Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মার্চ ২০১৭

তথ্যবিবরণী ২৭ মার্চ -২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৮৬৪

লন্ডনে মহান স¦াধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
লন্ডন, ২৭ মার্চ :

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটন টাউন হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    লন্ডন সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের অবদানের কথা।

    হাইকমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি আজ দৃশ্যমান। তিনি দুঃখের সাথে স্মরণ করেন প্রয়াত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েসকে এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানটি তাঁকে উৎসর্গ করেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন সফররত সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি রুশনারা আলী, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং ফেন্ডস অভ্ বাংলাদেশ মাইকেল বার্ন্স।

    এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিকসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন ৫২ পৃষ্ঠার একটি স্মরণিকা প্রকাশ করে।

#
নাদীম কাদির/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০২২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৮৬৩

চিকিৎসকদেরকে কর্মস্থলে রাখতে কঠোর হচ্ছে সরকার
                                            -- স্বাস্থ্য মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):
    প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক করতে কঠোর হচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বদলি নীতিমালায় সংশোধনী এনে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে বেতন বন্ধসহ বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি দুর্গম অঞ্চলে কাজে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনার চিন্তা করা হচ্ছে।
    আজ সচিবালয়ে দেশের সাত বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ সব কথা বলেন।
    উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নজরদারিতে বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের তৎপর হতে নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালের ওপর দেশের গরিব মানুষের আস্থা ও ভরসা এখনো বিদ্যমান। জনগণের এই আস্থা ধরে রাখতে মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বকে শক্তিশালী হতে হবে। চিকিৎসকরা যেন হাসপাতাল থেকে মানুষকে সেবা দেন তা কঠোরভাবে মনিটরিং করার দায়িত্ব পালনে আরো সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আকস্মিকভাবে উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে দেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক সংকটের ব্যাপারে সমাধান সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু প্রায় তিন বছর পর বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য উপজেলা থেকে তাঁদের অধিকাংশই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে যাচ্ছেন। ফলে মাঠ পর্যায়ে আবারো চিকিৎসক সংকটের মতো পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী জানান, শীঘ্রই তিনশত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পদায়ন করা হবে। এসময় তিনি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যন্ত্রপাতির যথাযথ সংরক্ষণেও সতর্ক থাকার জন্য সকলকে তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। 
    সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/২০১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৮৬২

সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জিত হলেই স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে
                          ---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হলেই আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন এবং আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠনের মাধ্যমে এ আকাক্সক্ষা পূরণ সম্ভব। এজন্য আমরা নতুন প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এ প্রজন্মই হবে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের কারিগর। তাদেরকে আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এমনভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে তারা বিশ্বে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে।  
    তিনি আজ ঢাকায় সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অর্থনৈতিক বৈষম্য আর শোষণ এ অঞ্চলের মানুষকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চেতনায় উজ্জীবিত করে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের এ চেতনা সর্বত্র ছড়িয়ে দেন। তিনি তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণেই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। দেশের জনগণের অপরিসীম ত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।  
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অভ্ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এমেরিটাস প্রফেসর রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী বক্তৃতা করেন।
    এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
আফরাজ/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯৫৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৮৬১

বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে করণীয়

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):
    বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, নদীভাঙন, টর্নেডো, অগ্নিকা-, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সম্প্রতিককালে নতুন করে যোগ হয়েছে ‘বজ্রপাত’। ২০১৬ সালে দেশে মাত্র ৪ দিনের বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ বিবেচনায় ইতোমধ্যেই বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
    দেশের জনগণকে বজ্রপাতের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে বহুল প্রচার প্রয়োজন। এ বিবেচনায় দেশের সকল ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে তুললে দেশের জনগণের বজ্রপাতে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাসসহ সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে।
    এমতাবস্থায় বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে নি¤œবর্ণিত করণীয়সমূহ জনস্বার্থে বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে :

ক্স    বজ্রঝড় সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন।
ক্স    গভীর ও উলম্ব মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাইরে বের না হওয়াই উত্তম; অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে যান।
ক্স    উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার, ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন।
ক্স    এ সময় নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা বা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
ক্স    ধানক্ষেতে বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়–ন।
ক্স    বজ্রপাতের আশঙ্কা হলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
ক্স    বজ্রপাতের সম্ভাবনা দেখা দিলে টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ রাখবেন না। সম্ভব না হলে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
ক্স    বজ্রপাত চলাকালে বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
ক্স    বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় টিউব ওয়েল, রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
ক্স    প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্রপাত নিরোধক দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
ক্স    খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে একত্রে না থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করুন।
ক্স    কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত বজ্রপাত নিরোধক ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে অবস্থান করুন।
ক্স    বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখুন এবং বজ্রপাতের আভাস পেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন।
ক্স    বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আক্রান্তদের মতো দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে, প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকুন বা হাসপাতালে নিয়ে যান।
ক্স    বজ্রপাতে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যান, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

#

মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৮৬০

বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):
    বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন, এর অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিলেবাস প্রণয়ন সংক্রান্ত এক সভা আজ বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র প্রতিনিধি এবং স্টেক হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
    শুরুতে এয়ার কমোডর ইয়াজদানী ইউনিভার্সিটি স্থাপন সংক্রান্ত একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। 
    সভায় জানানো হয়, এভিয়েশন ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানব সম্পদ উন্নয়নসহ জ্ঞানভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ও ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ায় একটি নেতৃস্থানীয় ইউনিভার্সিটি হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটিকে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। রাজধানীর আশকোনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সিভিল এভিয়েশন ১২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
    শুরুতে তিনটি ফ্যাকাল্টিতে মোট ১০টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে। ডিপার্টমেন্টগুলোর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এভিয়েশন ইউনিভার্সিটি এর এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শুরুতেই লন্ডনের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং জ্যাকসন ভিল ইউনিভার্সিটি ইউএসএ এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন্ হোসেন ওন্ এর সাথে এডুকেশন এক্সচেঞ্জ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার এর ব্যবস্থা থাকবে।
    রাশেদ খান মেনন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। 
    বিমান বাহিনী প্রধান জানান, বিমান বাহিনীতে পিএইচডি, এমফিল এবং এমএস করা প্রচুর সংখ্যক বিদেশে প্রশিক্ষিত যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছে এবং অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাই এভিয়েশন ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে। তাঁদের সহযোগিতায় আগামী ৩ বছরে এ ইউনিভার্সিটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

#

তুহিন/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৮৫৯ 

সুনামগঞ্জ-২ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকায় বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):
    দশম জাতীয় সংসদের ২২৫ সুনামগঞ্জ-২ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ, ২০১৭ বৃহস্পতিবার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যদি বর্ণিত তারিখে কোন পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

#

মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৮৫৮ 

পর্যটক আকর্ষণে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাইকেল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):    
    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে তিন দিনব্যাপী বাইক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটির সাজেক থেকে শুরু হয়ে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি  সদর হয়ে বান্দরবানের চিম্বুক এ প্রতিযোগীতা শেষ হয়। মোট ৪২ জন প্রতিযোগি ২৩০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে এ সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব যৌথভাবে প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
    গতকাল ২৬ মার্চ বান্দরবান স্টেডিয়ামে বাইক প্রতিযোতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বীর বাহাদুর উ শৈ সিং পুরস্কার বিতরণ কালে বলেন,  পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্প বিকাশে বর্তমান সরকার নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে । এর ফলে উন্নয়নের মহাসড়কে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে । সাথে সাথে এ শিল্পের মাধ্যমে তারা আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে স্বাবলম্বী হতে পারছে । 
    মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস  চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ  সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইসলাম বেবী এবং বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর খন্দকার।
    উল্লেখ্য, বাইক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী মো. আলাউদ্দিন ৮০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী আবু আব্দুল্লাহ ৬০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী মেহেদী হাসান ৪০ হাজার টাকার পুরস্কার গ্রহণ করেন।

#
জুলফিকার/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৮৫৬  

শিশুদের জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):    
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৭ জাতীয় পর্যায়ে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন । 
    শিশুদের আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বিদ্যালয়, ইউনিয়ন, পৌরসভা, মহানগর, উপজেলা, থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অতিক্রম করে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ৭ বিভাগের ১৪টি ইভেন্টে মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, মোরগ লড়াই, ক্রিকেট বল নিক্ষেপ, গুপ্তধন উদ্ধার, ভারসাম্য দৌড় ও অংক দৌড়। 
প্রতিযোগিতা শেষে তিনি বিজয়ীদের মাঝে পদক বিতরণ করেন। 

#
রবীন্দ্রনাথ/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৮৫৭

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শনে এলজিআরডি সংসদীয় কমিটি 

সিডনি (অষ্ট্রেলিয়া), ২৭ মার্চ :

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর নেতৃত্বে সফরত প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পল্লি উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। 
মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ, স্থানীয় সরকারের ৫টি স্তরে  সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা হ্রাসে চলমান একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, দুগ্ধ খাতের উন্নয়ন, পল্লি জনপদসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও উপকারভোগীদের বিষয় তুলে ধরেন। এসব প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা কার্যক্রম কিভাবে আমাদের দেশে কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও আলোচনা করেন।  
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রতিনিধি ও গবেষকগণ দেশটির পল্লি উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, পুষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্দিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মকৌশল বিষয়ে আলোকপাত করেন। গবেষণাকর্ম দ্বারা কিভাবে বাংলাদেশকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিকভাবে উপকৃত করা যায় সেসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। 
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছে।  
প্রতিনিধিদলটি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন শেষে ২৭ মার্চ ঢাকায় ফিরবেন।  
#
আহসান/অনসূয়া/শহিদ/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪৪৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৮৫৪ 

বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন মুম্বাই-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন

মুম্বাই, ভারত, ২৭ মার্চ :

ভারতের মুম্বাই-এ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭  যথাযোগ্য মযার্দায় উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ২৬ মার্চ প্রত্যূষে উপ হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত বাজানো, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।  
দিবসটি উপলক্ষে উপ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা ও ত্রিশ লক্ষাধিক শহিদদের আত্মত্যাগ এবং দুই লক্ষাধিক মা ও বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা বিন¤্র শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের ওপর উপ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে আলোকপাত করেন। আলোচনা শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। 
সন্ধ্যায় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী হোটেল ‘তাজমহল প্যালেস’-এ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। 
মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন ‘সার্ক’-এর শুভেচ্ছাদূত এবং বাংলাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের মূখ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী সমাজকর্মী ও সংগীতশিল্পী আমরুতা ফাদ্নাভিস। গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের চিফ সেক্রেটারি সুমিত মল্লিকসহ অন্যান্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের প্রধান এবং প্রতিনিধিগণ, মুম্বাই-এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় চেম্বার অভ্ কমার্স ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিল্প ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুপরিচিত ব্যক্তিবর্গ। 
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মহান এ দিবসে বাংলাদেশ সরকার ও তার সকল জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।   
#
 
সামিনা/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৩৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৮৫৩ 

বাংলাদেশ এখন টেকসই ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে
                                                                                         -শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):    
শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নের প্রতি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, কৃষিখাতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফল হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এখন টেকসই ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। 
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে এশিয়ার দেশগুলোর এসএমইখাতে উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় কাঁচামালের সাশ্রয়ী ব্যবহার’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। 
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিও’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এসএম আশরাফুজ্জামান, এপিও’র প্রোগ্রাম অফিসার ঞধ-ঞব ণধহম বক্তব্য রাখেন। 
সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণশক্তি। এ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে সরকার কারিগরি ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিধর্মী বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ফলে দেশেই বিরাট ভোক্তা শ্রেণি তৈরি হয়েছে এবং তারা দেশে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচামালের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের পাশাপাশি অধিক পরিমাণে মানসম্মত পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক এ কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
উল্লেখ্য, চারদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ফিজি, কোরিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং জার্মানিসহ ১৫টি দেশের মোট ২৩ জন প্রশিক্ষণার্থী ও ৩ জন আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর এসএমই শিল্পখাতে কাঁচামালের সাশ্রয়ী ব্যবহারের কৌশল ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।   
#
জলিল/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৮৫১ 

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন

নিউইয়র্ক, ২৭ মার্চ :

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭ উদ্যাপন করেছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকালে স্থায়ী মিশনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ও কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনক্ যৌথভাবে স্থানীয় এলম্হার্স্ট হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মিশন ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়াও স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিরা এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন।
দুপুরে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শুরু করা হয় মূল আলোচনা অনুষ্ঠান। এসময় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সম্মিলিতভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। মূল আলোচনার আগে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্বাগত ভাষণে স্থায়ী প্রতিনিধি স্বাধীনতার জন্য বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বিজয় অর্জন করেছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি”।  
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে উল্লেখ করে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনারা রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছেন। প্রত্যেক প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশের মাটিতে দেশের শুভেচ্ছা দূত। আপনারা আপনাদের কাজ ও ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবেন। 
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি কর্মী, নাট্যকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা-কর্মীসহ জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় রক্তদান

Todays handout (6).docx