Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ এপ্রিল ২০১৭

তথ্যবিবরণী 11 April 2017

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১০০৫

দ্রম্নত ড্যাপ বাসত্মবায়নের বিকল্প নেই
                -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) :

    স'ানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা মহানগরী খুব দ্রম্নত সম্প্রসারিত হচ্ছে। ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে দ্রম্নত ডিটেইল্ড এরিয়া পস্ন্যান (ড্যাপ) বাসত্মবায়নের বিকল্প নেই। সরকার এ বিষয়টিকে অত্যনত্ম গুরম্নত্ব প্রদান করেছে।

    তিনি আজ স'ানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কড়্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপড়্গ প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া পস্ন্যান (ড্যাপ) রিভিউয়ের লড়্গ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির ১১তম মুলতুবি সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ। ড্যাপে উত্থাপিত প্রাথমিক আপত্তিসমূহ এ মুলতুবি সভায় নিষ্পত্তির সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়।

    মন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও বসবাসপোযোগী হিসেবে ঢাকা মহানগরীকে গড়ে তুলতে ভূমির ব্যবহার ও স'াপনা নির্মাণে প্রচলিত আইন-কানুন যাতে সবাই মেনে চলে সে বিষয়ে সংশিস্নষ্ট সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ড্যাপ রিভিউয়ের ড়্গেত্রে উত্থাপিত আপত্তি ও আবেদনসমূহ সরেজমিনে তদনত্ম করার নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যদিকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড্যাপ রিভিউয়ের ড়্গেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য রড়্গার বিষয়টির ওপর নজর রাখার কথা বলেন।

    উলেস্নখ্য, স'ানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেককে প্রধান করে গঠিত সচিব কমিটি ড্যাপ রিভিউতে উত্থাপিত আপত্তিসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক তা নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করে।

#

জাকির/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১০০৪

১৮ ও ২১ বছরে বিয়ের বিধান শিথিল করা হয়নি
                          -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) : 
    বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধান নিয়ে যেসব আলাপ আলোচনা হচ্ছে তা নিরর্থক বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইন হচ্ছে জনগণের জন্য। তাই যখন কোন আইন তৈরি করা হয় তখন তা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে এটা জনগণের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন তৈরি করা হয়েছে সেটায় স্পষ্টভাবে বলা আছে              ১৮ বছরের কম বয়সী কোন মেয়েকে এবং ২১ বছরের কম বয়সী কোন ছেলেকে বিয়ে দেওয়া যাবে না বা তারা বিয়ে করতে পারবে না। এটা হচ্ছে এ আইনের মূল বিষয়। তবে জরুরি অবস্থায় যদি বিয়ের প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে অভিভাবকদের সম্মতি ও আদালতের অনুমতিক্রমে বিয়ে হতে পারে। তার মানে এই না যে ১৮ বছর ও ২১ বছরের বিয়ের বিধান শিথিল করা হয়েছে। 
    আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের ১৩৫তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
    তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় পশ্চিমা দেশে যে সব ব্যবস্থা আছে সেগুলো আমাদের দেশে কোনো ধর্মেই প্রয়োগযোগ্য নয়। এ জন্য জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে আমাদের এ রকম একটি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। না হলে এতে যে জটিলতা সৃষ্টি হতো সেটি নিরসন করা কঠিন হতো। সে কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 
    তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের অন্যতম অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের পবিত্রতা, মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর। তাঁর সদিচ্ছায় বিচার বিভাগের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিচার বিভাগে ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। একটি দক্ষ জুডিশিয়ারি গড়ে তোলার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অধস্তন আদালতের ৫৪০ জন বিচারককে উন্নত প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে।  এ ছাড়া দেশের অধস্তন আদালতের দেড় হাজার বিচারককে প্রচলিত আইন ও আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতে পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকালীন পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়েছে। এমওইউ অনুযায়ী দেড় হাজার বিচারককে আগামী পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেবে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি। এক্ষেত্রে প্রতি বছর ১০টি ব্যাচ এবং প্রতিটি ব্যাচে ৩০ জন করে বিচারক এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। বিচারকদের এ সব প্রশিক্ষণ আমাদের বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। 
    বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকও বক্তব্য রাখেন।

#

রেজাউল/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১০০৩
মার্চ পর্যনত্ম এডিপি বাসত্মবায়ন ৪৫ শতাংশ
একনেকে ৩  হাজার ২৮৯ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) :
    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের  নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায়  ৩ হাজার ২৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জিওবি ২ হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, সংস'ার নিজস্ব তহবিল ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
    আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন  শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সদস্যবৃন্দ, সংশিস্ন্লষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এবং সংশিস্ন্লষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ বৈঠকে উপসি'ত ছিলেন।
    পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেক সভা শেষে  সভার বিসত্মারিত সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যনত্ম  এডিপি বাসত্মবায়ন হার ৪৫ শতাংশ এবং বাসত্মবায়িত প্রকল্পের টাকার পরিমাণ  ৫৩ হাজার ৮ শত ৬৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে মার্চ পর্যনত্ম এডিপি বাসত্মবায়নের এ হার ছিল ৪৪ শতাংশ। তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্মাণাধীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে ভবনের উপরে জলাধার, বৈদ্যুতিক ব্যবস'া নিশ্চিত করতে সোলার স'াপন এবং ভবনগুলোতে জরম্নরি কাগজপত্র সংরক্ষণের জন্য  নিরাপদ স্টোর রম্নমের ব্যবস'া রাখার জন্য ইতোপূর্বে দেয়া নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের আবাসিক সংকট নিরসনে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ প্রয়োজনীয় সকল স'ানে পুলিশ ব্যারাক নির্মাণের ব্যবস'া গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
    একনেক সভায় অনুমোদিত ৮টি প্রকল্প হচ্ছে ‘উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো (সংশোধিত)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ৫৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২১৫ দশমিক ১১ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৪২ দশমিক ৪০ কোটি টাকা; ‘রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ রাসত্মার উন্নয়ন’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৭২ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১৩৮ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং সংস'ার নিজস্ব তহবিল ৩৪ দশমিক ৬০ কোটি টাকা; ‘গুরম্নত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশসত্মতায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৯৯ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি; ‘গুরম্নত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশসত্মতায় উন্নীতকরণ (কুমিলস্ন্লা জোন)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৭৬ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি; ‘গুরম্নত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশসত্মতায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৯৮ দশমিক ১০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি; ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন (চামড়াঘাট-মিঠামইন অংশ) (জেড-৩৬০৩) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩২ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি; ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫২ দশমিক ১০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি এবং  ‘ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে দু’টি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফ এম বেতার কেন্দ্রের স'াপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০০ দশমিক ০৮ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                              নম্বর : ১০০২ 
 
হাওর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে
                                      --- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী

মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ), ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, হাওর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে যতদিন প্রয়োজন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারের হাতে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য রয়েছে। যেসব এলাকায় খাদ্যশস্যের  প্রয়োজন অনতিবিলম্বে চাহিদাপত্র প্রেরণ করতে হবে।
তিনি আজ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে আঃ গনি ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে জনগণকে এ আশ্বাস দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কাউকে খাদ্যের কষ্ট দেয়া হবে না। নিচু এলাকায় অন্য কোন ফসল ফলানো যায় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ৯৯ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির মধ্যে ২৪ হাজার ১শ’ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ৪১ হাজার ৩ শ’ ২৫ কৃষকের ধানের জমি বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এর ফলে ৩৪ কোটি টাকা মূল্যের  ৮৪ হাজার ৩ শ’ ৫০ মেট্র্রিক টন ধান নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, মূলত অপেক্ষাকৃত নিচু ভূমি ও নদীর তলদেশে লাগানো জমির ধানই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড়ী ঢল আর অতিবৃষ্টির সাথে এক মাস পূর্বেই উজানের পানি চাপ দেয়ায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেয়ার জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী পরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করেন। সামনে আরো বড় বন্যার আশঙ্কা উল্লেখ করে আগাম গোখাদ্য সংরক্ষণ করে রাখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী পরে ইটনা উপজেলার বিভিন্ন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, যে কোন দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তÍুতি মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে। জেলার সকল ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সংরক্ষণ করে রাখা এবং প্রত্যেক উপজেলা কমিটির সভা করে কার্যক্রম পূর্ব প্রস্তুতির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
#

ফারুক/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ১০০১
 
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে
                                  --- মেহের আফরোজ চুমকি

কক্সবাজার, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) :
    মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করার জন্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনকাম জেনারেটিং একটিভিটি (আইজিএ) নামক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
    প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত জাতীয় মহিলা সংস্থা পরিচালিত নগর ভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের কক্সবাজার জেলা কেন্দ্রের কোর্স সমাপ্তকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
    তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব উপজেলায় নারীদেরকে প্রায় ১৮টি ট্রেডে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও আরো কিছু নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের প্রায় দুই কোটি নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। 
    উল্লেখ্য, নগরভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের নারীদেরকে সেলাই, এমব্রয়ডরি, ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং, বিজনেস মেনেজমেন্ট, মাশরুম ও মৌমাছি চাষ, মোমবাতি তৈরি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
    জাতীয় মহিলা সংস্থার কক্সবাজার জেলা চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট, সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমল, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) আনোয়ারা বেগম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, নগরভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নূরুন্নাহার বেগম হেনা, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
#

খায়ের/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১০০০

বাসসের সাবেক প্রধান হোসাইন-উজ-জামান চৌধুরীর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) : 
    বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হোসাইন-উজ-জামান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 
    তথ্যমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের কর্মময় সাংবাদিক জীবনের কথা স্মরণ করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবার এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। 
    আজ ভোরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে হোসাইন-উজ-জামান ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্ল¬াহি ........... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
    দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, সেখানে সর্বশেষ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

#

আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৯৯৯

বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদ্যাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচি

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) : 
    ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৪’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কমসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরে এ দিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। 
    বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও সকল উপজেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন। ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ  শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটসমূহ, বিসিক ও ছায়ানট নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশন এবং বাংলা একাডেমি ও বিসিক ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করবে। 
    বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশন এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় জাদুঘর ও প্রতœস্থানসমূহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে (শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকেটে)। 
    সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে, বিশেষ করে ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদ্যাপন করবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদ্যাপন করবে ও বহিবিশ্বে প্রচার করবে। অভিজাত হোটেল ও  ক্লাব বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করবে। 
    সকল সরকারি, বেসরকারি টিভি ও বেতার বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং স্ব-উদ্যোগে বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করবে। 
    বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদ্যাপনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

#

কুতুবুদ-দ্বীন/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৯৯৮

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালা চূড়ান্ত
ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) : 

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার খসড়া আজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালা চুড়ান্তকরণ বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এ অনুমোদন প্রদান করা হয় । 
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার আওতায় খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। যে কোন দলগত খেলায় যিনি জাতীয় দলে কমপক্ষে ৫ বছর অথবা কমপক্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। যে কোন ব্যক্তিগত ইভেন্টে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যিনি কমপক্ষে একটি স্বর্ণপদক অথবা ২টি রৌপ্য পদক অথবা ৩ টি ব্রোঞ্জ পদক বা সমপর্যায়ের সম্মাননা বা পুরস্কার পেয়েছেন বা যিনি আঞ্চলিক পর্যায়ে ২টি স্বর্ণপদক অথবা জাতীয় পর্যায়ে ৩টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনিও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। কোন খেলোয়াড় সংশ্লিষ্ট খেলায় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কমপক্ষে ৭ বার অংশগ্রহণ ও তার অবদান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।  
সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর কর্মকর্তা অথবা সদস্য হিসেবে জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংগঠক, কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে বিশেষ অবদান অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কোন সংস্থাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবে।
পৃৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতায় যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমান সহায়তা দিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করবেন। 
প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা যাবে।
যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ।  
#
শফিকুল/নুসরাত/গিয়াস/আসমা/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৯৯৭

প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার
                                                   -সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল):
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি আজ রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা মাঠে ব্রমোত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তর কিসামত গনেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি, উপস্থিতির হার বাড়ানো, ঝরে পড়া কমানো এবং শিক্ষা সমাপন হার বৃদ্ধি করতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকা পুনঃনির্ধারণসহ শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত ও দায়িত্ববান সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় অর্জিত সাফল্য দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য মোবাইল থেরাপিভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০টি ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে টিআর অর্থের চেক বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
#

আহসান/নুসরাত/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৫০০ ঘন্টা                                                                          

Todays handout (8).docx