তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৫
খুনি চক্র জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হত্যা করে জাতির কপালে কালিমা লেপন করেছে
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর, সামাজ্যবাদী শক্তি, খুনি চক্র বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতির কপালে কালিমা লেপন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা মহানগরীর খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়ন করে উন্নত সমৃদ্ধ এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একুশশ’ সালের মধ্যে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিউল্লাহ এর সভাপতিত্বে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ১৫ জন শ্রমিকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
#
আকতারুল/রফিক/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৪
অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার কঠিন ও সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :
সাম্প্রতিক সময়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার কঠিন ও সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে যখন লঙ্গরখানা খোলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সেই প্রেক্ষিতে সরকার এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেনি।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।
মন্ত্রী বলেন, মূলত বঙ্গবন্ধুর আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় বিশ্ব মোড়লরা থ্রেট ফিল করেছিল এবং মুজিবকে ভয় থেকে মুজিবের বংশকে ভয়। তাই বিশ্ব মোড়ল ও তাদের এ দেশীয় দালালরা তাঁকে নির্বংশ করার জন্য তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ চালু করা হয়েছিল। পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছিল। শেখ রাসেল ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছিল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘাতকদের ভয় অমূলক ছিল না। শেখ হাসিনাই তার প্রমাণ। গত ৪৭ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পিতার মতোই যা বলেন তা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করেছি। সেখান থেকে জাগরণ হয়েছে। সে জাগরণের ফলে বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
#
খায়ের/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৩
বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন
---ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সঠিক দিকনির্দেশনা থাকায় অল্প সময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশকে স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন করে বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ’৭৫এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে উন্নয়ন যাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয় ঘাতকেরা।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা দেখে স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালীন দুর্যোগ ঝুঁকি-হ্রাসে উপকূলীয় বনায়ন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) চালু করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অগ্রসর হয়েই বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
১৫ই আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
পরে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
#
সেলিম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/২০১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭২
সারের মজুত পর্যাপ্ত, বেশি দামে বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা
---কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপিসহ সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সারে কোনো রকম প্রভাব পড়বে না। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না, তবে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে।
‘মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ জানিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আড়াই বছর ধরে চলমান কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া মধ্যে চলমান যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম, সারের দাম, তেলের দাম ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এর ফলে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার সচেতন। মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার নিবিড়ভাবে ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
স্বল্প আয়ের, সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ১৫ টাকা কেজিতে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সার-খাদ্যশস্যের দাম কমার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সার রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি উন্মুক্ত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে গম রপ্তানি শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমতে পারে। এসবের প্রভাব দেশেও পড়বে, খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।
#
কামরুল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭১
বর্তমান সরকার মানবাধিকারকে সবসময় সমুন্নত রাখবে
- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার কারণ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একজন ভিকটিম তিনি। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকারকে সবসময় সমুন্নত রাখবে এবং আইন দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।
আজ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার Michelle Bachelet এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় মন্ত্রী একথা বলেন। এসময় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার তাঁর সাথে ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পার্সনেলদেরকে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠালে সরকার অবশ্যই সেটা বিবেচনা করবে বলে তিনি হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেছেন।
আনিসুল হক আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি দেশের সাংবাদিকদের যে কথাগুলো জানিয়েছিলেন, সেকথাগুলো মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকেও জানিয়েছেন। এই আইন নিয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা আছেন। প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘বেস্ট প্রাকটিসগুলো’ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন।
#
রেজাউল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭০
শ্রম আদালতের মামলাসমূহ শ্রেণি বিন্যাস করে দ্রূত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
শ্রম আদালতের জমে থাকা মামলাসমূহ শ্রেণি বিন্যাস করে দ্রুত নিষ্পত্তিকরণে ১০ শ্রম আদালতের বিচারকগণের অংশগ্রহণে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সময়োপযোগী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্য জাজেস অভ্ দ্য লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস’ শিরোনামে প্রথমবারের মতো এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মাইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বক্তৃতা করেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ ফারুক।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিচারকগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরুপায় হয়েই শ্রমিকরা শ্রম আদালতে মামলা করেন। অসহায় এ সকল শ্রমিকদের মামলা ফেলে রাখবেন না। শ্রমিকদের করা পাওনা আদায়ের মামলা দিনের পর দিন ডেট পড়লে শ্রমিকরা পেটের তাগিদে মামলার পিছনে আর হাঁটে না, ফলে শ্রমিকরা তার পাওনা বঞ্চিত হয়। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না।
প্রতিমন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রম আইন বিশেষ ধরনের আইন, শ্রম আদালতের মামলা বিচার করতে গেলে শ্রম আইনের ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় ন্যায়বিচারের অন্তরায়। জাতির পিতা সমাজে সাম্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সমাজে সাম্যতা প্রতিষ্ঠায় কোন বিকল্প নেই। মামলার শ্রেণি বিন্যাস করে যে সকল মামলার তারিখ দেয়ার প্রয়োজন নেই সে সকল মামলা এক শুনানিতেই নিষ্পত্তি করে দেবেন। তিনি অসহায় শ্রমিকরা শ্রম আদালতে দ্রুত রায় পেলে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ সহজ হবে।
কর্মশালায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং সারা দেশের ১০ শ্রম আদালতে ২৪ হাজার ৯০৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এর মধ্যে ঢাকার তিনটি আদালতেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে ২১ হাজার ২০৯টি বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
#
আকতারুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৯৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৯
বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মূল্য কমার সাথে সাথে বাংলাদেশে সমন্বয় করা হবে
-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মূল্য কমার সাথে সাথে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে। জ্বালানির মূল্যের উর্ধ্বগতি বৈশ্বিক। বৈশ্বিক এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ সফলভাবেই মোকাবিলা করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আরো ভালো করবো।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে এফইআরবি আয়োজিত জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করতে ‘Energy Security in Bangladesh: Volatile International Market’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার মূলভিত্তি। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে টু-ডি এবং থ্রি-ডি সাইসমিক জরিপ কাজ চলমান আছে। ২০০৯-এ শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নেবার সময় গ্যাস উত্তোলনের জন্য আমাদের ১টিও সচল রিগ ছিল না, সেখানে এখন ৪টি নতুন রিগ যুক্ত হয়েছে। সাথে পুরানো ১টি রিগ পুনর্বাসন করা হয়েছে। গত জুনে আমরা বিজয়-১২ রিগের মাধ্যমে শ্রীকাইল নর্থ ১-এ কূপ খনন শুরু করেছি এবং গত মে মাসে বাপেক্স সফল ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে কৈলাশটিলা-৭নং কূপ থেকে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ২০০৯ সালের শুরুতে কয়লা উত্তোলন হতো ৬ দশমিক ৯৬ লাখ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০ দশমিক ২৮ লাখ মেট্রিক টন। শূন্য দশমিক ৬৯ লাখ মেট্রিক টন গ্রানাইট পাথরের জায়গায় এখন উত্তোলন করা হচ্ছে ৭৮ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। মাতারবাড়ীতে নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল এবং সমগ্র জ্বালানি খাতকে ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ERP। ভোলার গ্যাস মূল ভূখন্ডে আনার কার্যক্রম পরিকল্পনাধীন রয়েছে। অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, চাহিদা ও জোগানের গ্যাপ বাড়লেও তা পূরণ করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। যে সাবধানতা নেয়া হয়েছে তা সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একটু ধৈর্য্য ধরেন, জ্বালানি তেলের মূল্য কমলে বাংলাদেশেও তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে। আগামী মাসের শেষের দিকে দেশে বিদ্যুতের সমস্যাও সমাধান হবে। এ সময় তিনি বৈশ্বিক এই পরিস্থিতি সকলকে একত্রে থেকে সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন এফইআরবি’র নির্বাহী পরিচালক রিসান নসরুল্লাহ।
এফইআরবি’র চেয়ারম্যান মোঃ শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ভূতত্ববিদ অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোঃ শামসুল আলম ও বিজ-এর অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৮
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে টেকসই ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট পলিসি, ১৯৭৩ প্রণীত হয়। এটিই মূলত এদেশের শিল্প উন্নয়নের প্রথম পরিকল্পনা দলিল। বঙ্গবন্ধুর নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি খাতে দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত দেশ বিনির্মাণে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সমতাভিত্তিক অর্থনীতি’ তৈরি করার উদ্দেশ্যে নারী উন্নয়ন, যুবসমাজের উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নসহ গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে এ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে দ্য ফেডারেশন অভ্ বাংলাদেশ চেম্বার্স অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধুর এসএমই উন্নয়ন ভাবনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকার মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকনে আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। কোয়ালিশন সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনকল্পে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমঘন শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর ইপসিককে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ রূপান্তর করা হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ সার্বিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অথচ এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন কাগজপত্র সরবরাহ করতে বলা হয়; যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য জোগাড় করা কষ্টকর। এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক হতে ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
সেমিনারে বক্তারা এসএমইখাতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান।
#
মাহমুদুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩২৬৭
বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া ও তার পরিবার
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। এটি সত্য, এটিই বাস্তবতা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসিডিং যদি কেউ পড়েন, সেখানে সাক্ষীদের ও আসামিদের জবানবন্দি থেকে জানতে পারবেন কে কীভাবে এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে জিয়াউর রহমান কীভাবে এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধান সেনাপতি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান ইমডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের পালানোর সুযোগ করে দেয় এবং পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করে।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার গোলাম রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেগম খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনেও বসিয়েছেন। জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব, পরিকল্পনাকারী ছিল, তাদের ব্যাপারে জাতিকে অবহিত করার জন্য জাতীয় প্রেসক্লাব আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছর একটি কমিশন গঠন করার দাবি করে। বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উঠেছে, আমাদের দলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এটির সাথে একমত, একাত্মতা পোষণ করি। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আইনমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একটি কমিশন গঠন করা হবে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার সাথে বিশ্ব প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলেই আমি মনে করি সংবাদ ঠিক হয়, জনগণ ঠিক চিত্রটি পায়। শুধু বাংলাদেশের কথাটা বললাম, পাশের দেশে, ইউরোপ-আমেরিকায় কী হচ্ছে, এটি বললাম না, তাহলে তো জনগণ বিভ্রান্ত হবে। এসময় পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অস্ট্রেলিয়াতে ৯ দশমিক ২ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯ দশমিক ৬শতাংশ, তুরস্কে ৭৯ দশমিক ৬শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ দশমিক শতাংশ, পাকিস্তানে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ভারতে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের এর মধ্যে ওঠা-নামা, আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত ৭ শতাংশের নিচে ছিল, পরে একটু বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম। তাই বলে আমরা এটিকে স্বস্তিদায়ক বলছি না, আরো কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।’
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩১৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৩২২ জন।
#
কবীর/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &am