তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০৫
অর্থাভাবে কোন শিক্ষার্থী যেন শিক্ষা থেকে ছিটকে না পড়ে সেজন্য কাজ করছে সরকার
-- শিক্ষা উপমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
করোনাসহ বিভিন্ন সংকটে শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা থেকে ছিটকে না পড়ে সে কারণেই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
উপমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে ২০২২ সালের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে অভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব নাসরীন আফরোজ। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপবৃত্তি পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো, সার্বিকভাবে কারিগরি ও কর্মভিত্তিক শিক্ষা প্রচলন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অন্যতম দিক হচ্ছে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা আর্থিক ও পারিবারিকভাবে শিক্ষায় ব্যয় বহন করতে পারছেন না সেসব পরিবারের শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই শিক্ষা থেকে বিচ্যুত না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষাজীবন থেকে ছিটেকে না পড়ে সে জন্য আজ এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো। শিক্ষার্থীদের জন্য এই সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি আশীর্বাদ। সেটি যেন সব শিক্ষার্থী মনে রাখে যে রাষ্ট্র যেভাবে পাশে এসেছে শিক্ষার্থীরাও যেন রাষ্ট্রের পাশে থাকে। সমাজের প্রয়োজনে অন্যের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরাও যেন পাশে থাকে।
অনুষ্ঠানে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অর্থ বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৫০ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ৭৪ কোটি ৮২ লাখ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করতে ৫০৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ভর্তি সহায়তা হিসেবে ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়।
#
খায়ের/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২২৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০৪
রাষ্ট্রপতির সাথে ১৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ১৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্যগণ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়সহ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ায় উপাচার্যগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। তিনি বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চাহিদাভিত্তিক নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি সকল স্তরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০৩
যেকোনো দুর্যোগের সর্বশেষ তথ্য জানতে টেলিফোনে যোগাযোগের আহ্বান
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগের সর্বশেষ তথ্য জানতে (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি)-এর টেলিফোন নম্বর ০২-৯৫৪৫১১৫, ০২-৯৫৪৯১১৬ এবং ০১৯১১৩৮৭৭২৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এনডিআরসিসি সারা বছর দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে ।
#
সেলিম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০২
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনামূলক বাজার দর
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির এক সভা সম্প্রতি ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আন্তর্জাতিক মূল্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার দর আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম রয়েছে যা বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে পর্যালোচনার দাবি রাখে। যেমন: গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি মেট্রিকটন ১ হাজার ৩৬৫ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে পরিশোধিত খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটার ছিল ১৫৫ টাকা যা মে মাসে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ টাকায়। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ শতাংশ।
গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ছিল প্রতি মেট্রিকটন ১ হাজার ৩৪৩ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে পরিশোধিত খোলা পাম তেলের লিটার ছিল ১৩৫ টাকা যা মে মাসে দাঁড়িয়েছে ১৭৩ টাকায়। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ শতাংশ।
গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ শতাংশ সিদ্ধ মোটা চালের দাম ছিল প্রতি মেট্রিকটন ৪২৩ দশমিক ৫ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৭৪ দশমিক ৭৫ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ছিল ৪৮ টাকা যা মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে মোটা চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ শতাংশ।
গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে হার্ড গমের দাম ছিল প্রতি মেট্রিকটন ৩৫৮ দশমিক ৫৭ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ৫১০ দশমিক ৮৮ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে আটার দাম ছিল প্রতি কেজি ৪২ টাকা যা মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকায়। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে আটার মূল্য বৃদ্ধি পেছেয় ৩০ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ শতাংশ।
গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপারিশোধিত চিনির দাম ছিল প্রতি মেট্রিকটন ৪০২ দশমিক ৬২ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ৪২৮ দশমিক ৪২ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে পরিশোধিত চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ৭৬ টাকা যা মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ শতাংশ।
গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৮১ দশমিক ৫৯ ডলার যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১০৯ দশমিক ৭২ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে বাজারে ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেল ছিল ৮০ টাকা যা মে মাসে বাজার মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে, স্থানীয় বাজারে কোন মূল্য বৃদ্ধি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজার দর রয়টার্স এবং স্থানীয় বাজার দর টিসিবির গড় মূল্য বিবেচনা করা হয়েছে।
#
নূরুল হক/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২১১৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০১
আগামীকাল থেকে সারা দেশে রাত ৮ টার পর দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে না
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে সারা দেশে রাত ৮ টার পর দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে না।
আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করার জন্য সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ কঠোরভাবে প্রতিপালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআইসহ সকল ব্যবসায়ী সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারের এ উদ্যোগ সর্বসম্মত মেনে নিয়েছেন। তবে দোকান মালিক সমিতি আগামী ১জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি চান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের অনুরোধ বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১১৪ এর উপধারা ৩ এ বলা হয়েছে ‘কোনো দোকান, কোনো দিন রাত্রি আট ঘটিকার পর খোলা রাখা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো গ্রাহক যদি উক্ত সময়ে কেনা-কাটার জন্য দোকানে থাকেন তাহা হইলে উক্ত সময়ের অব্যবহতি আধাঘন্টা পর পর্যন্ত উক্ত গ্রাহককে কেনা কাটার সুযোগ দেওয়া যাইবে’। ১১৪ এর উপধারা (১)এ বলা হয়েছে প্রত্যেক দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতি সপ্তাহে অন্তত দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকিবে। (২) কোনো এলাকায় উক্তরূপ কোন প্রতিষ্ঠান কোন্ দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকিবে তাহা প্রধান পরিদর্শক স্থির করিয়া দিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, প্রধান পরিদর্শক সময় সময় জনস্বার্থে উক্তরূপ নির্ধারিত দিন কোনো এলাকার জন্য পূণঃনির্ধারিত করিতে পারিবেন।
তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে না, যথা: ‘(ক) ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমান বন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস; (খ) প্রধানত: তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেষ্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান; (গ) প্রধানত: ঔষধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান; (ঘ) দাফন ও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান; (ঙ) প্রধানত: তামাক, সিগার, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসিয়া খাওয়ার জন্য [হালকা] নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান; (চ) খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ীর সার্ভিস ষ্টেশন; (ছ) নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান; (জ) যে কোনো ময়লা নিস্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা; (ঝ) যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যাহা জনগণকে শক্তি, আলো অথবা পানি সরবরাহ করে; তবে শর্ত থাকে যে, একই দোকানে অথবা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে যদি একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয় এবং উহাদের (ঞ) ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরা, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটারঃ অধিকাংশ তাহাদের প্রকৃতির কারণে এই ধারার অধীন অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য তাহা হইলে সমগ্র দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে উক্তরূপ অব্যাহতি প্রযোজ্য হইবে’।
সভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ নূর কুতুব আলম মান্নানসহ বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, দপ্তর- সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫০০
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জন্য আরো এক কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ৫০ লাখ টাকা করে আরো এক কোটি টাকা, দুইশত মেট্রিক টন করে মোট ৪ শত মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয় ।
এর আগে দেশের ১১টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৭ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন চাল, দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং ৫৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সিলেট জেলায় এক হাজার মেট্রিকটন চাল,এক কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। সুনামগঞ্জ জেলায় ৫২০ মেট্রিক টন চাল, ৯৮ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। নেত্রকোনা জেলায় একশত মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। রংপুর জেলায় তিন হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। নীলফামারী জেলায় ৫ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। কুড়িগ্রাম জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং এক হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। হবিগঞ্জ জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। মৌলভীবাজার জেলায় একশত মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। শেরপুর জেলায় ১০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। জামালপুর জেলায় ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট।
বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ শুধুমাত্র আপৎকালীন সময়ে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে।
#
সেলিম/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৯
খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্নতায় কৃষিজমি রক্ষা করুন
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবিদদের নানা উদ্ভাবন ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শুধু পৃথিবীকে নয়, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এই নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে দেশে কৃষিজমি রক্ষা একান্ত প্রয়োজন।’
আজ রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেশে এক শতাংশ কৃষি জমি কমে যায়। এভাবে প্রতি বছর যদি দুই লাখ একর কৃষি জমি হারিয়ে যায়, তাহলে শেষ নাগাদ এই দেশে আর কৃষি জমি থাকবে না। ২০ বছর পর বাংলাদেশে লোকসংখ্যা আরো ৪ কোটি বৃদ্ধি পাবে আর ৪০ লাখ একর কৃষি জমি কমে যাবে। তখন বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার কি হবে সেজন্য জনসচেতনতা যেমন দরকার একইসাথে যারা এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন তাদের এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায় স্বাগত বক্তব্য দেন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস এম এ সাত্তার মন্ডল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আমার কাছে যখন চট্টগ্রামের কোনো রাস্তা আরো প্রশস্ত করার প্রস্তাব আসে তখন আমি সেখানে যে অনেক কৃষি জমি নষ্ট হবে, পাহাড়-বন কাটতে হবে, পরিবেশ-প্রকৃতি সম্পর্কে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সত্যিকার অর্থে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রয়োজন নির্ধারণ করতে বলি। একইসাথে এখন কৃষি শ্রমিকের যে মজুরি তা দিয়ে কৃষিতে খুব বেশি লাভ থাকে না বলে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। কৃষিকে পূর্ণ যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনাবাদি জমিতে আবাদ করা গেলে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে জনগণ ও এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।’
পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে আয়তনের দিক দিয়ে ৯২তম বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষিজমির দেশ। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এ দেশের নিত্যসঙ্গী। এ সমস্ত কারণে এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাভাবিকভাবেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা ধান ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম। গণমাধ্যম মানুষকে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। মানুষের জীবনের সাথে মিশে থাকা কৃষির এ বিষয়গুলো যদি তারা আরো বেশি তুলে ধরে তাহলে দেশ উপকৃত হবে, খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সহজ হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন মাঠে ব্যাপক পরিমাণে কোনো ফসল নেই। এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। সেজন্য ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ফলে এ বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।
-২-
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবে না। সারা দেশে খুব বেশি বীজতলা করা হয়নি এখনো। যা হয়েছে সেটাও নষ্ট হলে খুব সমস্যা হবে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিত আছে, পরবর্তীতে সেগুলো চাষিদের দেওয়া হবে। তবে আউশের ক্ষতি একটু বেশি হতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন ১১ লাখ হেক্টর আউশের লক্ষ্য ছিল, এর মধ্যে ২২ হাজার হেক্টর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন শাকসবজি আছে, সেগুলোর কিছু ক্ষতি হবে।
তবে এজন্য আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছি, যদি বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে, জানান কৃষিমন্ত্রী।
চ্যানেল আই পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠের চিফ রির্পোর্টার কাউসার রহমান ও দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম ইফতেখার মাহমুদ আলোচনায় অংশ নেন।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বকালে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিব মোঃ মকবুল হোসেনের পরিচালনায় অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ ও খাদিজা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৮
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে পুনরায় নিয়োগ পেলেন ইহসানুল করিম
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তা ইহসানুল করিমকে তাঁর পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এবং অনুরূপ শর্তে ১৮ জুন ২০২২ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে সরকারের সচিব পদমর্যাদা ও বেতনক্রমে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে।
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
রফিকুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৯২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৭
যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল আজহা
উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা
উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহ, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকায় ঈদের দিন সকাল ৮ ঘটিকায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষ্যে সরকারি/বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যনার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ণপূর্বক পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দেশের সকল হাসপাতালও কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকিটে ঢাকা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
কুরবানি পরবর্তী কুরবানিকৃত পশুর বর্জ্য পদার্থ অপসারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়, কুরবানিকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্ববর্তী জুমার খুৎবায় এ বিষয়ে মুসুল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল আউয়াল হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
#
আনোয়ার/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৬
নদী রক্ষায় যত আইন প্রণয়ন হয়েছে; তার সবগুলোই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে
-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত&