তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৬
জমকালো আয়োজনে পর্দা নামলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড। গত ৬ ডিসেম্বর ‘রেডি ফর টুমরো’ স্লোগানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় উৎসবের সফল পরিসমাপ্তি ঘটলো।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অভ্ ফেমে আজকের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তরুণদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আগামী বাজেটে ইন্টারনেটের উপর থেকে ভ্যাট কমানোর বিষয়টি অর্থমন্ত্রী বিবেচনায় রাখবেন বলে অনুষ্ঠানে জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ঢাকা শহরে অসংখ্য গাড়ি। এজন্য জ্যাম হয়। এটাকে বলে ডেভেলপমেন্ট পেইন। তবে বিদেশিরা যখন আসেন তখন এর মধ্যেই সম্ভাবনা খুঁজেন। বিদ্যমান অবস্থা থেকে উন্নয়নের নতুন ধারায় প্রবেশের ফল এটা। এসব পরিবর্তনই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ইঙ্গিত দেয় । যা আমাদের দেশকে বদলে দেবে। বাড়বে দেশের অর্থনীতির পরিধি।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, আমরা এবার সোফিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার কথা শুনেছি। তাই বলে কি আমরা নিজেরা সোফিয়ার মতো এমন রোবট তৈরি করব না? ইতোমধ্যে আমি ইনোভেশন জোনে বন্ধু নামের এক রোবটের সঙ্গে কথা বলেছি। তার বয়স মাত্র দুই সপ্তাহ। তাই ভালো করে কথা শেখেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সামনের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে নিজেদের তৈরি সোশ্যাল রোবট থাকবে। ইনশাল্লাহ আমরা সেটা পারব।
আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড জমকালো আয়োজনে শেষ হয়েছে। এতে ৫ লাখেরও বেশি দর্শনার্থী আমাদের আয়োজন স্বশরিরে উপভোগ করেছেন। অনলাইনে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থেকেছেন।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইটি ক্যারিয়ার-বিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে ছিল ডেভেলপার সম্মেলন।
এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠান, ৫০১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছিল। প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য প্রদর্শনীতে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপো, স্টার্টআপ জোন, কিডসজোন, মেড ইন বাংলাদেশ জোন এবং ইন্টারন্যাশনাল জোন ছিল। এছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রদর্শনী স্টল তাদের প্রযুক্তিপণ্য ও সেবা সম্পর্কে ধারণা উপস্থাপন করে।
এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মূল আয়োজক সরকারের আইসিটি ডিভিশন। সহযোগী ছিল বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, এটুআই।
প্রদর্শনী চলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এতে প্রবেশের জন্য আগতরা অনলাইনে নিবন্ধন করেন। স্পট নিবন্ধনের সুযোগও ছিল। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য মিলবে এই ওয়েবসাইটে িি.িফরমরঃধষড়িৎষফ.ড়ৎম.নফ:
#
নাসের/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/২২৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৫
জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৭ এবং জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৭’ এবং ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৭’ এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২১০১৭’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল করদাতাসহ ভ্যাট আহরণ ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ যথেষ্ট সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৭২ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নে ভ্যাট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আমরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে রাজস্বের গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবণ করে রাজস্ব নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রাজস¦ আইনসমূহ সংস্কার এবং প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সমগ্র কর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৬চ (চধঃৎরড়ঃরংস, চড়ষরঃরপধষ এঁরফধহপব, চবড়ঢ়ষব, চধৎঃহবৎংযরঢ়, চষধহহরহম ধহফ চবৎভড়ৎসধহপব) নীতি বাস্তবায়ন করে রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১’ বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নীতি প্রয়োগ করে সৎ ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা ও অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজস্ব বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ভ্যাট শিক্ষণ ফোরাম’ চালু করে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সর্বোাচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার ফলে রাজস¦ প্রদানে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং জাতির পিতার আজন্ম লালিত স¦প্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৭’ এবং ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৭’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আলমগীর/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/২২০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৩
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং -১ ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৮৮ জন পুরুষ, ১ হাজার ৭ শত ৯৫ জন নারী মিলে ২ হাজার ৯ শত ৮৩ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ৭০ জন পুরুষ, ১ হাজার ৪ শত ৫২ জন নারী মিলে ২ হাজার ৮ শত ২২ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৭ শত ২৩ জন পুরুষ, ৮ শত ৩৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫ শত ৫৮ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯ শত ২৮ জন পুরুষ, ৮ শত ৭৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৮ শত ৩ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৬ শত ৩০ জন পুরুষ, ৫ শত ৪২ জন নারী মিলে ১ হাজার ১ শত ৭২ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ২৭ জন পুরুষ, ৮ শত ৩৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৮ শত ৬৬ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৭ শত ৩৮ জন পুরুষ, ৭ শত ৫৮ জন নারী মিলে ১ হাজার ৪ শত ৯৬ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৭ শত জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯ শত ২৬ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩ শত ২০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩৩৫৪
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ১৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩১ ট্রাকের মাধ্যমে ৫৭ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৭ শত ২৩ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ শত ১৮ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ১৭ হাজার ৭ শত ৬৯ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার ৪ টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ২ হাজার ৯ শত ৬২ মেট্রিক টন চাল, ৮০ মেট্রিক টন ডাল, ৮৭ হাজার ৯ শত ৬৯ লিটার তেল, ৬১ মেট্রিক টন লবণ, ৭০ মেট্রিক টন চিনি, ২ হাজার ২ শত ৮ কেজি আটা, ৭২ হাজার ৬ শত ৭০ কেজি গুঁড়ো দুধ, ১৬ হাজার ১ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডিল কম্বল, ৫১১ টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত “অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা” নামক সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখার চলতি হিসাব নং ৩৩০২৪৬২৫ এ আজ পর্যন্ত ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার ৩ শত ৬ টাকা জমা রয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫২
বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে নতুন আইন হবে না
---আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের সব মানুষ স্বাধীন। সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। সেটা বিএনপির জন্যও সত্য। তারা যদি নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে বাংলাদেশের আইন মেনেই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। তাদের জন্য নতুন আইন করে নির্বাচনে আনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মন্ত্রী আজ ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চে দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদের দিয়ে গেছেন, সেই সংবিধানের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই নির্বাচন হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আর সরকারের দায়িত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে দলিল লেখকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নতির শিখরে উঠছে। সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি বলেন, দলিল লেখকদের ৬৫ বছরের দলিল লেখার বয়সসীমা আর থাকবে না। তাছাড়া দলিল লেখকরা যাতে যোগ্য পারিশ্রমিক পান সে ব্যাপারেও তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. নূর আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু, সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নজরুল ইসলাম বাবু, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক খান মো. আব্দুল মান্নান বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫১
শিক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়নের সোপান
---সমবায় প্রতিমন্ত্রী
গংগাচড়া (রংপুর), ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, শিক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম সোপান। বর্তমান সরকার শিক্ষার সকল স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পৃক্ত করে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৪ হাজার প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সুশিক্ষা ছাড়া কোন জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় আব্দুল গফুর চৌধুরী অজিতুন্নেছা মেমোরিয়াল স্কুলের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী বড়বিল ইউনিয়নের মাল্লিপাড়া নতুন জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণ চেংমারি শ্রী শ্রী কালিমন্দির সংস্কার কাজের উদ্বোধন ও গংগাচড়া হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
#
আহসান/সেলিম/শেফায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫০
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে
-- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তজ্ঞান চর্চাকে রুদ্ধ করে দেয় আর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশে যাতে আর কোন সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিগোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে ছাত্রদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। এদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর টিএন্ডটি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা চেতনাকে শানিত করে, বুদ্ধিকে প্রখর করে আর বিবেককে জাগ্রত করে। তাই একুশ শতকের পরিবর্তিত পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে হবে, যেখানে একদিকে গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন নিশ্চিত হবে অন্যদিকে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
#
তুহিন/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪৯
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এর পর থেকে মানবাধিকারের প্রতি জাতিসমূহের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকার ও সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সরকার দারিদ্র্যবিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ মানবাধিকার রক্ষায় দেশ ও দেশের বাইরে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ অনন্য নিদর্শন স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গড়ঃযবৎ ড়ভ ঐঁসধহরঃু’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে।
মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির। দেশের সকল নাগরিকের বিশেষ করে শিশু ও নারীর মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনগণের বিশেষত অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমি ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
হাসান/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/রেজাউল/২০১৭/১৬৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪৮
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অগণিত মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শোষিত, নির্যাতিত, মেহনতি মানুষের বন্ধু। তিনি আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বলেছিলেন ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে’। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করি। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করি। সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে ৪৮ জন জনবল প্রদান করেছে। কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কমিশন স¦াধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা স¦াধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছি। সংবিধান সংশোধন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছি। আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। ‘৭১ এর যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে শ্রমিক, শিশু, নারী অধিকার কনভেনশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল স¦াক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। সকল মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, সমধিকার, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে এবং উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আমি সরকারের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
আমি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/রেজাউল/২০১৭/১৬৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৪৭
জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৭ ও জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৭ পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৭’ ও ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৭’ পালন উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৭’ ও ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৭’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে দেশের সম্মানিত করদাতাগণসহ রাজস্ব আদায় ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
যেকোনো দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব একটি অপরিহার্য উপাদান। রাষ্ট্রের রাজস্ব ভা-ারকে সমৃদ্ধ করতে হলে মূসক (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও আয়কর যথাযথভাবে সংগৃহীত হওয়া প্রয়োজন। ভ্যাট প্রদানে জনগণকে উৎসাহীকরণ, ভ্যাট প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ, সময়োপযোগী রাজস্বনীতি প্রণয়ন এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজস্ব বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ভ্যাট শিক্ষণ ফোরাম’ ((ঠঅঞ ঊফঁপধঃরড়হ ঋড়ৎঁস-ঠঊঋ)) সংযোজন ও সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার ফলে রাজস্ব প্রদানে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে।
বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার বাস্তব ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। এর মাধ্যমে সুশাসন ও সমতাভিত্তিক উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এসকল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিপুল অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে যথাযথভাবে ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি সম্মানিত ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৭ ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৭ সফল হোক, এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/রেজাউল/২০১৭/১৬৪৮ ঘণ্টা