তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৩
শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে
-- নৌ-প্রতিমন্ত্রী
হাকিমপুর (দিনাজপুর), ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মানবতার ইতিহাসে এত বড় জঘন্য অপরাধ আর কখনো সংঘটিত হয়নি। পৃথিবীর দেশে দেশে অনেক সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হত্যার স্বীকার হয়েছে। কিন্তু এভাবে একজন সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরে জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে; তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। বাংলাদেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিলীন করে দেয়ার সকল ষড়যন্ত্র করেছিল-সেখানে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আজকে এটাই হচ্ছে বিজয়। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তাদের এত কষ্ট। বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খায়; দেশের উন্নয়ন হচ্ছে; বাংলার মানুষ ভাল আছে; তাবত দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশের প্রশংসা করে, কারণ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল বলে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলামের উদ্বৃতি থেকে জানান, এ সরকার গণবিচ্ছিন্ন নয়; গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, বিএনপি অনেক আন্দোলনের কথা বলেছে, ১৩ বছরে অনেক সংগ্রামের কথা বলেছে, ১৩ বছরে সরকার পতনের কথা বলেছে। কিন্তু কোনো আন্দোলন হয়নি, কোনো সরকার পতন হয়নি। মাঝখান থেকে পতন হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি রক্ষা করতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যপূরণে নেতা-কর্মীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যরে মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
#
জাহাঙ্গীর/রফিক/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭২
ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুসলমান ও হিন্দুসহ সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশ নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেনো দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব-২০২২ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীর মানুষ একসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধসহ সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছে। সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন করেছেন। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে সকল ধর্মের মানুষের জন্য। তাই সকল মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর অডিটোরিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি থাকতে হবে। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুখে হাসি ফুটাতে সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন। অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করেননি। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এটাই ছিলো তাঁর অপরাধ। একারণেই ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু এবং শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার।
#
হায়দার/রফিক/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭১
ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এপিআই শিল্প পার্ক ভূমিকা রাখবে
...শিল্প সচিব
গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ), ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে। এর ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও প্যাটেন্ট আইনের কারণে অন্যান্য খাতের মতো ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেও কিছু সুবিধা রহিত হবে। এসকল বিষয় বিবেচনা করে সরকার এপিআই শিল্পপার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি ভূমিকা রাখবে।
আজ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর বাস্তবায়নাধীন এপিআই শিল্পপার্ক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন। এসময় বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুব হেসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম, এপিআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুকতাদির, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানি কমানোর চেষ্টা করছি। তাছাড়া এপিআই চালু হলে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
শিল্প সচিব পার্কের প্লটগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সময় বেধে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি খুব দ্রুত সিইটিপি নির্মাণ কাজ শেষ করারও তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নেতৃবৃন্দ শিল্প প্লটগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা, প্লটে মাটি ভরাট, সারচার্জ কমানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
#
মাহমুদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭০
ইসলামের জন্য শেখ হাসিনার সরকার যে কাজ করেছে, অন্য কেউ তা করেনি
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দেশে ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার যে কাজ করেছে, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। শুধু মুখে ইসলামের কথা বলে ফায়দা লুটা বিএনপি-জামাতসহ ইসলামের লেবাস ধরে যারা ইসলাম ও দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও তাঁদের পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে দেশীয় অপশক্তি স্বাধীনতা চায়নি এবং যে আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ইসলামের কথা বলে দেশের লাখ লাখ নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের মধ্যে ২৯ লাখ বা তার বেশি মানুষ মুসলমান। ইসলাম রক্ষার কথা বলে তারা এদেশের যে নারীদের পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদেরকে ‘গণিমতের মাল’ বলে ফতোয়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ায় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। অথচ এদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে।’
বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা বাগদাদ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে এসেছিলেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, ইসলামি দেশগুলোর সংস্থা ওআইসি’র সদস্য হয়েছিলেন এবং দাবি তুলেছিলেন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি দিতে হবে। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইসলামের জন্য অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি অন্য কেউ দেয়নি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, জেলা-উপজেলায় মসজিদ-মক্তব নির্মাণ করে ইমাম, প্রশিক্ষকদের বেতন-ভাতা অন্য কেউ দেয়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তাঁর সরকার দিয়েছে।’
দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন, জানান তথ্যমন্ত্রী। সেকারণে বিএনপি-জামাত যারা শুধু নির্বাচন এলে মধুর মধুর কথা বলে কিন্তু ইসলামের জন্য কোনো কাজ করে না, তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ওলামাগণ সভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৯
২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ শোকাবহ ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহিদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আমি সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।
লাখো শহিদের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের মহান স্বাধীনতা। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধ আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে আজও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি ।
গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকল রাজনৈতিক দল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা এবং সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে।
আমি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৮
পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করলেন রেলপথ মন্ত্রী
শরীয়তপুর, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
পদ্মা সেতুতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করলেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী আজ পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন । এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও এতদিন মূল সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজের অনুমতি ছিল না । সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের সে অনুমোদন দেওয়াতে আজ সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করা হলো। আশা করা যাচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যেই মূল সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার। কাজের সুবিধার জন্য এটিকে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে । ঢাকা থেকে মাওয়া , মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। তিনি জানান, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল সংযোগ চালু করা সম্ভব হবে। ভাঙ্গা থেকে পুরনো লাইনের মাধ্যমে মানুষ কুষ্টিয়া হয়ে খুলনা পর্যন্ত যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। যদিও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ধরা আছে। মন্ত্রী এরপর বিভিন্ন অংশের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি ৬৪ শতাংশ। মাওয়া -ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮২ শতাংশ এবং ভাঙ্গা - যশোর সেকশনের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি ৬২ শতাংশ।
এ সেতু দিয়ে কতগুলো ট্রেন চলাচল করবে এমন প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ টি কোচ আসবে। আর এসব কোচ দ্বারা পাঁচটি ট্রেন চালানো সম্ভব হবে ।
পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন, কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন সার্ভিস সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৭
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই অধিকাংশ দেওয়ানি মামলার সৃষ্টি
- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই দেশের আদালতগুলোতে বড় আকারের মামলাজট তৈরি হয়েছে। কারণ দেশের অধিকাংশ দেওয়ানি মামলার সৃষ্টি হয় সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবে। আবার ফৌজদারি মামলারও অন্যতম কারণ ভূমি বিরোধ।
আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৫ ও ৪৬তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিচারকগণের জন্য আয়োজিত ‘ভূমি জরিপ সংক্রান্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথাপিছু জমির পরিমাণ এবং আবাদযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আবাসনসহ উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়া ইতোমধ্যেই কিছু কিছু জেলায় ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভূমি অফিসের ই-মিউটেশনের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন এবং মিউটেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন হবে বলে তিনি মনে করেন।
আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানেই সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন এবং সমাজে সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতের যে অংগীকার করেছিলেন বিচার বিভাগের উন্নয়নের মাধ্যমে তারই বাস্তবায়ন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। দ্রুততম সময়ে, কম খরচে ও কম ভোগান্তিতে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমকে সফল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, নান্দনিক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ, বিচারক ও আইনজীবীদের একাডেমিক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার লক্ষ্যে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ, আইটি বেইসড ডিজিটাল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারিক পদসৃজন এবং অসহায় মানুষের জন্য কার্যকর আইন সহায়তা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে সহজে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যমান আইনগুলো পর্যালোচনা করে কিছু আইন ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে এবং দেওয়ানি কার্যবিধিসহ আরো কিছু আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ফলপ্রসূ ও জনবান্ধব বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩১৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ জন।
#
কবীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২২/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৫
নারীকে বাদ দিয়ে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়
-প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরা কখন বিয়ে করবে, কাকে বিয়ে করবে, কখন গর্ভধারণ করবে এগুলো সম্পূর্ণ ওই নারী সিদ্ধান্ত নিবে এবং এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার তার অধিকার আছে। নারীর অধিকার মানবাধিকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্পের আওতায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ, এনজিও ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দকে অবহিতকরণ এবং ১০ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক অঞ্চলে নারীরা তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। যে দেশে অর্ধেক নারী সে দেশে নারীকে বাদ দিয়ে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক সমস্যা। জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মস্থলে নারীর কর্মসংস্থান ফিফটি-ফিফটি উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরো ঘোষণা দেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ের হার শূন্যতে নিয়ে আসবেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাতির পিতা সর্বপ্রথম নারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্প মা, নবজাতক ও শিশু-কিশোর স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজের একটি সমন্বিত প্রয়াস। এলক্ষ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে উজ্জীবন প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন পেশা ও বয়সের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডির ডেপুটি পরিচালক মিরান্ডা বেকম্যান; মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস; সেলিমা আহমাদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির উজ্জীবন প্রকল্পের প্রধান ড. ফয়সাল মাহমুদ।
#
আলমগীর/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬৪
২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা; আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।
মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন; আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাঁদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। অনেকে দেহে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। ২১ আগস্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। আমি ২১ আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বিএনপি-জামাত জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদত দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ নারকীয় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে হাওয়া ভবন ও বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়। আদালত গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বা