তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩৭
মায়ের তুলনা কেবল মা
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
মানিকগঞ্জ, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। মায়ের তুলনা কেবল মা। যার সঙ্গে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সবকিছু শেয়ার করা যায়। যার মা নেই সেই কেবল মায়ের গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝতে পারে। যাদের মা এখনো জীবিত আছে তাদেরকে মায়ের প্রতি যথেষ্ট দায়িত্ববান, যত্নশীল, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের আহবান জানাই।
প্রতিমন্ত্রী আজ জনপ্রিয় ফোক কন্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ ভাকুম গ্রামে তাঁর জন্মদাত্রী প্রয়াত মা উজালা বেগমের স্মরণে দুই দিনব্যাপী (০১-০২ অক্টোবর ২০২৩) "মায়ের মেলা" এর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি বরাবরই মায়ের ভক্ত। মাকে না বলে কখনো বাড়ির আঙিনার বাইরে যেতাম না। মা সবসময় আমাকে দোয়া করে দিতেন। মায়ের দোয়া ও আশীর্বাদ আছে বলেই হয়তো আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে আমার কোলেই মৃত্যুবরণ করেন। তখন মনে হয়েছে আমি যেন একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
কন্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ রমজান আলী, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপন দেবনাথ, সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুর রহমান শহীদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মায়ের মেলায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাউল শিল্পীরা রকমারি ভাব গান, পালা গান পরিবেশন করেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে গান শুনতে সিংগাইরসহ মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো দর্শক সমবেত হন।
#
ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২২৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩৬
ডিজিটাল বিপ্লবের আগে কম্পিউটার
বিপ্লবেরও সূচনা করেছিলেন শেখ হাসিনা
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে কম্পিউটার পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার বিপ্লবেরও সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছর থেকে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের ফলে কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলের ফোর-জি প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক্স। ডিজিটাল সংযুক্তির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ ফাইভ-জি প্রযুক্তি পৌঁছে যাবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইডিবি ভবনে ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ শিরোনামে কম্পিউটার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এএল মজহার ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার এবং সিটি আইটি মেগা ফেয়ার এর আহ্বায়ক মোঃ জাহেদ আলী ভূইয়া বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় ট্রেডবডির সময়োপযোগী ভূমিকার ফলে দেশে কম্পিউটার বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার প্রয়োজনে নতুন নতুন ডিভাইসের চাহিদা মেটাতে বিক্রয় ও সেবার বিষয়টি নতুন করে এখন ভাবতে হবে। তিনি বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে দেশের কম্পিউটার বাজারজাত ও জনগণকে কম্পিউটার বিষষে ব্যাপক সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কম্পিউটার বিপনন কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেন। মন্ত্রী বলেন, বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২৪ বছরের পথচলার ইতিহাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যোদ্ধা হিসেবে বিসিএস কম্পিউটার সিটি’র সংশ্লিষ্ট নেত্ববৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরিতে কম্পিউটার শিল্প অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আসুস, দাহুয়া, ইপসন, এইচপি, হিকভিশন, ইনফিনিক্স, লেনোভো এবং এনএসআইকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনাসহ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্যামসংসহ উন্নত ব্র্যান্ডের ১৬টি মোবাইল কারখানা ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপরই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়িত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন এবং উৎপাদিত যন্ত্র প্রমোট ও বাজারজাত করতে নীতিনির্ধারক ও ট্রেডবডিসহ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শতকরা সত্তর ভাগ তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হবে আমাদের হাতিয়ার।
মন্ত্রী ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। ২ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ১০টায় থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে।
#
শেফায়েত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩৫
কৃষকরাই দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন
---পার্বত্য মন্ত্রী
রাঙ্গামাটি, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। পার্বত্য কৃষকদের লাঙল-মই এর পরিবর্তে এখন চাষাবাদের জন্য আধুনিক মেশিনারিজ প্রদান করা হচ্ছে। একফসলী দুফসলী জমি হিসেবে চিহ্নিত না হয়ে জমিতে এখন সারা বছর চাষাবাদ হচ্ছে। বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে গাভী বিতরণ, সাড়ে ৪৪ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ রাঙামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মিলনায়তনে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষিসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে কৃষি ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক তৈরি করেছেন। কৃষকরাই দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে সরকারের ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিকভাবে পাহাড়ে শান্তি এনেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। বর্তমানে পাহাড়ের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের ভুর্তুকি দিয়ে সার, কৃষি, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্য।
অনুষ্ঠানে জেলার ১০ উপজেলার ৩২০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন অতিথিরা।
এর আগে মন্ত্রী আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান কার্যালয়ে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নয়নের চিন্তা আওয়ামী লীগ সরকারের মতো আর কোনো সরকার করেনি। পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের একমাত্র সফল রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী সাংবাদিকদের সরকারের উন্নয়নের সঠিক চিত্র সারা বিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য ও সরকারের যুগ্মসচিব হারুন-উর-রশীদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড ও প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩৪
বিশ্ব বসতি দিবসে পূর্ত সচিব
নকশা অনুমোদন ব্যতিত যত্রতত্র বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
নগর অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পালিত হলো বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশিদ জাবিন হোসেন তৌফিক। মূল প্রবন্ধে তিনি দেশের জিডিপিতে বিভিন্ন খাত ও অঞ্চলের অবদান তুলে ধরেন। এছাড়া আরবান রেডিনেস গাইডলাইন সম্পর্কে তিনি তার আলোচনায় বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। দেশের অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, টেকসই নগরায়ন ও এক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে তিনি তার আলোচনায় আলোকপাত করেন।
আলোচনাসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন দেশের কৃষিজমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এক্ষেত্রে তিনি ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ, ভবনের নকশা অনুমোদন ও নির্মাণকাজে প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিমালা অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যেসকল শহরে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য স্থানে বিসি কমিটির নিকট হতে ভবনের নকশা অনুমোদনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেশের কোনো স্থানেই নকশা অনুমোদন ব্যতিরেকে যত্রতত্র ইচ্ছামত বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। শহরের জীবনযাত্রা সহনীয় ও বাসযোগ্য রাখার জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন, প্রত্যেক জেলায় উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ অবকাঠামো, ডিজিটাল অবকাঠামো, আবাসন এবং আয়বর্ধক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উদ্যাপন করা হয়। বাংলাদেশেও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ দিবসটি পালিত হয়। ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে। রাজধানীর বাইরে অবস্থিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাড়ম্বরে দিবসটি উদ্যাপন করেছে। নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি ও সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ও জনপদকে উদ্ধারের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করাই এবছর বিশ্ব বসতি দিবসের লক্ষ্য।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩৩
এবছর আর চাল আমদানি করতে হবে না
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একসময় এ দেশে কম মানুষ ছিলো তারপরেও আশ্বিন-কার্তিক মাসে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো । ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে প্রতিবছর মঙ্গার সময়ে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মঙ্গাকে দূর করেছে, কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। তিনি বলেন, এখন মঙ্গার সময় যাচ্ছে। তারপরেও এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি। আমরা আশা করছি এ বছর আর চাল আমদানি করতে হবে না। এখন চালের দাম নিম্নমুখী। ভারত চালের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এর সমালোচনা চলছে আন্তর্জাতিকভাবে। তারপরেও আমাদের চালের দামটা কম কারণ কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করা গেছে। এখন ধানের উৎপাদন বেড়েছে। বিঘাতে ১০০ দিনের মধ্যে ২৫ মণের বেশি ধান উৎপাদিত হচ্ছে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর: কাজী বদরুদ্দোজার অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষির রূপান্তরে কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন দূরদর্শী। রূপান্তরে তিনি কাজ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব বিজ্ঞানীর এই ক্ষমতা থাকে না। যেটা বদরুদ্দোজার মধ্যে ছিলো। বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর শুরু করেছিলেন কাজী বদরুদ্দোজা। তিনি এ দেশের সনাতন কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তুলেছিলেন, যা সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। তবে এ রূপান্তরের দ্বিতীয় অংশটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের। ধান রোপন থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত এখন যান্ত্রীকিকরণের মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, এসিআই এগ্রি বিজনেসের প্রধান ড. ফা হ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএজেএফর সভাপতি ইফতেখার মাহমুদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
#
কামরুল/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩২
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ
--- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা’।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এনপিও’র মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে নবীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতার ৫০ বছরে সেই রাষ্ট্রটি বিশ্বে ‘উন্নয়নের বিস্ময়’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলার। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে স্বপ্ন আজ সত্যি হতে চলেছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। আর্থসামাজিক সূচকগুলো প্রমাণ দেয় বাংলাদেশ আজ এই উপমহাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নমুখী নীতিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের চিন্তার জগৎ, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শিল্পবিপ্লবের ব্যাপকতা, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে মন্ত্রী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস -২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
#
এনায়েত/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩১
‘মায়ের কান্না’র আর্তনাদ কেন মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের কানে পৌঁছে না
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
‘আজকে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, ১৯৭৭, ৭৮, ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার নিরপরাধ সেনা সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র আর্তনাদ, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্বজনদের কান্না তাদের কানে কেন পৌঁছায় না’ প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন। ‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বজনহারা ব্যক্তিবর্গ এ সময় বক্তব্য দেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেশ জুড়ে ‘মায়ের কান্না’ কেঁদে চলছে। আমি প্রশ্ন রাখি যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের কর্ণকুহরে এই কান্না কেন পৌঁছে না। আপনাদের কাছে দেখা করার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিলো, আপনারা এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। অর্থাৎ মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিক মতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করা, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশে-বিদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সে জন্য নানা ছলছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপর বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের দেশে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’
বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে, ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেননি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নেই। সুতরাং আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।’
হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এ দেশের মানুষকে সঙ্গবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং যারা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তারা দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।’
-২-
খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ এ দিন বলেন, ‘বিএনপি কয়েকদিন থেকে বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া যতবার অসুস্থ হয়েছেন, বিএনপি বলেছে উনাকে বিদেশ না নিলে উনি মারা যাবেন। আর ততোবারই উনি হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে বাড়িতে ফেরত গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে করে বেগম জিয়াকে বিএনপি গিনিপিগ বানিয়েছে, রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে। আসলে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হোক সেটা তারা চায় না। তারা চায় বেগম জিয়া আরো অসুস্থ থাকুক, যাতে তারা রাজনীতিটা করতে পারে। আমরা এ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বোতভাবে কাজ করছে। বিদেশ নেওয়াটা আদালতের এখতিয়ার। আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি তো বিদেশ যেতে পারেন না। সুতরাং এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আবার সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এভাবে উঠে, বসে, দৌড়ে, কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে, ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন দাঁড়ানো কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে যে সম্পৃক্ত করা যায়নি সেটি তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য এবং বিশ্ববেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে সে জন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে, কাউকে আর ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৩০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে ৫৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৩৭১ জন।
#
সুলতানা/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৬৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২৯
প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল
ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) :
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর উদ্যোগে আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও সমবায় সমিতির সভাপতি মাইনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ সচিব বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোন অশুভ শক্তি যেন উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির লি: এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সমবায় সমিতির পরিচালক ও ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মনির হোসেন, গোলাপ মিয়া, মো: শাহআলম সরকার, ওসমান গণি, মহিবুল হক, সিয়াম, রবিউল, জাহাঙ্গীর কবীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজত করা হয় এবং কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
#
শাহআলম/জামান/সাঈদা/রাসেল/আসমা/২০২৩/১৪৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী