Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ August ২০২০

তথ্যবিবরণী ১৪ আগস্ট ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩০৪৮

 

দেশের মানুষকে সাথে নিয়েই স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ করা হবে

                                                                     -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :

 

          দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার পরিজন এবং অন্যদের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।

 

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যা এখনো চলমান আছে। তবে তাদের সেই ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ রুখে দিয়েছে। মন্ত্রী এ সময় ১৫ই আগস্টের বর্বরোচিত ও কলঙ্কিত অধ্যায় দেশের মানুষের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলার মাটিকে আর রক্তাক্ত হতে দেওয়া হবে না।

 

          মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ তথা সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ ও লালন করে বলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা সংকটেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ-সহ জনপ্রতিনিধিরা মাঠে গিয়ে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিয়েছেন।

 

          ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

 

 #

 

হায়দার/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৩০৪৭

 

বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত

                                                                      -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'এতদিন ধরে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সেই ভুয়া জন্মদিন না পালনের ঘোষণা দিয়ে বাহবা নেয়ার চেষ্টাও অপরাধ।'

আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে' সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

১৫ আগস্ট আর বেগম জিয়ার জন্মদিন পালন করবে না বলে বিএনপি'র ঘোষণার বিষয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, 'কবে থেকে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার জন্মতারিখ  হলো? পত্রিকার পাতায় আমরা জানলাম, ১৯৯৫ সালে হঠাৎ তিনি ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন! এর আগেও তার তিন-চারটি জন্মদিনের কথা আমরা শুনেছি। এখন তারা যে এটি পালন করবে না বলে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করছে, সেটিও একটি অপরাধ।'

'১৫ আগস্ট, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, হঠাৎ বেগম জিয়া সেদিন জন্মগ্রহণ করেছেন ঘোষণা দিয়ে তো হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করা হলো, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা হলো এবং এটি সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার শামিল। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, তারা যে হঠাৎ করে ১৫ আগস্টকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি যে মিথ্যা-বানোয়াট ছিলো, সেটির জন্য জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে, তাহলে জাতি তাদের ক্ষমা করলেও করতে পারে। ভুয়া জন্মদিন পালন করবেন না বলে তারা এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে তারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করতে চায়। দয়া করে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করবেন না।'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্যের নট-নটীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আজ সাংবাদিক সমাজও দাবি জানিয়েছে। আমি আগে থেকেই এটি বলে আসছি যে, শুধু এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবই নয়, যারা এর পটভূমি তৈরি করেছিলো, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের জন্য এখনই একটি কমিশন গঠন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা এটিকে সমর্থন করেছিলো তাদেরও দায় আছে। যারা আওয়ামী লীগের পাঁচজন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছিল, এমনকি ঈদের জামাতে গুলি চালিয়েছিলো, যারা 'বাসন্তী'কে জাল পরিয়ে ছবি তুলেছিলো, তাদের কি দায় নেই!'

মন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য, শহিদ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩০৪৬

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪আগস্ট) :  

 

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ২ হাজার ৭৬৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৫৯১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩জন।

 

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

 

#

তাসমীন/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৭৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৩০৪৫

   

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইউনেসকো মহাপরিচালকের বাণী প্রদান

 

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):

 

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা- ইউনেসকো এর মহাপরিচালক অদ্রি আজুলে (Audrey Azoulay) বাণী প্রদান করেছেন। ইউনেসকো মহাপরিচালক প্রদত্ত বাণীর বাংলা রূপান্তর নিম্নরূপ :

 

          ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর মৃত্যুর সাড়ে চার দশক পর আজও তাঁর দেশের জনগণের অধিকার ও মুক্তির প্রশ্নে বিশ্ব তাঁর অসামান্য অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ স্মরণ করে।

 

          আমাদের সংস্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজের আকাঙ্ক্ষার কথা বলে-যে আকাঙ্ক্ষা বঙ্গবন্ধু ব্যক্ত করেছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে, যা এখন ইউনেসকো মেমোরি অভ্ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত।   

 

          এ বছর ইউনেসকো সারা বিশ্বের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে। একটি ন্যায্যতর বিশ্বে সকল বৈচিত্র্যর নৃগোষ্ঠী, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের জনগণের সম্মান প্রতিষ্ঠায় তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার এটা এক অনন্য সুযোগ।

 

          বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কল্যাণকর ভবিষ্যতের জন্য রাষ্ট্রসমূহের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই বিশ্বাস তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, “জনগণের শক্তিতে অদম্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে কোনো অসাধ্য সাধন ও দুরূহ বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।’’ বিদ্যমান সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাঁর এই বিশ্বাসে অংশীদার হয়ে আমাদের কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন।

 

          কোভিড-১৯ মহামারি ও এর প্রভাব যখন সমাজের ভিত্তি এবং কয়েক দশকে ইউনেসকোর অর্জনসমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তখন আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে আমরা দ্বিগুণ কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

 

          এটা নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আগামী প্রজন্মের জন্য বিপুল উৎসাহ যোগাবে এবং বিশ্বকে নতুনভাবে সাজানোর কাজে সহায়তা করবে।”

 

#

নাসরিন/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯০৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৩০৪৪

 

খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে

                                                             -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :  

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার দুর্যোগ চলছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বন্যার দুর্যোগও চলছে। তারপরও আশা করা যায়, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না।

মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ছিল আর এখন ১৬ কোটির ওপরে। স্বাধীনতার পর মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ, যা কমতে কমতে এখন হয়েছে ১০ শতাংশ। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এবছর ইন্দোনেশিয়াকে টপকে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব এ সরকারের প্রচেষ্ঠায়। অথচ স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসাবে টিকে থাকবে না, আর টিকে থাকলেও সব সময় বিদেশি সাহায্যনির্ভর হয়ে থাকবে। বিদেশিদের সকল অনুমান মিথ্যা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের ওপর সাহায্যনির্ভর দেশ নয়। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিদেশি সাহায্য কমতে কমতে এ বছরের বাজেটে মাত্র ২ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও মিডিয়াবান্ধব। যে কারণে করোনার এই দুঃসময়েও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সরকার এগিয়ে এসেছে, পাশে দাঁড়িয়েছে। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, Ôএদেশের প্রায় প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে আপনারা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, সামনের কাতারে ছিলেন’। তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে। ’৭৫ এর আগেও এরা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল। সেজন্য আমি আন্তরিক আহ্বান জানাই, আপনারা সত্য-সঠিক তথ্য তুলে ধরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। যারা মিথ্যা, অসত্য তথ্য ও সংবাদ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবেন।’

ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।

#

কামরুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৩০৪৩       

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):

          জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ-সহ সারা দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

          দোয়া ও মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ-সহ সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

 

          বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাও. মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহিল বাকী। দোয়া ও মোনাজাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ-সহ পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

#

শায়লা/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৭১৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩০৪২       

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী

ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ই-পোস্টার প্রকাশিত

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট):

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তিন ধরণের ছাপানো পোস্টারের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য গতকাল চারটি ডিজাইনে ই-পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।

          গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঢাকা-সহ সারা দেশে তিন ধরণের ছাপানো পোস্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি চারটি পৃথক শিরোনামে প্রকাশিত “মুজিব মানে মুক্তি”, “তুমি বাংলার ধ্রুবতারা তুমি হৃদয়ের বাতিঘর আকাশে বাতাসে বজ্রকণ্ঠ তোমার কণ্ঠস্বর”, “ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পতাকার মতো দুলতে থাকে স্বাধীনতা” এবং “এই বাংলার আকাশ-বাতাস, সাগর-গিরি ও নদী ডাকিছে তোমারে বঙ্গবন্ধু, ফিরিয়া আসিতে যদি” পোস্টারগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের আওতাধীন এলাকায় তাদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইলেক্ট্রনিক,  ডিজিটাল বা এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হবে।

          করোনা ভাইরাসজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপনের অংশ হিসাবে প্রদর্শনযোগ্য প্রচার মাধ্যম যেমন- ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে এসব পোস্টার ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

#

নাসরীন/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৭১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:  ৩০৪১

বন্যায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭০২ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :

          সাম্প্রতিক অতিবর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে ১২ হাজার ৭০২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

          বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চারকোটি ২৭ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুইকোটি ৮৮ লাখ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা। শিশুখাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এককোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এককোটি ৭ হাজার ১০৬ টাকা। গোখাদ্যক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিনকোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এককোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে একলাখ ৬৮ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে একলাখ ৪১ হাজার ২৮৬ প্যাকেট ।

          এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহমঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিনলাখ টাকা ।

          বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ ।

          উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬২টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা একহাজার ৬৫টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৮ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪ জন।

          বন্যাকবলিত জেলাসমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে একহাজার ১৩৩টি। আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে আশ্রিত লোকের সংখ্যা ৩৬ হাজার ১৩২ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৩৫৫টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮১৫টি এবং বর্তমানে চালু আছে ২৫০টি।

#

সেলিম/শাহ আলম/কামাল/শামীম/২০২০/১২৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩০৪০         

শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এর মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) :

          স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের অকুতোভয় শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। 

          আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

          শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আগুন ঝরানো মুক্তির গানে মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের বাঙালিদের উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত করতে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিল স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। শব্দসৈনিক মোতাহার হোসেন বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের একজন অগ্রপথিক। মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। 

          উল্লেখ্য, স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক এবং বাংলাদেশ বেতারের প্রবীণ অনুষ্ঠান উপস্থাপক মোতাহার হোসেন (৭২) আজ ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি.......... রাজিউন)। তিনি কিছুদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

#

ফয়সল/শাহ আলম/কামাল/শামীম/২০২০/১২৩৪ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                          Number : 3039

Prime Minister's message on the National Mourning Day

Dhaka, 14 August :

            Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the National Mourning Day and the 45th martyrdom anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman:  

            "The 15 August is the National Mourning Day. On this day in 1975, the Greatest Bangalee of all time, Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman along with most of his family members was brutally assassinated. 

Eighteen members of the Father of the Nation's family including Bangamata Sheikh Fazilatunnesa Mujib, three sons-Captain Sheikh Kamal, Lieutenant Sheikh Jamal and 10-year old Sheikh Russel, two daughters-in-law Sultana Kamal and Rosy Jamal, brother Sheikh Abu Naser, peasant leader Abdur Rab Serniabat, youth leader Sheikh Fazlul Haq Moni and his pregnant wife Arzu Moni, Baby Serniabat, Sukanta Babu, Arif and Abdul Nayeem Khan Rintu, among others, were also killed by the heinous killers on that fateful night. Bangabandhu's Military Secretary Brigadier General Jamil was also murdered. Several members of a family died in the capital's Mohammadpur area by artillery shells fired by the killers on the same day. 

On this National Mourning Day, I respectfully remember all the martyrs of the 15 August and pray to the Almighty Allah for the salvation of their departed souls. 

Under the visionary and strong leadership of the Father of the Nation, the Bangalee Nation broke the shackles of subordination and snatched away our great Independence. The anti-liberation clique killed Bangabandhu at a time when he had engaged in the struggle to building a Golden Bangladesh along with the whole nation by reconstructing the war-ravaged country. Through the killing of Bangabandhu, the defeated forces of the Liberation War made abortive attempts to ruin the tradition, culture and advancement of the Bangalee Nation. The aim of the killers was to break the state structure of secular democratic Bangladesh and foil our hard-earned Independence. The anti liberation forces involved in the carnage initiated the politics of killing, coup and conspiracy in the country right after the 15 August 1975. They also impeded the trial of Bangabandhu marder by promulgating Indemnity Ordinance. 

Ziaur Rahman illegally took over the state power and promulgated Martial Law by desecrating the democracy and suspending the Constitution. He rewarded the killers of the Father of the Nation and gave them jobs at the Bangladesh missions abroad. He gave the anti-liberation war criminals nationality, made them partners in the state power and rehabilitated them politically and socially. The subsequent governments of BNP-Jamaat alliance followed the same path. 

Winning the General Elections on 12 June 1996, Bangladesh Awami League assumed state power after 21 years. A new horizon of socio-economic development in the country was started in this 5-year (1996-2001) overcoming the obstacles of the past. We initiated the trial of the Father of the Nation murder case. But after coming to power in 2001. BNP-Jamaat alliance government stopped this trial.

-2-

The countrymen again voted Awami League to power in the 9th Parliamentary Elections on 29 December 2008. Overcoming the stalemate left by the previous BNP-Jamaat government, and global economic recession, we have put the country on firm economic footing. During the past eleven and a half years, we have achieved desired advancement in every sector. Bangladesh is now a ‘role model’ of socio-economic development in the world. Bangladesh has attained the status of a developing nation. 

Amidst present deadly Corona virus pandemic, our government has relentlessly been working to turn Bangladesh into a middle-income country by 2021 and a developed one by 2041.

We have already executed the verdict of the Bangabandhu murder case. The trial of the killers of Four National Leaders has been completed. The verdicts of the cases against war criminals of 1971 are being executed. Our government has been following 'zero tolerance' policy to uproot militancy terrorism. The path of grabbing state power unconstitutionally has been stopped through the 15th amendment to the Constitution. 

Unitedly, we have to remain prepared to resist any evil-attempt by the anti-liberation communal group, and anti-development and anti-democracy forces. The killers were able to assassinate Bangabandhu but they could not kill his dreams and ideals. Let the glory and ideals of the Father of the Nation's sacrifice be reflected through our actions in the Mujib Year. 

Let's turn the grief of the loss of Bangabandhu into strength and build a non-communal, hunger-poverty free prosperous Golden Bangladesh as dreamt by the Father of the Nation. This should be our solemn pledge on this National Mourning Day.

 

                                                                                                Joi Bangla, Joi Bangabandhu

                                                                                                May Bangladesh Live Forever."

#

Hasan/ Shah Alam/Kamal/Shamim/2020/1121 hours

 

 

Handout                                                                                                           Number : 3038

President's message on the National Mourning Day

Dhaka, 14 August :

            President Md. Abdul Hamid has given the following message on the occasion of the National Mourning Day and the 45th martyrdom anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman:  

"Today is National Mourning Day and the 45th martyrdom anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

August 15, 1975 is regarded as a scandalous chapter in the history of the Bangali nation. On this fateful night, the undisputed leader and Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman was brutally assassinated at his Dhanmondi residence by a group of killers with the direct and indirect connivance of anti-liberation forces. His wife Sheikh Fazilatunnessa Mujib, sons namely Sheikh Kamal, Sheikh Jamal and Sheikh Russel and some near and dear ones were also killed along with Bangabandhu. Such a barbarous incident was rare not only in the history of Bangladesh but also in the history of the world. With heavy heart, I pay my deep homage to them and pray to the Almighty Allah for the eternal peace of the departed souls on this Mourning Day.

Bangabandhu was a visionary leader and the architect of independence. He led the nation at every struggle and democratic movements including the 'All-party State language Action Committee' formed to press home the right to mother-tongue in 1948, historic Language Movement in 1952, Juktafront Election in 1954, movement against Martial Law in 1958, Six-Point Movement in 1966, Mass Upsurge in 1969 and the General Elections in 1970 which all were directed towards realizing Bangali’s emancipation and their rights. For this, he had to embrace jail for several times.

Bangabandhu was uncompromising on the question of the rights of our people. He, even on the gallows, upheld the interest of Bengal and Bangali. After a long ups and downs, this great leader, ignoring the blood-shot eyes of the then Pakistani rulers, delivered historic address on 07 March in 1971 before a mammoth gathering at the then Race Course Maidan and thunderously uttered, 'The struggle this time is a struggle for emancipation, the struggle this time is a struggle for independence' which was, in fact, basically call for our independence. In line with this historic speech, he finally declared country's independence on March 26, 1971 and subsequently we achieved victory through a nine-month-long armed war of liberation under his leadership. Bangabandhu and Bangladesh thus emerged as a unique entity to the people of Bangladesh. Though the assassins killed Father of the Nation, they could not wipe out the principle and ideal of this great man. As long as Bangladesh exists, the name and fame of Father of the Nation will remain ever shining in the mind of millions of Bangalis of our country.  

-2-

Bangabandhu, throughout his life, struggled for independence along with attaining people's economic emancipation. His dream was to build 'Sonar Bangla' (Golden Bangla) to be freed from hunger and poverty. Therefore, our responsibility would be to make our country a happy and prosperous one by enriching ourselves with knowledge and completing the unfinished task of Bangabandhu. Only then we will be able to pay our due respect to the immortal soul of this great leader.

The birth centenary of Bangabandhu is being observed this year and the Golden Jubilee celebration of our independence will be celebrated in 2021. These two national events are a unique milestone in the history of the Bangali nation. I believe, by celebrating these two events with solemnity and dignity, our new generation will be able to know about Bangabandhu and the factual history of our independence. And thus they, being imbued with patriotism, will be able to devote themselves for the development of the country and the nation.

The whole world, including Bangladesh, is now fighting against COVID-19 pandemic. The entire globe has become standstill at present due to the adverse impact of coronavirus. The economy, including livelihood, employment, trade and commerce, transcontinental communication etc. are at a stake. The government of Bangladesh has taken all-out measures to address the corona situation. People of the country should extend the hand of cooperation with government efforts to face the challenges. Maintaining guidelines of hygiene in every aspect of life as well as keeping ourselves cautious, we have to be dealt with the pandemic by holding the principle of 'Carefulness, not fear'.

The Hon'ble Prime Minister Sheikh Hasina has set Vision 2021, Vision 2041 and Delta Plan 2100 to transform Bangladesh into a middle-income country by 2021 and a developed-prosperous one by 2041. I call upon all, irrespective of party affiliation and opinion, to materialize these programmes unitedly.

On the National Mourning Day, let us translate our grief into strength and devote ourselves to build 'Sonar Bangla' as dreamt of by Father of the Nation.

Joi Bangla.                                           

Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever."

#

Hasan/Shah Alam/Kamal/Shamim/2020/1224 hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩০৩৭

জাতীয় শোক দিবসে প্রধানমন্

2020-08-14-21-06-e837a64f8941c03668ad53fae94fe1a5.docx