Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৫১১০

লন্ডন থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          লন্ডন থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

          মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আজ (সোমবার) রাত সাড়ে আটটায় আহুত ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

          সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতে লন্ডন থেকে আসা বিমান যাত্রীরা নিজ খরচে থাকবেন। সংশ্লিষ্ট থানা তাঁদের দেখভাল করবেন।

          অন্যান্য দেশ থেকে আগত বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড সনদ আনার বাধ্যতামূলক যে ব্যবস্থা এখন চালু রয়েছে, তা বহাল থাকছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরো বিশদ জানানো হবে, জানান তথ্যসচিব খাজা মিয়া।

          প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, জন নিরাপত্তা সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মোঃ আলী নূর, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পরিদর্শক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালক, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক সভায় অংশ নেন।

#

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২৩০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৫১০৯

 উগ্র ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে

                                                                     -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          উগ্র ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে সংস্কৃতিকে বেশি করে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

          আজ রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি আয়োজিত ‘১০ম আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

          মন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের অকৃত্রিম ঐতিহ্য হচ্ছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সে বাংলাদেশকে মাঝে মধ্যেই ছোবল দেয় সাম্প্রদায়িক উগ্র গোষ্ঠী। তারা ১৯৪৭ সালে সেই স্বপ্নে বিভোর ছিলো, পরবর্তীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে এদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে আবার তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিল্প মাধ্যমে যারা আছেন, যারা অভিনয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করা দরকার।

          মন্ত্রী আরো বলেন, বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আমাদের জারি, সারি, পল্লীগীতি, যাত্রা, নাটক ও চলচ্চিত্রকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের এ জায়গাটা তুলে ধরতে হবে, এ বাংলাদেশ শিল্প ও সংস্কৃতির বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ মৌলবাদীদের ছোবলের বাংলাদেশ নয়।

          অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরো শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন কবির বাবলু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।

          অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরটিভিতে প্রচারিত সকল নাটকের মধ্য থেকে সৃজনশীল নাট্যকার, নাট্য পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় এবং বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। মামুনুর রশীদের হাতে আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

#

ইফতেখার/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৫১০৮

 

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টার স্ত্রীর মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দের শোক

 

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের স্ত্রী রওশন রহমান ইভার মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

          রওশন রহমান ইভার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স¦পন ভট্টাচার্য।

          পৃথক শোকবার্তায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

তৌহিদুল/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০২০ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫১০৭

ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

                                                                                                         -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

          মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের কঠিনতম ও ভয়াবহ দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মুসলমান- হিন্দু- খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ জীবনকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অথচ এই স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মের নামে মানুষকে নির্যাতন করে, হত্যা করে। এসব ধর্মান্ধদের নির্মূল করতে আমাদের সকলকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ  থাকতে হবে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কোনো দিন মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকবর্তিকা তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় এই করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। যে কয়েকটি দেশে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। কিন্তু কিছু লোক নানা অজুহাতে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়।

          অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।      স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল, বিএডিসি'র চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

          সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দপ্তর ও সংস্থার সকল স্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের ৫ শতাধিক কর্মকর্তা- কর্মচারী ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

#

কামরুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৯৩০ঘণ্টা  
তথ্যববিরণী                                                                                                                          নম্বর : ৫১০৬
 
বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন 
                                                                           -- সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডসিম্বের) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন শুধু স্বাধীনতাই ছিল না, ছিল খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা-সহ সকল ক্ষেত্রে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করা। এটাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তিনি আজীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
আজ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস ২০২০ উদ্্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক  আলোচনায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি তার আত্মপরিচয় পেয়েছে। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা-সহ সকল ক্ষেত্রে দেশের যে উন্নয়ন তার ভিত্তি রচনা হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। একটি জাতি যদি স্বাধীন হয় তাহলে সেই জাতির মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রকাশ করার সুযোগ পায়, পরাধীন রাষ্ট্রে তা কোনদিন সম্ভব হয় না। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন সেবা সহজীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে। 
অতিরিক্ত সচিব মোঃ রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ড,ু বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আকবর হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান-সহ অন্যান্য দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ।
#
 
আহসান/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৮৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৫১০৫

নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যম কর্মী ও পেশাজীবীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে

                                                          -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল হিসেবে  স্বীকৃত। নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যম কর্মী ও পেশাজীবীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। 

          আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)- এর  সাধারণ সভা-২০২০ ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উপলক্ষে ‘ নারীর ক্ষমতায়ন ও মুক্তিযুদ্ধ  এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক  মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          জাতীয় প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স স্থাপন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় করোনাকালে বিশেষ অর্থ সহায়তা দিয়েছে। আগামি দিনে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে সেজন্য কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

          বিজেআরএফ-এর সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচ্যক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা আশরাফ খান, বিএফইউজে নির্বাহী কমিটির সদস্য নূর জান্নাত আক্তার সীমা ও নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক  গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এমএ সালাম শান্ত  বক্তব্য রাখেন।

#

মারুফ/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৮৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৫১০৪

দেশের ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত

                                 -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মদ পলক বলেছেন, দেশের ১১ কোটি মানুষ বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। ১০ লাখ তরুণ-তরুণী যারা ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট, আউটসোর্সিংসহ আইটি সেক্টরের সাথে যুক্ত রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন না হলে এটি সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, আইসিটি খাতে বিগত ১২ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।  

          প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে "উইটসা অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন ২০২০" উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের নিকট সহজলভ্য করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের সকল শ্রেনির সাধারণ মানুষের সন্তানরা কম্পিউটার ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা গত ১২ বছরের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি। আমাদের নগদের মতো মোবাইল ফাইনালশিয়াল ওয়ালেট তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে বিদেশি কোন উদ্ভাবকের প্রয়োজন হয়নি। আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তারাই এরকম বহু সমস্যা সমাধান করেছে। তিনি বলেন, ডব্লিউসিআইটি পুরস্কার আগামী দিনে নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

          বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উইটসার চেয়ারম্যান মি. ইয়ানিস সিরোস, উইটসার মহাসচিব ড. জেমস এইচ. পয়সান্ট, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতীম দেব।

          উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অভ্ আইটি, ডব্লিউসিআইটি ২০২০ এ ‘উইটসা আইসিটি এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’এর ৯টি বিভাগের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশ ছয়টি প্রকল্প এ পুরস্কার অর্জন করে। প্রকল্প সমূহ হচ্ছে- বিজয় ডিজিটাল, ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড এন্টারপ্রেনিয়ারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প, মাই হেলফ, নগদ, প্রিজম ইআরপি, যৌথভাবে সিনেসিস আইটি ও এটুআই।

#

শহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৮৩০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৫১০৩

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৬১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৩২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ৮০ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৪৭৯ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন।

#

দলিল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৩৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৫১০২

১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান পেল রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ পুরস্কার লাভ করেছে। এদের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটেগরিতে ৪টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটেগরিতে ৪টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটেগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটেগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটেগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটেগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠানকে আজ পুরস্কৃত করা হয়।

            আজ রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সকল সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। শিল্প সচিব কে এম আলী আজম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতি, এসডিজি ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বিবেচনা করে জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনয়ের সাথে নিয়ে নতুন শিল্পনীতিরি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পিত ও সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডাটাবেজ এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  শিল্পখাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সকল ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। শিল্প প্রতিমন্ত্রী পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত করার জন্য পুরস্কারজয়ীদের প্রতি পরামর্শ দেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যাংকগুলোর গতানুগতিক মাইন্ডসেটের পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

বৃহৎ শিল্প ক্যাটেগরিতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে। মাঝারি শিল্প ক্যাটেগরিতে তাফরিদ কটন মিলস্ লি., শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, অকো-টেক্স লি. ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশন লি. পুরস্কার লাভ করে। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটেগরিতে কনসেপ্ট নীটিং লিমিটেড, এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস্ লি. ও সামিট অয়েল এন্ড শিপিং কোম্পানি লি. পুরস্কার লাভ করে। মাইক্রো শিল্প ক্যাটেগরিতে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিস্ লিমিটেড ও ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড লি. পুরস্কার লাভ করে। কুটির শিল্প ক্যাটেগরিতে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস্ বিডি, ইন্টেলিডেন্ট কার্ড লি. ও রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা পুরস্কার লাভ করে। হাইটেক শিল্প ক্যাটেগরিতে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউড এশিয়া লি. পুরস্কার লাভ করে।

#

জাহাঙ্গীর/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫১০১

বিদেশগামী কর্মীদের কোভিড-১৯ টেস্ট ফি

তিনশত টাকা নির্ধারণ করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

          প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ফলোআপের প্রেক্ষিতে স্মার্টকার্ডধারী বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট ফি দুই ধাপে ৩৫০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

          মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি চলমান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি কর্মীদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে স্মার্টকার্ডধারী বিদেশগামী কর্মীদের কোভিড-১৯ টেস্ট ফি দুই ধাপে ৩৫০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স¦াস্থ্য সচিবকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

#

রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৮০০ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৫১০০

দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতেও তারা খুশি নয়

                                                                             --তথ্যমন্ত্রী

সাজেক (খাগড়াছড়ি), ১৩ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর) :

            তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'দেশের শান্তি ও উন্নয়নে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন, স্থিতিতেও তারা খুশি নয়। সেকারণে দেশের শান্তি বিনষ্টের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার শান্তি বিনষ্টেও তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং এর বহিঃপ্রকাশ আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই। এবিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।' 

            আজ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর দ্য সিএইচটি মাউন্টেইন বাইক’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, ব্রিগেড কমান্ডার ফয়েজুর রহমান, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

            তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে পূর্ববর্তী সরকার বিশেষ করে যখন বিএনপি ও এরশাদ ক্ষমতায় ছিল, প্রকৃতপক্ষে তখন শান্তিচুক্তি করা ও বাস্তবায়নের জন্য হাতও দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তি করেছেন এবং সেটি বাস্তবায়নও করে চলেছেন। বহু শরণার্থী যারা এখানে অশান্তির কারণে দেশত্যাগী হয়েছিল তাদেরকে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন। যারা ভিন্নপথে গিয়েছিল তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে।

            আজকে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে, বাংলাদেশের অন্য এলাকার চেয়ে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, 'এর কারণ এখানে সরকার অধিক মনযোগী। এর ফলে তিন পার্বত্য জেলার চিত্র বদলে গেছে। এখানে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে এটি সম্ভবপর হওয়ার পেছনে রয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি করা ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানে শান্তি স্থাপন।'

            মন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চলসহ পুরো চট্টগ্রামে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাইক্লিং ট্যুরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম এবং এখানকার ট্যুরিজমের সম্ভাবনা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। সুপরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় দেশে পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।

            করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সমস্ত কিছু স্তব্ধপ্রায়, তখন মুজিব শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মাউন্টেইন বাইকিংয়ের আয়োজনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অপরূপ শোভায় শোভিত সাজেক ভ্যালিতে সাইক্লিং করার তৃপ্তি সাইক্লিস্ট ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারবে না। নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'আমি ছাত্রজীবনে নিজেও সাইকেল চালিয়ে ইউনিভার্সিটি যাওয়া আসা করতাম। সেকারণে আমি নিজেও সাইক্লিংয়ের ভক্ত, ঢাকা শহরে নানা দাবিতে ও পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সাইকেল র‌্যালিতে আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি ও মাদকের হিংস্র থাবা থেকে তরণদের দূরে রাখতে সাইক্লিংসহ ব্যাপক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ড আয়োজনের বিকল্প নেই, বলেন মন্ত্রী। 

            উল্লেখ্য এ প্রতিযোগিতায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরের সাজেক থেকে রওনা হয়ে উঁচুনিচু ৩শ’ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ বেয়ে ৭০০ আবেদনকারী থেকে বেছে নেয়া ৫৫ জন সাইক্লিস্ট থানচি পৌঁছেন।

#

আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৫০৯৯

2020-12-28-23-17-37d9ec7de9c7d1ece35f59f00800eca3.docx