Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৮ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২০৭ 

 

দুর্গাপূজা হলো সাম্যের প্রতীক ও মৈত্রীর প্রতীক

                                  -- পার্বত্য উপদেষ্টা

 

খাগড়াছড়ি, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর): 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, দুর্গাপূজা হলো সাম্যের প্রতীক ও মৈত্রীর প্রতীক। দুর্গাপূজা শুধু সনাতনী সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন বাংলাদেশের মানুষের সর্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনায় শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হয়।

 

আজ খাগড়াছড়ি শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ন মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মাতৃ সম্মেলন ও বস্ত্র দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশ আমাদের সকলের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে সকলের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকল ধর্মের মানুষকে তাঁর ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান।

 

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রেজুয়ান/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২০৬ 

 

পনেরো বছরের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার হবে না

                        -- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর): 

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, জলাবদ্ধতা ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ক্রমান্বয়ে কিছু কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় আজ সভা আহ্বান করেছে। ধাপে ধাপে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। তিনি আরো বলেন, পনেরো বছরের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার হবে না।

 

আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার নিরসনকল্পে প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বা মন্ত্রণালয়ের যে অভিজ্ঞতা সেটার মধ্যে সীমাবন্ধ না থেকে, এই বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন এবং জলাবদ্ধতার উপর লেখালেখি আছে ও গবেষণা আছে তাদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের কথা আমরা শুনবো, তাদের বিজ্ঞ মতামত আমরা গ্রহণ করবো। সেটাকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। জলাবদ্ধতা দূর না হলে বুঝবো জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের মুভমেন্ট কমে যাচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অসুখ বিসুখ হচ্ছে। তাই জলাবদ্ধতা দূর করা একান্ত জরুরি। শহরের মধ্যে কেন পানি থাকবে যেখানে এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গলদটা কোথায় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

            হাসান আরিফ জানান, শুধু মন্ত্রণালয়ের একমুখী উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে। নর্দমায় প্লাস্টিকের বোতল, ওয়ানটাইম কাপ, পলিথিনের ব্যাগ এবং ডাবের খোসা মন্ত্রণালয় গিয়ে ফেলে আসে না, জনগণ ফেলে। জনসাধারণ সচেতন না হলে মন্ত্রণালয় এক কোটি পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়েও নর্দমায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে না। নাগরিকদের  মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞজন উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৩৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২০৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে

                                        --  নৌপরিবহন উপদেষ্টা

 

চট্টগ্রাম, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর): 

 

চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম পোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফলাইন। এ পোর্ট যদি না চলে এবং অব্যবস্থাপনা দূর না হয় তাহলে আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইনে অসুবিধা হবে। সে কারণে  গত তিন দিন যাবৎ এ পোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম পরিদর্শন  করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরের কাজ ম্যানুয়ালি থেকে অটোমেশন করা হলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় আরো কমে যাবে।

 

আজ চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরি কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখানে বিনিয়োগ করার জন্য অনেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছে। আমাদের দিন দিন আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। এখানে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ড-সহ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের ভেতরের অরাজকতা বন্ধ করা গেলে আমরা আরো বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।

 

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বন্দরের দুর্নীতি থাকলে অবশ্যই বলবেন। এখানে অনেক অনিয়ম রয়েছে। বন্দরের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করা হবে। তিনি আরো বলেন, এ বন্দরকে জঞ্জালমুক্ত করতে হবে। আর এটি যেন কুইক রেসপন্স করতে পারে সেজন্য কাজ করতে হবে। টেন্ডার এখন আর ডিপিএম পদ্ধতিতে হবে না। এখন ওপেন দরপত্র আহ্বান করা হবে। সেটা আবার আমরা রিভিউ করব।

 

এছাড়া উপদেষ্টা পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়ার চর, বেটার্মিনালের প্রকল্প এলাকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক-সহ বন্দরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আরিফ/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৩৫ ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                             Number: 1204

Government and Media Must Work Together to Combat Air, Water, and Noise Pollution
                                                                                                     -- Environment Advisor

Dhaka, October 8:

Environment, Forest and Climate Change Advisor Syeda Rizwana Hasan emphasized the need for the government, media, and the public to work collectively to combat air, water, and noise pollution, as well as to address the adverse effects of climate change. She stated, The government has taken various steps to protect the environment. However, enforcing laws alone is not enough to control pollution. Public participation is crucial. She also urged journalists to play a more active role in raising public awareness about pollution control.

The environment advisor made these remarks during a discussion with members of the Bangladesh Climate Change Journalists Forum held at the Ministry’s conference room in Dhaka today.

Rizwana Hasan further mentioned that tackling the impacts of climate change requires a united effort. While the government is focused on controlling air and noise pollution, she stressed that successful implementation depends on increasing public awareness. ‘We want people to adopt environmentally friendly lifestyles. Every step matters,’ she added.

Kawsar Rahman, President of the forum suggested strengthening the negotiation team for climate conferences and forming a permanent negotiator team. He also emphasized stricter enforcement of laws to control pollution. Forum Secretary General Motahar Hossain proposed the proper utilization of ministry project funds and called for action to prevent water pollution, air pollution, deforestation, and hill cutting.

The meeting was attended by the ministry’s secretary, additional secretary, joint secretaries, senior officials, and forum members.

#

 

Dipankar/Rana/Ferdous/Salim/2024/19.30 Hrs.
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর:  ১২০৩

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে

                                             -- পার্বত্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর): 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দুস্কৃতকারী। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে খবরাখবর নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আজ দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সরকারের কাছে পাহাড়ে চাঁদাবাজি চলছে বলে অনেক অভিযোগ আছে। যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনি কাঠামোর আওতায় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মূল ধারার রাজনীতির সাথে সাথে বেশ কিছু আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। সকল আঞ্চলিক সংগঠনকে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সাজেকে এসে ট্যুরস্টিরা আটকে যাচ্ছেন, তা কারও জন্য সুখকর নয়। কারণ পর্যটকরা পার্বত্য এলাকার না, এধরনের সহিংসতা বন্ধ না হলে পার্বত্য এলাকায় আগত ট্যুরিস্টরা বিকল্প পথ চিন্তা করতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পর্যটকরা যাতে পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণ করতে পারেন এ বিষয়ে ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দীঘিনালা উপজেলায় সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৬টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি হারে চাল ও নগদ ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা এবং ভাংচুর করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা প্রমুখ।

#

রেজুয়ান/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৪৫ ঘণ্টা

  

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১২০২

পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার ও গণমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে

                                                                               -- পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর): 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও পানি দূষণ অর্থাৎ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার, গণমাধ্যম এবং জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে শুধু আইনের প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদের আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনোযোগ রয়েছে কিন্তু সচেতনতা ছাড়া সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, সরকার চায় মানুষ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন শুরু করুক। তাই প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ।

ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান জলবায়ু সম্মেলনে নিগোশিয়েশন টিম শক্তিশালী করা এবং স্থায়ী নিগোশিয়েটর টিম তৈরির পরামর্শ দেন। এছাড়া, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগের কথাও বলেন তিনি। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয়ের প্রস্তাব করেন এবং পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, বন উজাড় ও পাহাড় কর্তন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফোরামের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১২০১

 

 

তৃণমূল মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে হবে

                                                     --- ভূমি উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর):

          ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় কাক্সিক্ষত ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে হবে। ভূমি সেবা কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষত গ্রামীণ জনপদের মানুষের মধ্যে আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূমি নামজারি, ভূমি কর পরিশোধ ও হোল্ডিং নম্বর প্রাপ্তির ভয়-ভীতি ও সংশয় দূর হবে বলে তিনি জানান।

          আজ ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কর্মসূচি স্বয়ংক্রিয় ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (এলামস) এবং ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, একটি শ্রেণি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দখলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু মামলার নোটিশ মন্ত্রণালয় যথাসময়ে না পাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন। প্রবাসীগণ দেশে জমি কিনে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেন। তাদের জায়গা-জমি প্রায়ই মামলাবাজরা দখল করে হয়রানি করে থাকে। তিনি প্রবাসীদের ভূমি সেবাদান কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সহায়তাদানের নির্দেশনা দেন।

          ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ, মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী ও মাইসফ্ট হেভেন (বিডি) লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোফাখ্খারুল ইসলাম।

#

আহসান/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১২০০

 

কৃষির উন্নতির জন্য কাজ করছে সরকার

                             ---কৃষি উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর):

          কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষকের উন্নতি না হলে কৃষির উন্নতি হবে না। আর কৃষির উন্নতি না হলে দেশের উন্নতি হবে না। কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে।

          আজ উপদেষ্টা গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭ কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি বাড়েনি। এই জমিতে দেশের সতের কোটিরও বেশি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে এই কৃষিখাত। এ খাতের যথাযথ মূল্যায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

          সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষকদের মাঝে বীজ, চারা এবং নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে। যে সব জায়গায় ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেখানে অন্য জায়গা থেকে আমনের চারা উৎপাদন করে দেওয়া হয়েছে। ২২ তারিখের পর আমন ধান আর বপন করা যাবে না । সেসব জাগায় সরিষাসহ অন্যান্য ফসল কীভাবে চাষাবাদ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

          বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় খুব শিগগিরই বাজার একটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।

          আসন্ন দুর্গা পূজা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবারতো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবার বাড়তি র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও এয়ারফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।

          এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকড. মোঃ আব্দুল্লাহ ইউছুব আকন্দ, জেলা প্রাশাসক নাফিসা আরিফীন, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, উপদেষ্টা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (এসসিএ) পরিদর্শন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

          আজ স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা গাজীপুরের জয়দেবপুর বাজারস্থ শ্রী শ্রী কৃপাময়ী কালি মন্দির পরিদর্শন করেন।

#

জাকির/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা

  

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১১৯৯

 

ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালি দূতাবাসের

                                                                        --- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর):

          ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা আবেদন নিষ্পত্তি করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক ভিসা আবেদন আটকে আছে। ২০ হাজার ভিসা কেস রোম থেকে ক্লিয়ার্ড হয়েছে। সে ভিসাগুলো দেওয়ার অগ্রগতি খুব কম। ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভিসাগুলো দিয়ে দেবেন। এছাড়া ইতালি দূতাবাস অতিরিক্ত ২-৩ জন কর্মকর্তা নিয়ে আসবে, তাঁরা আসলে কাজের গতি বাড়বে।

          আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।

          ইতালি দূতাবাসে প্রায় ৪০ হাজার আবেদন জমা আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষারত ইতালির ওয়ার্ক ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে ভিসা ইস্যুকরণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের নানাবিধ ভোগান্তি-সহ এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাঁরা।

          পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিনিধিদলকে মিছিল-মিটিং ও ঘেরাও কর্মসূচি না করার জন্য বলেছি। এগুলো করলে ভিসা প্রত্যাশীদের কোনো লাভ হবে না, দেশেরও কোনো লাভ হবে না। কারণ, তারা যদি ভয় পায়, তাহলে বরং আরো অফিসার চলে যাবে। দেখা যাবে, ভিসা ইস্যু হচ্ছেই না। তিনি বলেন, আমরা ইতালি দূতাবাসকে চাপ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার। ভিসা কেন দেওয়া হয়েছে বা দেওয়া হয়নি, সেটা আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি না।

          বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসেছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো তথ্য আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি। কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি।

          ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য  এবং নেতারা ট্র্যাভেল পাস নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে ট্র্যাভেল পাস ইস্যু করবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মিশন ট্র্যাভেল পাস ইস্যু করতে পারে শুধু দেশে ফেরার জন্য, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়। অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়ে। আদালত চাইলে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ।

           লেবানন থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে  উপদেষ্টা বলেন, লেবানন থেকে যারা ফিরে আসতে চান, তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের বলা হয়েছে ওয়ার জোন থেকে তারা যেন একটু উত্তরে সরে যায়। আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) অনুরোধ করেছি, তারা যেন ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেয়, যাতে তারা দেশে চলে আসতে পারেন।

#

কামরুল/রানা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ১১৯৮

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর):

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ১৩১ জন।

#

 

দাউদ/মেহেদী/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৭৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১১৯৭

 

খাদ্য নিরপাদ করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

টাঙ্গাইল,মঙ্গলবার, ২৩শে  আশ্বিন (৮ই অক্টোবর):

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার  বলেছেন, খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়ে মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যা খাই সবজি, ফল বা মাছ- মাংস এর মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রোগীদের  অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছে না।

 

উপদেষ্টা আজ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ হল রুমে পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, খামারিরা কোম্পানি থেকে মাছ-মুরগির খাদ্য না কিনে নিজেরা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করলে এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর যেকোনো প্রয়োজনে খামারিদের পাশে থাকবে।

 

খামারিরা মুরগির খাদ্যের মূল্য ও মুরগির বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে অবগত করলে উপদেষ্টা  বলেন, আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং  এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না।

 

উপদেষ্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, নদী-নালা-খাল-বিল ভরাট হলে কিভাবে কাজ করা যাবে? এগুলো বাঁচাতে প্রয়োজনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করবে মর্মে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। উপদেষ্টা অবৈধভাবে নদী-নালা-খাল-বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্হানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর ফলে নারীরা অনেকক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

 

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম।

 

এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ পঞ্চাশ জন প্রাণিসম্পদ খামারি ও চল্লিশ জন মৎস্য খামারি উপস্থিত ছিলেন।

 

#

মামুন/ফাতেমা/নাবিল/কলি/মাসুম/২০২৪/১৬২২ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১১৯৬

গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দায়েরের সময় বৃদ্ধি

ঢাকা, ২৩ আশ্বিন (৮ অক্টোবর):     

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারিতে অভিযোগ দায়েরের সময়সীমা ১০ অক্টোবর, ২০২৪ থেকে আগামী ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এসময়ের মধ্যে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় ভিকটিম নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যেকোনো ব্যক্তি সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ডাকযোগে অথবা ই- মেইলেও অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ জানানোর ঠিকানা-

2024-10-08-16-31-347d76a50fe10c6c944b689164281ae5.docx