তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৭
বান্দরবানে মারমাদের সাংগ্রাই শুরু
বান্দরবান, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
পুরানো বছরকে পিছনে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান ‘সাংগ্রাই’ পালনের উদ্দেশে আজ জেলা শহরের রাজার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজার মাঠে এসে শেষ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
মারমা তরুণ তরুণীরা বর্ণিল পোষাকে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পরে রাজার মাঠে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্যবাসীর সামাজিক সেবা নিশ্চিতকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে এখানে বসবাসরত সকল সম্প্রদায় তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরো সংহত করেছে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল সাঙ্গু নদীতে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্যে দিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ীপল্লীতে মারমাদের সাংগ্রাইয়ের আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব (জলকেলি) শুরু হবে। আগামী ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে ।
#
জুলফিকার/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৭
বান্দরবানে মারমাদের সাংগ্রাই শুরু
বান্দরবান, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
পুরানো বছরকে পিছনে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান ‘সাংগ্রাই’ পালনের উদ্দেশে আজ জেলা শহরের রাজার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজার মাঠে এসে শেষ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
মারমা তরুণ তরুণীরা বর্ণিল পোষাকে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পরে রাজার মাঠে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্যবাসীর সামাজিক সেবা নিশ্চিতকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে এখানে বসবাসরত সকল সম্প্রদায় তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরো সংহত করেছে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল সাঙ্গু নদীতে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্যে দিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ীপল্লীতে মারমাদের সাংগ্রাইয়ের আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব (জলকেলি) শুরু হবে। আগামী ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে ।
#
জুলফিকার/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৬
তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ নাগরিক সৃষ্টিতে সরকার কাজ করেছে
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
লালমনিরহাট, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ নাগরিক সৃষ্টিতে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী শিক্ষানীতি দক্ষ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ বিশ্বমানের নাগরিক সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিমন্ত্রী আজ লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদ্্যাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সুশিক্ষিত ও আদর্শ মা ছাড়া আত্মনির্ভরশীল জাতি বিনির্মিাণ সম্ভব নয়। এজন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে উপবৃত্তি চালু করেছে।
ঐতিহাসিক এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশবিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বিদ্যালয়টির অবকাঠামো ও শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।
#
আহসান/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৫
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হবে
-- নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে জিততে হবে। পরাজিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজয়ী না হতে পারলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিআরইউ ভবনের স্বাধীনতা হলে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি আশিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, আব্দুল মালেক, এ বি এম সুলতান আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হারুনুর রশিদ খান, শাজাহান রিজভি এবং কে এম মজিবুর রহমান।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৪
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকতে হবে
---ত্রাণমন্ত্রী
মতলব উত্তর (চাঁদপুর), ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকতে হবে। আঠার বছরের পূর্বে মেয়েদের বিয়ের পিড়িতে বসানো যাবেনা। বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা ঝঁকিতে ফেলে দেয়।
মন্ত্রী আজ মতলব উত্তর উপজেলার নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এম এ কুদ্দুস এবং প্রধান শিক্ষক খান মোঃ শাহআলম বক্তব্য রাখেন।
মায়া চৌধুরী বলেন, গ্রামের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষা চালু করেছে। উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি পার্ক ও আইসিটি ল্যাব স্থাপনকে তিনি আধুনিক শিক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিশ্ব পরিবারের উপযোগী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়তে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
ওমর/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮৩
ফটো জীবন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে
--নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ফটো জীবন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে। আলোকচিত্রের মাধ্যমে অনেক সঠিক ইতিহাস জানা যায়। ফটো সাংবাদিকদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। আন্দোলন সংগ্রাম, সংকট দুর্যোগ, আনন্দ ও বেদনাসহ প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ আলোকচিত্র সংবাদপত্র কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপনার মতো সাহসিকতার কাজটি ফটো সাংবাদিকদের করতে হয়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এ বি এম লফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা হেলেনা জাহাঙ্গীর, সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা, পাওয়ার ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান এবং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় এবং মানুষের কল্যাণ হয়। আওয়ামী লীগ সরকার মক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও সংরক্ষণ করে। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের নামে নৈরাজ্য, ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করা হয়েছিল; যা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সমাধান করা হয়েছে।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮২
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের ব্যত্যয় এবং গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার।
বাংলা নববর্ষের উন্মেষ মূলত গ্রামীণ জীবন ঘিরে। হালখাতা উৎসব এবং গ্রামীণ মেলা ছিল একসময় এর মূল আকর্ষণ। হালখাতা উৎসব কালক্রমে প্রবেশ করেছে নগর জীবনে। দেশের প্রতিটি শহরেই পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। রাজধানী ঢাকার ষাটের দশকের সংযোজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যা আজ জাতিসংঘের
অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পণ্যের ক্রয়বিক্রয়, হালখাতা উৎসব, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের খাবারের জমজমাট ব্যাবসা, সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি আজ দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে।
আমরা বাঙালির এই শাশ্বত সার্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালির জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি জাতি বর্ষবরণ উৎসবকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রগতি এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বের ‘রোলমডেল’। বাংলাদেশ স¦ল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এস¦ীকৃতি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতি অঙ্গনে বিগত বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রভূত সাফল্যময়।
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নতসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করি। বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এ প্রার্থনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৮১
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। শুভ নববর্ষ। বাংলা নবর্ষের এই আনন্দঘন দিনে আমি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর নিয়ে আসুক সুখ ও সমৃদ্ধি এ প্রত্যাশা করি।
ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, আজ তা সালগণনার সীমা ছাড়িয়ে সর্বজনীন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ‘ওহঃধহমরনষব ঈঁষঃঁৎধষ ঐবৎরঃধমব’ এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ স্বীকৃতি আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি জাতি হিসেবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক অবস্থানকে আরো সমুন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষ বাঙালি ঐতিহ্যে লালিত সর্বজনীন উৎসব। দিনটি সবাইকে প্রবলভাবে আপ্লুত করে এবং পুরাতনকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগায়। দেশজুড়ে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখি মেলা উদ্যাপন দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারেও অনবদ্য ভূমিকা রাখে। প্রবাসী বাঙালিরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নববর্ষ পালন করেন, যা এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যাবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন।
অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করবে। সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য আনন্দের বারতা বয়ে আনুক এ প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরানুল/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা