তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০৬
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ):
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকার সিদ্দিক বাজারে নিজ বাসায় ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধরত মাসুমের ইন্তেকালের সংবাদে মন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, ‘প্রতিভাবান নৃত্য বিশারদ মাসুম বাবুল বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব: দ্য মেকিং অভ্ আ নেশন’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। দীর্ঘ চার দশকের কর্মজীবনে তিনি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘বিক্ষোভ’ সহ বহু চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনা করেছেন।’
১৯৯৩ সালের ‘দোলা’, ২০০৮ সালের ‘কি জাদু করিলা’ ও ২০১৮ সালের ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার নৃত্য পরিচালক হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মাসুম বাবুল চলচ্চিত্র অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দীপ্যমান থাকবেন, বলেন মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ।
#
আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০৫
দূষণমুক্ত নিরাপদ সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের জনগণের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং নিরাপদ সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার নিরলভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত, বিষাক্ত পদার্থ ও রোগজীবাণু মুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু আমাদের নিজেদের জন্যই নয়, খাদ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টাকে নিশ্চিত করার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশ ও জাতিকে মেধাবী, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তুলতে হলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ।
আজ ঢাকায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপদ লাল মাংস বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, নিরাপদ মাংসের ধারণা প্রচার করা ও আমরা যেন পরিপূর্ণ আমিষের উৎস হিসেবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মাংস খাবার পেতে পারি তা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে। মাংস উৎপাদন থেকে শুরু করে, প্রাণী কেনা-বেচা, প্রাণী জবাই, মাংসের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আশার কথা যে, নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের জন্য শিক্ষার্থীরা এসেছেন, আগ্রহ দেখিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আজকের শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই নিরাপদ খাদ্য পাওয়া যাবে মর্মে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী রিপ্রেজেন্টেটিভ (প্রোগ্রাম) ড. নুর আহমেদ খন্দকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রকল্পের টিম লিডার প্রফেসর ডক্টর মোঃ হারুন উর রশীদ।
অনুষ্ঠানে ‘মিট ফুড সেফটি : এ ওয়ে টু এনসিউর হেলদি লাইফ এন্ড ওয়েলবিইং’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং মেগা কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
দীপংকর/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০৪
বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টর বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে
---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মেরিটাইম সেক্টরের যে সম্ভাবনা সেটাকে কাজে লাগিয়েছে বর্তমান সরকার। আর এর সকল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী এই সেক্টরে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই দেশের মেরিটাইম খাতে বড় বড় জাহাজ যুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মেরিটাইম সেক্টরে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টর শুধু এগিয়ে যাবে না; এ সেক্টরে বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ‘প্রটেকশন অভ্ বাংলাদেশি শিপ ওনার্স ইন গ্লোবাল মেরিটাইম এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দ্য বাংলাদেশ মেরিটাইম ল’ সোসাইটি (বিএমএলএস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিএমএলএস’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নৌবাণিজ্য অর্থনীতিতে অবদান রাখা এবং নৌশিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটে নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি নতুন মেরিন একাডেমি। এর আগে মাত্র একটি মেরিন একাডেমি ছিল চট্টগ্রামে। আরো তিনটি মেরিন একাডেমি নির্মাণ করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশে ফিরেই চট্টগ্রামে মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিনারদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মেরিটাইম সেক্টর একটি অপার সম্ভাবনাময় সেক্টর। মেরিটাইম সেক্টরকে পুরোপরি কাজে লাগাতে পারলে আমাদের রিজার্ভ দাঁড়াতো দুইশত বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এর সদস্য দেশ। আমরা আইএমও'র গাইডলাইন ফলো করছি। বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে একটি ক্লাশ জায়গায় নিতে চাই। সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। বর্তমান বিশ্ব সংকটকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তারা সফল হতে পারবে না।
স্টিমশিপ ইন্স্যুরেন্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের এডওয়ার্ড বার্নস কর্তৃক ‘রোল অভ্ পি এন্ড আই ক্লাবস ইন প্রটেকশন অভ্ শিপওনার্স ইন গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি’ এবং বিএমএলএস’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির কর্তৃক ‘লেজিসলেটিং টু প্রটেক্ট ন্যাশনাল শিপিং- এ রিভিউ অভ্ ফ্লাগ ভেসেল প্রটেকশন এক্ট ২০১৯’ বিষয়ক দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।
#
জাহাঙ্গীর/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০৩
সুশীল সমাজের বক্তব্য বন্ধ করার উদ্দেশ্য নেই
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যুক্তিসঙ্গত সব সাজেশন সরকার শুনতে চায়। যারা মানুষের গান গাইবে তাদের কথা সরকার শুনবে। সুশীল সমাজের বক্তব্য বন্ধ করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। আজকের অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের সুপারিশগুলো সরকার গুরুত্বের সাথে নেবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে।
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএসএইডের প্রামোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস্ প্রকল্পের আওতায় কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল (আইসিএনএল) আয়োজিত ‘শেপিং অভ্ থার্ড সেক্টরল’স এন্ড পলিসিস’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আবার বসা হবে, সেখানে যে কেউ মতামত দিতে পারবেন। কেন এই আইন করতে আমরা বাধ্য হয়েছি, তার প্রেক্ষাপট সকলেই জানেন। এটা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। অনেকেই বলেছেন, এই আইন করে কোনো উপকার হয়নি, আমার মনে হয় কিছু কিছু উপকার হয়েছে। আমি এমন কথা বলবো না, আইনটির কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। সব আইনেরই কিছু কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা থাকে। আবার কিছু কিছু বাস্তবায়নের সমস্যা থাকে। যখন বাস্তবায়নে সমস্যা হয়, তখন আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়। ঠিক সে কারণেই বলছি, এই আইন নিয়ে আমরা আবারও বসবো। যদি বিধি পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা সেদিকে যাবো। যদি তার পরেও আমরা দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন আছে, সেটা করতেও আমরা পিছপা হবো না। কিন্তু সম্পূর্ণ আইনটিকে বাতিল করে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। সেজন্য আসুন আমরা আইনটি নিয়ে আবার বসি এবং সেখানে আইনটির সমস্যাবলী চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করি। তিনি বলেন, এই বৈঠক রমজানের আগেই হতে পারে।
নাগরিক সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যেমন সংবিধানের প্রতি আনুগত্য আছে, তেমনি আমাদেরও আনুগত্য আছে। আমরাও চাই না সংবিধান বিরোধী কোনো আইন হোক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, কারও বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাহরণ করার জন্য এটা তৈরি করা হয়নি। পেনাল কোডে ফিজিক্যালি চুরি করলে কি শাস্তি হয়, সেটা আছে। প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে চুরি আর শুধু ফিজিক্যালি হয় না। ডিজিটাল মাধ্যমেও হয়। ডিজিটাল মাধ্যমে যে অপরাধগুলো হচ্ছিল তা প্রতিরোধের জন্য একটি আইনের প্রয়োজন ছিল। বিশে^র যেখানেই এই আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে, সেখানে কেউ বলেনি, এ আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই।
তিনি বলেন, আইনটি ভেটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে এলে অংশীজনদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছিল। এরপর সংসদে স্থায়ী কমিটির সভায় এটকো ও সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে অংশীজনদের কিছু কিছু সাজেশন বা পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছিল। দুঃখের হলেও সত্য এই আইন করার পর আমরা অনেক মিসইউজ ও অ্যাবিউজ দেখেছি। যখন এই আইনের যথেষ্ট অপব্যবহার হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, তখন তাৎক্ষণিকভাবে আমি নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বসেছিলাম এবং জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেছিলাম। এই বৈঠকে আমরা প্রথমে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে আইনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। এরপর আমি জেনেভায় গিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, পৃথিবীতে এরকম কোন আইন আছে কি না, যদি থেকে থাকে তাহলে তার বেস্ট প্রাকটিসগুলো কি কি? সেটা জানা এবং সেটাকে এই আইনের সাথে যুক্ত করে দুর্বলতাগুলো দূর করার চেষ্টা করা হবে।
#
রেজাউল/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০২
নিজ উপজেলায় স্মার্ট কার্ডে কৃষি ঋণ উদ্বোধন করলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ নিজ উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় এবি ব্যাংকের স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ উদ্বোধন করেছেন।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে এ উপলক্ষ্যে রাঙ্গুনিয়ায় এবি ব্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী। এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশে এখনও ৭০ ভাগ মানুষ গ্রামেই বসবাস করে। জিডিপিতে যদিওবা শিল্পখাতের অবদান কৃষিকে ছাড়িয়ে গেছে তবুও এখনও দেশের ৭০ ভাগ কিংবা তার চেয়েও বেশি মানুষ নানাভাবে কৃষির এবং কৃষি অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। এজন্য স্মার্ট কার্ডে কৃষি ঋণদান অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।
ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান
মাহ্মুদ বলেন, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে শুধু শহর অঞ্চলে কিংবা নগর কেন্দ্রগুলোতে ব্যাংকের শাখা থাকতো। আমাদের সরকার নিয়ম করে দিয়েছে এখন নতুন ব্যাংকের শাখা খোলার ক্ষেত্রে সম্ভবত অর্ধেক নগরে আর অর্ধেক নগরের বাইরে করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সেভাবেই অনুমোদন দিয়ে থাকে, যাতে করে গ্রামের মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আসে। আমি এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই কয়েকদিন আগে এবি ব্যাংক রাঙ্গুনিয়ায় একটি উপশাখা উদ্বোধন করেছে এবং সেই শাখার মাধ্যমেই আজকে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।
নিজ জনপদের বর্ণনায় হাছান মাহ্মুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়া একটি বর্ধিঞ্চু জনপদ। আমাদের এ উপজেলায় এক লাখের কাছাকাছি মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এবং আমেরিকা, মালয়েশিয়ায় বসবাস করে। তারা বিদেশে কাজ করে ও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠায়। এই রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রেও রাঙ্গুনিয়ার ব্যাংকের শাখাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিভিন্ন এনজিও’র পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হতো এবং তারা মানুষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতো, এখনো যে করে না তা নয়। তারা এমন চাপ প্রয়োগ করতো, দেখা যেতো ঋণের তিনগুণ চারগুণ দিয়েও ঋণ মুক্ত হয় না, এ রকম ঘটনা ঘটেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে সেই ঋণ শোধ করতে না পারার কারণে সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় অনেকে আত্মহত্যা করেছে এমনও ঘটনা ঘটেছে। সেই ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংক বিশেষ করে এবি ব্যাংকসহ যে সমস্ত ব্যাংক এখন ঋণ দিচ্ছে তা কৃষকের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য অনেক সহজ, সুদও এনজিও’র তুলনায় অনেক কম। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’
এসময় ঋণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমাদের সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জামানতবিহীন ঋণও প্রদান করে আসছে। এতে করেও যুবকেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঋণের সুবিধাটা সেটি আমাদের যুবকেরা পুরোপুরি জানে না। সেটিও তাদের জানানো প্রয়োজন। আর এবি ব্যাংককে অনুরোধ জানাবো তাদের কৃষি ঋণসহ আরো নানা ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প নিয়ে কৃষকদের জন্য কর্মশালা করার জন্য। আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাক, ৪১ সাল নাগাদ সত্যিকার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে আমরা পরিণত হই।’
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৯০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০১
পঞ্চগড়ের ঘটনা সারা দেশে বিএনপির বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অংশ
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা পুরো দেশে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারার মধ্যে আছে। সাম্প্রদায়িক যে উগ্র গোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে, তারা নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে। পঞ্চগড়ের ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।’
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তো বিএনপি। পঞ্চগড়ে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেখানে যারা কাদিয়ানিদের জলসাতে হামলা চালিয়েছে তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। তাদের বেশির ভাগই ছিল বিএনপির সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, হামলা চালিয়েছে এবং সে হামলায় দু’জন মৃত্যুবরণ করেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দুইদিন পরে রোববার বক্তব্য রেখেছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য বিএনপি-জামাতের সমর্থকরাই মূলত দায়ী।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলযোগ, সীতাকুন্ডে ও ঢাকার সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব সরকারকে দায়ী করেছেন-এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার। তাদের চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা সবকিছুই আমাদের সরকার ব্যবস্থা করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তাধীন, এটি নাশকতা কি না এবং এটি সার্বিকভাবে দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব এবং সীতাকুন্ডের ঘটনাগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে- কারো চুলায় আগুন লাগল আর ক’দিন পরে বলল যে এ জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়, এটা দুর্ঘটনা। তবে এই দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত, দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
এর আগে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ। এ সময় তিনি বলেন, গণমাধ্যমে ফটোজার্নালিজম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। পৃথিবীতে বহু কালজয়ী বিখ্যাত ফটোজার্নালিস্ট আছে। আমাদের দেশেও মুক্তিযুদ্ধের যে ছবিগুলো এখন আমরা দেখতে পাই সেগুলো ফটোজার্নালিস্টদেরই তোলা। ভারত বিভাগের সময় যে আন্দোলন-সংগ্রামের ছবি সেগুলোও ফটোজার্নালিস্টদের তোলা। ফটোজার্নালিস্টরা সমসাময়িক কালকে ধারণ করে, ইতিহাসকে ধারণ করে। এমন ছবি আছে যেগুলো পৃথিবীকে ভাবায়, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফটোজার্নালিস্টদের তোলা বহু ছবি ইতিহাস ও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। সিরিয়ার উপকূলে শরণার্থী একটা ছেলের লাশের ছবি সমগ্র পৃথিবীকে ভাবিয়ে তুলেছে। যখন কোনো দৈব-দুর্বিপাক হয় তখন ফটোজার্নালিস্টরা সেখানে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তোলে, অনেক সময় একটা ছবির জন্য অনেকক্ষণ, অনেক দিন, অনেক মাস অপেক্ষা করতে হয়, এমন ঘটনাও আছে। ফটোজার্নালিস্টদের কাজটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাজ।
ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি শ্রী ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি নাসিম সিকদার ও জাহিদ উদ্দিন আহাম্মেদ সাইমন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল তালুকদার ও দেলোয়ার হোসেন বাদল, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ফারুকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মমীন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম খোকন সিকদার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আল আমিন লিয়ন, মোঃ মহুবার রহমান, মশিউর রহমান সুমন ও এস এ মাসুম মতবিনিময়ে অংশ নেন।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০০
বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে
--পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র আয়তনের একটি জনবহুল দেশ হওয়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য হলেও দেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ পারলে আমরা কেন দেশকে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে পারবো না। দেশকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সকল শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।
‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২' এ ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে পরিবেশমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি পেলে দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের নিরলসভাবে কাজ করে পরিবেশের উন্নতি দৃশ্যমান করতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্বশীলতার সাথে মনোবল সহকারে দেশের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে পরিবেশ রক্ষায় স্মার্টভাবে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় এটিএন বাংলা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনকে ‘বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়ন’ ক্যাটেগরিতে ‘এটিএন বাংলা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- প্রদান করা হয়।
#
দীপংকর/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৬১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৯
বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন বাংলাদেশের জন্য এক বড় অর্জন। এ পুরস্কার বিশ্বময় বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ও ইমেজ বিল্ডিং-এ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বর্তমান সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। এতে করে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কাজ সহজতর হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সংস্কৃতি কর্মীদের সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। বরিশালের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোখাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
#
আহসান/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৮
বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস
--- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরো বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, সে দিন আর বেশি দূরে নয় বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জেডিপিসির আয়োজনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার, পাটকল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ রাহাত আনোয়ার এবং জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহমুদ হোসেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এখাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী এবং মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১২-১৬ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
#
সৈকত/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
Handout Number : 897
Foreign Minister urges international community to support
LDCs in addressing development challenges
Dhaka, 6 March :
&