তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪২
‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালার সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী এবং বাস্তবায়ন
সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। আজ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত কমিটির ১০ম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সভার শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটির সদস্য ও বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ শামসুজ্জামান খান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং ইতোপূর্বে জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যে সকল সদস্য প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কমিটির পক্ষ হতে অনুষ্ঠানমালার সাফল্যের জন্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা আন্তর্জাতিক মাত্রায় উন্নীত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তিনি ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণকে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের ব্যয় বিবরণী উপস্থাপনসহ ব্যয় নির্বাহের বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সফল ও আন্তর্জাাতিক মাত্রায় উন্নীত এই আয়োজন সম্পন্ন করা এবং স্বচ্ছ্বতার সাথে ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপস্থাপিত ব্যয় বিবরণীর অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জানান, আগামী ৭ই জুন ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানটি সকল টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। এছাড়া উক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে ই-পোস্টার প্রকাশ করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, , পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসজিপি, পিএসসি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যজন সৈয়দ হাসান ইমাম, লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, বাংলাদেশ পুলিশের এ আই জি (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আইয়ুব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এ্যাটকো) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি তারিক সুজাত এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
#
মোহসিন/সাহেলা/জয়নুল/২০২১/২২৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪১
ঢাকা বিভাগের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম এর প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
মাদারীপুর জেলায় ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলায় ১ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং শিশু খাদ্য ১ লাখ টাকা, গো খাদ্য ১ লাখ টাকা, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ২৭৯ টি পরিবার ও ১ হাজার ১১৬ জন লোককে আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলায় ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫০ টাকা নগদ, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫০ টাকা, ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা শিশু খাদ্য, ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৭ টাকা গোখাদ্য হিসেবে, গোপালগঞ্জ জেলায় ২ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার ৭ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, শিশু খাদ্য হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গোখাদ্য, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ টি পরিবার ও ৪ হাজার ৫২০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
টাংগাইল জেলায় ৩ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ ২২৫ টাকা, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ৩০ হাজার টাকার গোখাদ্য, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৪৭৫ টি পরিবার ও ২ হাজার ১৩৮ জনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলায় ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯ শত ৪০ টাকা গোখাদ্য এবং ৪ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ২৪৪ টি পরিবার ও ১ হাজার ২২০ জন লোককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা, শিশু খাদ্য ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ টাকা, গোখাদ্য ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৭ টাকা, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৭৩২ টি পরিবার ও ৩০০ জনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫০ টাকা, শিশু খাদ্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৩৬০ টি পরিবার ও ১ হাজার ৮০০ জন লোককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
#
আনোয়ার/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪০
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলমান
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭ হাজার ৬২৫টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৬০৫টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ৪৪ হাজার ১৫২ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৭ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১ হাজার ৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ হাজার ৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১ হাজার ৬০০ পরিবার ও ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪০জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৫০২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা ৮০০ টি প্রান্তিক পরিবার ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা ৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লাখ ১১ হাজার ৩৮০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩ হাজার ২৬৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০৬টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৭ হাজার ৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯ হাজার ৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১ হাজার ৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৪ হাজার ৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার ৫৯ টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ লাখ টাকা ৪০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে। লক্ষ্মীপুর জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১ হাজার ২০০ প্যাকেট ১ হাজার ২০০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ২০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬৫৩টি পরিবার। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১৮০০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ২৩ হাজার ৮০১ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা ১ লাখ ৮ হাজার ৮১২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১ লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৬ হাজার ৭১৮টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫০৮ টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১ হাজার প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৯৫৮টি পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ১ লাখ ২০৯টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮ হাজার ৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৩৫টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩১১টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
ফয়সল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৯
নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে হবে
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, খেলাধুলার চর্চা বাড়ালে নতুন প্রজন্ম আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার আর এম এম পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২১ এর চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা জীবনের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, খেলাধুলাকে জীবন থেকে আলাদা করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য খেলাধুলা চর্চার সুযোগ করে দিয়েছেন।
মন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সন্তানদেরকে মাদক, নেশা ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখবেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রজন্মকে বিপথগামী করার চেষ্টায় সর্বদা রত আছে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
পরে মন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
জাকির/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৮
খুলনা বিভাগে অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, কর্মহীন এবং দুস্থ মানুষের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে ।
সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত করোনাকালীন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ৭৩ হাজার ১শত ৪৪টি পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩ শত ৪০টি পরিবারের মাঝে ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৭ শত ৩৮টি পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যের জন্য নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ১ শত ৯টি পরিবারের মাঝে গোখাদ্য হিসেবে ৪ শত ৭৯টি পরিবারের মাঝে নগদ ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৯ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ১ শত ১১ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
যশোর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৬২ হাজার ৯শত ৯০ পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৭ শত ৯৮টি পরিবারের মাঝে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬ শত পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যের জন্য নগদ ৮ লাখ টাকা এবং ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫ শত টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৪০ হাজার ৬ শত ৫০ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮ শত ৯৯টি পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ২ শত ৩৯ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ২৩ হাজার ৬ শত ৬৮ টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৫৩ হাজার ৮ শত ২৫টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৫ শত ২০টি পরিবারের ২ হাজার ৬ শত জন এবং ভাসমান ১ হাজার ৮৪ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
নড়াইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ২৪ হাজার ৯ শত ৫৪ টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৭৬ হাজার ৭৮টি পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৭৭টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, ২ শত পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যের জন্য নগদ ১ লাখ টাকা এবং ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১৩ হাজার ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ১৫টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে ৩ শত ২০টি পরিবারের মাঝে ৫ শত টাকার মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
দীপংকর/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৭
বাংলাদেশ আজ দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশকে আরো সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে জনপ্রশাসনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। দেশ আজ বিশ্বের বুকে এক সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অর্জন ধরে রেখে দেশকে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, দেশ ও জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদান করতে হলে সততার সাথে কাজ করতে হবে। জনগণকে দক্ষতার সাথে সঠিক সময়ে সেবা প্রদানের জন্য নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আল