Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুলাই ২০১৬

তথ্যবিবরণী ২৭ জুলাই ২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৬৯

তৃণমূলে স্বাস'্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রয়েছে
                                                             -- স্বাস'্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

    জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নিয়মিত পর্যবেড়্গণের  মাধ্যমে  তৃণমূলে  স্বাস'্যসেবা  নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস'্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। 

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কড়্গে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অষ্টম অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সাথে আলোচনাকালে একথা বলেন। 

    মন্ত্রী বলেন, স্বাস'্যসেবার সাথে জড়িত সিভিল সার্জনসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের গুরম্নত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দায়িত্ব রয়েছে। তৃণমূলে স্বাস'্যসেবা পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের একটা ভূমিকা রয়েছে। স্বাস'্যসেবা ড়্গেত্রটি জেলা প্রশাসকরাই সমন্বয় করে থাকেন। জেলা প্রশাসন  আরো সহযোগিতার মধ্য দিয়ে  তৃণমূলে স্বাস'্যসেবা পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসবে।

    স্বাস'্যসেবায় আমাদের অর্জন রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উলেস্নখযোগ্য যে অগ্রগতি হয়েছে তা এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকগণ প্রস'ত রয়েছেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

    স্বাস'্যসেবার ড়্গেত্রে অবকাঠামো, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস'্যমন্ত্রী।

#

পরীড়্গিৎ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৩৬৮

রূপকল্প-২০২১ বাসত্মবায়নের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে
                                          -- তথ্য সচিব 

সিলেট, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

         তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ বলেছেন, জঙ্গিবাদ উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের শত্রম্ন, যাকে কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দেয় বলে মনত্মব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ভাবনার সাথে একমত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কর্মকা-ে সহযোগিতার  আহ্বান জানান তথ্য সচিব। তিনি বলেন, স্বপ্ন বাসত্মবায়নের জন্য পরিকল্পনা থাকতে হয়। 

    আজ সিলেটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকড়্গে সিলেট জেলা তথ্য অফিস ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ, সরকারের উন্নয়ন ভাবনা এবং সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য সচিব একথা বলেন।

     ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরম্নন নাহার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল এবং সিলেট জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি বক্তব্য রাখেন। 

    তথ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ এর স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্ন বাসত্মবায়নের জন্য যুগানত্মকারী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর ফলেই  দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।  মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে প্রত্যনত্ম অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে এসব বিষয়ে সচেতন করে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। 

    মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ডিসি নর্থ ফয়সল মাহমুদ,  পুলিশ সুপার মো. মনিরম্নজ্জামান, মদন মোহন কলেজের অধ্যড়্গ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল হাশেম, জেলা শিড়্গা  অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট এর উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
     
    অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক ‘এসো শানিত্মর পথে’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

#

জুলিয়া/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/২১০০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৩৬৭

খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে শিক্ষাবিদদের সাথে দু’দকের মতবিনিময়
ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদগণের সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১’ বিষয়ে আজ ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, শিক্ষা, স্বশিক্ষা ও সুশিক্ষাই দুর্নীতি প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। দুর্নীতির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দুই ধরনের যথা-অভাবজনিত দুর্নীতি (ঘববফ নধংবফ ঈড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ) এবং লোভজনিত দুর্নীতি (এৎববফ নধংবফ ঈড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ)। বর্তমান বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অভাবজনিত দুর্নীতির কোনো কারণ নেই। বর্তমানে যা চলছে তা লোভজনিত দুর্নীতি। এক্ষেত্রে কেবল শিক্ষাই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তাই কমিশন ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বরেণ্য শিক্ষাবিদগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এগিয়ে আসলেই শিক্ষার্থীরা অতীতের ন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাড়িতে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। কমিশনের খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এ কৌশলপত্র অপরিবর্তনীয় কোনো দলিল নয়। আপনাদের সকলের মতামতের ভিত্তিতে এটি সময় সময় পরিবর্তন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, আলোচনা অনুষ্ঠান মডারেট করেন কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মহব্বত খান, ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ইশরাত শামীম, প্রফেসর সাদেকা হালিম, সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এন আর এম বোরহান উদ্দীন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপচার্য ড. গোলাম রহমান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ এর উপচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনাল এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর নাজমুল আহ্সান কলিমউল্লাহ্ এবং তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. খুরশিদা বেগম।
 জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিআইজেড এর কারিগরি সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদি এ কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কৌশলপত্রে আটটি উল্লেখযোগ্য দিক চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত, মামলা পরিচালনা, প্রতিরোধ কৌশল, শিক্ষা কৌশল, উদ্ভাবনী গবেষণা ও উন্নয়ন, নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সুদৃঢ়করণ ইত্যাদি।
#
প্রণব/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৬৬

বাজার তদারকি  
২৯ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আজ ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ¥ীপুর, নড়াইল, মৌলভীবাজার ও ফেনীতে বাজার তদারকি করে। তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
     ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ক্যাফে হামজাকে ৫ হাজার টাকা, মেয়াদ মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে ঢাকাইয়া ফার্মাকে ১০ হাজার টাকা ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    চট্টগ্রাম মহানগরের বন্দর থানা এলাকায়  ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা, খুলনা সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা, লক্ষ¥ীপুরের রায়পুর উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা, নড়াইল সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা এবং ফেনী সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অভিযোগ শুনানির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে আনন্দ কাওসার এন্ড কুইজিনকে ৫ হাজার টাকা ও খড়রঃবৎ উ৮৫ কে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ১ হাজার ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়।
#
আফরোজা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২১০০ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৬৫

কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
    দশম জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মো. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, মো. মামুনুর রশিদ কিরন, একেএম রেজাউল করিম তানসেন এবং এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
    প্রথম থেকে দশম বৈঠকে গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল সংস্থায় ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সমাপ্ত প্রকল্প সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
    বৈঠকে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত বিজ্ঞানীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করে কমিটি।
    এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি ক্রয়ের যৌক্তিকতা ও অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়।
    কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।      
#
সাব্বির/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৩৬৪
সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী রক্তড়্গয়ী সংঘাত শুরম্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শানিত্মচুক্তি স্বাড়্গরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রক্তড়্গয়ী সংঘাতের অবসান হয় এবং পশ্চাৎপদ এ অঞ্চলে নতুন উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরম্ন হয়। সমৃদ্ধ পাবর্ত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে এ অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকড়্গে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৬ এর দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স'ানীয় সরকার, পলিস্নউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন প্রধান অতিথি এবং প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাসত্মবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার আনত্মরিকভাবে শানিত্মচুক্তির পূর্ণ বাসত্মবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সকল মানুষকে আস'ায় নিয়ে এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘস'ায়ী শানিত্ম প্রতিষ্ঠা ও সকল মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান ভূমি বিরোধ নিরসনের লড়্গ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ প্রণয়ন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও এই আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের অপেড়্গায় থাকায় আইনটির আলোকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরম্ন করা যাচ্ছে না। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ যথাযথ সংশোধনের জন্য বর্তমান সরকার আনত্মরিকভাবে কাজ করছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতায় সবাইকে আস'ায় নিয়ে সংশোধিত ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় ভূমি বিরোধ নিরসন হওয়ার পর সেখানে ভূমি জরিপের যথোপযুক্ত ব্যবস'া গ্রহণ করা ও স'ানীয় জনসাধারণের মধ্যে খাসজমি বন্দোবসেত্মর ব্যবস'া গ্রহণ করা হবে।
বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শানিত্মচুক্তির পর নতুনভাবে প্রণীত আইনের সাথে পূর্ব হতে প্রচলিত আইনের কিছূ বিষয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা পরিলড়্গিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সমন্বয়ে এই সকল আইন, বিধি, বিধানসমূহ সুষমকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছর হতে পানির উৎস সৃজন ও পানীয় জলের সমস্যা নিরসনের জন্য পানির উৎস সৃষ্টি, ঝর্ণার সংযোগস'লে স'ায়ী জলাধার বা বাঁধ নির্মাণ এবং রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে মিশ্র ফলজবাগান সৃজন এবং পার্বত্য এলাকার দুর্গম ও দূরবর্তী অঞ্চলে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য দুটি প্রকল্পের বাসত্মবায়ন কাজ শুরম্ন হয়েছে। এছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামীণ দুস' মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বাঁশবেত ও গাভী পালন শীর্ষক দু’টি প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। 
প্রতিমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকেও মধ্যবর্তী আয়ের পর্যায়ে শামিল করতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশিস্নষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তাগণের আনত্মরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
#
জুলফিকার/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৩৬৩

ভূমির উপরিভাগ থেকে ৭০ শতাংশ পানি সংগ্রহের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে 
                                                         -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স'ানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী ও কর্মদক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই উন্নয়নের অভীষ্ট লড়্গ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৬’ এর ষষ্ঠ অধিবেশনে প্রধান অতিথির দিকনির্দেশনামূলক বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে পুকুর খনন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে শতকরা ৭০ ভাগ পানি ভূ-গর্ভস' উৎস হতে সংগ্রহ করা হয়। যার ফলে পানির সত্মর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির সত্মর স্বাভাবিক রাখতে পুকুর খননের মাধ্যমে ভূ-উপরিস' উৎস থেকে শতকরা ৭০ ভাগ পানি সংগ্রহ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এ প্রকল্প বাসত্মবায়নে প্রতিটি গ্রামে খাসজমি চিহ্নিত করে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান।

অধিবেশনে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের দ্বারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। তিনি সরকারের বিশেষ উদ্যোগসমূহের সফল বাসত্মবায়ন ও সুফল সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে নিবিড় তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, স'ানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশানত্ম কুমার রায়, সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ উপসি'ত ছিলেন।

#

শহিদুল/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/২০২০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৩৬২

সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিদের ধ্বংস করা সম্ভব
                                                            -- তথ্যমন্ত্রী 

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

    তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গিবাদের বিরম্নদ্ধে আমাদের জিততেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণ ও সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গি ও তাদের দোসরদের ধ্বংস করা সম্ভব। 

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ২৪ ঘণ্টা জেগে রয়েছে। আস'া রাখুন, সাহায্য করম্নন, জঙ্গিবাদের ধ্বংস অনিবার্য। 

    পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিস উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স'ান নেই। জঙ্গিরা মানবতার শত্রম্ন, ধর্মের শত্রম্ন, সমাজ ও দেশের শত্রম্ন। 

    মন্ত্রী এ সময় কল্যাণপুরে সফল জঙ্গিদমন অভিযানের জন্য পুলিশ বাহিনীকে অভিনন্দন জানানোর সাথে সাথে জনগণকেও তথ্য দেয়াসহ নানা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। গুলশানের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে বলেন, জনজীবনে শানিত্মরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ প্রাণদান বৃথা যেতে পারে না।   

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক একেএম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে  সভায় অন্যান্যের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার এবং একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস'াপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু বক্তব্য রাখেন ।

    বেতারের বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক কামাল আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় অধ্যাপক, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীসহ আগত দর্শকদের প্রশ্নের সম্মিলিত জবাবও দেন তথ্যমন্ত্রী। 

#

আকরাম/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৪০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                           নম্বর: ২৩৬১

অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

    জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির ৫ম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, এ বি তাজুল ইসলাম, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, শাহানারা বেগম এবং মেজর জেনারেল এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব (অব.) বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

    বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম এবং এম ডি বাংলার কাকলি ও বাংলার কল্লোল জাহাজ বিক্রয়ের টেন্ডারের কার্যক্রম সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এম ডি বাংলার কাকলি ও বাংলার কল্লোল জাহাজ বিক্রয়ের টেন্ডারের কার্যক্রম সম্পর্কিত  সকল কাগজপত্র এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ সংখ্যা, জনবলের পরিমাণ, বার্ষিক লাভ ও ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখসহ একটি প্রতিবেদন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রদানের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

    স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, অপচয়, দুর্নীতি বন্ধ, ই-টেন্ডার ব্যবস্থাকে আরো  সুসংহত করা এবং মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা, জেলা পরিষদের বরাদ্দ এবং যে সকল কাজ করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার সংসদ সদস্যদেরকে অবহিত  করা এবং সম্পদের সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ একটি প্রতিবেদন প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে সুপারিশ করা হয়।

    স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

এমাদুল/আফরাজ/মাহমুদ/গিয়াস/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৫০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৩৬০

‘উন্নয়ন উদ্ভাবনে জনপ্রশাসন’ সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠান 
বেতারে সরাসরি সম্প্রচার আগামীকাল

 

কা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

আগামীকাল সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার কমপেস্নক্সে ‘উন্নয়ন উদ্ভাবনে জনপ্রশাসন-২০১৬’ শীর্ষক আনত্মর্জাতিক সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র বিটিসিএল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জে এবং এফএম ১০৩.২  মেগাহার্জে সরাসরি সম্প্রচার করবে।

#

হক/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৫৯

চলমান প্রকল্পসমূহ শেষ হলে রেলওয়ে খাতের আমূল পরিবর্তন হবে
                                                          -- রেলপথমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক  রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ রেলখাতের সার্বিক বিষয় এবং কয়েকজন জেলা প্রশাসকের দাবির বিষয় নিয়ে রেলওয়ের অবস্থান তুলে ধরেন।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, বর্তমান সরকার রেলওয়ে খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। এক সময়ের অবহেলিত রেলওয়েতে বর্তমানে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। প্রকল্পগুলো কোনটি শেষ পর্যায়ে, কোনটি মাঝপথে আবার কোন প্রকল্প শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে রেলওয়ে খাতের আমূল পরিবর্তন হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রেলমন্ত্রী এ সময় চলমান কিছু বড় প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর দিন থেকেই ট্রেন চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইনের কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যে সকল জেলার ওপর রেললাইন চলে গেছে সে সকল জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে মন্ত্রী রেললাইন রক্ষাসহ চোরাচালান প্রতিরোধ, যেকোন নাশকতায় অতীতের মতোই আরো সহযোগিতা কামনা করেন।
     পরে মন্ত্রী  সাংবাদিকদের  নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রশ্নের  জবাবে বলেন, তার সময়ে প্রায় ৮ হাজার কর্মচারীর রেলওয়েতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে শূন্য পদে আরো নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সভায় কয়েকজন জেলা প্রশাসকের নতুন রেললাইন নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়ে রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মানের দাবির ব্যপারে এখনও কোন পরিকল্পনা নেই বলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন উল্লেখ করেন।
#
শরিফুল/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৫০ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৩৫৮

বিসিকের ফেলে রাখা প্লট বাতিল করতে জেলা প্রশাসকদের শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশ  
ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):
বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে প্লট বরাদ্দ নিয়ে যেসব উদ্যোক্তা দীর্ঘদিন ধরে শিল্প স্থাপন করেননি, তাদের প্লট বাতিল করে নতুন উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে কোনো কোনো উদ্যোক্তা প্লটবরাদ্দ নেয়ার পর শিল্প স্থাপন না করায় প্রকৃত উদ্যোক্তারা প্লটের অভাবে শিল্প স্থাপন করতে পারছেন না। শিল্পায়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত পদক্ষেপের ফলে গত সাত বছরে দেশের কোথাও সারের কোনো ধরণের সংকট হয়নি। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব জেলা প্রশাসকদের বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী সুষ্ঠু সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গুদাম নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভূমিকা রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী কর্মকা-ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় করার যে চক্রান্ত চলছে, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে চলমান উন্নয়ন কর্মকা-কে এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদন বাড়াতে মাড়াই মৌসুমে চাষিরা যাতে চিনিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আখ সরবরাহ করে, সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে চিনিকল জোনে পাওয়ার ক্রাসারের মাধ্যমে অবৈধভাবে গুড় তৈরি বন্ধ করতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। চিনিকলের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পণ্য নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই’র অভিযান জোরদার করা হবে। বিশেষ করে, আয়োডিনবিহীন ভোজ্য লবণ এবং ভিটামিন ‘এ’ ছাড়া ভোজ্যতেল উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় প্রতিরোধ করতে ভোজ্যতেল শোধনাগার ও লবণ মিলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজারে ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে তিনি জেলা প্রশাসকদের তিনি নির্দেশ দেন।
শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় ল্যাবসহ বিএসটিআই অফিস স্থাপন, ফরমালিন পরীক্ষার কিট সরবরাহ, পুরনো বিসিক শিল্পনগরিগুলোর সম্প্রসারণ, শিল্পনগীরর রাস্তাঘাট মেরামত, চিনিকলগুলোতে ইটিপি স্থাপন, মৌসুমী ফলের প্রাচুর্যতা বিবেচনা করে ফ্রুট প্রসেসিং শিল্পনগরী স্থাপন, বরিশাল অঞ্চলে ফ্রোজেন ফিস ইন্ডাস্ট্রি এবং কক্সবাজারে লবণ গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে তিনি জানান।
#
জলিল/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৩৫৭

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স'ায়ী কমিটির  বৈঠক

ঢাকা, ১২ই শ্রাবণ (২৭শে জুলাই):

    দশ

Todays handout (19).doc