Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৪ জানুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর : ৩০২

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়

                                                                               -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। তিনি বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন হয়েছে মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান ’৬৯ স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, ’৬৯ এর আন্দোলন দমাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়, মামলায় বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করা হয়। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে তোলে। পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউশনের ছাত্র মতিউর রহমান। এর আগে ২০ জানুয়ারি শহিদ হন আসাদুজ্জামান। শহিদ আসদুজ্জামানের আত্মদানের পর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।

          আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় প্রধান অভিযুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব- মোনায়েমের স্বৈরতন্ত্রের। তিনি বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও বাংলাদেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

#

এনায়েত/পাশা/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২২৫০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                            Number :  301

Omani new CDA paid a courtesy call on with the State

Minister for Foreign Affairs and Foreign Secretary

 

Dhaka, 24 January :

            Abdul Ghaffar Bin Abdul Karim Al- Bulushi- Oman’s newly appointed Charge d’ Affaires (CDA) at the Embassy of the Sultanate of Oman in Dhaka met Masud Bin Momen, Foreign Secretary and the Md. Shahriar Alam, State Minister for Foreign Affairs at the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka today.  Earlier the CDA presented his letter of credence to the Foreign Minister yesterday.  

            The State Minister welcomed and congratulated the CDA as the new envoy of Oman to Bangladesh.  The CDA expressed his gratitude for the kind support and assistance extended to him from the Ministry of Foreign Affairs, Dhaka.  

            During the call on, the State Minister appreciated the independent and balanced foreign policy roles in Oman in the regional and global affairs. He also appreciated the Omani leadership and people in hosting a good number of Bangladeshi workers in households and businesses.  Echoing the same feeling about the Bangladeshi workforce, the CDA appreciated their roles in the infrastructure building and development projects; thus contributing to the economic development of Oman. The CDA emphasized that the boost in trade area needs a B2B interaction and exchange of visit among business community. He stated that both sides could explore the possibility of forming a ‘Bangladesh-Oman Business Forum’ to explore and strengthen business cooperation between the two countries. 

            Prior to the meeting with the State Minister, the CDA paid a courtesy call on with the Foreign Secretary (Senior Secretary) at his office. During the meeting, they exchanged views on the means and ways of consolidating and expanding the bilateral ties to new areas of cooperation from the single manpower-dominated focus. Foreign Secretary urged the CDA to consider emerging areas of cooperation like agriculture and food security, blue economy and enhanced trade between the two countries, IT and Climate Change. The CDA apprised the Foreign Secretary that Bangladesh may focus on sending skilled workforce like engineers, doctors, nurses, care-givers etc. to keep up the manpower market in Oman. 

            State Minister and Foreign Secretary assured him of all possible cooperation during the discharge of his duties.

#

Mohsin/Pasha/Sahela/Sanjib/Joynul/2022/1900 hours
তথ্যবিবরণী                                                                                                                                      নম্বর : ৩০০

১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে নির্মিত হবে বিশ্বমানের শিপইয়ার্ড

 

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দরের সন্নিকটে একটি আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা (শিপইয়ার্ড) স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য যৌথভাবে ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেন্টিয়াম সলিউশনস্ (Gentium Solutions) এবং ডাচ প্রতিষ্ঠান ডামেন শিপইয়ার্ডস গ্রুপ (Damen Shipyards Group)। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে এটিই হবে সর্বোচ্চ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI)।

আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে মতিঝিলে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে জেন্টিয়াম সলিউশনস্ এর উপদেষ্টা বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব মোঃ কায়কোবাদ হোসেন এবং ডামেন গ্রুপের নেভাল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন পরিচালক ইফ ভ্যান ডেন ব্রোয়েক (Eef van den Broek) ও ডামেন শিপইয়ার্ডস এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক রাবিয়েন বাহাদুয়ের (Rabien Bahadoer) এ বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি) এবং জেন্টিয়াম ও ডামেন এর মধ্যে ইতোপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় "Feasibility Study for Developing a World Class Shipbuilding and Ship Repair Facility (WCSBF) in the Patuakhali District of Bangladesh" শীর্ষক সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট শিল্পমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন ও হস্তান্তর করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, জেন্টিয়ামের সহ-উপদেষ্টা অতিরিক্ত সচিব (অব:) ড. সাইদুর রহমান সেলিম, জেন্টিয়ামের কারিগরি প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আরিফ আহমেদ চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফায়েজুল আমীন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে ‘জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামত শিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসইসি পায়রা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় জমির সংস্থান করবে এবং বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপনে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহেযোগিতা করবে। 

 উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় একটি জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একটি প্রকল্প। ২০১৪ সালে পটুয়াখালী সফরের সময় তিনি এখানে একটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের ঘোষণা দেন। শিল্প মন্ত্রণালয় এটিকে তাদের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। এ সময় সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেন্টিয়াম সলিউশনস্ (Gentium Solutions) এবং ডাচ প্রতিষ্ঠান ডামেন শিপইয়ার্ডস গ্রুপ (Damen Shipyards Group) বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসলে কোম্পানি দু’টির সাথে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সাক্ষাৎকালে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে প্রতিনিধিবৃন্দ জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রথম পর্যায়ে আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রায় দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবে এ শিপইয়ার্ড দেশে ব্যবহারের জন্য এবং দেশের বাইরে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উচ্চমানের জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।

#

মাহমুদুল/পাশা/সাহেলা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                      নম্বর : ২৯৯

প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না, মাঠে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে

                                                                                                 -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

            প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বসে না থেকে, তা দ্রুত মাঠে ছড়িয়ে দিয়ে কৃষকের নিকট জনপ্রিয় করতে বিজ্ঞানী, গবেষক, সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সম্প্রতি ধানসহ বিভিন্ন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। যেমন:  ব্রি উদ্ভাবিত ৮৯ ও ৯২ বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় ১ মণ। বিনা-১১ আমনের স্বল্পজীবনকালের ধান উদ্ভাবন করেছে। ফলে আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝের সময়ে সরিষা আবাদ সম্ভব হচ্ছে, এটি একটি অতিরিক্ত ফসল ও নতুন শস্যবিন্যাস। লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন হয়েছে। উপকূলে প্রায় দুই মিলিয়ন হেক্টর লবণাক্ত জমি রয়েছে। সেখানে লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের চাষ করে বছরে দুইটি ফসল করা সম্ভব।

            আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিএআরসির অধীন এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের যাচাই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            ক্রাশ প্রোগ্রাম বা সময়াবদ্ধ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এসব জাত ও প্রযুক্তিকে মাঠে ছড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী বোরো, আউশ, আমন মৌসুমে দেশের কোথায়, কতটুকু জমিতে আবাদ করা যাবে, দ্রুত তা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আমরা এবার বোরোতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এবং আমনে বিনা-১১ দেশের কৃষকেরা যা উৎপাদন করবে সবটুকু বীজ হিসেবে কিনে নেব, যাতে বীজ সংকট না হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে। প্রয়োজনে নতুন জাত ও শস্যবিন্যাস গ্রহণকারী চাষিদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হবে, সারের দাম আরো কমিয়ে দেয়া হবে। যেভাবে সম্ভব আপনারা প্রযুক্তিকে কৃষকের কাছে নিয়ে যান ও কৃষকদেরকে উৎসাহিত করুন।

            ধান উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে চালের সরকারি মজুতও সর্বকালের সর্বোচ্চ। তারপরও চালের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে সরু চালের দাম। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে, দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এসব মিলে চালের চাহিদা ও কনজামপশন দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায়, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে টেকসই করতে হলে নতুন উদ্ভাবিত ধানের উন্নত জাত ও প্রযুক্তিকে মাঠে ছড়িয়ে দিয়ে আরো বেশি ধান-চাল উৎপাদন করতে হবে।

            কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বক্তব্য রাখেন। বিএআরসির অধীন এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় ৪১টি প্রযুক্তি নির্বাচন করা হয়।

ইসি গঠনের জন্য আইন প্রণয়নে গঠনমূলক মতামত দিন-বুদ্ধিজীবীদেরকে কৃষিমন্ত্রী

            কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ৫০ বছর নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য কোন আইন ছিল না। বর্তমান সরকার সেই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অথচ একদল বুদ্ধিজীবী- বিশেষজ্ঞ বলছে তড়িঘড়ি করে আইন করলে ভালো হবে না। আমি তাদের বলব, আইনের দুর্বলতা কোথায়, সমস্যা কোথায়-সেটি আপনারা দ্রুত বের করেন ও তুলে ধরেন। সময় কম-এ অজুহাত না দিয়ে আইন প্রণয়নে গঠনমূলক মতামত প্রদান করুন।

             ড. রাজ্জাক আরো বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সবসময়ই ষড়যন্ত্র চলমান আছে। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তি এখনও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র, অকার্যকর রাষ্ট্র করতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ভবিষ্যতেও আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখব। 

#

কামরুল/পাশা/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ২৯৮

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৮২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময় ৪৫ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫ জন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ২৩৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

 

#

 

কবীর/পাশা/সাহেলা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৯৭

 

ইসি গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুলকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে

          --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

 

‘নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয়’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

 

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। এসময় ইসি গঠন আইনের খসড়া নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যা দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেখানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও পঞ্চাশ বছরে সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসেছিলেন এবং বেশিরভাগ দলই বলেছিলো সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে যাতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।  

 

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, টকশো এবং অন্যান্য জায়গায় তারা বলেছিলো আইন করতে সময় লাগে না, দু’দিনেই করা যায়, দেশে অনেক কিছুই প্রয়োজনের নিরিখে হয়েছে এটি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, এজন্য তারা আইন করতে তাগাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে যখন আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তখন তারা বিরোধিতা করছে। আইন কিন্তু এখনো হয়নি, প্রস্তাবনাটি সংসদে উঠেছে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিফ করেছেন, বিএনপি’র প্রতিনিধিদের পক্ষেও ব্রিফ করা হয়েছে এবং আইনের খসড়ায় তারা যে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করেছিলেন তার অনেক কিছুই গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটি বলেছে। অর্থাৎ সবাইকে সাথে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করা হচ্ছে।’ 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না, যদি তিনমাস সময় নিয়ে আইন করা হয় এরপরও বিএনপি খুশি হবে না। বিএনপি খুশি হবে যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়া তাদের খুশি হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’ 

 

‘সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বদিউল আলম মজুমদার সাহেব, শাহদীন মালিক সাহেবসহ বেশ কয়েকজন আমাদের আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করে এ আইন করার তাগাদা দিয়েছিলেন, একটি রূপরেখাও হস্তান্তর করেছিলেন এবং তখন তারা এই পরামর্শও দিয়েছিলেন আইন করতে যদি তাড়াহুড়ো হয়, রাষ্ট্রপতির অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে অন্তত আইনটি করা হোক, দেশে দুই দিনেও আইন হয়েছে, সুতরাং চাইলে একদিনেও পারা যায়’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আজকে যখন ভালো উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে তখন যারা আইনমন্ত্রীকে সে কথা বলে এসেছিলেন তারা এখন আবার দেখলাম একটি অনলাইন মিটিংয়ে বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। নিজেরা যে অবস্থানে ছিলেন, নিজেরা যে দাবি দিয়েছিলেন সেটার বিপরীতে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী।’ 

 

 

 

পাতা-২

 

সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধিরা যারা আইনের জন্য তাগাদা দিয়েছেন আবার সরকার যখন পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে, তখন তারা আবার অন্য কথা বলছেন, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়, তারা আসলে পানিটা ঘোলা করতে চায় এবং তারাও রাজনীতির ক্রীড়নকে পরিণত হচ্ছে এটিই স্পষ্ট হয়, উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 

 

এসময় সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান এবং সন্তানের মতো। তাদের দাবিদাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি। কিন্তু আমরা কখনো বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি নাই। আজকে শুনলাম ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিলো সে খাবারও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। জেলখানার কয়েদিরাও খাবার পায়, পানি পায়। খাবার বন্ধ করে দেয়া, ভিসির বাংলো কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া বা কেটে দেয়ার জন্য চেষ্টা করা এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না, এগুলো প্রতিহিংসামূলক। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাবো, রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে তাদেরকে যেন কেউ ব্যবহার না করে। আমি আশা করবো এর একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।’

 

#

আকরাম/পাশা/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭৪৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                  নম্বর : ২৯৬

ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করছে সরকার

                                      -বাণিজ্য সচিব

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি):

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, সরকার ভোক্তার অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ই-কমার্সকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফস্টার করেপোরেশন লিমিটেড এ আটকে থাকা কিউকম ডট কমের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ই-কমার্সের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যেসকল ভোক্তা বিভিন্ন ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানে অর্ডার করে কোন মালামাল পাননি অথবা টাকা ফেরত পাননি, তাদের টাকা কিভাবে দ্রুত ফেরত দেয়া যায়,  সেবিষয়ে সরকার কাজ করছে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে ইউনিক বিজনেস আইডি চালু করা হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পণ্য কিনে যারা পণ্য বুঝে পাননি বা টাকা ফেরত পাননি, তারা টাকা ফেরত পাবেন। যে টাকা পেমেন্ট ওয়েতে  রয়েছে সে টাকা ফেরত প্রদান করা হচ্ছে। যেসব বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড এ আটকে থাকা কিউকম ডট কমের অর্ডার প্রদানকারী গ্রাহকদের মধ্য থেকে আজ ২০ টি অর্ডারের ৪০ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত প্রদান করা হলো। পর্যায়ক্রমে এ প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত ৬ হাজার ৭২১ টি অর্ডারের ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

#

বকসী/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রবীন্দ্র/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২২/১৬৩২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ২৯৫

 

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৫০টি এডুট্রেইনমেন্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে

                                                          - তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী 

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

 

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে দেশে ৫০টি এডুট্রেইনমেন্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম এবং মুভি থিয়েটার দেখা যাবে। দিনে চলবে স্কুল এবং রাতে দেখানো হবে মুভি।  

আজ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এরমধ্যে ৮টি পার্ক স্থাপনের কাজ এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এসব সেন্টারে আগামী দুই বছরে দুই হাজার  ৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অভ থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সভায় আরো জানানো হয় ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসাথে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটর’ও স্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘Lightning the Fire of Art and Freedom’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী শীঘ্রই কোলকাতা এবং দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক আগামীর দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ  আরো এগিয়ে যাবে।  

পরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের মধ্যে ৪টি কার্যাদেশ স্বাক্ষরিত হয়।

#

শহিদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/আসমা/২০২২/১৬০০ ঘণ্টা   

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ২৯৪ 

গ্রামীণ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিআরডিবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে 

                                                    - এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

 

তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিআরডিবি (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।

আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা বিভাগের অধীন জেলা সমূহের প্রতিনিধি/উপকারভোগীগণের অংশগ্রহণে আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এসব কথা বলেন। পরিকল্পিত পল্লী গঠন ও পল্লী উদ‍্যোক্তা তৈরির জন‍্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালনের আহবান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণ স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পল্লি উন্নয়ন দর্শনকে কেন্দ্র করে বিআরডিবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পল্লি বাংলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা
পালন করে আসছে। জনগণ ও জনপ্রতিনিধি সকলের অংশগ্রহণে পিআরডিপি-৩ প্রকল্পটি অত্যন্ত সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলে জীবনমানের যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, তার পেছনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লি উন্নয়ন প্রকল্পের অবদান রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার গ্রামে পণ‍্যভিত্তিক শিল্পপল্লি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব শিল্পপল্লিতে স্বল্প সুদে ঋণসুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।

স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল নাগরিকের সুবিধা নিশ্চিত করে দেশের প্রতিটি গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে পৌঁছে  দেয়ার লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রমও অব‍্যাহত রয়েছে।

বিআরডিবির মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপপরিচালকবৃন্দ এবং ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

#

আহসান/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রবীন্দ্র/আসমা/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২৯৩ 

মং ক্য চিং চৌধুরীর মৃত্যুতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর শোক

 

 

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল হক খান বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বান্দরবান জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত ট্রাস্টি মং ক্য চিং চৌধুরী’র আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। 

#

 

আনোয়ার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/আসমা/২০২২/১৬০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              &

2022-01-24-16-58-ab1fcef72eb936bb5700c14c94a0c862.doc