Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 31/12/2017

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩৬১২ 

দুষ্ঠচক্র পেরিয়ে বাঙালিয়ানা চর্চা করুন
                              ---তথ্যমন্ত্রী                 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তেঁতুলহুজুর-রাজাকার-জঙ্গিসন্ত্রাসী-সাম্প্রদায়িক চতুষ্টয় দুষ্ঠচক্র পেরিয়ে বাঙালিয়ানা চর্চা করুন। আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ছায়ানীড় সাংস্কৃতিক দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী এসময় বলেন, সেক্যুলারিজম আর সাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র আর সামরিক শাসন বা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দোল খাওয়া বা মাঝখান দিয়ে হাঁটার দ্বৈততা বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র, সামরিকতন্ত্র আর ধর্মতন্ত্রের একটু করে নিয়ে খিচুড়িতন্ত্রের পথ পরিহার করতে হবে।
যে টেকসই উন্নয়নের কাজ শেখ হাসিনা করছেন, তার জন্য টেকসই গণতন্ত্র আর টেকসই রাজনীতি। আর এর জন্যই সকল দ্বৈততা থেকে মুক্ত হয়ে দেশকে তার নিজস্ব পথে এগিয়ে নিতে হবে, বলেন তিনি।
শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা দেশের আত্মার মতো, উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, তারাই দেশকে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, কূপম-ূকতা, লিংগবৈষম্য থেকে মুক্ত করার অগ্রপথিক আর আমরাও জয়ে-পরাজয়ে, ভালোবাসা-বেদনায়, সুখে-দুখে, যুদ্ধে কিংবা শান্তিতে ছুটে যাই কবিতা, গান, লেখা আর শিল্পের কাছেই। আর তেঁতুলহুজুর-রাজাকার-জঙ্গিসন্ত্রাসী-সাম্প্রদায়িক চতুষ্টয় দুষ্ঠচক্রের হাত থেকে শিল্প-সাহিত্যকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনার সরকারকেই আবার নির্বাচিত করতে হবে, চক্রের পৃষ্ঠপোষক খালেদা জিয়া-বিএনপিকে নয়, বলেন মুক্তিযোদ্ধা ইনু।
মন্ত্রী এসময় সকলকে বিজয়ের মাসের শেষদিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
অর্থনীতিবিদ ড. এম এ ইউসুফ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার বক্তৃতায় জাতিগঠনে শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় পার্টির অতি: মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী, ছায়ানীড়ের উপদেষ্টা ব্রিগে জেনা অব: আব্দুস সবুর মিয়া ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ পিসের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী সভায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিলকিস খানম পাপড়ি সম্পাদিত স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য বাংগালি ও প্রতিষ্ঠান গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ও ২২ জন লেখককে সম্বর্ধনা দেন অতিথিবৃন্দ।
#

আকরাম/সেলিম/জয়নুল/২০১৭/২২০০ঘণ্টা  

 


তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৬১১ 

রোভার স্কাউটকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ত্রাণ মন্ত্রীর
               
রাভার পল্লী (গাজীপুর), ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
দুর্যোগকালে রোভার স্কাউটকে মানুষের পাশে আন্তরিকতা ও মমতা নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। তিনি আজ গাজীপুর রোভার পল্লীতে অষ্টাদশ আঞ্চলিক রোভারমুটের সমাপনী অনুষ্ঠান ও মহা তাঁবু জলসার উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান। 
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগকালে প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। তাদের অতিরিক্ত সেবা ও যতœ প্রয়োজন হয়। রোভার স্কাউটদের এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকা-ে স্কাউটদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে। 
#

ওমর ফারুক/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৬১০ 
 
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
      উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩৭ ট্রাকের মাধ্যমে ৭৪ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৪ শত প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩১ হাজার ৯ শত ৪১ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী ও ৬ পিস স্যানিটেশনসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
#
 
সাইফুল/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৬০৯ 
 
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে। 
আজ কুতুপালং ১ ক্যা¤েপ ২ শত ৫৮ জন পুরুষ, ১ শত ৬৫ জন নারী মিলে ৪ শত ২৩ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৪ শত ৮৮ জন পুরুষ, ৩ শত ৬৯ জন নারী মিলে ৮ শত ৫৭ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ শত ৬৪ জন পুরুষ, ২ শত ১৭ জন নারী মিলে ৩ শত ৮১ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ২ শত ৩৭ জন পুরুষ, ২ শত ১৪ জন নারী মিলে ৪ শত ৫১ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৬০ জন পুরুষ, ৫০ জন নারী মিলে ১ শত ১০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৩ শত ১৩ জন পুরুষ, ২ শত ৬৮ জন নারী মিলে ৫ শত ৮১ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৪২ জন পুরুষ, ৪২ জন নারী মিলে ৮৪ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৮ শত ৮৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৯ লাখ ৩১ হাজার ১ শত ৮৯ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। 
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন। 
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬ শত ৫০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
 
সাইফুল/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৬০৮ 
 
প্রতিবন্ধীদের জীবনকাহিনী গণমাধ্যমে তুলে ধরুন
                                 ---নৌপরিবহণ মন্ত্রী                  
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা বা করুণার পাত্র নয়; তাদের প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানসহ সমাজে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিবন্ধীদের জীবনকাহিনী গণমাধ্যমে তুলে ধরতে এবং তাদের জন্য কি করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করতে সংবাদকর্মীরা বলিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন। 
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। 
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সংগঠন ‘সুইড’ বাংলাদেশ-এর ক্রীড়া সম্পাদক মেজর (অব.) ইয়াদ আলী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মহামুদ, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব ড. সেলিনা আক্তার, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) মোতাহার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাইটসেভার্স’ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম। 
প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা  করতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, ধনাঢ্য ব্যক্তি, শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি মন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি অসহায় প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের মাধ্যমে ‘প্রতিবন্ধী আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করতে সাংকাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
 
জাহাঙ্গীর/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৬০৭ 
 
নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে আবদুল কুদ্দুস খান
 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল কুদ্দুস খানকে ‘জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের’ চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সঞ্জয় কুমার বণিককে। 
আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
#
 
জাহাঙ্গীর/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৬০৬ 
 
শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা
 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সমন¦য় করে শিশুশ্রম নিরসনে নতুনভাবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এর সভাপতিত্বে শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ-এনসিএলডাব্লুসি এর ৫ম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনের অঙ্গীকার করেছে। অঙ্গীকার অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে বিদ্যমান জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। শিশুশ্রম নিরসনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটিগুলোকে আরো সক্রিয়করণে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। শিশুশ্রম নিরসনে ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসগুলোকে এ কার্যক্রমে সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে যে সকল উপজেলা প্রথমে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করবে সে সকল উপজেলাকে এনসিএলডাব্লুসি-এর পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। 
সভায় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খান, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর গগন রাজভা-ারী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুজ্জামান ভূইয়া, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
#
 
আকতারুল/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৬০৫ 
 
এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতিমূলক ক্লাস
 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :      
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ এর প্রথমবর্ষ এমবিবিএস ক্লাসে ২০১৭-২০১৮ (১ম ব্যাচে) শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতি ক্লাস আগামী ১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। 
ভর্তিকৃত সকল ছাত্রছাত্রীকে উক্ত পরিচিতি ক্লাসে মা, বাবা অথবা একজন অভিভাবকসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে।
#
 
সুফিয়ান/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৩৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৬০৪ 
 
নতুন তথ্যসচিবকে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের অভিনন্দন
 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর):      
 
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন নাসির উদ্দিন আহমেদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত তথ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। 
 
ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সদস্যগণ আজ নবনিয়োগপ্রাপ্ত তথ্য সচিবকে তাঁর কক্ষে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান। তাঁরা সচিবের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন সভাপতি ও প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, মহাসচিব ও তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার ফায়জুল হকসহ এসোসিয়েশনের অন্যান্য কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
এছাড়া তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারের নেতৃত্বে তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তথ্যসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা  ও অভিনন্দন জানান।
 
#
অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৬২৬ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৬০৩ 
তথ্য সচিব হিসেবে নাসির উদ্দিন আহমেদের যোগদান
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর):      
 
নাসির উদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব হিসেবে আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন।
 
নাসির উদ্দিন আহমেদ বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮৪ ব্যাচের নিয়মিত একজন কর্মকর্তা। চাকুরি জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণপদে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
ইতিপূর্বে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি ভূমি, জনপ্রশাসন, অর্থ, যুব ও ক্রীড়া, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব, উপসচিবসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮১ সালে ম্যানেজমেন্টে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী এবং ২০০৮ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি হতে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইতালি ও সিংগাপুরসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং সফর করেন। তিনি ১৯৬০ সালে পিরোজপুর জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
 
উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
#
অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৬০৫ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৬০২ 
 
ইসলাম শান্তি সাম্য ভ্রাতৃত্ববোধ ও ন্যায় পরায়ণতার শিক্ষা দেয়
                                                                -প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
রংপুর, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর):      
 
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, ইসলাম শান্তি, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সার্বজনীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর মহানগরের কেরামত (রহ.) জামে মসজিদ চত্বরে হযরত মওলানা কেরামত (রহ.) এর ওফাত দিবস উপলক্ষে ইসলামী সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
 
রাঙ্গাঁ বলেন, মহানবী (স.) এঁর জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মানবজাতি ইহকাল ও পরকালে মুক্তি পাবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শাসন আমলে সকল ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মানমর্যাদা সুরক্ষা এবং নির্বিঘেœ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নানামুখী কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে ইসলাম ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গি অপতৎপরতা চালাবে তাদের সমূলে নির্মূল করা হবে। তিনি সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টি নেতা আলহাজ মো. শামসুল আলম ও হাজী মো. আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। 
 
#
আহসান/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩৩৫ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ৩৬০০ 
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী  
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :      
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে মাসব্যাপী ২৩তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০১৮’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান, রপ্তানিকারক, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীসহ ক্রেতাসাধারণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
 
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রসারসহ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবছর ডিআইটিএফ’র আয়োজন একটি সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। সরকারের বহুমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অর্থনীতির দ্রুত বিকাশে এ ধরণের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।
 
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা কেবল পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের স্থান নয়, বরং ইতোমধ্যে তা নগরবাসীর নির্মল বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রেও পরিণত হয়েছে। মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা পণ্যের প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশি বিদেশি উৎপাদক, ক্রেতা-বিক্রেতা, রপ্তানিকারক আমদানিকারক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। আমি আশা করি ডিআইটিএফ রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, সম্প্রসারণ ও বিপণন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতিময়তা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উৎকৃষ্ট মানের পণ্যসম্ভার ও সেবা প্রদর্শনের মাধ্যমে ডিআইটিএফ-২০১৮ আরো আকর্ষণীয় হবে- এ প্রত্যাশা করি।
 
আমি ২৩তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#
আজাদ/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৩৮ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৯৮
 
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর ) :       
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে মাসব্যাপী ২৩তম ঢাকা ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’ আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এই মেলাটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিম-লের সর্বাধুনিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অগ্রগতির সাথে সংযুক্ত রাখার একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। এ মেলায় একদিকে যেমন দেশি বিদেশি ভোক্তারা আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে পরিচিত হতে পারবেন, অপরদিকে দেশি উদ্যোক্তাগণ বিদেশি পণ্য, সর্বশেষ ডিজাইন, স্টাইল এবং বিদেশি ক্রেতাদের রুচি, মান, চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারবেন। ফলে রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সাথে সাথে দেশীয় উদ্যোক্তাগণ প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে তৎপর হবেন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশি পণ্যকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নেয়ার প্রয়াস পাবেন। পাশাপাশি বিদেশি অংশগ্রহণকারীগণও আমাদের ব্যাবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আবহ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা নিতে পারবেন।
আমাদের সরকারের গৃহীত উদার বাণিজ্যনীতির ফলে দেশে বিনিয়োগ ও ব্যাবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ও রপ্তানির প্রতি আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও আমদানিকারকদের নিকট আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অবকাঠামোখাতে আমাদের উদ্যোগ ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। আমরা নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। আমরা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সবসময় দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ দেশীয় পণ্যের উৎপাদনকারী ও বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিকতর আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।    
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১১৩১ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ৩৫৯৭ 
ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“ইংরেজি নতুন বছর ২০১৮ উপলক্ষে আমি দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
দেশের সামগ্রিকউন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা এবং সমগ্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৭ সাল আমাদের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর।
গত বছর দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নি¤œ মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি আজ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। মানুষের আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ নি¤œআয়ের স্তর থেকে মধ্যমআয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশের বেশি হয়েছে। দেশের ৮৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায়। সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। দরিদ্রমানুষ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ পাচ্ছে। গড় আয়ূ বেড়ে ৭১ বছর ৮ মাস হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন সমুদ্রবন্দর পায়রার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। জাতীয় চারনেতার হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। জনগণকে দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করছি, বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকবে। আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য (ডড়ৎষফ উড়পঁসবহঃধৎু ঐবৎরঃধমব) হিসেবে ইউনেস্কোর ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গবসড়ৎু ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ জবমরংঃবৎ এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ অর্জন বাঙালি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গৌরবের। আমরা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিÍপূর্ণ সমাধান করেছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমারও শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিÍপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালের আগে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব ইনশাল্লাহ।
নতুনের আহ্বানে পুরাতন সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। নতুন বছর আামাদের সবার জীবনে অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনুক। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/আসমা/২০১৭/১১৩০ ঘণ্টা    
 
তথ্যববিরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৫৯৬
ইংরজেি নতুন বছর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতরি বাণী
ঢাকা, ১৭ পৌষ (৩১ ডসিম্বের) :  
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি ইংরজেি নতুন বছর উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"খ্রষ্টিীয় নবর্বষ ২০১৮ উপলক্ষে আমি দশেবাসীসহ সকলকে জানাই আন্তরকি শুভচ্ছো ও অভনিন্দন । 
সময় থমেে থাকে না। এগয়িে চলাই সময়রে র্ধম। অতীতকে  পছেনে ফলেে সময়রে চরিায়ত আর্বতনে খ্রষ্টিীয় নবর্বষ আমাদরে মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষরে স্বভাবগত প্রবৃত্ত।ি তাইতো নবর্বষকে বরণ করতে বশ্বিব্যাপী র্বণাঢ্য আয়োজন। আমরাও পছিয়িে নইে। ইংরজেি নবর্বষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমাদরে তরুণ সমাজসহ গোটাদশে। বাংলা নবর্বষ আমাদরে সংস্কৃতরি সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়তি থাকলওে ব্যবহারকি জীবনে ইংরজেি র্বষপঞ্জকিা বহুল ব্যবহৃত। তাই জাতীয় জীবনে ইংরজেি র্বষপঞ্জি প্রাত্যহকি জীবনযাত্রায় অবচ্ছিদ্যেভাবে মশিে আছ।ে
নবর্বষ সকলরে মাঝে জাগায় প্রাণরে নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বগিত বছররে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বদেনা পছেনে ফলেে নতুন বছরে অমতি সম্ভাবনার পথে এগয়িে যাক বাংলাদশে, খ্রষ্টিীয় নবর্বষে এ প্রত্যাশা কর।ি 
খ্রষ্টিীয় নবর্বষ ২০১৮ সবার জীবনে অনাবলি আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক - এই কামনা কর।ি 
খোদা হাফজে, বাংলাদশে চরিজীবী হোক।"
#
আজাদ/অনসূয়া/শহদি/রফকিুল/আসমা/২০১৭/১১৩০ ঘন্টা 
 
Todays handout (9).docx