Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২১ মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৭১

দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          আজ দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে, প্রস্তুত সরকার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে হেয় করতে, উক্ত সংবাদের একটি অংশে, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে, ‘তিনি মন্ত্রী হওয়ার আগে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন’ মর্মে যা উল্লেখ করা হয়েছে-যা সর্বৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নামে এধরনের মিথ্যাচারের মাধ্যমে তাঁর মানহানির পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

#

মোহসিন/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৭০

শেখ হাসিনার উন্নয়ন সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে

                                                   --- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

পরশুরাম (ফেনী), ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

           নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু, শেখ হাসিনা আছেন বলেই বঙ্গবন্ধু টানেল, শেখ হাসিনা আছেন বলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয় লেনের রাস্তা, শেখ হাসিনা  আছেন বলেই ফেনী-রামগড়, বিবিরবাজার-আখাউড়া চার লেনের রাস্তা, শেখ হাসিনা আছেন বলেই যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু, শেখ হাসিনা আছেন বলেই মাথাপিছু আয়  ২৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যখন বিশ্বব্যাংক, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান ও সম্ভাষণ জানায় নাগরিক হিসেবে আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষ সম্মানিত হই। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও আমাদেরকে হিমালয়ের চূড়ায় নিয়ে গেছেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ‘বিলোনিয়া  স্থলবন্দরের’উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রকিবুল হাসান এবং প্রকল্প পরিচালক ডিএম আতিকুর রহমান।

          উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলাধীন এই বিলোনিয়া স্থলবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ১০ একর জমিতে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেডসহ একটি অফিস ভবন, একটি ডরমিটরী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন, টয়লেট কমপ্লেক্স ও আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্যের সঠিক পরিমাপের লক্ষ্যে ১০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা  কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এসকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’একটি।

          প্রতিমন্ত্রী পরে  ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’ এর উদ্বোধন করেন।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬৯

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে

                                                         - পরিবেশমন্ত্রী

বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। সারা দেশে অসংখ্য রাস্তা পাকা করা হয়েছে ফলে মানুষের যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা কলাজুড়া জিপিএস-গুদামঘাট রাস্তা, দোহালিয়া জিপিএস-কইয়ারিটিলা রাস্তা এবং আরএইচডি-পেনাগুল রাস্তার পাকাকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রেই সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। মাদ্রাসাসহ সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক পাকা ভবন করা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর।

#

দীপংকর/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৪৫ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৮৬৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে

                                                     -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রণয়ন করা হয়নি, বা এটি করার জন্য ডিএসএ ব্যবহার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই আইনের অপব্যবহার রোধে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও তিনি জানান।

          আজ রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ এবং আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে। তিনি জানান, সরকার ডিএসএ- এর বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনও ব্যক্তির মানহানি করতে দেওয়া হবে না ।

মন্ত্রী বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার। এজন্য ডিএসএ দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রফেসর ড. কাবেরী গায়েন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বক্তৃতা শেষে অংশগ্রহণকারীরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে আলোচকদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

#

রেজাউল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৮৬৭ 

ডিজিটাইজেশন সাংবাদিকতায় প‌্যাড

কলমের যুগের অবসান ঘটিয়েছে

                    ---মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে): 

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশন সাংবাদিকতায় প‌্যাড-কলমের যুগের অবসান ঘটিয়েছে। ডিজিটাল যন্ত্রের ব‌্যবহার ও ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন সাংবাদিকতার জন‌্য এখন অপরিহার্য। প্রচলিত মিডিয়া থেকে বহুগুণ বেশি তথ‌্য উপাত্ত ডিজিটাল মিডিয়াকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করছে। তথ‌্য উপাত্ত পাঠক ও দর্শকের কাছে অডিও, ভিডিও কিংবা প্রিন্ট ভার্সনে গ্রহণযোগ‌্য করে উপস্থাপনের বিষয়টিও স্মার্ট যুগের সাংবাদিকতার জন‌্য বড় চ‌্যালেঞ্জ

মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল আয়োজিত ‘থার্ড জার্নালিজম স্টুডেন্টস ফেস্ট-২০২৩’ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ‌্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সভাপতি মোঃ হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব‌্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ‌্যাপক রাকিব আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ‌্যাপক ড. মোঃ মফিজুর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  স্মার্ট বাংলাদেশের জন‌্য স্মার্ট মানুষের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট মানুষ মানে পোষাকে বা আচার আচরণে  নয়, স্মার্ট মানুষ হচ্ছে ডিজিটাল যন্ত্র ব‌্যবহারের দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ। তিনি বলেন,  ১৯৭২ সালে সাংবাদিকতা  যখন শুরু করি তখন লাইব্রেরিতে কাজ করতে হয়েছে। এখন লাইব্রেরিতে যাওয়ার দরকার হয় না, সার্চ ইঞ্জিন ব্রাউজ করে প্রয়োজনীয় তথ‌্য উপাত্ত পাওয়া যায়।

২০১৯ সালে বার্সিলোনায় ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত  বলেন, আমরা প্রযুক্তি যুগে বাস করছি, প্রযুক্তি আরো প্রসারিত হবে। সময়ের সাথে আমাদের প্রস্তুতি নিতেই হবে। তিনি বলেন, ইউরোপ - আমেরিকা মনে করে মানুষের স্বল্পতা তারা প্রযুক্তি দিয়ে পূরণ করবে কিন্তু আমাদের জন‌্য হচ্ছে, মানুষের বিকল্প প্রযুক্তি নয়। বরং আমরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবো এবং ব‌্যবহার করবো। অর্থাৎ প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে আমাদের এগুতে হবে।

ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কে চলার দক্ষতা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব‌্যক্ত করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল তৃণমূল জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌছে গেছে, এ বছর  ঈদ যাত্রায় রেলের সব টিকিট অনলাইনে ক্রয়, জমির পর্চা এবং করোনাকালে ডিজিটাল সংযোগের মাধ‌্যমে মানুষের অচল জীবনযাত্রা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেন। গত ২০০৯ সাল থেকে গত চৌদ্দ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তা আজ বিরাট মহিরূহে রূপান্তরিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিকতার আগামীর চ‌্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

#

শেফায়েত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা 
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৮৬৬

গ্রাহকদের বিশ্বস্ততার সাথে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা প্রয়োজন

        --বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকদের বিশ্বস্ততার সাথে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে সেবার মান স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাড়বে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না।

প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ‘হাইড্রোকার্বন ইউনিট’ আয়োজিত ‘Smart Energy Planning of Bangladesh’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা স্মার্ট করতে পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিজেরা স্মার্ট হবে। দ্রুত সেবা দিতে পারলে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়বে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ বি এম আলিম আল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি স্মার্ট পরিকল্পনায় ব্যবস্থাপনা ও কর্মপন্থার দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপট এবং গবেষণা ও উন্নয়ন প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ভার্চুয়াল সেমিনারে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭৪৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৬৫

 

পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা গ্রহণযোগ্য নয়; ২-৩ দিনের মধ্যে আমদানির সিদ্ধান্ত

                                                                                                     ---কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে): 

 

পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে, দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

আজ নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন

মন্ত্রী বলেন, গতবছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। সে বছর দাম বাড়বে-এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এবছর পেঁয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের নিকট, গুদামে ও আড়ৎদারের নিকট কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরো বাড়বে-এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া, কেবলই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় ২ লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ানো যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।

 

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো কারণ নেই : কৃষিমন্ত্রী

                           

            নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনো কারণ দেখছি না। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। তারা বাস্তবতা বুঝবে এবং একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সহযোগিতা দিবে।

            মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কোনোদিনই আমরা কামনা করি না ও সহজভাবে নিতে পারি না। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে, আর ৬ মাস পর আরেকটি নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ীই সেই নির্বাচন হবে।

 

চলমান পাতা-২

 

পাতা-২

মিশরের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, মিশরে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সেদেশকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

 

কৃষিসচিবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচা তুলা আমদানিতে ফিউমিগেশন করতে হবে না

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচা তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে আর পোকামাকড় মুক্তকরণ বা ফিউমিগেশন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, এতদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে পৌঁছানোর পর পোকামাকড়মুক্ত করে, বন্দর থেকে খালাসের ছাড়পত্র নিতে হতো। যুক্তরাষ্ট্র তুলা রপ্তানির আগে সেদেশে পোকামাকড়মুক্ত করে, সেটি দেশেও আরেকবার ফিউমিগেশন করা হতো। সেজন্য, দুবার পরীক্ষা বা ডাবল ফিউমেগেশন বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে কাঁচা তুলা পোকামাকড়মুক্ত করার পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

 আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য প্রতিনিধি ডেপুটি এসিসট্যান্ট ব্রেন্ডন লিঞ্চ, সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর মেহনাজ খান, রিজিওনাল আইপি অ্যাটাশে জন কাবেকা, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের ইকনমিক চিফ জোসেফ গিবলিন, এগ্রিকালচার অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস, লেবার অ্যাটাশে লিনা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, দেশে বছরে তুলার চাহিদা ৮৫ লাখ বেল। দেশে উৎপাদন হয় প্রায় ২ লাখ বেল। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে সাড়ে ৭ লাখ বেল তুলা আমদানি হয়।

#

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮০৫ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৮৬৪  

পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে

                      --বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে) :

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আজ রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার এবং গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করে তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।

টিপু মুনশি আরো বলেন, দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য মূলত ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যেহেতু ভোক্তাদের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাই আমদানি করা ছাড়া উপায় নেই বলেও জানান। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামে বাজারে চিনি বিক্রয় করছে কি না তা পর্যবেক্ষণে মনিটরিং করা হচ্ছে।

এর আগে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফলে এত অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল খাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেজন্য বিশ্ববাসী অবাক চিত্তে তাকিয়ে রয়। শিক্ষার উন্নয়নেও অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে সরকার। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প-উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনা পথনকশা তৈরি করেছেন। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে টিপু মুনশি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার রক্ষার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য এবং মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাড্ডা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।

 

#

হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭২৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৬৩

বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়

                                      ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে): 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ক’দিন পর পর বিএনপির নানা আন্দোলনের ঘোষণা আসলে ‘কাগুজে বাঘ’ এবং ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো। 

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকরা ‘বিএনপি এখন সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এই এক দফা বহু আগে থেকেই তারা দিয়েছে। বিএনপি মাঝে মধ্যেই এক দফায় যায় আবার দফা বাড়ে, কিছুদিন পর পর এই ঘটনা ঘটে। আগেও তারা এ রকম ১০ দফা, ১৪ দফা, ১২ দফা, সর্বশেষ ১৭ দফা দিয়েছিল। তাদের জোটের আকারও বাড়ে আবার কমে, অ্যামিবার মতো নিজেরা ভাগ হয়ে আবার দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিএনপির এই সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। আর মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের সার্কাসও মানুষ দেখছে। মানুষের কাছে এগুলো এখন হাস্যরস আর কৌতুক। এবং বিএনপির এসব ঘোষণা ‘কাগুজে বাঘ’ আর ‘খালি কলসি বেশি বাজা’ ছাড়া অন্য কোনো কিছুই নয়।’’ 

একটি দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সাংবাদিকরা দেশের ওপর ‘স্যাংশন’ সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘‘যে পত্রিকা লিখেছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন, আমার এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। আরেকটি কথা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। গত ৫১ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে, আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছে এবং সেই সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি, আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী, তাদের সহযোগিতায় দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এক অত্যন্ত ‘প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার’।’’ 

আর নিষেধাজ্ঞা আর পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না, সেটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে ইরানের সরকারতো পড়ে যায় নাই, বহাল তবিয়তে আছে। বহু বছরের স্যাংশনেও ছিলো কিউবাকে টলানো যায় নাই, সরকারও পরিবর্তন হয় নাই। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে বহু স্যাংশন, সেখানকার সরকার তো পরিবর্তন হয় নাই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহু স্যাংশন, সেগুলো অমান্য করেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অনেকেই তাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছে। অর্থাৎ এগুলো দিয়ে আসলে লাভ হয় না।’

ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতদারী ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে পণ্যের কোনো সংকট নাই। সমস্ত ভোগ্যপণ্য যথেষ্ট মজুত আছে এবং ভোগ্যপণ্য আসছেও। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কয়েকজন ব্যবসায়ী এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টায় থাকে। কিছু আড়ৎদার মজুতদার অস্বাভাবিকভাবে তাদের মুনাফা লাভের জন্য দাম বাড়ায়। এটি অনৈতিক, আইনবিরুদ্ধ। বাংলাদেশে মজুত সংক্রান্ত এবং মজুতদারীর বিরুদ্ধে আইন আছে। ভোক্তা অধিকার সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে, কিছু সুফলও আমরা পেয়েছি। এখনও যারা অস্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম অহেতুক বাড়াচ্ছে, জনগণের ভোগান্তি তৈরি করছে বা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সরকার প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ রাজনীতি গবেষক এইচএম মেহেদী হাসান গ্রন্থিত ‘সাবাস বাংলাদেশ’, ‘ছোটদের বঙ্গবন্ধু’ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘ভালোবাসার ফুল’ শীর্ষক তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় হাছান মাহ্‌মুদ বই তিনটির লেখককে এবং প্রকাশক অনার্য পাবলিকেশনস ও অর্জন প্রকাশনকে অভিনন্দন জানান। গ্রন্থকার মেহেদী হাসান ও প্রকাশক আবু হাশেম সরকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। 

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭১৬ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮৬২

 

কোভিড-

2023-05-21-15-48-119630d2f9254db66dcb981d98c52144.docx