানুষ নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
গতকাল নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার আমলাব নারায়ণপুর মরজাল (এ.এন.এম) উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা বাস্তবায়ন করেছেন। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।
আমলাব নারায়ণপুর মরজাল (এ.এন.এম) উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী খান রিপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শমসের জামান ভূইয়া রিটন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা জান্নাত তাহেরা।
#
মাহমুদুল/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহ্মুদ/শামীম/২০২৩/১৯০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮১
রেড ক্রিসেন্ট ও জেলা পরিষদ সম্মিলিতভাবে মানব কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জন্মলগ্ন থেকে মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাগবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাঁর জীবন ও রাজনীতি আর্তমানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একযোগে কাজ করবে।
আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্যই সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে দেশের উন্নয়ন রোডম্যাপ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। এসবই করা হয়েছে যাতে মানুষ উন্নত জীবনের স্বাদ পায়। এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এখন উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বর্ণনা করা হয় বলে জানান মন্ত্রী।
অতীতে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহিষ্ণু জাতি হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের রেড ক্রিসেন্টের কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার ফলে স্থানীয় সমস্যা নিরসনে তৎপরতা বাড়বে।
এ সময় মন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্ককে সরকারের বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের তাদের নিজ নিজ জেলার সমস্যা সমাধানে রেড ক্রিসেন্টের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) এটিএম আব্দুল ওয়াহাব।
#
হেমায়েত/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮০
ইনোভেটিভ ইয়ুথরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্বে দেবে
--- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজকের ইনোভেটিভ ইয়ুথরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্বে দেবে উল্লেখ করে বলেন, তরুণদেরকে ভবিষ্যতে এন্টারপ্রেনিয়র এবং ইনোভেটর হিসেবে তৈরির করার লক্ষ্যে দেশের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (আরআইসি) স্থাপন করা হচ্ছে। তরুণরা এসব সেন্টার থেকে তাদের রিসার্চ এবং প্রোডাক্ট ডেভেলপ করতে পারবে।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ (ইউএনডিপি)’র উদ্যোগে ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিত কুমার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন সিলজে ফাইন ওয়াননিবো এবং এবং ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক এবং ইউএনডিপি’র প্রকল্প পরিচালক রবারর্ট স্টলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহনশীল, প্রগতিশীল, সৃজনশীল এবং সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে আমাদের তরুণদের মধ্যে যে অদম্য স্পৃহা আছে তাতে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না উল্লেখ করে বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা গড়ে তুলবো একটি প্রগতিশীল ও সৃজনশীল স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কেবল শিক্ষিত হলেই হবে না। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে মানবিক, নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষায় জাগ্রত এবং সচেতন হতে হবে। তিনি সবাইকে শান্তিপূর্ণ মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও প্রতিটি নাগরিক মানবিক নাগরিকে পরিণত হব। অন্যের দুঃখে দুঃখী হব, অন্যের কষ্টে সমব্যথী হব। এটাই একজন নাগরিকের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ী ৭ উদ্ভাবককেই কাওরান বাজারের ভিশন টাওয়ারে কো-ওয়ার্কিং স্পেস এবং আইডিয়া ও স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ থেকে অর্থায়ন সহায়তা করার ঘোষণা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এবং ডিজিটাল স্পেসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জ ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ- ২০২২’ পর্বে যৌথভাবে সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পুরস্কার জিতেছে ‘ডিজিটাল পিস কিপার’ এবং টংগের গান।
টিকটক, রিল, কৌতুক এবং ইলাস্ট্রেশনের মাধ্যমে গুজব, ডিজিটাল হয়রানি, সাইবার বুলিং, ধর্ম ও জাতিগত সহিংসতার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা ছড়াতে কাজ করে ডিজিটাল পিস কিপার। আর বাউল, মুর্শিদীর মতো ফোক গানে গানে ডিজিটাল স্পেসে একটি স্বতন্ত্র সহনশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে চায় টংগের গান।
#
শহিদুল/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৭৯
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষ্যে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া’ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশন, একশন এইড এবং ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি সহায়তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ মহড়ার আয়োজন করে ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডক্টর কামাল উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ফিরোজ উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দুর্যোগ পরবর্তী অনুসন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বিতভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সেন্টার হিসেবে ÔNational Emergency Operation Center (NEOC)Õ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নতুন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
#
সেলিম/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৭৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৪ হাজার ৫৯৬ জন।
#
সুলতানা/পাশা/আরমান/সিরাজ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৭২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &n