তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৯৭
ঈদে মিলাদু্ন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
আজ বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন এবং বিশ্বজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। আমরা যদি মানবতার মুক্তি, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই তাহলে রাসুলের (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই।
ড. খালিদ বলেন, আল্লাহর রাসূলের প্রত্যেকটি কাজ অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা যদি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বক্ষেত্রে মেনে চলি তাহলে আমাদের পার্থিব ও পরকালীন জীবন সফলতায় ভরে উঠবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নবী তাঁর যাপিত জীবনে মানুষের অধিকার দিয়েছেন। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের অধিকার ঘোষণা করেন। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, মহানবী (সাঃ) ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার আলাদা কোনো মর্যাদা নেই। যে মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতি আছে সেই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে দামি।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নিয়েও মহানবী (সা.) আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনটি জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে নবী করিম (সা.) নিষেধ করেছেন। প্রবহমন নদীর কিনারে, রাস্তায় ও গাছের ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করলে পরিবেশ দূষিত হয়। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করে গেছেন।
উপদেষ্টা আগামী দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী আরো উন্নতভাবে প্রকাশ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, পটুয়াখালী ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোঃ নেসারুল হক, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন এবং বিশ্বজয়ী হাফেজদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
#
আবুবকর/আকরাম/খায়ের/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২২৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৯৬
মুক্তিযুদ্ধ না করে সনদ নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কত জনের চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না-বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ফারুক ই আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কারা বা কারা নয় সেটা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) নির্ধারণ করে দিত। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
মুক্তিযোদ্ধা তালিকা রিভিউ হবে কিনা- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'অবশ্যই রিভিউ হবে, যাতে ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পায়। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটাকে তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে তো নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের, বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা সেটাই ফিরে পেতে চায়। এটাই তাদের আকুতি।'
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কেন নেব না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধাদি গ্রহণ করে থাকে, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টা নিয়ে অপমানিত বোধ করছে।'
#
এনায়েত/আকরাম/খায়ের/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৯৫
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তিখাতে সুইস সহযোগিতার প্রত্যাশা বিদ্যুৎ উপদেষ্টার
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উন্নত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। বিভিন্ন সুইস কোম্পানি ও সুইস ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের জন্যও স্বাগত জানান তিনি।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Reto Renggli-এর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তার এসব প্রস্তাব গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্র বন্দর, অর্থনৈতিক জোন, রেললাইন ও সড়ক প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এর থেকে প্রকৃত সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা ‘ভ্যালু ফর মানি’ হয়নি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, তিনি এখন থেকে বড় প্রকল্পের সাথে ছোটো ছোটো প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুত তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব প্রদান করবেন। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হবে। এ সময় তিনি
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Reto Renggli গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের স্বল্প সময়ে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
#
শফি/আকরাম/খায়ের/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৪
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তার আগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
দেশে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।
উপদেষ্টা আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান।
সাক্ষাৎকালে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের ১১ জেলায় বন্যার পরিস্থিতি ও বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমের পর্যায় অতিক্রম করে পুনর্বাসন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের যে বিষয়টি, সেটির কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। বন্যার কারণে বিশেষ করে কৃষি খামারিদের সব চলে গেছে, এদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বৈঠক শেষে ফারুক ই আজম জানান, অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে এবং সহযোগিতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক, কর্পোরেশন এবং সংখ্যালঘু-সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
এনায়েত/আকরাম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২১১৪ ঘণ্টা
Handout Number: 893
Environment Advisor calls for eco-friendly jute packaging
Dhaka, 15 September:
Environment, Forest and Climate Change Advisor Syeda Rizwana Hasan stated that steps will be taken to promote the extensive use of jute packaging through the proper implementation of the Mandatory Use of Jute Packaging Act, 2010. The Ministry of Environment will provide policy support to increase the use of jute products.
The Advisor made these remarks during a discussion titled "Solving Problems to Protect Environment Friendly Jute Sector and Jute Industry’ orgnaized by Bangladesh Jute Mills Association at their conference room in Motijheel on Sunday, 15 September.
Syeda Rizwana Hasan highlighted the importance of the jute sector in protecting the environment. She called for urgent measures to address the challenges faced by the jute industry and emphasized the need for joint efforts between the government and private sectors to sustain the industry.
Brigadier General (Retd.) Dr. M Sakhawat Hossain, Advisor to the Ministry of Textiles and Jute mentioned that initiatives would first be taken to ensure the use of jute packaging for rice, paddy, and wheat. He stressed the need for everyone's cooperation in promoting jute-based products.
The session was chaired by Mohammad Abul Hossain, Chairman of the Bangladesh Jute Mills Association. Representatives from various jute mills and industry experts discussed the current state of the jute industry and possible solutions to its challenges.
#
Dipankar/Akram/Sanjib/Shamim/2024/1800hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৯২
কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মাইক্রোক্রেডিট ও শিল্পখাতে
বিশ্বব্যাংকের সহায়তা কামনা শিক্ষা উপদেষ্টার
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শিল্পসহ জনমুখী খাতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আজ সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর Abdulaye Seck এর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান। এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কার ও পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা এনার্জি সেক্টর, ডেটা সেক্টর, আইটি সিস্টেম, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে বাজেট সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনায় পূর্বে যেসব প্রকল্পের কার্যক্রম গতিহীন এবং বাস্তবায়ন করা হয়নি সেসকল প্রকল্পে বরাদ্দকৃত বাজেট নতুন জনবান্ধব প্রকল্পে স্থানান্তরের বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল একমত পোষণ করেন।
#
সিরাজ/আকরাম/খায়ের/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৮১৬ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯১
মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসকদেরকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রিলিজে বলা হয়, আজ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এ সংক্রান্ত পত্রে বলা হয়েছে- পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা চালাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। মাজার ওলি-আউলিয়া ও দরবেশদের সমাধিস্থল বিবেচনায় এর অনুসারীরা দীর্ঘ ঐতিহ্যের সাথে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করে আসছেন।
পত্রে মাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ভক্তদের চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং কোনো জেলায় কোনো মাজারে হামলার আশঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে মাজারে পরিকল্পিত হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ জারি করেছে বলে প্রেস রিলিজে জানানো হয়।
#
আবুবকর/আকরাম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯০
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও
ত্রাণ উপদেষ্টার ৭১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার আনুদানের চেক গ্ৰহণ
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক আজ প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংস্থা প্রদত্ত প্রায় ৭১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার অনুদানের চেক গ্ৰহণ করেন।
এ সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ, ঢাকা ১৪ লাখ ৭১ হাজার ২৯৫ টাকা , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৩ টাকা, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড, দিলকুশা, ঢাকা ১১ লাখ টাকা।
উপদেষ্টা বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।
#
এনায়েত/আকরাম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৯৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৮৯
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা:
‘১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘করবো ওজোনস্তর সংরক্ষণ, রুখবো জলবায়ু পরিবর্তন’ - পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
#
দীপংকর/আকরাম/খায়ের/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৪৭ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৪
বিশ্ব ওজোন দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশে বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিশ্ব ওজোন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Montreal Protocol: Advancing Climate Action’ বা ‘করবো ওজোনস্তর সংরক্ষণ, রুখবো জলবায়ু পরিবর্তন’ যা সময়োপযোগী ও প্রশংসার দাবি রাখে।
বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দিয়ে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর, এরোসল ও ফোম তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কিছু দ্রব্যের কারণে এ অতি গুরুত্বপূর্ণ ওজোনস্তরে ক্ষয়সাধন ঘটেছে। ওজোনস্তর ক্ষয়কারী এ সকল দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ১৯৮৭ সাল হতে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওজোনস্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে। এছাড়া, মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীর মাধ্যমে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত বৈশ্বিক উষ্ণায়নে নেতিবাচক ভূমিকা পালনকারী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফসি-র ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বিষয়ে অগ্রগামী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশও কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
আমি আশা করি, এবারের বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৪’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।”
#
মজুমদার/ফাতেমা/সুবর্ণা/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৪/১৪২৮ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৮৩
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
আমি ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন-আমিন।”
#
মজুমদার/ফাতেমা/সুবর্ণা/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৪/১৪১৫ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৮২
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহ’কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তিনি এসেছিলেন ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকার দূর করে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত। সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে তিনি ছিলেন প্রস্তরকঠিন কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় ছিলেন পানির মতো সরল। তাঁর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। এ জন্য পবিত্র কুরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য আলোর দিশারি হয়ে থাকবে।
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৪/১৪০০ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ