Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৬ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫১৭

 

চীনের কুনমিংয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

 

কুনমিং (চীন), ২৬ মার্চ :

 

          বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীনে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন করা হয়।

 

          কনস্যুলেট এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

          দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। কনসাল জেনারেল কৃতজ্ঞচিত্তে এবং গভীর  শ্রদ্ধার সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ ও জাতির কল্যাণে অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা সমগ্র জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে এবং তাঁর নির্দেশে পরিচালিত রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোফিটেল হোটেল, কুনমিংয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

          পিপলস কংগ্রেস অভ্‌ ইউনান এর স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান Li Pei অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কুনমিংস্থ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলগণ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্নস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।  

 

#

 

আমিনুল/নাইচ/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ১৫১৬

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে

দশ দিনব্যাপী মুজিব চিরন্তনঅনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিনের প্রতিপাদ্য

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :

            জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা’র সমাপনী দিনের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

            আজ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

            বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টায়। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন ও স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

            অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বের শুরুতে ‘মুজিব চিরন্তন’ থিমের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন, থিমেটিক কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর থিম সংগীত, ‘মুজিব চিরন্তন’ থিমের টাইটেল এনিমেশন, সশস্ত্রবাহিনীর তথ্যচিত্র পরিবেশিত হয়। আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। এছাড়া রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন জুনিয়র এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।

            জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আরো যেসব রাষ্ট্র ও সংস্থা শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছে এ অনুষ্ঠানে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণকারী দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ব্রুনেই, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, এস্তোনিয়া, মিশর, ইথিওপিয়া, গ্রিস, জর্জিয়া, ইরাক, জাপান, কসোভো, কুয়েত, লাও, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ কোরিয়া, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, মোনাকো, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, কাতার, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, সার্বিয়া, স্পেন, সিংগাপুর, সানমারিনো, সুইজারল্যন্ড, সুইডেন, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, উজবেকিস্থান এবং  ভিয়েতনাম।

            যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছে সেগুলো হলো আগাখান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (একেডিএন), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও), ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ), ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (আইপিইউ), ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিশ্ব মেধাসম্পদ  সংস্থা (ডব্লিউআইপিও), বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), সাউথ সেন্টার, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংগঠন (আংকটাড)।

            অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত সরকার কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রদত্ত ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২০’ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার হাতে তুলে দেন।

            আলোচনা পর্বে সম্মানিত অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। এরপর প্রধান অতিথি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের বক্তব্য এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

            সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে নবনির্মিত রাগ ‘মৈত্রী' পরিবেশনা, অস্কার জয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের পরিবেশনা, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ শীর্ষক অডিও ভিজ্যুয়াল, ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীন স্বদেশ, কন্যা দিয়েছে আলো’ শীর্ষক থিমেটিক কোরিওগ্রাফি, ‘বিন্দু থেকে সিন্ধু’ শীর্ষক তিনটি কালজয়ী গান, সমবেত বাদ্য ও কোরিওগ্রাফি সহযোগে ‘বাংলাদেশের গর্জন : আজ শুনুক পুরো বিশ্ব’ এবং সবশেষে ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শো’র মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

#

মোহসিন/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                                                                                                                                             Number: 1515

Sydney celebrates Golden Jubilee of Independence

Sydney, 26 March:

The Consulate General of Bangladesh in Sydney celebrated today the 50th anniversary of the Independence Day of Bangladesh with patriotic fervour, zeal, dignity and pride that saw the enthusiastic participation of large number of political leaders and dignitaries, diplomats, as well as members of Bangladesh community, including representatives from all walks of life.

The day began with the flag hoisting ceremony that was held at Bangladesh House lawns today. Thereafter, the messages issued on the occasion by the President, Prime Minister, Foreign Minister and State Minister for Foreign Affairs were read out to the attendees. A special prayer was offered seeking dua for the salvation of the soul of the Father of the National and the martyred members of his family, the martyred liberation war heroes as well as the protection of the sovereignty and the continuous prosperity of the nation. In his remarks afterwards, Consul General spoke about the Bangladesh’s remarkable development over the last five decades that paved the way to become developing nations on its 50th year of the independence. He hoped that if Bangladesh sustains its present growth, it will become a developed country by 2041. He encouraged everyone to work to realize the dream of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman to make Bangladesh a ‘Sonar Bangla’.

The Consulate hosted an elegant National Day Reception and Dinner for more than 150 guests at the grand ballroom of the City’s Four Seasons Hotel in a complete COVID safe manner. Present in the packed hall was a large number of dignitaries including the Governor of NSW the Honourable Margaret Beazley, who was the guest of honour of the event, the speaker of the Legislative Assembly of NSW Jonathan O’DEA, MP, leader of the opposition of NSW Legislative Assembly Jodi McKay, MP, parliament members, local government representatives including Mayors and Deputy Mayors of city councils of Sydney area, representatives of Australian Department of Foreign Affairs and Trade, members of media and eminent members of Bangladesh community.

The meteoric emergence of Bangladesh in the global economy were displayed through the digital banners at the centre of the hall. Video footages and documentaries of various sectors were also displayed in the large screen.

The Consul General made a welcome remark addressing the august gatherings. In his remarks, he extended a warm welcome and greetings to all attendees on the National Day. He paid rich tribute to the memory of the Father of the Nation and recalled with profound gratitude his immense contribution to the independence of Bangladesh. He also paid profound homage to our 3 million martyrs and two hundred thousand mothers and sisters whose supreme sacrifices bought us the sovereignty and independence. Consul General, in his speech, highlighted Bangladesh’s remarkable journey as a nation in last fifty years. Representing the spellbinding statistics of various economic and social indices, he showed the enhanced trajectory of Bangladesh’s economic growth on the way to become a developing nation at its 50th year of independence. He expressed his sincere appreciation to Bangladesh diaspora in NSW and Queensland for their outstanding contributions in uplifting the image of Bangladesh abroad and urged them to contribute towards the economic growth of Bangladesh and strengthen the bonds of friendship between Bangladesh and Australia. The Governor, in her remarks, congratulated Bangladesh on both fiftieth anniversary of independence and celebration of Mujib Year. Appreciated the development of Bangladesh and specially lauded the achievements in health sector and women empowerment. The leader of the opposition Jodi McKay, Wendy Lindsay MP who represented Premier of New South Wales and High Commissioner of Bangladesh to Australia also spoke on the occasion.

A crisp cultural show of dance and sarod playing followed the discussion segment which was widely appreciated. The guests were served traditional Bangladeshi dishes at dinner.

#

Asfiq/Roksana/Sahela/Sanjib/Abbas/2021/2124 Hours 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                       নম্বর : ১৫১৪

 

গ্রিসে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

 

এথেন্স (গ্রিস), ২৬ মার্চ:                               

 

          যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গ্রিসে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে।  বিশ্বব্যাপী করানা ভাইরাসজনিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল লক্ষ্য করার মতো।  দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে আজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং করোনা ভাইরাস হতে বিশ্ববাসীর আশু মুক্তি ও দেশের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

          দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ জুম প্লাটফর্মে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়।  এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের নেতৃবৃন্দ, গ্রিস আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিগণ।  কর্মসূচির শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী ৩০ লাখ শহিদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও  পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।  এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

 

          স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ গত পঞ্চাশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের সম্মানসূচক কাতারে অন্তর্ভুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ও ভবিষ্যতে আরো সাফল্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  একই সাথে তারা প্রবাসে আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার জন্য আরো বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।  তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।  তিনি বলেন, একমাত্র ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও স্বনির্ভর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমেই জাতির পিতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের লাখো শহিদের আত্মত্যাগ সফল করা সম্ভব হবে।

 #

 

রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫১৩

 

উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

 

তাসখন্দ, ২৬ মার্চ :

 

          উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে। আজ চ্যান্সেরি ভবনে রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। চ্যান্সেরী ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

          অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ও দোয়া করা হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী  প্রদত্ত ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তা প্রজেক্টরে প্রদর্শন করা হয়।

 

          এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। এ সময়ে উজবেকিস্তানের  রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরিত শুভেচ্ছা বার্তাটি ভিডিও প্রজেক্টরে প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত মানিশ প্রভাত, প্রাক্তন উজবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী তুরসুনালী কুজিয়েভ, ভারতে উজবেকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সুরাত মীর কাশিমভ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ২০২১ পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. গুলাম ইসমাঈলভ, কমিউনিটি নেতা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী, বিখ্যাত উজবেক চিত্রশিল্পী লেকমি ইব্রাহিম প্রমুখ। বক্তারা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা জানান।

 

          এরপর দেশাত্মবোধক স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইউছুপ নিজামী। উজবেকিস্তানের ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউনিভার্সিটির ছাত্রীরা বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে ইংরেজী এবং উজবেক ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানের হাবাজ গ্রুপ কর্তৃক ‘একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠ’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টারের শিল্পীরা নৃত্যও পরিবেশন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশি শিশু ফারিহা, তাসনিম ও বুশরা নৃত্য পরিবেশন করে। পরে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক উপস্থিত বক্তৃতায় ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রী ফারিহা মারজান প্রথম, মীর্জা উলুগবেক স্কুলের ছাত্রী কাজী তাসনিম বুসরা দ্বিতীয় এবং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র হোজি আকবর তৃতীয় স্থান অধিকার করে। অনুষ্ঠানে আগত বাংলাদেশি এবং উজবেকিস্তানের নারী ও পুরুষেরা দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

          অনুষ্ঠান শেষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ কেক কাটা হয় এবং প্রত্যেক অতিথিকে বিশেষ স্মারক উপহার ও বাংলা খাবারে আপ্যায়ন করানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

#

রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৫১২

 

পাকিস্তানি দোসররা আজও স্বাধীন বাংলাদেশে বিচরণ করছে

                                  ---প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

কুড়িগ্রাম, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):             

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, পাকিস্তানি দোসররা আজও বাংলাদেশে বিচরণ করছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। 

          প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলায় মেতে ওঠে। এই রাতে অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয় এবং ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে  পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। 

          প্রতিমন্ত্রী রৌমারী উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

          এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সুরাইয়া সুলতানা প্রমুখ। 

        #

রবীন্দ্রনাথ/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০৩৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫১১

 

বার্লিনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

 

বার্লিন, ২৬ মার্চ :

 

          মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অনলাইনভিত্তিক জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায়  নিয়ে ও স্বাগতিক দেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে উপর্যুক্ত আলোচনাসভায় যোগদান করেন।

 

          অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর  রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মচারীদের নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা ও জাতীয় স্মৃতি সৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর জুম প্ল্যাটফর্মে সংযোগের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচি আরম্ভ হয়, যেখানে জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং জার্মানিতে অবস্থানরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।  

 

          ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতেই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী  উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী  উপলক্ষে প্রেরিত প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়, যা উপস্থিত সকলে আগ্রহভরে শোনেন ও অবলোকন করেন। 

 

          অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তির সংগ্রাম, অর্জিত স্বাধীনতা ও জাতীয় ত্যাগ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির পর বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিষয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারী বিদেশি আলোচকরা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপুর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্বদেশ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

 

          পরে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, সকল শহিদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরিশেষে দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

#

 

রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫০৯

 

বঙ্গবন্ধুর সাহসী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরই এনে দিয়েছে স্বাধীনতা

                                           -- শিল্পমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :

 

          শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর এনে দিয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের কারণেই শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন বাঙালির নেতা। বঙ্গবন্ধু ছেলেবেলা থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। তিনি আজীবন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত করেছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক বাংলাদেশ।

 

          শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

 

          মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে প্রমাণ করেছেন, করোনা মহামারি মধ্যেও একটি দেশকে কিভাবে তার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হয়। আর তাই সকলকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার দেখানো উন্নয়নের রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে।

 

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকে পুঁজি করে একশ্রেণির সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, এদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সকল সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশন শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করছে। এছাড়া, বিটাক ও এনপিও সরকারি-বেসরকারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানে কারিগরি সহায়তাসহ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৪১ সালে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

          এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে শিল্পমন্ত্রী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী, শিল্পসচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ লবিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন। অত:পর সম্প্রসারিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন শেষে পরিদর্শন করেন।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫০৮

 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অর্জন উন্নয়নশীল বাংলাদেশ

শিশু একাডেমিতে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :

          মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে। আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করছে। এ বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন,  গত ১২ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয়, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গড় আয়ু বৃদ্ধিতে অসামান্য অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এটাই জাতির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অর্জন। আজকের শিশুরা ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে ও প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।

          মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ  ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী।  আলোচনা সভা

2021-03-26-22-43-20cbb983587c7fdd545ddf0baf8b6fc7.docx