Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুন ২০১৬

তথ্যবিবরণী 15 June 2016

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৯৭৯

রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলাকারীদের
অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন শিড়্গামন্ত্রী

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):

         মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দীন কলেজের গণিতের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর  সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ।

     শিড়্গামন্ত্রী হামলাকারীদের  অবিলম্বে গ্রেফতার করার  জন্য  স'ানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

     জনাব নাহিদ বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

#

সাইফুলস্নাহ/মোশাররফ/সেলিম/২০১৬/২২০০ ঘণ্টা    

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯৭৮
 
আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণে চুক্তি স¦াক্ষর


ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):
    ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনকে সম্পূর্ণরূপে ডাবল লাইনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত নতুন ৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
    বাংলাদেশের দু’টি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড কোম্পানি যৌথভাবে এ রেল লাইন নির্মাণ করবে। লুপ লাইনসহ মোট ১শ’ ৮৪ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯শ’ ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
    বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তী এবং সিটিএম যৌথ কোম্পানির পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মো. আলমগীর চুক্তিতে স¦াক্ষর করেন।
    রেলভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তি স¦াক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী
মো. মুজিবুল হক। রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#

শরিফুল/আফরাজ/মোশাররফ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৯৭৭

মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে সেমিনার

মিলান (ইতালি), ১৫ জুন:
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বিদেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মিলানে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল গতকাল একটি সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশের সাথে ইতালির দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ইতালির আরো অধিকসংখ্যক ব্যবসায়ী, সংবাদকর্মী ও নিয়োগকর্তার নিকট বাংলাদেশের অপার বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাংলাদেশের পণ্য ও জনশক্তি সম্পর্কে অধিকতর ধারণা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলার জন্য সেমিনারে নানাবিধ আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অর্জন এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ইপিজেড ও নবসৃজিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুবিধাসমূহ এবং বাংলাদেশের পণ্য ও বাংলাদেশের জনশক্তির তুলনামূলক সুবিধাদিও  তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য হতে জিয়ানপিয়েরো লাখিনি, ক্লাডিউ কাপ্পেলো এবং ভেনিসে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জনআলবার্তো বক্তব্য রাখেন। জিয়াপিয়েরো  ও ক্লাডিউ তাদের বক্তব্যে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সাথে তাদের ব্যবসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ও বাংলাদেশের সাথে ব্যবসার সুফলসমূহ বর্ণনা করেন। অপরদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে আসা অনারারি কনসাল জনআলবার্তো তার সফরকালে এফবিসিসিআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে তার সাক্ষাৎ এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের সামনে ‘বাংলাদেশ-ইউর বিজনেস ডেস্টিনেশন’ এবং ‘হায়ারিং ওয়ার্কফোর্স ফ্রম বাংলাদেশ’ নামে দু’টি ডকুমেন্টারি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা এবং জনশক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এরপর উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে কনসাল জেনারেল অতিথিদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
সেমিনারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইতালিয়ান ব্যবসায়ী, সংবাদকর্মী এবং বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গানের সাথে নৃত্য এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ফ্যাশন শো পরিবেশন করা হয়। সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।
#
আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা    
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৯৭৬
 
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):
দশম জাতীয় সংসদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৫তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশার সভাপতিত্বে  সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ^াস, ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, এডভোকেট মুহাম্মদ আলতাফ আলী এবং সামছুন নাহার বেগম (এডভোকেট) বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কার্যক্রম, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ আই স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ ও ভাতাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্পে নিয়োজিত জনবল স্থায়ীকরণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার, হরিণসহ বিভিন্ন  প্রজাতির বন্য প্রাণি সংরক্ষণ করা ও বাণিজ্যিকভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খামার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ আই সে¦চ্ছাসেবীদের ভাতাদির পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমিকে একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলের
জীবন-জীবিকা, অর্থনেতিক কর্মকা-, পুষ্টির চাহিদাপূরণ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে  আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন সমস্যাগুলো সমাধান করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#

এমাদুল/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৯৭৫
 
আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):
দশম জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত’র সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,
মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বেগম সাহারা খাতুন, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস, এডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে বিনিয়োগ বোর্ড চেয়ারম্যান এবং বেপজার চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।  
বৈঠকে ঝঁঢ়ৎবসব ঈড়ঁৎঃ ঔঁফমবং (খবধাব, চবহংরড়হ ধহফ চৎরারষবমবং) (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৫; ঝঁঢ়ৎবসব ঈড়ঁৎঃ ঔঁফমবং (জবসঁহবৎধঃরড়হ ধহফ চৎরারষবমবং) (অসবহফসবহঃ) ইরষষ, ২০১৬; বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৬ এবং বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল, ২০১৬ এর উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
 কমিটি বিলগুলো অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
 বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#

হালিম/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭১০ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৯৭৪
 
পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন) :
    বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল (অপঃরাধঃবফ ঈযধৎপড়ধষ) উৎপাদন বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা পাট উৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে। এ ভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে।
    প্রতিমন্ত্রী আজ চারকোল মালিকদের সাথে তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে  এক মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন।
    সভায় চারকোলের বিষয়ে জানানো হয়, দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই প্রথম চীনে এ পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদন বাড়লে ভবিষ্যতে জাপান, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রপ্তানি সম্ভব হবে।
    বর্তমানে বিদেশে চারকোল দিয়ে ফেসওয়াশ, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ঔষধ প্রভৃতি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০-১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে।
    সভায় আরো জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৫’শ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
    চারকোল মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চারকোল শিল্পকে একটি উদীয়মান শিল্প হিসাবে ঘোষণা দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও পাটজাত পণ্য হিসাবে ২০ ভাগ আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ শিল্প বিকাশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ দিতে হবে। এ শিল্পের জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
    প্রতিমন্ত্রী এ সকল প্রস্তাব ও পরামর্শ সম্পর্কে বলেন, নতুন খাতের সমস্যাসমূহ দূর করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে
    সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও বিজেএমসি চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#

সৈকত/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৯৭৩

শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ অর্থনীতিতে দিক বদলের সূচনা করেছে
                                                          -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):
    শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে দিক বদলের সূচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে নিজ শক্তিতে বৈষম্যহীন সমৃদ্ধি অর্জনে এ উদ্যোগগুলোকে সবচেয়ে সময়োচিত পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন তিনি।
    আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগের প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।
    শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ উদ্যোগগুলোর কোনো বিকল্প নেই। তথ্য মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগগুলোর কথা দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।
    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট নির্মিত ফিলার, নাটিকা, স্পট ড্রামা, ডকু ট্রামা, সেøাগান এবং টিভিসি প্রদর্শন করা হয়।
    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব সভায় প্রদর্শিত অডিও-ভিডিও ক্লিপ ও জিংগেলগুলোর প্রশংসা করেন এবং এগুলোর উৎকর্ষের ক্রমবৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
    তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনাকালে তথ্য মন্ত্রণালয়কে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের ১৪টি সংস্থা ও অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশনা দেন।
    সমাজকল্যাণ সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, বন ও পরিবেশ সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য অফিসার একেএম শামীম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬০০ ঘণ্টা    
 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৯৭২

প্রধান তথ্য অফিসার শামীম চৌধুরী গ্রেড-১ এ উন্নীত

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন):

    প্রধান তথ্য অফিসার এ  কে এম শামীম  চৌধুরীকে সচিব সমমর্যাদার গ্রেড-১ এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়।

    পয়লা জুন অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভার সুপারিশ মোতাবেক বিসিএস তথ্য (সাধারণ) ক্যাডারের সদস্য এ  কে এম শামীম  চৌধুরীকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি প্রদানপূর্বক ইতোপূর্বে পদায়নকৃত প্রধান তথ্য অফিসার পদে বহাল রাখা হয়েছে।
    
    ১৯৮২ সালের নিয়মিত ব্যাচে তথ্য সার্ভিসে  যোগদানকারী  জনাব চৌধুরী তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলাদেশ  প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট  থেকে ফ্রি প্রেস বিষয়ে পেশাগত প্রশিড়্গণ গ্রহণ করেন। শিড়্গা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ  থেকে ১৯৭৯ সালে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র সনত্মানের জনক।
    
#

আফরাজ/মাহমুদ/মোশাররফ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬০০ ঘণ্টা    

 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯৭১
 
পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে বিশ^ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ

ঢাকা, পয়লা আষাঢ় (১৫ জুন) :
    পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে আজ ঢাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে বিশ^ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর  রাজশ্রী এস পারালকার (জধলধংযৎবব ঝ চধৎধষশধৎ) সাক্ষাৎ করেন ।
    সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স¦ার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
    পরিকল্পনামন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসুচি এবং দেশের অর্থনৈতিক সূচকের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে চলমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকলে খুব সহসাই বাংলাদেশ বিশ^ অর্থনীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
    তিনি বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতিতে বিশ^ব্যাংকের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনগুলোতে অধিকতর সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দির বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রগতি আরো বেগবান করতে বিশ^ব্যাংকসহ সকল দাতা সংস্থার সহযোগিতা অপরিহার্য।
    রাজশ্রী এস পারালকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির প্রশংসা করেন ।
#

শেফায়েত/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৬৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৯৭০


এ বছরের ফিতরা সর্বনি¤œ ৬৫ ও সর্বোচ্চ ১,৬৫০ টাকা

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন):
    ১৪৩৭ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামি শরিয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ (পঁয়ষট্টি) টাকা আদায় করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২শ’ টাকা,  কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৫শ’ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে।
মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী  উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা তার বাজার মূল্য দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মারুফ, ঢাকা নেছারিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান এবং বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

#

নিজাম/মোবাস্বেরা/নুসরাত/খাদীজা/রেজ্জাকুল/কামাল/২০১৬/১৫০৫ ঘণ্টা    
 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৯৬৯

ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কর্মসূচি

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

    পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঈদের পরের দিন এবং তার পরের দিন খোলা থাকবে জাতীয় জাদুঘর। শিশু কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীরা বিনা  টিকিটে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সকল শাখা জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারবে। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য জাতীয় জাদুঘর ও স্বাধীনতা জাদুঘর মিলনায়তনে ঈদের পরের দিন এবং তার পরের দিন বিনা টিকিটে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    এছাড়া জাতীয় জাদুঘর ও স্বাধীনতা জাদুঘর ভবন আলোকসজ্জিত করা হবে। শিশু কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হবে।

#

সামসুল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/রেজ্জাকুল/কামাল/২০১৬/১২২৫ ঘণ্টা   


তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯৬৮  
ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬-৩০ জুন ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও ১৬-১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    “আগামী ১৬-৩০ জুন ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ এবং ১৬-১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মেধার বিকাশ, অক্সিজেন ও মূল্যবান কাঠ সরবরাহ, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভা বর্ধনে ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম।
    বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অনায়াসেই আমাদের উর্বর মাটিতে নানারকম ফলের গাছ জন্মে। আমাদের রয়েছে ১৩০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী ফল। এসকল দেশি ফলে ভিটামিন ও খনিজ লবনের পরিমাণ বিদেশি ফলের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়, যা থেকে আমরা সহজেই দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি। দেশের উত্তরাঞ্চলের মত অন্যান্য অঞ্চলেও আম, লিচু ও অন্যান্য ফল চাষ করে আমরা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।
    বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। সেজন্য আমাদের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন অপ্রচলিত ফল আবাদের পাশাপাশি নারিকেল, তাল, খেজুর, কাঁঠাল এসবের আবাদ আরো বাড়াতে হবে। পরিবর্তিত জলবায়ুকে বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চল উপযোগী স্বল্পমেয়াদি, অধিক ফলনশীল ও লাগসই দেশীয় ফলের জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।    
    সারাবছর পর্যাপ্ত ফল উৎপাদন করার জন্য গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার ধারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ও শহরাঞ্চলে বাসভবনের ছাদে যতটা সম্ভব ফলদ বৃক্ষরোপণ করা যেতে পারে। ঐতিহ্যবাহী দেশি ফল ডেউয়া, চালতা, কাউ, করমচা, জাম, গোলাপজাম, ক্ষুদেজাম, তেঁতুল, বরই, লটকন, বিলিম্বি, গাব ইত্যাদি যাতে হারিয়ে না যায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, থাই জামরুল, এবাকাডো, মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি নতুন ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্যও সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
    আমি আশা করি, ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী আমাদের দেশি ফল চাষে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
    আমি ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ২০১৬ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।   
                                    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
      বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/নুসরাত/খাদীজা/গিয়াস/আসমা/২০১৬/১১০০ ঘণ্টা    
 

         তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯৬৭
ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬-৩০ জুন ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও ১৬-১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    “প্রতিবারের ন্যায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছরও জুন মাসে দেশব্যাপী ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
    সভ্যতার শুরু থেকেই ফলের বহুবিদ ব্যবহার সর্বজনবিদিত। ফল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ  লবনের সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলের ঔষধি গুণও যথেষ্ট। তাই দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ফলের কোনো জুড়ি নেই। আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। এখানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, আমড়া, লেবু, তাল, তরমুজ, আতা, কুল, কামরাঙা, সফেদা, নারিকেল, ডালিমসহ নানা জাতের ও স্বাদের ফল উৎপন্ন হয়। আজকাল বিদেশি ফল স্ট্রবেরি, আঙুর, কমলা, ম্যান্ডারিন দেশে চাষ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ফলদ বৃক্ষের রয়েছে অপরিসীম অবদান। তবে দেশীয় ফলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কীটনাশক ও প্রিজারভেটিভের অপরিকল্পিত ব্যবহার ইতোমধ্যে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই এ ব্যাপারেও সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিকল্পিতভাবে অপ্রচলিত বিভিন্ন দেশীয় ফলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে ফল উৎপাদন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
    পুষ্টির পাশাপাশি আয় ও কর্মসংস্থানে ফলদ বৃক্ষের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ নতুন প্রজন্মসহ আপামর জনগোষ্ঠীর কাছে ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় দেশীয় ফলের ভা-ার সম্পর্কে জানাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ দানাদার ফসলের ন্যায় ফল উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা করি।
    খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেশবাসীকে বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণের উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমি ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ ২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

হাসান/মোবাস্বেরা/নুসরাত/খাদীজা/গিয়াস/আসমা/২০১৬/১১০০ ঘণ্টা

Todays handout (10).doc