Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী ১২ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৮০৫

উৎপাদনে থাকা শিল্প কারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ                                                                                                                                                -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময়ে উৎপাদনে থাকা সকল শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।

          আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

          শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ২৩ কমিটিকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি শ্রমিকদের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হবে। করোনাকালীন কর্মহীন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া আর্থিক সহায়তা সুবিধার কথা তুলে ধরেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হতে হবে একই সাথে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ তৎপর হতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে ছুটির বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরো একটি সভা আহ্বান করা হবে বলে তিনি জানান।

          আজকের সভায় মালিক প্রতিনিধিগণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে শ্রমিক প্রতিনিধিগণ গার্মেন্ট শ্রমিকদের কারখানায় আনা-নেওয়া, শিফটিং ডিউটি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

          শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই এর সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক লীগ আঞ্চলিক শাখা নারায়ণগঞ্জের সভাপতি কাউসার আহমেদ পলাশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তর সাতটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

#

আকতারুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮০৪

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপকতা বাড়াতে প্রয়োজন গবেষণায় বিনিয়োগ

                                                                 --বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপকতা বাড়াতে প্রয়োজন গবেষণায় বিনিয়োগ। সৌরবিদ্যুতের জন্য জমির পরিমাণ কমানোকল্পে প্রযুক্তি আবিষ্কার করা সময়ের দাবি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বা বায়ু থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও গবেষনাকে স্বাগত জানানো হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ÔSecond Virtual Ministerial Meeting of the COP26 Energy Transition council (CoP26 ETC)Õ - বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল পারষ্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ক্লিন এনার্জি ব্যবহার করে টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়তে কাজ করছে। বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি ব্যবহারে অত্যন্ত ইতিবাচক। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি নিয়ে গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল ২০১৫ সাল থেকে কাজ করছে। জ্বালানি দক্ষতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ২০১৪ সাল থেকে টেকসই এবং নাবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অংশীজনদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সাল থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সপ্তাহ।

          বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নশীল থেকে মধ্যম আয়ের দেশ, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, চাকরি থেকে উদ্যোক্তা, ডিজিটালাইজেশন থেকে শিল্প বিপ্লব প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রূপকল্প -২০২১, রূপকল্প -২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করে জ্বালানি বৈচিত্র্য, ক্লিন এনার্জি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রেখে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান করা হয়েছে। যা সময় সময় পারিপার্শ্বিকতার প্রেক্ষিতে হালনাগাদ করা হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদন করা হবে। ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। জমির স্বল্পতার জন্য বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হচ্ছে না। জমি কম লাগে এমন প্রযুক্তিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

          CoP26 ETC- এর সহ -সভাপতি Damilola Ogunbiyi-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ভারতের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী R K Singh, নাইজেরিয়ার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী Goddz Jedz Agba, মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী Ahmed Kudian, মরক্কোর বিদ্যুৎ মন্ত্রী Aziz Rabbahসহ ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাউস, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৮০৩

বিদেশ থেকেও অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          বিদেশ সফরকালেও অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সের ক্লাস নেয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

          বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রিধারী ড. হাছান মাহ্‌মুদ তার মন্ত্রণালয় এবং দলের দায়িত্বপালনের পাশাপাশি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে আর্থ বায়োস্ফিয়ার এন্ড ইটস ইভোলুশন (পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ও এর বিবর্তন) কোর্সে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। 

 

          ৫ এপ্রিল থেকে ইউরোপ সফরে থাকলেও  ডিজিটাল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া এবং ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম অব্যাহত রাখেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথেও রাখছেন নিয়মিত যোগাযোগ। ফোনে আলাপকালে ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বাস্তবায়নের ফলেই এই  কর্মতৎপরতা সম্ভব হচ্ছে।

 

          উল্লেখ্য, এর আগেও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অভ্ লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)-সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিশেষ লেকচার প্রদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার শিক্ষকতাজীবনে।

 

          চলতি সপ্তাহেই ড. হাছান মাহ্‌মুদের দেশে ফেরার কথা।

#

আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৮০২

ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় এক সপ্তাহে ৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকার মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গত বছরের মতো এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও গত ৫ এপ্রিল থেকে এ ব্যবস্থায় সারা দেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় চলছে। এর মাধ্যমে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায় গত এক সপ্তাহে মোট ৮০ কোটি ৭১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৭ টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পোল্ট্রি ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় হয়েছে।

          এ বছর জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে সংশ্লিষ্ট জেলার মৎস্য দপ্তর ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে খামারিগণ নিজেদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করতে পারছেন।

          গত এক সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে খামারিগণ তাদের উৎপাদিত ৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫ হাজার ২১৫ টাকার দুধ, ডিম, মাংস, পোল্ট্রি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য এবং ২ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২ টাকার মাছ বিক্রয় করেছে।

          উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়। গতবছর করোনা সংকটে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের খামারিদের উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রয় করা হয়েছে।

#

ইফতেখার/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮০১

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৫ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৫ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ২২ হাজার ৪৫৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৯ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। প্রথম ডোজে  পুরুষ ১৩ হাজার ৬২৮ জন এবং মহিলা ৮ হাজার ৮২৮ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে  পুরুষ ৯৩ হাজার ৫৩৪ জন এবং মহিলা ৪৫ হাজার ৩৪৫ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

 

          এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৬১ লাখ ৭২ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে পুরুষ ৩৫ লাখ ২ হাজার ৭৫৩ জন এবং মহিলা ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে পুরুষ ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৪ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯২ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। 

 

          উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন  ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

মিজানুর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর :  ১৮০০

আরো এক শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

সরিষাবাড়ি, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থী সুমনের পর এবার উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের স্বাধীনাবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান ।

 

          আজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের হাতে মেডিকেলে ভর্তির আর্থিক অনুদান তুলে দেয়া হয়।

 

          এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল।

 

          উল্লেখ্য, সুমনের বাবা মিন্টু ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাবা সুলতান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। সুমন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়ে তাদের মেডিকেলে পড়া হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।

 

          বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান তার পক্ষ থেকে কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে দুই শিক্ষার্থীর বাড়িতে পাঠান। খোঁজখবর নিয়ে তাদের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নেন ও লেখাপড়া করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

          শিক্ষার্থী সুমন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় পরিবার থেকে মেডিকেলে ভর্তির সঙ্গতি ছিলো না। তাই ভর্তি নিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলাম। এমপি মুরাদ স্যার আমাদের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন ও পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।

 

          এ বিষয়ে ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকায় দুই দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সুমন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হতে বা পড়তে পারবে না- এটা কখনো হতে পারে না।  তাদের পরিবারের হাতে আপাতত ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এরপরও তাদের পড়ালেখা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যে যে সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমি ব্যক্তিগতভাবে তা করবো।

 

#

মাহবুব/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯০৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১৭৯৯

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখুন

                                  --- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

          করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

          নিজ কর্মক্ষেত্র এলাকা ত্যাগ না করতে এবং অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না গিয়ে বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

          আজ মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এলজিইডি’র মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সাথে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

          মস্ত্রী বলেন, এলজিইডি, ডিপিএইচইসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেহেতু নির্মাণ কাজ করা যায় সে জন্য এটি অব্যাহত রাখতে হবে। এলজিইডি এদেশের গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এর সাথে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে।

          মন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের কাজের সাথে সম্পৃক্ত অথবা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ঠিকাদার যদি কাজে কোনো গাফিলতি করে তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা, ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে হাইড্রোলজিক্যাল, মরফোলজিক্যাল স্টাডির মাধ্যমে নেভিগেশন সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে।

          উন্নয়নের স্বার্থে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার সঠিক প্রাক্কলন করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট টাইম সিডিউলের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান, ইভালুয়েশন করে কাজের নোটিফিকেশন দিতে হবে। এক্ষেত্রে অযথা সময়ক্ষেপণ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

          মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সারা পৃথিবীতে যে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করেই সবাইকে টিকে থাকতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতে হলে সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় দরকার। আর সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

          সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ খানসহ জেলা ও উপজেলার প্রকৌশলীবৃন্দ অংশ নেন।

#

হায়দার/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর :  ১৭৯৮

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ হাজার ২০১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৮২২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন।

#

হাবিবুর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৭৯৭

 

পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানো হবে

                                  ---সমাজকল্যাণমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

 

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের উদ্ভাবন করেছিলেন। সূচনাকাল থেকে এ কার্যক্রম দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানো হবে।

          মন্ত্রী আজ সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম হতে পারে উন্নয়নের রোল মডেল’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ।

          মন্ত্রী বলেন, পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা হবে। এ কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পল্লী জনগোষ্ঠীর মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। জনগণ যদি সামান্য পুঁজি পায়;  তবে সঠিক উপায়ে তা ব্যবহার করে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে অতিদরিদ্র শ্রেণির মানুষকে দরিদ্রতার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

          সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম।

 

#

জাকির/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর : ১৭৯৬

 

সাম্প্রতিক সময়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাষ্ট্রের শত্রু

  •  

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

            সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাষ্ট্রের শত্রু বলে মন্তব্য করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।        

            আজ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা (সার ও বীজ) বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

            এসময় মন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ করোনা সংকটে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালোভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক একটি গোষ্ঠী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিটা মসজিদে ও মাদ্রাসায় এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে, এ সরকার ইসলামের জন্য যা করেছে দেশের ইতিহাসে কেউ তা করে নি। তারপরও সরকারের শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র পরিচালনার সময়, ইসলামের উন্নয়নের সময় কেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশেকে ধ্বংসের চেষ্টা চালানো হচ্ছে? যারা এটা করছে তারা রাষ্ট্রের শত্রু, ইসলামের শত্রু। তারা উন্নয়নের শত্রু, আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের শত্রু। তারা যেন কোথাও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে। তারা যেখানে অপচেষ্টা চালাবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

            এ বাংলাদেশে যারা উগ্রতা সৃষ্টি করতে চেয়েছে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের মোকাবিলা করেছি। সেদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে এ বাংলাদেশ উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নয়, অসাম্প্রদায়িক মানুষদের। একাত্তরে সালে যারা পরাজিত, তারা কোনদিন এই বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কেউ যদি নতুন করে স্বপ্নে বিভোর হয় যে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, তাদের শেখ হাসিনাকে চেনা উচিত। অপরাধ করলে তিনি কাউকে ছাড় দেন না। সময় থাকতে সবাইকে সংযত হতে হবে।-যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।

            মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কৃষকদের বঙ্গবন্ধু যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে বিনামূল্যে পাওয়ার পাম্প, কীটনাশক সরবরাহ করতেন, সে ধারা ১৯৯৬ সালে সরকার পরিচালনায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন। ২০০৯ সালে আবার সরকারে এসে সে ধারা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে কৃষকের চাষাবাদের জন্য কৃষি উপকরণ, কীটনাশক, সার, বীজ এমনকি কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে আজ আমাদের মাছ, মাংস, দুধ ডিম তথা খাদ্যের অভাব নেই। এ পরিবর্তনের মূলে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদণা ও নীতি-নির্ধারণ কাজ করেছে।

            কৃষি উপকরণ গ্রহণকারী কৃষকদের উদ্দেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। একটা জমিতে তিনটি ফসল ফলানো গেলে সেখানে তিনটা ফসলই ফলাতে হবে। দেশের কোন উর্বর জমি যেন পতিত না থাকে। এভাবে অমরা কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। করোনাকালে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরে পুষ্টির সরবরাহ প্রয়োজন। আপনারা যত বেশি কৃষি উৎপাদন বাড়াবেন তত বেশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার চ্যালেঞ্জ আরো দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।

            নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শশাঙ্ক রঞ্জন সমাদ্দারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/২০২১/১৬০০ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১৭৯৫

 

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না

                                                 - পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) :

 

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো বানিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিতে চাই, এ দেশকে কোনও দিনই  ইরাক, সিরিয়ার মতো বানানো যাবে না। দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে না পেরে, দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রকারী এ কুচক্রী মহলকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে ব্যাহত করতে দেয়া হবে না। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়েই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

          আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরিফ-১/২০২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের  উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকার  বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          পরিবেশ মন্ত্রী উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিস

2021-04-12-15-25-fbd5878f76d7af80e65b3b11a3c4a540.docx