Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ নভেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৩ নভেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর:  ৫৪০০

 

প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারলে চরম সংকট অব্যশ্যম্ভাবী

                                            -- ডাক  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):  

 

          ডাক  ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সময় এবং প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারলে সংকট অব্যশ্যম্ভাবী। অনলাইন প্লাটফর্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি  সাংস্কৃতিক কর্মীদের ডিজিটাল মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়ে সাংস্কৃতিক বিপ্লব এগিয়ে নেওয়ার  আহ্বান জানান।

 

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে  সাংস্কৃতিক সংগঠন পদক্ষেপ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আাহ্বান জানান।

 

          বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোঃ আছাদুজ্জামান এবং পদক্ষেপ বাংলাদেশের সভাপতি বাদল চৌধুরী বক্তৃতা করেন।

 

          মন্ত্রী বাঙালির অস্তিত্বের সাথে ইলিশের সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে বলেন,  বিশ্বজুড়ে  ইলিশ বাঙালির পরিচয়ের সাথে মিশে আছে। পর্যটনের বিকাশে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে পারলে পর্যটন খাতকেও  আরও বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ভৌগোলিক ট্যুরিজম এবং অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে  তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের নিজের দেশ সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ অভাবনীয়।

 

          মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমার যে সম্পদ আছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ কাজে লাগানো হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে তা অতুলনীয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার অক্ষমতা যাতে অসহায়ত্বে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনাকালে সাংবাদিকতাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাজনীতি, শিল্প, সরকার, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে গেছে।

 

#

 

শেফায়েত/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২.৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর:  ৫৩৯৯

 

যারা নিজ ধর্মকে ভালোভাবে জানেন, তারা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকেন

                                                                          -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

মাগুরা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):  

            ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান  বলেছেন, যারা নিজ ধর্মকে ভালোভাবে জানেন, তারা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকেন। তাই সকলকে নিজ ধর্মকে জানতে হবে। অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ আরও সুসংহত হবে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ মাগুরা সদরের আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় "ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক প্রভাবক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে এসব কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে  সকল ধর্ম,  বর্ণের মানুষ একত্রে বসবাস করছে। মদিনা সনদে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের বাস্তব নমুনা পাই।

            ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবন থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তঃধর্মীয়  সম্প্রীতি বিষয়ে বিভিন্ন করণীয় বিষয় তুলে ধরেন।

            প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মসজিদে নতুন ইমাম নিয়োগকালে প্রশাসনের সহযোগিতায়  উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ধর্মের বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তাহলে সাধারণ মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্ত হবে না।

            মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে  আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) আফম আব্দুল ফাত্তাহ, মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, মাগুরা পৌরসভার মেয়র মোঃ খুরশীদ হায়দার টুটূল, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী প্রদ্যুত কুমার সিংহ, সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।

            সংলাপে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ তুলে ধরেন।

            এর পূর্বে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

            ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র,  বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন সিরাজী।

            অনুষ্ঠানে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলার নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, পৌরসভার মেয়রবৃন্দ, মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ, আলীয়া মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও  মুহতামিমগণ,  স্কুল ও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ, ফরিদপুর জেলার  পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

#

আনোয়ার/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১.২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর:  ৫৩৯৮

 

দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে সোনালি ঐতিহ্য মসলিন

                                           -- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ), ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):  

 

            সোনালি ঐতিহ্যে ফিরেছে বাংলার মসলিন আর এর ফলে দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলার সোনালি মসলিন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।

 

            আজ রূপগঞ্জের তারাবো এলাকার ঢাকাই মসলিন হাউস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।

 

            মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডকে মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে। মসলিন উৎপাদনের প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার করে বর্তমানে মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মসলিন শাড়ি দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে শাড়িটি পাওয়া গিয়েছিল সেটা ছিল ৫০০ কাউন্ট। এখন ৭০০ কাউন্টের সুতো দিয়ে মসলিন শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।  এই ঐতিহ্য আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সরকার সে প্রচেষ্টা করছে।

 

            গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন,  দ্রুত সময়ে সরকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবে। বিশ্ববাজারে যেতে আর বেশি সময় লাগবে না। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। দেশ ইতোমধ্যে এই টেকনোলজিকে রপ্ত করতে পেরেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শাড়ি তৈরি করে সফলতা পেয়েছে।

 

            মন্ত্রী আরো বলেন, বাণিজ্যিকভাবে যেতে গেলে একটু সময় লাগবে তবে সেটা কঠিন নয়। মসলিনের কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া মসলিন জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশে একটি শাড়ি ৫-১০ লাখ টাকা হলে সেটার বিক্রয় কম হবে। দেশের মূল হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে যদি সরকার পৌঁছে দিতে পারে সেটাই হবে বড় সফলতা। তাই সরকার প্রথমে শাড়িটাকে নিয়ে কাজ করবে এবং রফতানিসহ সব হবে।  বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

 

            গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

 

            এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নানসহ প্রমুখ।

 

#

 

সৈকত/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১.২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৩৯৭

 

তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন 

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

          তথ্য অধিদফতরের মেগা প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার (প্রোটকল ও মনিটরিং) ফায়জুল হকের নেতৃত্বে অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কর্মকর্তারা প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে একটি ব্রিফিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ভৌত অবকাঠামো ঘুরে দেখেন।

 

          রাজধানীর কাওলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে আয়োজিত বিফ্রিং সেশনে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানান, এখন পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। তিনি বলেন,  প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ এবং দ্বিতীয় ধাপের একাংশের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে।  

 

          ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, রাজধানীর কাওলা এলাকা থেকে বনানী পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশেই দৃশ্যমান হয়েছে। র‍্যাম্পসহ মোট ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের এক্সপ্রেস হাইওয়ের প্রথম ধাপের পাইলের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। কলাম, ক্রসবিম ও পাইলক্যাপ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং আই গার্ডার নির্মাণ ও বসানোর কাজ পুরোদমে চলমান রয়েছে। পরিদর্শনকালে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, কাজে গতি আনতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ প্রকল্পেই আই গার্ডার প্রি-টেনশনিং ও ডেক প্যানেল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত নির্মাণ কাজও পুরোদমে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের কাজের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ২৫ শতাংশ। এছাড়া তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের কাজও আগামী বছর থেকে শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

 

          প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে সংযোগ সহজ হবে এবং ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে যানজটও অনেক কমে যাবে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ পথে ভ্রমণ অন্য সড়কের তুলনায় আরামদায়ক হবে। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে এ সময় সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।

 

          উল্লেখ্য, ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন এ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পে মোট খরচের মাত্র ২৭ শতাংশ সরকার বহন করবে এবং বাকিটা বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে আসবে। চলমান কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০২৩ সালের জুন মাস নাগাদ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

 

 

#

রাহাত/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর:  ৫৩৯৬

 

বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে

                                                              -- আইনমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর):  

 

            আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ের এক পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না - এমন পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি  ও অসাংবিধানিক। এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগামীকাল রবিবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে।

 

            আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

            ঘটনা ঘটার ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেওয়ার সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি উনার (বিচারকের) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে উনি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এই কারণে আগামীকাল প্রধান বিচারপতির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

 

#

 

রেজাউল/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯.৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৩৯৫

 

জাতির পিতার অবর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কান্ডারি শেখ হাসিনা

                                                                                                ---ডা. মুরাদ

জামালপুর, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

 

          তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ, পরিকল্পনা ও স্বপ্নের ওপর দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন তা স্বাধীনতাবিরোধী ও একাত্তরের পরাজিত শক্তির কারণে বঙ্গবন্ধু সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। জাতির পিতার অবর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী  মজবুত প্রাচীরের মতো অটল দেশপ্রেম, দৃঢ় মানসিকতা, দূরদর্শিতা ও মানবিক গুণাবলি তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বিশ্বের অনগ্রসর দেশ ও জাতির আদর্শ শেখ হাসিনা আজ দক্ষ নেতৃত্বের রোল মডেল। তাঁর হাত ধরেই বাঙালি জাতি এক ও অভিন্ন সত্তায় গড়ে উঠছে।

 

          আজ জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ কোনোদিন কল্পনা করতে পারে নাই যে, বিদেশি অর্থায়ন ছাড়া দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করা সম্ভব। পাকিস্তানের দালালেরা পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধ করার জন্য অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেন।

 

          তিনি বলেন, সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধূনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এই উন্নয়ন দেশবিরোধী একটি শ্রেণি চোখে দেখে না। তারা নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়।

 

          এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা, সহকারী কমিশনার ভূমি ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত, পৌর মেয়র মনির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।

 

#

গিয়াস/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৩৯৪

 

খুলনায় শ্রমিকদের মাঝে কোটি টাকার সহায়তা দিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী

 

 

খুলনা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান খুলনা জেলার প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাড়ে তিনশ’ শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় আহত এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে এক কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

          আজ খুলনা মহানগরীর রূপসা এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চত্বরে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের এই সহায়তার চেক তুলে দেন।

          চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাটকল বন্ধ হয়েছে বলা যায় না, উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের পাওনাদি কড়ায়-গণ্ডায় মিটিয়ে দিয়েছেন। পাট-শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের সুখবর দিয়ে বলেন, ৫টি পাটকল চালুর জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র জমা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। শীঘ্রই পাটকলগুলো আবার চালু হবে বলে তিনি আশা করেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৯ বছর ধরে সুখে-দুঃখে শ্রমিকদের সাথে আছি। ডিসেম্বরে ৫০ এ পড়বে। যতদিন বেঁচে থাকবো, শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

          শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, কর্মকে ফাঁকি দিও না, জীবন তোমাকে ফাঁকি দেবে। কর্ম করে জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। অসুস্থ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকগণ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে আবেদন করলে দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সজাগ থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

          জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এর সভাপতিত্বে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, খুলনা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের এম জাফর এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ বক্তৃতা করে।

          বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

 

#

আকতারুল/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯৩৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৩৯৩

 

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে

 সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে

                                        ---শিল্প প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

          ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশ থেকে অপরাধ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, কিশোর গ্যাং কালচারমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পরিবারের পাশাপাশি সমাজ ও
আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের নতুন প্রজন্মরাই আগামী দিনের দেশ পরিচালনায় পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আজ মিরপুরের রূপনগরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অডিটোরিয়ামে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ আয়োজিত কিশোর অপরাধ নির্মূলে জনসচেতনতামূলক বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

          অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএস (বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেন।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না কোনো শিশু-কিশোর সন্ত্রাসী হয়ে গড়ে উঠুক, আমরা চাই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে তারা স্বাধীনভাবে গড়ে উঠুক, এজন্য পিতা-মাতাকে সন্তানদের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে, বিখ্যাত মনীষীদের জীবন আদর্শ অনুসরণ করতে হবে, সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্ক মেনে চলতে হবে, এমন কোনো বন্ধুবান্ধবের সাথে মিশে যাবে না, যে বন্ধুবান্ধবের কারণে তোমরা বিপথগামী হও।

          তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসের কারণে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা, ঘুম হারাম হয়ে যায়, সেই সমস্ত সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত। এসব সন্ত্রাসীর সমাজে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেলেমেয়েদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছি, শিল্প উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছি, শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করছি। তিনি দেশের সুনাম অর্জনে যেকোনো অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

#

রফিকুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৫৩৯২

 

রাধারমণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে

                                                  ---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

 

সুনামগঞ্জ, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

 

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। তাঁর রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতে বাঙালিদের কাছে পরম আদরের ধন। রাধারমণ নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তাঁর জন্মস্থান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কেশবপুর গ্রামে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে 'রাধারমণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই আমরা প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাতে পারবো।

          প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে রাধারমণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন উপলক্ষে 'রাধারমণ সমাজ কল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদ' এর সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          প্রধান অতিথি বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জনপদ। রাধারমণ ছাড়াও এখানে জন্ম হয়েছে হাছন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, দূরবীণ শাহ প্রমুখ লোক মনীষীগণ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গীতিকবি রাধারমণ দত্তের প্রতিটি সৃষ্টিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার সকল সৃষ্টি অবিকৃতভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, রাধারমণ দত্তের সম্পত্তি দীর্ঘ ৬০ বছর অবৈধ দখলে ছিল। সেই সম্পত্তি (৩ একর ১৪ শতক) আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারপূর্বক রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং সেজন্য ৬০ শতক জায়গা নির্ধারণ করে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

          জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব প্রমুখ।

          প্রতিমন্ত্রী এরপর দিরাই উপজেলার উজানধলে বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের সমাধিসৌধ ও স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

 

#

ফয়সল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৫৩৯১

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা , ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৫৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮ জন। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯১৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৩ জন।

 

#

 

ইউনুস/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৭৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৫৩৯০

       

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকবৃন্দের মতবিনিময়                                         

 

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :

          চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকবৃন্দের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

&nbs

2021-11-13-16-44-cac5b1398d10533316de130bd9383881.doc