তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৭৮
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মিত্রবাহিনীর ভারতীয় ৩০ সদস্যকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এই বীর সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল অনিল কুমার লাম্বার নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা পরিবারসহ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
বিদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রায় এককোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবৃত্তি চালু করছে বলে মন্ত্রী এসময় জানান। বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
মারুফ/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৭৭
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতি, বাঙালি রাষ্ট্রপরিচয় বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই।’ এ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ২৩ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য ২৩ বছর তাঁকে অনেক চড়াই-উৎড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ধারাবাহিক সংগ্রামের এক পর্যায়ে ছয় দফা দিলেন, যা পাকিস্তানিদের পক্ষে মানা সম্ভব ছিল না, এটা বঙ্গবন্ধু জানতেন। পাকিস্তানিরা জানত, এ ছয় দফা যদি মেনে নেয় তাহলে পাকিস্তান আর থাকে না। বাংলাদেশ আলোচনার ভিত্তিতেই স্বাধীন হয়ে যায়। এ ছয় দফার মধ্যে সবকিছু আমাদের ছিল। এখানে আলাদা বাহিনী, আলাদা রাজস্ব কর, সব ঠিক করা, মুদ্রা আলাদা; শুধু একমাত্র বৈদেশিক নীতিটা বাদ দিয়ে বাকি সব আমাদের।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-তে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আইইবি ঢাকা কেন্দ্র আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা এবং পৌষ উৎসব-১৪২৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি শুরু করছিলেন; কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করার কারণে সেটি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইত্যাদি সংকট থাকা সত্ত্বেও দেশ ভালোভাবে চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যরে মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, আইইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নূরুল হুদা, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হাবিব আহমদ হালিম মুরাদ।
#
জাহাঙ্গীর/সিরাজ/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৭৩ বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন ও এসডিজি ২০৩০ অর্জনে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন ও এসডিজি ২০৩০ অর্জনে স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বিগত ১৩ বছরে এলজিইডি পল্লী এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৬৭ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছে। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়ার সেরালে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে গ্রামীণ যোগাযোগ, পানীয় জল সরবরাহ ও চলমান উন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বিগত ১৩ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশব্যাপী প্রায় ৮ লাখ ২২ হাজার ৭২৫টি নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। কোনো এলাকা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। তিনি বলেন, বরিশালসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সফলভাবে চলছে। তিনি এসব কর্মসূচির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। # আহসান/পাশা/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৭২ সন্তানদের সুশিক্ষিত করে সম্পদে পরিণত করতে হবে -- বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর (পীরগাছা), ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সন্তানদের সুশিক্ষিত করে সম্পদে পরিণত করতে হবে। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি টেকনিক্যাল শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনশক্তির দেশ-বিদেশে বিপুল চাহিদা রয়েছে। দেশে নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠছে। কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মন্ত্রী আজ রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গ্রাম পরিণত হয়েছে শহরে। এখানে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে কর্ম খুঁজে নিতে পারবে। ঘরে ঘরে শিক্ষিত সন্তান থাকলে কাজের অভাব থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওয়াজেদ আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নূরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ মহিউদ্দিন ও তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রসিদ অনুষ্ঠানেব বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পীরগাছা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ সামছুল আরেফিন ও অফিসার ইনচার্জ পীরগাছা থানা মোঃ মাছুমুর রহমান। পরে মন্ত্রী পীরগাছা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পীরগাছা শাখা ও পীরগাছা কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান করেন। # বকসী/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮৩২ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৭১ প্রান্তিক পেশাজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ চলছে -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রান্তিক পেশাজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ চলছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে এ পেশাজীবীরা এখন সমাজে স্বীকৃতি পেয়েছে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে ‘প্রান্তিক পেশাজীবীদের জীবনমানোন্নয়নে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিধান সন্নিবেশিত করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কেউই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের কথা চিন্তা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কর্মসূচি চালু করেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিজয়ের মাসে নতুনভাবে আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। জনকল্যাণমুখী কাজে যারা বাধার সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক পেশাজীবীরা পরিচয় ও স্বীকৃতি পেয়েছে। তাদেরকে উন্নয়নের মূলস্রোতে আনতে সরকার কাজ করছে। # জাকির/পাশা/সেলিম/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৭০ বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে --নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের গর্ব ও অহংকারের জায়গা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। আর এ অহংকারের জায়গা করে দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুঁতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সবকিছু অন্ধকারে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ ২১বছর দেশ একচুলও এগোয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ ভিন্নভাবে প্রবাহিত হয়। ভুল শিক্ষা ব্যবস্থাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীত ধারায় দেশ চলতে থাকে। যার ফলে দেশ আগাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আগামী প্রজন্ম যেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মতিঝিলস্থ বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে নৌপরিবহন সেক্টর অনেক এগিয়ে গেছে এবং আরো এগিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করলে রাষ্ট্র ও ব্যক্তিজীবনে অনেক সাফল্য আসবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি-এটা গর্বের বিষয়। একসময় বাজেটের জন্য বিদেশে ধর্ণা দিতে হতো; এখন নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট হয়। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেছি। নৌপরিবহন সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লায়লা জেসমিন, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসি'র চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর নিজামুল হক। # জাহাঙ্গীর/পাশা/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮২২ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৯ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৬৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৭৩০ জন। # কবীর/পাশা/রেজাউল/২০২২/১৭১৫ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৮ তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর): তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন করেছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরু হয় সকালে কনস্যুলেটে প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সমূহ পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদ, ৭১-এর সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। এছাড়া দক্ষিন কোরিয়ার সিউলে, মিশরের কায়রো, ডেনমার্কের কোপেন হেগেনে, সৌদি আরবের জেদ্দায়, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকোসিটিতে, কানাডার অটোয়ায় ও টরন্টোতে, পর্তুগালের লিসবনে, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায়, ভারতের মুম্বাইয়ে এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দূতাবাসসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। # মেহেদী/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১৫২০ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৭ শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন - পানি সম্পদ উপমন্ত্রী শরীয়তপুর, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর): পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, অধিকাংশ রাজনীতিবিদরা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন আগামী প্রজন্মকে নিয়ে। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন তিনি। যে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করছে। আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর রত্নগর্ভা মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশন আয়োজিত শীতার্তদের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, ক্ষমতার জন্য বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা সমাবেশের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়েছে। এদেশের মানুষ গণবিচ্ছিন্ন আগুন সন্ত্রাসীদের দল বিএনপিকে প্রত্যাখান করছে। স্বাধীনতা বিরোধী ও রাজকারদের পুণর্বাসনকারী বিএনপি কোনোদিন এদেশের ক্ষমতায় আসবে না। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামান, পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম রাড়ী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী প্রমূখ। # গিয়াস/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১৫২০ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৬ বিজয় দিবস জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : আজ ঢাকায় রমনাস্থ শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে 'বিজয় দিবস জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২২' শুরু হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের (বিটিএফ) সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়ানুরাগী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ক্রীড়া নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাদের মাধ্যমে এদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সময়ে অনেক টেনিস কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে, আরো নির্মিত হচ্ছে। টেনিস ফেডারেশনে জোয়ার এসেছে, টেনিসকে আরো বিকশিত করতে চাই। এসময় অন্যান্যের মধ্যে টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, সহ-সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন, নেওয়াজ আহমেদ, মো. মোতাহার হোসেন সাজু, যুগ্ম সম্পাদক ও টুর্ণামেন্ট ডাইরেক্টর মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এবারের টুর্নামেন্টে ২৪টি ক্লাবের ২০৬ জন খেলোয়াড় ৯টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। ইভেন্টগুলো হলো পুরুষ একক ও দ্বৈত; মহিলা একক ; বালক একক অনূর্ধ্ব ১২, ১৪ ও ১৬ এবং বালিকা একক অনূর্ধ্ব ১২, ১৪ ও ১৬। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা ২১ ডিসেম্বর শেষ হবে। # জাহাঙ্গীর/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১২০০ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৫ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন নিউইয়র্ক, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর): যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুন বাংলাদেশি-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসি বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহিদগণের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁদের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি- আমেরিকান নেতৃবৃন্দ। তাঁরা তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পসমূহের বাস্তবায়নে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আগত অতিথিদের আলোচনা শেষে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শাহাদৎবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আলোচনা পর্ব শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান। নৃত্যগীতি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস-এর একদল নৃত্যশিল্পী। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক মিথুন আহমেদের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক পর্ব । মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কেক কেটে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। # মেহেদী/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১১৫০ঘণ্টা আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার করা নিষেধ তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৪ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী ঢাকা, ২ পৌষ অগ্রহায়ণ (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষ্যে আমি অভিবাসী কর্মী, তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও অভিবাসী কল্যাণের সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকদের নিপীড়ন এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরই জাতির পিতা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৭৪টি দেশে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির আপদকালীন সময়েও অভিবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদকে শক্তিশালী করেছে এবং অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৩৯ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন এবং বাংলাদেশ বৈধ চ্যানেলে প্রায় ২১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার জন্য প্রেরিত রেমিট্যান্সের উপর ইতোপূর্বে প্রদত্ত ২% প্রণোদনাকে ২.৫%-এ উন্নীত করা হয়েছে। বৈধপথে প্রেরিত রেমিট্যান্সের গুরুত্বকে উপজীব্য করে এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ; বৈধপথে প্রবাসী আয়- গড়ব বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। অভিবাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আইন ও নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশের উন্নয়নে অভিবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার প্রতি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে এক হাজার কর্মীকে বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীগণ সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করতে পারছেন। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ফলে বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের অভিবাসনবান্ধব কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রমসমূহ বৈদেশিক কর্মসংস্থান, অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণ সাধন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। আমি ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।” # ইমরুল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১২০৫ ঘণ্টা আজ বিকাল পাঁচটার পূর্বে প্রচার করা নিষেধ তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৬৩ নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন নিউইয়র্ক, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর): নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়৷ কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত অতিথিবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদ, ৭১-এর সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা। উন্মুক্ত আলোচনায় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসানের পরিবেশনা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সান্ধ্যকালীন ২য় পর্বে বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে একটি রিসিপশনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, উপ-প্রতিনিধি ডঃ এম মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিশনার দিলিপ চৌহানসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কমিউনিটির শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। # মেহেদী/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১১৫০ঘণ্টা