তথ্যবিবরণী নম্বর :৩২৯২
মিয়ানমার নাগরিকদের সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান
উখিয়া (কক্সবাজার), ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪ শত ২০ জন । মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সেবা প্রদান চলমান রয়েছে।
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছে। এদের মধ্যে ৫ হাজার ১ শত ৫৫ জনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রসূতি সেবার আওতায় ১ হাজার ২৫ জন শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
শিশুসহ মিয়ানমার নাগরিকদের হাম রুবেলার টিকা, ওপিভি টিকা, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং কলেরা ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। উখিয়ার টিভি স্টেশনের পাশে নরওয়েজিয়ান রেডক্রসের সহযোগিতায় বিডিআরসিএস ৬০ শয্যার ১ টি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করে সেবার জন্য উন্মুক্ত করেছে। মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন স্থানে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করে চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করেছে।
মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য ৩ হাজার ৫ শত একর ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখ জনকে নতুন ক্যাম্প এলাকায় আশ্রয় দান করা হয়েছে। নতুন ক্যাম্প এলাকায় ১৩ কি.মি. সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হয়েছে।
আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমার নাগরিকদের নির্ধারিত এলাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে ১১ টি পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার থেকে ৪০ হাজার ৭২ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে ৭ শত ১২ জন মিয়ানমার নাগরিককে উদ্ধার করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
#
সাইফুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/২০২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩২৯০
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং -১ ক্যাম্পে ২ শত ৫ জন পুরুষ, ১ শত ৮২ জন নারী মিলে ৩ শত ৮৭ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৪ শত ৫৫ জন পুরুষ, ৪ শত ৬১ জন নারী মিলে ৯ শত ১৬ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৩ শত ৮০ জন পুরুষ, ৫ শত ২৭ জন নারী মিলে ৯ শত ৭ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৭ শত ৯৭ জন পুরুষ, ৭ শত ৬৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫ শত ৬৪ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ১ শত ৪৯ জন পুরুষ, ১ শত ৪১ জন নারী মিলে ২ শত ৯০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৮ শত ২৫ জন পুরুষ, ৯ শত ৪৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৬৮ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ৩৭ জন পুরুষ, ২২ জন নারী মিলে ৫৯ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার ৮ শত ৯১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৪২ হাজার ৮ শত ৯ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪ শত ২০ জন । অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#
সাইফুল/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/২০২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৯১
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ১৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩২ ট্রাকের মাধ্যমে ৪২ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ২ শত ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২ শত ১২ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ১ হাজার ২ শত ৯০ পিস পোশাক, ১৬ হাজার ৯ শত ১৭ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার ৪টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ২ হাজার ৯ শত ৬২ মেট্রিক টন চাল, ৮০ মেট্রিক টন ডাল, ৮৭ হাজার ৯ শত ৬৯ লিটার তেল, ৬১ মেট্রিক টন লবণ, ৭০ মেট্রিক টন চিনি, ২ হাজার ২ শত ৮ কেজি আটা, ৭২ হাজার ৬ শত ৭০ কেজি গুঁড়োদুধ, ১৬ হাজার ১ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডিল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত “অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা” নামক সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখার চলতি হিসাব নং ৩৩০২৪৬২৫ এ আজ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার ৬ শত ৬৬ টাকা জমা রয়েছে।
#
সাইফুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৯
তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বাংলা ভিশন পরিদর্শন
পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) ফায়জুল হকের নেতৃত্বে আজ তথ্য অধিদফতরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল শ্যামলবাংলা মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান বাংলা ভিশন টিভি চ্যানেল পরিদর্শন করেন।
এর পূর্বে এক মতবিনিময় সভায় বাংলা ভিশনের মুখ্য বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউস বাংলা ভিশন। বাংলা ভিশন বস্তুনিষ্ঠ ও ভারসাম্যমূলক সংবাদ পরিবেশন এবং মার্জিত, রুচিশীল অনুষ্ঠান প্রচারই এ প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। মতবিনিময়কালে তথ্য অধিদফতর ও বাংলা ভিশন প্রতিনিধি একমত পোষণ করে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ও নীতিসমূহ তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার ও গণমাধ্যমের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যাবশকীয়। এ যোগাযোগ যত বৃদ্ধি পাবে জনগণের কল্যাণ তত নিশ্চিত হবে।
তাঁরা আরো বলেন, জনসংযোগ ও গণমাধ্যম একই সূত্রে গাঁথা। জনগণকে নির্ভুল তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা না থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা কারো কাম্য নয়।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা ভিশনের উপদেষ্টা (নিউজ) আবদুল হাই সিদ্দিকী, হেড অভ্ এইচ আর এজি সারোয়ার, হেড অভ্ নিউজ মোস্তফা ফিরোজ।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ বাংলা ভিশনের বার্তাকক্ষ, প্রোগ্রাম স্টুডিও, প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুমসহ বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন।
#
শহিদ/সেলিম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৯
তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বাংলা ভিশন পরিদর্শন
পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) ফায়জুল হকের নেতৃত্বে আজ তথ্য অধিদফতরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল শ্যামলবাংলা মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান বাংলা ভিশন টিভি চ্যানেল পরিদর্শন করেন।
এর পূর্বে এক মতবিনিময় সভায় বাংলা ভিশনের মুখ্য বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউস বাংলা ভিশন। বাংলা ভিশন বস্তুনিষ্ঠ ও ভারসাম্যমূলক সংবাদ পরিবেশন এবং মার্জিত, রুচিশীল অনুষ্ঠান প্রচারই এ প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। মতবিনিময়কালে তথ্য অধিদফতর ও বাংলা ভিশন প্রতিনিধি একমত পোষণ করে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ও নীতিসমূহ তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার ও গণমাধ্যমের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যাবশকীয়। এ যোগাযোগ যত বৃদ্ধি পাবে জনগণের কল্যাণ তত নিশ্চিত হবে।
তাঁরা আরো বলেন, জনসংযোগ ও গণমাধ্যম একই সূত্রে গাঁথা। জনগণকে নির্ভুল তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা না থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা কারো কাম্য নয়।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা ভিশনের হেড অভ্ এইচ আর এজি সারোয়ার, হেড অভ্ নিউজ মোস্তফা ফিরোজ।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ বাংলা ভিশনের বার্তাকক্ষ, প্রোগ্রাম স্টুডিও, প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুমসহ বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন।
#
শহিদ/সেলিম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৮
বর্তমান সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে
---সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাঙালি জাতির বীর সৈনিক। তাঁরা বাঙালি জাতির গর্ব। বাঙালি জাতি চিরকাল তাঁদের স্মরণে রাখবে। অতীতের কোন সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সম্মান দিতে পারেনি। বর্তমান সরকারই কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু ও বৃদ্ধিকরণ, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের কোটা বহালকরণ, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুবিধাসহ তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন রকম যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলেব্রিটি হলে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ¦ল ইতিহাসকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘বিজয় ইতিহাস অ্যাপ’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত এ অ্যাপ ব্যবহার করে ২ থেকে ৫০০ টাকার যে কোন নোট স্ক্যান করে যে কেউ জানতে পারবেন স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে থাকা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বরেণ্য চিত্রকর মুস্তাফা মনোয়ার। রবি কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হনুফা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, গুগল সার্চ করে শুধু তথ্য পাওয়া যাবে কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা যাবে না। জ্ঞান অর্জন করতে হলে সাধনা করতে হবে, বই পড়তে হবে। ঘটনার অন্তরালের ঘটনা এবং ইতিহাস জানতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে সুস্থ ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চাকে মূল কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
‘বিজয় ইতিহাস অ্যাপ’ সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেট কমিউনিকেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার আশরাফুল হক।
#
ফয়সল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৭
বাংলাদেশ ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে পূর্বের সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়নের জোরদাবি করবে
---বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডব্লিউটিও ১ম থেকে ১০তম মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্স পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্তের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবি করবে বাংলাদেশ। উন্নতবিশ^ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে জিএসপিসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সু্িবধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু অনেক উন্নত দেশ তা দিচ্ছে না। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য ১১তম ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্বসহ আলোচনা করা হবে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য ১১তম ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশের যোগদান উপলক্ষে করণীয় নিয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে দক্ষতার সাথে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এবারে কম্বোডিয়া কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছে। মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে অনেককিছু পেয়েছে। এর আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদান করছে। ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রুলস অভ্ অরিজিন ৩০ ভাগ থেকে ২৫ ভাগে নেমে আনা হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেবা খাতের রপ্তানিতে সুবিধা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদান করছে না। কনফারেন্সে ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক, ইউএসটিআর এবং বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করা হবে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বিষয়ে প্রচেষ্টা চালানো হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করবে। তখন বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নতবিশ^ থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ডব্লিউটিও এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড চুক্তিতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ প্রথম স্বাক্ষর করেছে। এখন বাংলাদেশ পেপার-লেস বিশ^ বাণিজ্যের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বিশ^বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীন ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন পূরণ করে চলছেন। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল দেশ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ২৫জন প্রতিনিধি আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য ১১তম ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে যোগদান করবে।
#
বকসি/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৬
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অনন্যসাধারণ নাম। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেলকর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি, ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তাঁর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৮৫
হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আজীবন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা।
হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন কাজ করেছেন। তিনি সবসময় সমতার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে তাঁর মতো মহান নেতার নেতৃত্ব, সংগ্রামী জীবন এবং আদর্শ আমাদেরকে সবসময় প্রেরণা জোগায়।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/আশরোফা/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০২০ ঘণ্টা