Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৮৫

 

ইসলামাবাদে মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২১ ফেব্রুয়ারি:

 

          ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

 

          হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কালোব্যাজ ধারণ, অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত করা, পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন, বাণীপাঠ, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা, বিশেষ মোনাজাত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ ব্যানার, বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা দিবসের পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।

 

          দিবসটি উপলক্ষ্যে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন খান হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং শিশুদের সাথে নিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় সমবেত কন্ঠে সবাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি গাইতে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। ‘জুলাই অনির্বাণ’সহ দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়।

 

          হাইকমিশনার তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় বায়ান্নর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম ও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

 

          আলোচনার পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদান ও ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জুলাই গ্রাফিতিভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোররা অংশগ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

 

#

 

তৈয়ব/মেহেদী/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২২১০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৮৪

 

ক্ষমতা নিতে নয় বরং দায়িত্ব পালন করতে এসেছি

                      -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

গাজীপুর, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা যারা উপদেষ্টা আছি তারা শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয় বরং বাংলাদেশের জন্য কাজে নেমেছি। আমরা ক্ষমতা নিতে নয় বরং দায়িত্ব পালন করতে এসেছি।

 

উপদেষ্টা আজ গাজীপুরের পূবাইলে হাসনাহেনা পিকনিক স্পটে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি-গাজীপুর মেজবান ও চট্টলা উৎসব ২০২৫ এর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

 

চট্টগ্রামের ভাষা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের জনগণ যে ভাষায় কথা বলেন তার মধ্যে ইংরেজি, আরবি, পর্তুগিজ, আরাকানিজ ভাষার সংমিশ্রণ দেখা যায়। মাতৃভাষা দিবসে বলতে চাই চট্টগ্রামের ভাষা একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা। তিনি আরো বলেন, দেশের অন্য জায়গার মতো গাজীপুরে চট্টগ্রামের মানুষ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

 

উপদেষ্টা বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে অনেকেই শহিদ হয়েছেন। তবে চব্বিশে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। বাংলাদেশের জনগণের যখন নিশ্বাস বন্ধ হবার মতো অবস্হা; কোন কিছু করতে পারছিলো না ঠিক সে সময়ই তরুণরা আমাদের পরিত্রাণ দিয়েছে - করেছে মুক্ত। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম একদিকে যেমন অলি-আউলিয়ার দেশ অন্যদিকে শেফালী ঘোষ, শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব, রমেশ শীলদের জন্ম, তারা আমাদের গর্ব।

 

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের সমস্যা বলি আর গর্ব বলি তারা মেজবান ছাড়া কিছু বোঝে না। মহেশখালী পান বিশেষ গুণসম্পন্ন এবং জিআই পণ্য। এখানকার পানের যে গুণ আছে তা দেশের অন্য কোনো পানে সে ধরনের গুণ নেই। মহেষখালীর পান আমাদের সম্পদ আর তা রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

          এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি-গাজীপুরের সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, সাধারণ সম্পাদক ড. দেবজ্যিৎ রায়, সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ঝিনুক, ভাইস চেয়ারম্যান এ এম মাহমুদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. এস এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

#

 

মামুন/মেহেদী/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৯৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৮৩

 

উজবেকিস্তানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

 

তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), ২১ ফেব্রুয়ারি:

 

উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় আজ ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়েছে।

 

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের কর্মসূচির সূচনা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি-সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং মন্ত্রণালয় প্রেরিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  ৫২’র ভাষা শহিদ, ৭১’ এর শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২৪’ এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

           

কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্‌ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বহুভাষাভিত্তিক একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উজবেকিস্তনে নিযুক্ত কোরিয়া, মিশর, তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রদূতসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, উজবেকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর, অধ্যাপক, গবেষক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় সাত শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

         

ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দেলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য এর ওপর আলোকপাত করেন। বিশ্ব শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে আরো  এগিয়ে নিতে তিনি  ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ধারণ, প্রচার, প্রসার ও বিকশিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

         

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্‌ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের এর রেক্টর প্রফেসর ড.  গুলচেহরা রিকসিয়েভা।

         

উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পীবৃন্দ ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্‌ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ, কোরিয়া, জাপান, তুরস্ক, ইরান ও উজবেকিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের দেশাত্মবোধক কবিতা, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

 

#

 

বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দ/মেহেদী/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৯০০ ঘণ্টা    

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ২৭৮২

বাংলাদেশ দূতাবাস রোমে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

রোম (ইতালি), ২১ ফেব্রুয়ারি:

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫’ পালন করেছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রত্যূষে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, ইতালিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীগণ, বিভিন্ন সামাজিক, ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বন্ধুপ্রতিম বিশিষ্ট ইতালিয়ান নাগরিকদের অংশগ্রহণে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। ইতালিতে ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ইউনেস্কোর মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন। সাংস্কৃতিক পর্বে স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে অমর একুশের গান-সহ বিভিন্ন ভাষার সংগীত পরিবেশন করেন।

ইতালিতে ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধি অ্যাঞ্জেলিকা ফেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর বক্তব্য রাখেন। ইতালির বিখ্যাত সাপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মারা মার্থা ২১শে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। অমর একুশের তাৎপর্য তুলে ধরে ইতালিতে বসবাসরত শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিক ও স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপসমূহকে স্বাগত জানান এবং বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামে অমর একুশের চেতনার ওপরে আলোকপাত করেন এবং বিশ্বায়নের যুগে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশে সকলকে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিনি সকল ভাষা-ভাষী মানুষের মাতৃভাষাতে কথা বলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

২১ ফেব্রুয়ারিতে সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহিদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম-এর উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের আয়োজন করা হয়। প্রত্যূষে রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

#

বাংলাদেশ দূতাবাস, ইতালি/মেহেদী/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৮১

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইসে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

 

পোর্ট লুইস (মরিশাস), ২১ ফেব্রুয়ারি:

 

             বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস, মরিশাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মরিশাসের পোর্ট লুইসে আজ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে।  এই দিন হাইকমিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। অনুষ্ঠানে জাপান, রাশিয়া, সৌদি আরব, মিশর, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, লিবিয়া-সহ বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং কূটনীতিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। হাইকমিশনার জকি আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট Jean Yvan Robert Hungley। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানস্থল ও শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ বিভিন্ন দেশের বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

            

এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটির প্রতিপাদ্য  ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ভাষা গণনা করুন’। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট  দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেওয়া পৃথক বাণী পাঠ করা হয়। ডিপ্লোম্যাটিক কর্পসের সকল সদস্য তাদের নিজস্ব ভাষায় কিছু বাক্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুবাদ করেন।

           

জকি  আহাদ তার বক্তব্যের শুরুতেই ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের শহিদ এবং আহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের যারা মাতৃভাষার অস্তিত্ব ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে আত্মত্যাগ করেছিলেন, তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান। তিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বের সকল ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন ও সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন, মাতৃভাষা শান্তির অন্যতম উপাদান যার মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক সমঝোতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

           

 মরিশাস প্রজাতন্ত্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট Jean Yvan Robert Hungley  বাংলাদেশের ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান।

 

পরে হাইকমিশনার, প্রধান অতিথি-সহ ডিপ্লোম্যাটিক কর্পসের সকল সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং মিশনের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভের (শহিদ মিনার) সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৮০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৮০

 

রিয়াদে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

রিয়াদ (সৌদি আরব), ২১ ফেব্রুয়ারি:

 

সৌদি আরবে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ দূতাবাস চত্বরে পতাকা অর্ধনমিত করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত  মোঃ দেলওয়ার হোসেন। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় রফিক, সালাম, বরকত, শফিউর-সহ  সকল ভাষা শহিদ এবং  জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদকে শ্রদ্ধাভরে  স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের স্বকীয়তাবোধ এবং জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে। এর ফলে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করি। যার ধারাবাহিকতায় নানা ঘাত প্রতিঘাত ও আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলদেশের আর্বিভাব ঘটে এবং নিজেদের ভাগ্য আমরা নিজেরা গড়ার অধিকার অর্জন করি।

 

দেলওয়ার হোসেন আরো বলেন, মাতৃভাষার মাধ্যমে খুব সহজে আমরা শিক্ষা, বিজ্ঞানে উৎকর্ষ  সাধনে সক্ষম হব। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিব যেন আমরা  আমাদের  ভাষার উন্নয়নে কাজ করব এবং পাশাপাশি অন্যের ভাষার প্রতি আমাদের সম্মানবোধ থাকবে।

 

রাষ্ট্রদূত প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান  যাতে করে তারা দেশকে উপলব্ধি করে দেশ গঠনে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। রাষ্ট্রদূত ’৫২এর ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে  এবং দেশ গড়ার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত  প্রধান উপদেষ্টা  ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ রেজাউল ইসলামের  সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির ড. মতিউর রহমান, আব্দুল হাকিম, সিদ্দিকুর রহমান ইমরান এবং গোলাম হাসনাইন সোহান। আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়।

 

#

 

আসাদুজ্জামান/মেহেদী/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৬৪৫ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৭৭৯

 

বাংলায় ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় হাজী শরীয়তুল্লাহর অবদান অবিস্মরণীয়

                                                                      -- ধর্ম উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলার জমিনে ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় হাজী শরীয়তুল্লাহর অবদান অবিস্মরণীয়। ইসলামের ফরজ বিধান প্রতিষ্ঠায়  তাঁর এ অবদান কোনোদিন অস্বীকার করা যাবে না। হাজী শরীয়তুল্লাহকে জানা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানা।

 

আজ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর মাদরাসার ৮০তম ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় হাজী শরীয়তুল্লাহর অবদান তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলার মানুষ মাথায় টুপি পরিধান করে, নামাজ পড়ে, রমজানে রোজা রাখে, ইসলাম ধর্ম পালন করে- এসবের পিছনে হাজী শরীয়তুল্লাহর বিশেষ অবদান রয়েছে।

 

উপদেষ্টা বলেন, ব্রিটিশ শাসকরা এদেশের কৃষক ও শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করতো। কৃষকের কাছ থেকে কমদামে নীল কিনে নিতো। নীলচাষে বাধ্য করতো। জোর করে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতো। শ্রমিকদেরকে ন্যায্য মজুরি দিতো না। কৃষকদের ওপরও জুলুম করতো। এর প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল মাদারীপুর থেকে। হাজী শরিয়তুল্লাহ এই প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের শাসন বিরোধিতা করতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফরায়েজী আন্দোলন।

 

ড. খালিদ আরো বলেন, আমরা যখন পড়াশোনা করেছি তখন ফরায়েজী আন্দোলন ও হাজী শরীয়তুল্লাহর অবদান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় তাঁর সম্পর্কে জানার সুযোগ নেই। তিনি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে পাঠ্যবইয়ে হাজী শরীয়তুল্লাহর ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ফরায়েজী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি পুরাতন সংগঠন। তবে এই পুরাতন সংগঠনটি এখনও নিবন্ধন পাইনি, এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। তিনি এই সংগঠনটির নিবন্ধনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাহাদুরপুর পীর মঞ্জিলের গদিনশীন পীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাদের, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রতন শেখ-সহ ফরায়েজী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আবুবকর/মেহেদী/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৭৪০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ২৭৭৮

ইস্তাম্বুলে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), ২১ ফেব্রুয়ারি:

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আজ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫’ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর, কনসাল জেনারেল মুহাম্মাদ মীযানুর রহমানের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ভাষা শহিদদের স্মরণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত এবং এক মিনিট নিরবতা পালনের পর ভাষা শহিদ, ১৯৭১-এর শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন মিশনের কর্মকর্তারা। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত  প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে। সাধারণ আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ভাষা শহিদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন ও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

#

বাংলাদেশ দূতাবাস ইস্তাম্বুল/রবি/সুবর্ণা/আলী/মাসুম/২০২৫/১৫২৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ২৭৭৭

কলম্বোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

কলম্বো (শ্রীলংকা), ২১ ফেব্রুয়ারি:

বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর ঐতিহাসিক ইনডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ড. হরিনি অমরসুরিয়ার উপস্থিতিতে বহুভাষাভাষী এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। শ্রীলংকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী অরুণ হেমচন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিদেশি রাষ্ট্রদূতবৃন্দ ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী এবং স্কাউটসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে শ্রীলংকার স্বাধীনতা চত্বর বিভিন্ন ভাষাভাষীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। শ্রীলংকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘের স্থানীয় দপ্তর ও শ্রীলংকা স্কাউটস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করে। এবছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ফর পিস অ্যান্ড হারমনি’।          

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিশ্বের সকল মাতৃভাষার প্রতি তাঁদের সংহতির প্রতীকস্বরুপ রং আর তুলির আঁচড়ে  স্ব স্ব মাতৃভাষায় ‘ভাষা’ শব্দটি চত্বরে রক্ষিত ক্যানভাসে  ফুটিয়ে তোলেন। শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন ও শ্রীলংকার মুসলিম কোরাল এনসেম্বল সদস্যদের  সমবেত ভাবে গাওয়া অমর একুশের ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির মাধ্যমে  অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। 

দিবসটি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস শ্রীলংকা জুড়ে কয়েক মাসব্যাপী স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ভিডিও তৈরি, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আজকের অনুষ্ঠানে উক্ত প্রতিযোগিতায় চুড়ান্তভাবে বিজয়ী পনেরো জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।      

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ভিন্ন ভাষাভাষী একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কলম্বোস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভাষায় সংগীত, নৃত্য ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে।

শহিদ দিবসের কার্যক্রম বাংলাদেশ হাইকমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে সূচনা হয়। পরে,  ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।

#

বাংলাদেশ দূতাবাস কলম্বো/রবি/সুবর্ণা/আলী/মাসুম/২০২৫/১৫২৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ২৭৭৬

বাংলা ব্যতীত বাকি ৪০টি ভাষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে

     -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):   

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বাংলা ব্যতীত বাকি ৪০টি ভাষার দিকেও মনোযোগ দিয়ে শিশুদেরকে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতপক্ষে যদি মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তোলা যায় তাহলে সামাজিক বৈষম্য নিরসনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

উপদেষ্টা আজ  ঢাকায় মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সর্বক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের অন্তরায় জাতীয় সংকল্পের অভাব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী হিসেবে বাংলা বাদে বাকি ৪০টি ভাষার ব্যাপারে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এটাই ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ২৪’র আন্দোলনের মূল স্পিরিট। প্রাথমিকে ৫ ভাষায় বই আছে, কিন্তু শিক্ষকের অভাবে আমরা এ বই কাজে লাগাতে পারছিনা। এই ভাষার বইয়ের ওপর অনলাইন কন্টেন্ট ও লেকচার তৈরি করা হবে, যাতে শিশুরা দেখে দেখে শিখতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবু শাহীন মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান।

#

জাহাঙ্গীর/রবি/সুবর্ণা/আলী/মাসুম/২০২৫/১৪৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ২৭৭৫ 

সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদের মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার শোক

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি):   

পার্বত্য চট্টগ্রামের কালজয়ী সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম মকছুদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, অর্ধ শতাব্দী যাবত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমাধ্যমের এক কালজয়ী পুরুষ। তাঁর মৃত্যুতে পার্বত্যবাসী সংবাদ পিপাসুদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো।

উপদে

2025-02-21-16-16-6d1339ceb0dcaa71b702d87efdcd28bb.docx