তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৩৯৪
আইটিবি, বার্লিনে ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’ উদ্বোধন করলেন পর্যটন মন্ত্রী
বার্লিন (জার্মানি), ৫ মার্চ:
বিশ্বের বৃহত্তম পর্যটন মেলা আইটিবি, বার্লিনে ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’ উদ্বোধন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মেলার উদ্বোধনী দিনে আজ জার্মানির বার্লিনে মন্ত্রী এই প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন। এ সময় জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রচারের মাধ্যমে আমাদের পর্যটন পণ্যগুলো বিশ্বের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলাগুলো আমাদের পর্যটন পণ্য ও সেবা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশের এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, আইটিবি-বার্লিনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ক্রমবর্ধমান পর্যটন সুবিধাকে তুলে ধরে বিশ্ব পর্যটন বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পথ প্রশস্ত করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের নেতৃত্বে এ মেলায় বাংলাদেশ হতে রিভারাইন ট্যুরস, ট্রাভেল কাইটস, অতার্কি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, হিলভিউ ট্যুরিজম, এ ওয়ান ট্যুরিজম, এসকেপ বাংলাদেশ এবং গ্রান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট অংশগ্রহণ করছে। অংশগ্রহণকারীগণ মেলায় আগত বিভিন্ন দেশের পর্যটক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিকট বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণের ওপর প্রস্ততকৃত বিভিন্ন অফার ও প্যাকেজ তুলে ধরছে।
#
তানভীর/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৯৩
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সাথে ড. হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
জেদ্দা (সৌদি আরব), ৫ মার্চ:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের বিশেষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সংস্থার সচিবালয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী হাছান দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং আগামী দিনে এ সহযোগিতা আরো গভীর হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর শিগগিরই সুবিধাজনক সময়ে হবে বলে আশা প্রকাশ করলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসন্ন এ সফর নিয়ে আরো আলোচনা হবে এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে বিগত তিন বছরে অত্যাধুনিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে তাদের সম্পৃক্ততা বিবেচনা করে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসির নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী হাছান রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য ওআইসির নিরলস সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন, বিশেষ করে আইসিজেতে গাম্বিয়ার দায়ের করা রোহিঙ্গা মামলার তহবিল সংগ্রহের জন্য ওআইসির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।
তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে ওআইসি মহাসচিবকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং সদস্যদের কাছে বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের জন্য ওআইসি সচিবালয়ে একটি সেল গঠনের প্রস্তাব করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিব উভয়েই টানা ৪র্থ বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজের কথা জানান।
#
আকরাম/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৯২
ওআইসি বিশেষ সম্মেলন: গাজা সংঘাত অবসানে সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জেদ্দা (সৌদি আরব), ৫ মার্চ:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ গাজার সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি সম্ভাব্য বিকল্প বিবেচনায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে অর্গাইনাইজেশন অভ্ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর ১৯তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মানবিক করিডোর উন্মুক্ত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনি ফিলিস্তিনিদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফিনান্সিয়াল সেফটি নেটের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নীতি ও অনুশীলন থেকে উদ্ভূত আইনি পরিণতি সম্পর্কে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে আশাপ্রকাশ করেন যে এই অঞ্চলে শীঘ্রই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে যা মুসলিম উম্মাহর দাবি।
মন্ত্রী হাছান বলেন, এ জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।
#
আকরাম/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৯১
রোভার স্কাউটরা হবে আগামীর স্মার্ট নাগরিক
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
গাজীপুর, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রোভার স্কাউটরা হবে আগামীর স্মার্ট নাগরিক। তারা স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে মানবিক, সহনশীল ও সহমর্মী গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে।
মন্ত্রী আজ রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর, গাজীপুরে মহাতাঁবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউট রোভার অঞ্চলের সভাপতি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের প্রাণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। ২০৪১ সালের যে রূপকল্প তিনি দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নে এই যুব রোভার স্কাউটের বড় ভূমিকা রয়েছে। রোভার স্কাউটের সদস্যরা যে কোনো সামাজিক অসংগতিকে দূর করার জন্য লড়াই করতে পারে, সংগ্রাম করতে পারে। কোনো পিছু টান ছাড়া তারা দেশ গড়বার জন্য আত্মনিয়োগ করতে পারে। স্মার্ট মানুষ হিসেবে স্কাউট সদস্যরা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক। এই স্মার্ট মানে পোশাক আশাকে কেতা দুরস্ত স্মার্ট নয়। যিনি অন্যের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন, যিনি হবেন সহমর্মী, দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল ও মননশীল মানুষ, তিনি স্মার্ট। সেই স্মার্ট নাগরিক গড়বার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, স্কাউটিং তেমন একজন মানুষ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে । কারণ স্কাউটিং শেখায় স্বাবলম্বী হতে, অন্যের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে, যে কোনো সমস্যাকে সমস্যা না মনে করে তার সমাধান খুঁজে বের করতে।
মন্ত্রী স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক, সব ভালো কাজগুলো আমরা করব, মন্দ কাজগুলোকে এড়িয়ে যাব, নিজেও করব না, অন্যকেও করতে নিরুৎসাহিত করব। ভালো কাজ, ভাল আচরণ ও আমাদের সৃজনশীলতা দিয়ে আমরা এ বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।
এর আগে মন্ত্রী স্কাউটদের তাঁবু ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
#
জাকির/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৯০
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় জাপানের সহযোগিতার আশ্বাস
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
আজ জাপানের রাষ্ট্রদূত KIMINORI IWAMA সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে এ আশ্বাস দেন।
এসময় জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী সাইক্লোন সেন্টার ও দুর্যোগ পূর্বাভাস সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সহায়তা এবং সংশ্লিষ্ট গবেষণা উন্নয়নে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বর্ধিত সহযোগিতার আহ্বান জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সামুদ্রিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ভূমিকম্পের দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যৌথ প্রশিক্ষণসহ অভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম নেয়া হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জাপান সাহায্য করে যাচ্ছে এবং দুই দেশ বর্তমানে কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
KIMINORI IWAMA আরো জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবন-জীবিকা এবং প্রতিবেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করবে জাপান সরকার। তিনি জানান, ভাসান চরেও রোহিঙ্গাদের জন্য জাপান সাহায্য অব্যাহত রাখবে।
#
জাহিদ/ফয়সল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৮৯
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন (৫-৯ মার্চ ২০২৪) এর আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ রাজধানী ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়েছে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করছেন। অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণও রয়েছেন।
এবারের সম্মেলনে-সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় ও বিবিধ বিষয়সমূহ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে এবং একই দিন ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবেন।
#
শরীফুল/ফয়সল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 3388
Deputy Commissioners Urged to Safeguard Environment and Biodiversity
Dhaka, March 5:
Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said that Deputy Commissioners have been urged to safeguard Bangladesh's environment, ecosystems, and biodiversity.
Speaking after the Ministry of Environment, Forest and Climate Change's meeting at the Deputy Commissioner Conference 2024, Minister Chowdhury highlighted the need for comprehensive cooperation to prevent environmental degradation amidst ongoing development activities across districts.
The Minister called upon Deputy Commissioners to take decisive action against the filling of water bodies and wetlands, halt construction on hillsides and foothills, and combat illegal brick kilns that threaten public health and the environment. Moreover, he underscored the importance of ensuring the permanent closure of defunct brick kilns while promoting the use of eco-friendly block bricks in government projects.
In addressing air and plastic pollution, Minister Chowdhury urged the adoption of district-specific action plans targeting road construction, brick kilns, waste management, and single-use plastics. He encouraged innovative approaches to environmental protection and pollution prevention, including the cessation of banned polythene shopping bags and single-use plastics in government offices at the grassroots level.
Furthermore, the Minister stressed the necessity of Deputy Commissioners' active involvement in safeguarding forest lands, combating illegal encroachment, and curbing activities such as illegal sawmills and lead-acid battery recycling. He emphasized the role of Deputy Commissioners in overseeing and supporting the implementation of ongoing climate change projects across districts, ensuring their effective execution.
Minister Chowdhury emphasized the imperative of collaborative efforts between the Ministry of Environment, Forests, and Climate Change and Deputy Commissioners to uphold Bangladesh's environmental integrity and biodiversity.
Secretary Dr. Farhina Ahmed, Director General of Environment Department Dr. Abdul Hamid and Chief Conservator of Forest Department Md. Amir Hossain Chowdhury were also present in the Press Briefing.
#
Dipankar/Faisal/Safi/Mosharaf/Salim/19.50 Hrs.
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৩৮৭
বাজার মূল্য বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাজার মূল্য বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি করে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেন বা পণ্য মজুত করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিশেষ এই কারণটিকে নিরসনের জন্য ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে বলছি, এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়ে কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে যেটি বলেছি, সেটি হচ্ছে, আমি জেলাপ্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি, আমরা যে মামলাজটে সাফার করছি, সেই মামলাজট নিরসনের জন্য তাঁরা যেন আমাদের সহযোগিতা করেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে একটি মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই কথা ডিসিদের বলা হয়েছে। ডিসি সম্মেলনে ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন। সেই প্রশ্নের জবাব সচিব দিয়েছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
#
রেজাউল/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৮৬
অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে
-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ এর তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
জেলা প্রশাসকদের সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কী আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার, জেলাপ্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকসহ সর্বস্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম—আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সাথে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করবো।
এ সময় গুজব প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ অথবা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে জেলাপ্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলাপ্রশাসকদের সাথে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ায় সেটা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এজন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে একসাথে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক আরাফাত বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায় সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) এবং আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি এবং শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান।
জেলাপ্রশাসকরা এক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলাপ্রশাসকরা তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত। তারা আমাদেরকে তথ্য পাঠাতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো নিয়ে তারা অ্যাকশনে যেতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, জেলাপ্রশাসকরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে আরো কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যাবল অপারেটররা অনেক কিছু তাদের মতো কনটেন্ট দিয়ে দেয়, দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়। সেই কন্টেন্টগুলো আসলে সঠিক কিনা, ক্লিন ফিল্ডের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কিনা, এ বিষয়গুলো আমরা জেলাপ্রশাসকদের দেখার জন্য বলেছি।
#
ইফতেখার/ফয়সল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৮৫
ধর্মমন্ত্রীর সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খানের সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ দুপুরে ধর্মমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে স্বাগত ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে দু’জনে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার নিশ্চিত করতে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সকল ধর্মের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে সময়ে সময়ে আলোচনা ও পরামর্শ করা হবে।
মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সব ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে তৎপর থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে দেশের আলেম-ওলামা সমাজ ও অন্যান্য ধর্মের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ধর্মমন্ত্রী মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়াদি সভাপতিকে অবহিত করেন। তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। সভাপতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্জিত সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দুজনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ ও নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রেখে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (হজ) মোঃ মতিউল ইসলাম ও যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মোঃ নায়েব আলী মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/ফয়সল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩৮৪
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
স্মার্ট আইল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহ
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে স্মার্ট আইল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ কোরিয়ার গীগা আইল্যান্ডের আদলে দুর্গম দ্বীপে স্মার্ট আইল্যান্ডে বিনিয়োগের এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সেক্টরের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া বন্ধুপ্রতীম দু’টি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দক্ষিণ কোরিয়া। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আমরা আরো এগিয়ে নিতে চাই। জ্ঞান বিনিময়, উদ্ভাবন, স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরো সুযোগ রয়েছে।
পলক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় গত ১৫ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় ৃদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগের জন্য অতি আকর্ষণীয় খাতে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি দেশ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে বিশেষ করে স্মার্ট ডাক সেবা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আইসিটি বিষয়ে বাংলাদেশ কোরিয়া সামিট অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
#
শেফায়েত/ফয়সল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৩৮৩
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৫ মার্চ):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান রজত মিশ্রা (Rajat Misra) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক-কে বাংলাদেশে আরো বড় আকারে দেখতে চাই। গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন আধুনিকায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস মিটার, স্টোরেজ সিস্টেম, বায়ু ফুয়েল ইত্যাদি খাত ও এর উপখাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। আমরা মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। এই অগ্রযাত্রায় এআইআইবি-কে আমাদের অংশীদার হিসেবে পেতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টা হলেও আমরা দ্রুততার সাথে তা ১৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা করতে চাই।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অন্যতম অংশীদার। জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ও রূপপুর সঞ্চালন ব্যবস্থার অবস্থা নিয়ে মন্তব্যকালে তিনি বলেন, এআইআইবি বাংলাদেশে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এ সময় সঞ্চালন ব্যবস্থা বেসরকারিকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, এআইআইবি’র অর্থায়নে ৯৫৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারের ৪টি প্রকল্প পিজিসিবি বাস্তব