Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুন ২০২০

তথ্যবিবরণী ১৭ জুন, ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২১৯৪

আইসেস্কো ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :

          করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির প্রেক্ষিতে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সংকট এবং সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব মোকাবেলায় ‘কোভিড-১৯ সংকটের প্রেক্ষিতে টেকসই সাংস্কৃতিক কর্মপরিকল্পনা’ [Sustainability of Cultural Action in the Face of Crises (Covid-19)] শীর্ষক ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংগঠন ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (Islamic World Educational, Scientific and Cultural Organization: ICESCO) এর আয়োজনে সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যোগদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বেইলি রোডস্থ মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে এ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যুক্ত হন।

          সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, নোভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকট মোকাবিলা ও এর তাৎক্ষণিক প্রভাব নিরসনে ইতোমধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমতুল্য প্রায় ১২ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একগুচ্ছ (১৯টি) আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যেখান থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রান্তিক শিল্পীদের উপকৃত হওযার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজ ছাড়াও ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক সংঘ, প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পীদেরকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা (৩ দশমিক ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যয়ে বই ক্রয় করা হয়েছে যা সংস্কৃতি খাতকে জোরদারকরণ ও পুনর্জাগরণে সহায়তা করবে।

          কে এম খালিদ বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সম্পদ আহরণ এবং সুবিন্যস্ত কর্মকাঠামো তৈরি করা যা এ সংকট বিশেষ করে সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব নিরসনে সহায়তা করবে। লাইভ স্ট্রিমিং পারফরম্যান্স এবং ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজম এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাসমূহ এ সংকটে টিকে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের প্রসারে প্রত্নতাত্তি¦ক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনা এবং জাদুঘরসমূহে ভার্চুয়াল পরিদর্শন চালুর চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম গুগল আর্ট এণ্ড কালচার (Google Art and Culture) ব্যবহার করে এসব স্থাপনা ও জাদুঘরসমূহের থ্রি-ডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করা যাবে। এসব বাস্তবায়নে প্রথমত আমাদের প্রয়োজন সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ; দ্বিতীয়ত নতুন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত চর্চা গ্রহণকে আমাদের স্বাগত জানানো ও সমর্থন করা; তৃতীয়ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

          সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সংস্কৃতি খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকার বিভিন্ন সাহিত্য ও শৈল্পিক সৃজনশীলতাভিত্তিক কিছু প্রকল্প নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে, কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। ইউনেস্কো ও আইসেস্কো এক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে পারে।

          বাংলাদেশ সময় আজ বিকাল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইসেস্কোর সদস্যভুক্ত ৫৪টি দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীগণ অংশগ্রহণ করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি ও জ্ঞান উন্নয়ন মন্ত্রী মিসেস নাওরা আল কাবি (Mrs Noura Al Kaabi) এর সভাপতিত্বে তিন ঘণ্টার এ বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্স পরিচালনা করেন আইসেস্কো (ICESCO) এর মহাপরিচালক ড. সেলিম এম আলমালিক (Dr. Salim M. AlMalik)।

#

ফয়সল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২১৯৩

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । ‌

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৪ হাজার ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন । ‌

          এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৪২টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৭০৫টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭টি।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

তাসমীন/মাহমুদ/সঞ্জীব/ জয়নুল/২০২০/১৯২০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১৯২

আরো এক ইউপি চেয়ারম্যান এবং দশ ইউপি সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :   

            প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা ও হতদরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ  এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-সহ বিভিন্ন অভিযোগে এক  জন চেয়ারম্যান এবং দশ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

            স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে আজ এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

            প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

            এছাড়া, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-সহ বিভিন্ন কারণে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮ নং ওয়ার্ডের আসো মোঃ আবুল কালাম, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ৮ নং নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলাধীন ৪ নং কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মফিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলাধীন বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসাঃ মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন ৬ নং চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

            উল্লিখিত সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

            সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা  হয়।

            উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট একশ’ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।

#

হায়দার/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১৯১

করোনা মোকাবিলায় সকল দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন

                                                                   -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় সকল দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আজ বাংলাদেশে সফররত চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সাথে সিলেট ও চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীন করোনা মোকাবিলায় পারস্পরিক সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন।

          ড. মোমেন বলেন, চীনের উহান প্রদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সারা বিশ্ব অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। চীন সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার শিকার হয়। করোনার ভয়াবহতা মোকাবিলায় চীনের সফলতা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে। চীন করোনা মোকাবিলায় জরুরি হাসপাতাল নির্মাণ, কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা-সহ দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

          চীন সরকার এবং সেদেশের বেসরকারি সংস্থা আলিবাবা এবং জ্যাকমা ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ড. মোমেন ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সহযোগিতাকে বাংলাদেশের প্রতি চীনের জনগণ ও সরকারের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি করোনা পরিস্থিতিতে উহান প্রদেশ-সহ চীনের বিভিন্ন অংশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য চীন সরকার ও সেদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

          বাংলাদেশকে কারোনা চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল গত ৮ জুন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তারা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

          ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজের পরিচালক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সংযুক্ত ছিলেন।

#

তৌহিদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১৯০

 

ভুটানের সাথে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) চূড়ান্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :   

 

          বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিতীয় অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এ কনফারেন্সে বাংলাদেশ পক্ষের ১০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান। ভুটানের পক্ষে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন ডিপার্টমেন্ট অভ্‌ ট্রেড এর মহাপরিচালক সোনম তেনজিন।

 

          উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিটিএ সম্পাদনের জন্য পিটিএ টেক্সট, Rules of Origin, Product List ইত্যাদি চূড়ান্ত করা হয়। উভয় পক্ষ পিটিএ সম্পাদনের জন্য ঐকমত্যে পৌঁছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও কেবিনেটের অনুমোদনের পর ৩০ আগস্ট ২০২০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। উভয় পক্ষের দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীগণ এ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

 

          বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। তবে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা  বৃদ্ধি করা যাবে। ভুটান থেকে শুল্ক-মুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা গেলে বাংলাদেশে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যয় হ্রাস পাবে যা নির্মাণ খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল আমদানি করা সহজ হবে।

 

#

বকসী/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৮৯

 

আবহাওয়ার সতর্কবার্তা

সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

 

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :

            বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

            চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

            উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

#

মল্লিক/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২১৮৮

সরকারের পূর্বঘোষিত মূল্যেই ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে

                                                      -- খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :

            সরকারি গুদামের মজুত বাড়াতে ধান-চাল ক্রয়ে গতি ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একইসাথে সরকার কর্তৃক পূর্বঘোষিত মূল্যেই ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে; কোনোক্রমেই মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড বাতিলে শক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী।

            আজ সকালে মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে বরিশাল বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

            সভায় মন্ত্রী বলেন, সরকারের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে এবার কৃষক বোরোতে বাম্পার ফলনে ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে। এই বাজার দর ধরে রাখতে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া নির্দেশ মোতাবেক খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে। ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

            চালকল মালিকদেরকে চুক্তি মোতাবেক সঠিক সময়ে চাল দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, সরকার সকল ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিচ্ছে; অতএব সেই প্রণোদনার অংশীদারিত্বের সুযোগ চালকল মালিকরাও নিতে পারবেন। সরকারিভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই হবে না, জানান খাদ্যমন্ত্রী।

            খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা তুলে ধরে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ আসায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়া হয়েছিল অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা প্রেরণ করার। এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধামকিকে ভয় না করে; স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব হালনাগাদ করে নতুন তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন।

            ভিডিও কনফারেন্সে বরিশাল বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

            খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষকবান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়। চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই। তিনি বলেন, কোন কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন।

            ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসকগণ এবং বরিশাল বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

#

সুমন/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২১৮৭

অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েব কনটেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা

                                                             -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :   

            ‘অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েব কনটেন্টের বিরুদ্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে’ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

            আজ দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সম্প্রতি ‘কিছু ওয়েব সিরিজের আপত্তিকর দৃশ্যাবলী’ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী  ডা. মোঃ মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

            তথ্যমন্ত্রী ওয়েব সিরিজ নিয়ে এ ধরণের গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই এ ধরণের আপত্তিকর বা পর্নোগ্রাফির মতো কোনো কনটেন্ট আপলোড করা সমীচীন নয় এবং এটি ২০১২ সালে প্রণীত ভিডিও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা এগুলো করেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যাবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড -এটি ভিডিও পর্নোগ্রাফি আইনে বলা আছে।’

            ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগেও বিষয়টি আমাদের নোটিশে এসেছে এবং গ্রামীণ ও রবি দু’টি মোবাইল কোম্পানির দু’টি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে আপলোড করা এ ধরণের যে কনটেন্টগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে, তা আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশান রেগুলেটরি কমিশন -বিটিআরসিকে জানিয়েছি’, বলেন মন্ত্রী।

            ‘প্রথমতঃ তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ধরণের কনটেন্ট আপলোড করার আইনগত অনুমোদন আছে কি না সেটি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘যদি আইনগত অনুমোদন না থাকে তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। আর যদি আইনগত অনুমোদন থাকেও, ভিডিও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কনটেন্টগুলোর আইনভঙ্গ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং সরকার এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ 

করোনায় উচ্চ, মধ্য ও স্বল্প সংক্রমণ এলাকা চিহ্নিতের কাজ চলছে

            তথ্যমন্ত্রী এ সময় করোনা সংক্রমণের জোন বিভাজন ও লকডাউনের বিষয়ে বলেন, করোনায় উচ্চ, মধ্য ও স্বল্প সংক্রমণ এলাকা চিহ্নিতের কাজ চলছে, আজ পর্যন্ত শুধু ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলক লকডাউনে রয়েছে।

            ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন যে, আমরা একটা বৈশ্বিক মহামারির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন উন্নত দেশে এবং যে সমস্ত দেশে সংক্রমণ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে গিয়েছে, তারাও জীবিকারক্ষার তাগিদে সেখানে সবকিছু খুলে দিয়েছে। আজকের পত্রিকাতেই এসেছে, গত ১০০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে সর্বনিম্নের মধ্যে একটি। 

            জনজীবন রক্ষার নতুন পদক্ষেপ হিসেবে সরকার দেশকে বিভিন্ন জোনে- অতিসংক্রমিত, মধ্যম সংক্রমিত, কম সংক্রমিত বা সংক্রমণ হয়নি এমন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ করছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত শুধু ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারকেই পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, অন্য কোথাও নয়। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। ভবিষ্যতেও যদি কোথাও লকডাউন ঘোষণা করা হয়, সেখানে কি কি করা যাবে সে নির্দেশনা দেয়া হবে। সবাইকে অনুরোধ জানাবো, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে  যাতে আমরা এমন কিছু না করি বা এমন কিছু না ছড়াই যাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।’ 

            সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টার সাথে আমরা ব্যক্তিগতভাবে যদি সচেতন থাকি, তাহলেই নিজেকে কোভিড-১৯ এর হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হবে, স্মরণ করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী। 

#

আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭২৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২১৮৬

লকডাউন কার্যকর করতে কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :    

          জোন ভিত্তিক লকডাউন বিশেষ করে রেড জোনে লকডাউন কার্যকর করতে কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। সেই সাথে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য জরুরি সেবাসমূহ নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন তিনি।

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে কথা বলেন। লকডাউনকৃত এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা দেয়ার জন্য এসব এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়।

          তিনি বলেন, লকডাউনকৃত এলাকায় গরীব দুঃস্থ, খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

          পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এখানে পরীক্ষামূলক ভাবে লকডাউন করা হয়েছে এবং এখানকার অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যেখানে লকডাউন প্রয়োজন সেখানে তা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

          মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যেসব দেশে করানো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তারাও সবকিছু চালু করছে। কারণ মানুষকে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে এর বিকল্প নেই। ঢাকা শহরে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

          এসময়, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ, লকডাউন কার্যক্রমে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২০/১৬১৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২১৮৫

কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের সহযোগিতায় কুইক রেসপন্স টিম গঠন করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :    

          করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য এক জন উপসচিব কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

          টিমের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হলে টিম অসুস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে চাহিদার ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে। প্রত্যেক সপ্তাহে আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

          এছাড়াও এ সংক্রান্ত উদ্ভূত, অন্য যে কোন দায়িত্ব সম্পাদন করবে। দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কুইক রেসপন্স টিম এর একটি বিকল্প টিমও গঠন করা হয়েছে। 

          উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী'র নিজস্ব উদ্যোগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুই ধাপে ৫০ জনের করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

#

সৈকত/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২০/১৫৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২১৮৪ 

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে উচ্চফলনশীল জাতের ওপর কৃষিমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) :    

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনার কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে খাদ্য উৎপাদন আরো অন

2020-06-17-21-29-a21f95a0c9314261fbd2c4048684e5cb.docx