তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২১
খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার
সিকিউরিটি বিষয় চালুর সার্বিক সহযোগিতার ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জ, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয় চালুর জন্য যত প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে, সার্বিক বিষয় ব্যবস্থাপনার ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি অল্প শব্দের ড্রোন তৈরির জন্য আরো ১০ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী আজ সিরাজগঞ্জ জেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্বাক্ষর ‘মার্চ’ মাস; এই মার্চ মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এই মার্চ মাসেই জন্ম হয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের। ঐতিহাসিক এই মার্চ মাসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের সমাবর্তনে আসা এবং তাদের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা অত্যন্ত গর্বের।
তিনি বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের ৪টি বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন; সেগুলো হলো- প্রথমত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যা ক্রমশই একটা ফাউন্ডেশনাল প্রযুক্তিতে পরিণত হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, রোবটিক্স, রোবটিক্স এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখন আর কোনো বিলাসী পণ্য নয়, আমাদের কৃষি থেকে শুরু করে সর্বত্রই রোবটিক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে; তৃতীয়ত, মাইক্রোচিপ, সকল ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই মাইক্রো ও ন্যানোচিপ ব্যবহৃত হয়; চতুর্থত, সাইবার সিকিউরিটি, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আমাদের ডিজিটাল জীবনকে নিরাপদ রাখতে অত্যাবশ্যক।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা ফিলোসফি আমি সবসময় অনুসরণ করি, ‘সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং’। আপনি কী পড়েছেন, কী খেয়েছেন, কোন গাড়িতে চড়ছেন তার থেকে বড় বিষয় হলো আপনি দেশ ও মানুষের জন্য কী এবং কতটা করতে পারছেন।
সমাবর্তনের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেন রেজাসহ প্রমুখ।
#
নাজির/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২০
কুয়ালালামপুরে মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন
বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন
কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া, ৯ মার্চ :
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদ্যাপন করেছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষ্যে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং সম্মানিত অতিথি হিসাবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে তিনি মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসানের সাথে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন ।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ'- হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
শামীম আহসান দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতার স্মরণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের সদস্যগণ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ এবং তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৯
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষকে যার যার ধর্ম পালন করার নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন
-- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
খাগড়াছড়ি, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে জাতি, বর্ণসহ সকল ধর্মের মানুষকে স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করার নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ নীতিবাক্যকে সমস্বরে ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষকে এক করেছেন। বাংলাদেশে এ সরকারের আমলে সকল ধর্মের মানুষ সুখে, শান্তিতে ও নিরাপদে যার যার ধর্ম পালন করতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
আজ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বুদ্ধপাড়ায় সার্বজনীন শ্রী শ্রী শিব মন্দির প্রাঙ্গণে সার্বজনীন শিব চতুর্দশী ব্রত উদযাপন উপলক্ষ্যে অষ্ট্রপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ পূজা শেষে সেখানে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় ঘোষণা দিয়ে সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে আজীবন শ্রদ্ধার মানুষ হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের মানুষকে নির্বিঘ্নে যার যার ধর্ম পালন করার অধিকার নিশ্চিত করে গিয়েছেন। একই পথে হাঁটছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের কল্যাণে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী এই ছোট আয়তনের বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষে নিয়ে দাঁড় করাতে চান। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
শিব মন্দির পরিদর্শন ও পূজা শেষে প্রতিমন্ত্রী ভক্তবৃন্দের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং পরে তিনি হরিসভায় অনুষ্ঠিত ভজন-কীর্তন সঙ্গীত উপস্থিত ভক্তবৃন্দের সাথে উপভোগ করেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৮
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা
রাজশাহী, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ বিশাল গণসংবর্ধনা প্রদান করেছে।
আজ রাজশাহী জেলার সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী ৫ (পুঠিয়া ও দূর্গাপুর) আসনের এমপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ওসমবায় মন্ত্রনালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই গণসংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংবর্ধিত অতিথি প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একটাই স্বপ্ন দেশের মানুষের উন্নয়ন, পৃথিবীতে মর্যাদার সাথে অবস্থান । এ দেশ একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা অঙ্গীকার করে বলতে চাই জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার পাশে আছি এবং থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
রাজশাহীতে একটি ইপিজেড করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহীবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এখানে একটি ইপিজেড করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদী তীরবর্তী এই শহর, এই বিভাগ, এখন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের জন্য অনেক এগিয়ে গেছে। আগামীতে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেছেন, রাজশাহী শিক্ষার নগরী, পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্যমণ্ডিত নান্দনিক জেলা। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে যে সম্মানিত করেছেন, সেই সম্মান যেন রাজশাহীবাসীর প্রত্যেকটা নাগরিকের হয় আমার তেমনি প্রত্যাশা থাকবে।
রাজশাহী ১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আয়েন উদ্দিন।
#
হাবিব/পাশা/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৭
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধু বরাদ্দকেই বুঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেলে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্ধের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে। এ বিষয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কর্ণফুলি নদী ও বঙ্গপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নাম্বার দিয়ে কাজ করা হবে যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার রাজিব রঞ্জন।
#
হেমায়েত/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৬
রংপুরে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
রংপুর, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
রংপুরে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ‘১১তম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রংপুর-এর আয়োজনে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ. কে. এম আবদুল্লাহ খান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রংপুর-এর পরিচালক আইরিন সুলতানা, রংপুরের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও খেলোয়াড়গণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতা শেষে ৩০টি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
মামুন/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৫
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শিল্পীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিভিন্ন প্রকার প্রদর্শনী মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ভাবতে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
আজ রাজধানীর আলোকির দ্যা নেইবারহুড আর্ট স্পেস শালা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী বিষয়ক একক প্রদর্শনী ‘চলমান’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করছে সরকার। দেশে ব্যাপকভাবে বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনগণের জন্য অভিযোজন ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলোকির দ্য নেইবারহুড আর্ট স্পেস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুক্সমিনি রিকভানা কিউ চৌধুরী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নুরজাহান বোস, শিল্পী, শিল্পকলা সমালোচক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।
প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিল্পী মনিকা জাহান বোস তিন চ্যানেল ভিডিও উপস্থাপনা, শাড়ির স্থাপনা শিল্প এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ পটুয়াখালীর কাটাখালী গ্রামের মহিলাদের অংশগ্রহণে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ফুটিয়ে তুলেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকার বিরূপ প্রভাব বিষয়ে মন্ত্রীকে তারা অবহিত করেন। এছাড়াও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধোঁয়ায় তাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান।
#
দীপংকর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৪
কীটপতঙ্গ গবেষণার ৫০ বছর নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ২০-৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট করে
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ২০-৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট করে। এছাড়া বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে ‘পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ তাগিদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি সম্মেলনটি আয়োজন করে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সাবেক সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ড. সৈয়দ নুরুল আলম সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়, পরিবেশ দূষিত ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং কীটনাশক রেজিস্ট্যান্টস হয়। প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। তবে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের কারণে যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিমাণ কমছে। ২০০৯-১০ এর তুলনায় ২০২১-২২ সালে ১৯ শতাংশ কীটনাশক কম ব্যবহার হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কীটতত্ত্ববিদদের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কীটপতঙ্গের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কীটপতঙ্গ আক্রমণের বিস্তারণের জন্য বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পতিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস করতে কার্যকর পরিবেশবান্ধব বালাই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের ওপর সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। সেই জন্য শিল্পোন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কীটপতঙ্গের সংরক্ষণ, বংশবৃদ্ধি ও মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার জোরদার করা আবশ্যক।
অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমীন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ভারতের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদগণ আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে সম্মেলনে ৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে কারিগরি সেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নবীন ও প্রবীণ বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১৩
কর্তব্যরত পুলিশবৃন্দের আত্মত্যাগ বাহিনীর জন্য গৌরব ও সম্মানের
-- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
সিলেট, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ):
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, কর্তব্য পালনকালে অনেক পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হন। তাঁদের আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত পুলিশ বাহিনীর জন্য গৌরব ও সম্মানের। কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২৪ উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে জেলা পুলিশ লাইনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী স্মৃতিচিরন্তন ৭১ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষার মতো ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না তাঁরা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী।
#
মাসুদ/পাশা/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১২
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব ১৭ টুর্নামেন্টের জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া পরিদপ্তরের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
(অনূর্ধ্ব ১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব ১৭)-২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।
মন্ত্রী আজ মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব ১৭ টুর্নামেন্টের আয়োজন ফুটবলের উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজখবর রাখছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতা নিজেও ভালো ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধুর পিতাও ভালো ফুটবলার ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আধুনিক ফুটবলের রূপকার। শহীদ শেখ জামালও ছিলেন কৃতী খেলোয়াড়। প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারই অতন্ত খেলাপ্রেমী পরিবার। তাই প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ফুটবল ছাড়াও সকল খেলাধুলার উন্নয়নে অত্যন্ত আগ্রহী।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সবার নজর কেড়েছে। ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে। গতকালই ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল দল ৬-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে। শুধু ক্রিকেট, ফুটবলে নয় ক্রীড়া অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরো ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনুর্ধ ১৭) ২০২৩ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪৬৬৭ টি দলের ৮৪০০৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭) ২০২৩ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৫৮৪ টি দলের ১০৫১২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে।
ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ।
#
আরিফ/পাশ