Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর : ৭২১

বসন্ত সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে রূপ নিচ্ছে

                       -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

            সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পহেলা বৈশাখ দল-মত-নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। শহর-নগর-বন্দর থেকে শুরু করে গ্রামের পাড়া-মহল্লা সর্বত্র ধনী-গরিব সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রাণের এ উৎসবে মেতে ওঠে। সে ধরনের প্রাণের উৎসবে রূপ নিচ্ছে বসন্ত উৎসব।

            প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে বসন্ত উৎসব ১৪২৭ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            কে এম খালিদ বলেন, বরাবর ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত উৎসব উদযাপিত হলেও গত বছর বাংলা একাডেমির সংশোধিত বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বসন্ত উৎসব এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে।

            চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী সবাইকে দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি গত ২৮ জানুয়ারি কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছি। এটি ঝুঁকি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত একটি নিরাপদ টিকা। তিনি বলেন, সরকার করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে কিন্তু এখনো সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারেনি। সেজন্য সবাইকে এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে।

            বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোঃ নওসাদ হোসেন।

            আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সমবেত সংগীত, নৃত্যানুষ্ঠান ও ব্যান্ডদল 'স্পন্দন' কর্তৃক ব্যান্ডসংগীত পরিবেশিত হয়।

#

ফয়সল/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ৭২০

সকলকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে

নব যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

            কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নতুন নতুন সমস্যা আসবে। সেসব সমস্যা মোকাবিলা ও কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সকলকে কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে কৃষিতে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যারা আগ্রহ নিয়ে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করবে তাদেরকে  অবশ্যই কৃষি মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করবে।

            আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর অডিটোরিয়ামে ৩৮তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে নব যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

            মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য, ১৭ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য, এখনো আমাদের যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। সে যুদ্ধে আপনারা যারা আজকে নতুন যোগদান করেছেন তারা সেই দায়িত্ব পালন করবেন। সে যুদ্ধে আপনারা অবদান রেখে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটা উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলবেন।

            কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ্ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান।

#

কামরুল/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৭১৯

খাল ও লেকে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধ করুন

                      -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          ঢাকা শহরের পয়ঃবর্জ্য খাল ও লেকে ফেলা বন্ধ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

          একই সাথে শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা নয়, নিজের শহরকে ভালোবাসারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

          আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভালোবাসা দিবস একদিন, শহরকে ভালোবাসি প্রতিদিন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ পয়ঃবর্জ্য খালে ও লেকে ফেলা হয়। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এই পয়ঃবর্জ্যের লাইন কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করার পাশাাপাশি একটা টাইমলাইন নির্ধারণ এবং একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 'শুধু মানুষকে ভালোবাসলে হবে না, আমরা যে শহরে বসবাস করি সে শহরকে ভালোবাসার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। নিজের আবাসস্থল, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে শহরের প্রতি ভালোবাসার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

          এ প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর নগরী দেখি তখন স্বাভাবিকভাবে মনে হয় যদি আমাদের শহরটিও এমন হতো। তিনি বলেন, তাদের শহর সুন্দর শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন করেনি। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো বলেই সম্ভব হয়েছে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলেই কেবল ঢাকা নগরীকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

          হাতিরঝিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের জন্য হাতিরঝিল নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন রাজধানীতে এরকম আরো অনেক হাতিরঝিল করা সম্ভব।

          ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন রাজধানীতে যেসকল লেক আছে সেগুলো সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরের দাবি আসছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি।

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শুধু শহর নয় সারাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে পরিবর্তন অবধারিত।

          ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

          এছাড়া কর্মশালায় রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

#

হায়দার/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭১৮

উদ্যোক্তাদের গাইড লাইন প্রদানের জন্য

২০২৫ সালের মধ্যে সারাদেশে ২০০ মেন্টর তৈরি করা হবে

                                              -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা সাপ্লাই চেইন এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের গাইড লাইন প্রদানের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে সারাদেশে ২০০ জন মেন্টর তৈরি করা হবে। তিনি আরো বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইনোভেশন ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পোদ্যোক্তা সমন্বিতভাবে কাজ করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ আরো ত্বরানি¦ত হবে। 

          আজ ঢাকার ইনস্টিটিউট অভ্ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) আয়োজিত ইনোভেটর মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, চুয়েট ও আইইবি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইনোভেটর ও এন্টারপ্রেনিয়রগণের মাধ্যমে হোম-গ্রোন সলিউশনে কাজ করছে সরকার। উদ্যোক্তাদের লোকাল এক্সপেরিয়েন্স কাজে লাগিয়ে গ্লোবাল বিজনেস অপরচুনিটি তৈরি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          পলক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। 

          অনলাইন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন সংযুক্ত ছিলেন।

#

শহিদুল/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৭১৭

প্রকৃতির বসন্তের মতো নিজের জীবনেও বসন্ত আনতে হবে

                                -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রকৃতির বসন্ত আমাদের তারুণ্য উদ্যাপন করায় তারুণ্যকে অভিনন্দন। প্রকৃতির বসন্তের মতোই নিজের জীবনেও বসন্ত আনতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি এক অনন্য জাতি। পৃথিবীতে খুব কম জাতি আছে যারা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছে। রক্ত দিয়ে বাঙালি নিজের রাষ্ট্র তৈরি করেছে, তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিকশিত করছে, অসম্প্রদায়িক চেতনা তুলে ধরছে। তিনি নিজেদের জীবনে বসন্ত তৈরি করে বাঙালির শৌর্য বীর্য এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর আতিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান এম এ কাশেম, সদস্য রেহুমা রহমান, বেনজির আহমেদ, আজিম উদ্দিন, প্রো ভিসি প্রফেসর ইসমাইল হোসেন বক্তৃতা করেন।

          মন্ত্রী বসন্ত উৎসব বাঙালির জাতিসত্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, তরুণদেরকে নিজেদের জীবনে বসন্ত তৈরি করতে হবে। বসন্ত উৎসব এই অঞ্চলে নানা দেশে নানা নামে পালিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইরান থেকে চীন বসন্ত নতুন জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারুণ্যে বসন্তের ছোঁয়া লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার জ্ঞান অর্জনের সাথে তরুণদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে সামনে চলতে হবে। এর মানে তাদের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হবার দরকার হবে না। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

          কম্পিউটারে বাংলা ভাষার জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া সামনের দিনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

          বাঙালি নিজের অস্তিত্ব প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকাশ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে প্রমাণ করতে পেরেছে পৃথিবীর যে কোনো উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ ভ্যাকসিন দিচ্ছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। দেশের শতকরা ৭২ ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে ডিজিটাল চিকিৎসা নিয়েছে। ২০০৮ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে একটি উন্নয়নের রোল মডেল বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

#

শেফায়েত/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৭১৬

পায়রা বন্দর পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পায়রা বন্দর পরিদর্শন করেন।

          পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন-সহ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক এবং পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে পায়রা বন্দর ঘুরে দেখেন ড. মোমেন।

          এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্দর এলাকায় একটি গাছের চারা রোপণ করেন। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সম্ভাবনাকে সারাবিশ্বে তুলে ধরার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ধারণা অর্জনের জন্য পায়রা বন্দর পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

          পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বন্দরের কার্যক্ষমতা ও সার্ভিস সম্পর্কে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন। বিশ্বের উন্নত বন্দরের ন্যায় পায়রাবন্দরকে দ্রুত মালামাল উঠানো-নামানোসহ উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যম বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

          বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করে এ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এসময় জানানো হয়, বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার চ্যানেলে বছরে প্রায় ২০০ জাহাজ চলাচল করছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০টি জাহাজ চলাচল করতে পারবে। একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনসহ বন্দর ভবনের কিছু অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

          পায়রা বন্দরটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া রামনাবাদ চ্যানেলে স্থাপিত হচ্ছে। এটি ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা উদ্বোধন করেন। এ বন্দর স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের চাপ কমানো এবং এ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন।

#

তৌহিদুল/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৭১৫

তামাবিলকে আধুনিক স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হবে

                                   -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

গোয়াইনঘাট (সিলেট), ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তামাবিল স্থলবন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে  তামাবিলকে আধুনিক স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।  তিনি বলেন, বন্দরের  আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে সরকার প্রস্তুত।

          প্রতিমন্ত্রী আজ তামাবিল স্থলবন্দরে বন্দরের স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

          বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, তামাবিল স্থলবন্দর গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি প্রভাস কুমার সিংহ, তামাবিল কাস্টমসের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন, ৪৮ বিজিবি’র তামাবিল কোম্পানি কামান্ডার নায়েক সুবেদার জয়নাল আবেদীন, ৩নং পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু, তামাবিল কয়লা পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী।

          বক্তারা তামাবিল স্থলবন্দরের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসকল বিষয় সমাধান করা হলে তামাবিল বন্দর বাংলাদেশের মধ্যে আধুনিক স্থলবন্দর হিসেবে রূপ লাভ করবে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী তামাবিল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখেন।

#

জাহাঙ্গীর/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৮৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৭১৪

শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও পরিবীক্ষণ কাঠামো মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী সার্বিক মূল্যায়নে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক মূল্যায়নে মন্ত্রণালয় এই স্থান অর্জন করে। সার্বিক মূল্যায়নে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অর্জিত নম্বর ৯৪ দশমিক ৭৫। 

          এ সম্পর্কে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এই অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জবাবদিহি ,স্বচ্ছতা ও দক্ষতা ভিত্তিক প্রশাসন তৈরির যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে শুদ্ধাচার কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের ফলে দুর্নীতি বিরোধী সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতকরণের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা সফলতা লাভ করবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ মন্ত্রণালয়ের এই অর্জন অনন্য গুরুত্ব বহন করে।

          প্রতিমন্ত্রী এই অর্জনে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার এই কর্মস্পৃহা ও প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।

#

তানভীর/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৮৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৭১৩

গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রা স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতায়

প্রেস কাউন্সিল দিবসে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) :

          গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

          বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী         ডা. মোঃ মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য রাখেন। 

          তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। 

          আজকে প্রেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২০১৭ সালে এ দিনটিকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সাথে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতা যেন অপরের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

          প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরীখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তাদেরকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সুচারুভাবে পালন করতে পারে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দু’টিই নিশ্চিত করতে পারে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে কাজ করছে। আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশে-বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী দিনগুলোতে প্রেস কাউন্সিল আরো কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

          তথ্যসচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রেস কাউন্সিলকে দেশ, মানুষ ও গণমাধ্যমের স্বার্থে এগিয়ে নেয়া আমাদের কর্তব্য।’

          এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে’ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একথার দু’ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’

          বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘কালকের ঘটনার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্য আমি কাগজে এবং টেলিভিশনে দেখেছি। ২ কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ’ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বিএনপি’র জন্য পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং বুঝতে হবে, তারা জনগণ থেকে কতটুকু বিচ্ছিন্ন। আর গতকাল তারা খবরে শিরোনাম হতে চেয়ে গণ্ডগোল ঘটানোর জন্যই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুলিশের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তা অবরোধ করেছিল। জনগণের সুবিধার্থে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশ তো চট্টগ্রামসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে, কোথাও তো এ ধরনের গণ্ডগোল হয়নি।’

          অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও প্রেস কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া ও প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউর রহমান।

#

আকরাম/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৯৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৭১২

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

                                        -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) : 

          জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যে সকল ইটভাটা পরিবেশবান্ধব নয় এবং অবৈধ, সেগুলো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

          আজ মেহেরপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার অন্যতম কারণ ইটভাটাগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়া। ইটভাটার মাধ্যমে যেন পরিবেশের দূষণ না ঘটে সেজন্য পরিবেশবান্ধব ইটভাটা ছাড়া অন্য ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া লোকালয়ে কোনো ধরনের ইটভাটা থাকলে সেগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময়, পরিবেশের সুরক্ষায় বেশি পরিমাণে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন।

          ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, জেলখানায় যারা বন্দি রয়েছেন তাদের বিভিন্ন সংশোধনমূলক ও গঠনমূলক কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। যাতে তারা সাজাভোগ শেষে নতুন করে কোনো অপরাধের সাথে জড়িয়ে না পড়েন এবং সমাজে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে পারেন। এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী বন্দিদের কুটির শিল্পসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দেন।

          মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          প্রতিমন্ত্রী এরপর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর খালের পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও মুজিবনগর হেডকোয়ার্টার-আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ রশিকপুর ঘাট সড়কে ভৈরব নদীর ওপর নবনির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন করেন।

#

শিবলী/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৮১৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর :  ৭১১

বঙ্গবন্ধু শ

2021-02-14-22-05-8d1c854c121c5d131c4d5bdd22386e74.docx