তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৬৪
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ট্রানজিশনের বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন
------ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ট্রানজিশনের বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ১৮কোটি মানুষের দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে দক্ষ অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বিপুল অর্থের প্রয়োজন। জার্মানি প্রযুক্তি ও আর্থিক (গ্রান্ড বা লোন) সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ তাঁকে স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ অর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
প্রতিমন্ত্রী, আজ জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠেয় 'BERLIN ENERGY TRANSITION DIALOGUE 2024' এর দ্বিতীয় দিনে জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যানের (Jennifer Lee Morgan) -এর সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীল অবস্থা বিনির্মাণে আমরা জার্মানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। বায়ু বিদ্যুৎ, বায়ুগ্যাস, জলবিদ্যুৎ ও অফশোর উইন্ড-এর প্রসারে জার্মানি আমাদের সহযোগিতা করতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে জার্মানির অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিশেষ অবদান রাখবে। আগামী মে মাসে জার্মানির সাথে সরকারি পর্যায়ে যে সংলাপ হবে আমি আশা করি, সেখান থেকে বায়ু বিদ্যুৎ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জার্মানির অংশগ্রহণ বাড়বে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জার্মানির সহযোগিতা একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহযোগিতা করবে।
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যান বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সৃজনে জার্মানি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি। তিনি এসময় পারষ্পরিক সহযোগিতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
#
আসলাম/পাশা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২২৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৬৩
যত বেশি হাফেজ তৈরি হবে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি তত বেশি উজ্জ্বল হবে
-ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, যত বেশি হাফেজ তৈরি হবে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি তত বেশি উজ্জ্বল হবে।
আজ রাজধানীর উত্তরায় হোটেল প্যান ডি এশিয়ায় হাফেজে কোরআন সম্মাননা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী একথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হাফেজগণ কোরআনের বাহক। একেকজন হাফেজ একেকটি কোরআন। আমাদের দেশের কুরআনের হাফেজগণ প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থানসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। তিনি বলেন, হাফেজে কোরআনদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে হাফেজদের সম্মানিত করা হলে তারা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।
একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, কোরআন তেলাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যারা দুনিয়াতে কোরআন শিখবে এবং সে মতে আমল করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক তাদেরকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। সুতরাং কোরআনের হাফেজদের সম্মাননা দেওয়া নিঃসন্দেহে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি কাজ। তিনি কোরআনের হাফেজদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে আমাদের বেশি বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তিনি সংবর্ধিত কোরআনের হাফেজদেরকে কোরআনের বিধান নিজেদের জীবনে প্রতিপালনের পাশাপাশি অন্যান্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান।
সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, দীপ নীটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিআইপি, উত্তরার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল আউয়াল প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
এ অনুষ্ঠানে মোট ৬১জন কোরআনের হাফেজকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
আবুবকর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০৩৫ঘণ্টা
Handout Number : 3762
A Mangrove Research Center will be established in the country
--- Environment Minister
Dhaka, 20 March :
Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said, Bangladesh government will establish a state of the art Mangrove Research Center in the country. He said projects will be undertaken on mangrove forest protection, Conservation and restoration in the coastal areas of Bangladesh and capacity building for the creation of skilled manpower for mangrove conservation. He also said, Government will sign an MoU for collaboration with UAE state owned organisation D P world in this regard.
Environment Minister said this today while an official delegates from the United Arab Emirates hold a meeting to discuss on the Mangrove Restoration Project at the conference room in the Bangladesh Secretariat.
Environment Minister said collaborative endeavors with esteemed partners like the U.A.E. are paramount for mangrove ecosystems restorarion. This strategic alliance seeks to leverage collective knowledge, resources and innovative solutions to ensure the preservation and revitalization of mangrove habitats.Young people will be sensitised against plastic pollution and mangrove restoration. Priorities will be given for nature based solutions.
Ayla Bajwa, Senior Vice President of D P world, Dubai Government company said his organization will work for enhancing, restoring and protecting mangroves; capacity building for science & innovation and Empowering communities associated with mangrove ecosystems:
During the deliberations, Minister Saber Chowdhury and the U.A.E. delegates explored avenues for mutual cooperation, spanning technological advancements, research initiatives, and sustainable practices.Emphasizing the urgency of safeguarding mangrove ecosystems, they underscored the significance of community engagement, policy coherence, and inclusive governance framework.
Secretary of the Ministry D r. Farhina Ahmed, Additional Secretary (Admin) Iqbal Abdullah Harun, Additional Secretary (Environment) D r. Fahmida Khanom, Chief Conservator of Forest Md. Amir Hossain Chowdhury; D eputy Secretary D haritri Kumar Sarkar and Jimena Rodriguez, Group Senior Manager - Oceans and Biodiversity, Group Sustainability, D P were present in the occasion.
#
Dipankar/Pasha/Sayem/Sanjib/Mosharaf/Joynul/2024/2055 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৬১
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রাধান্য
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক (Park Young-sik) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি প্রাধান্য পায়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময়সহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহ বিশদভাবে আলোচিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশে অনুমতিদান ও দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি প্রদানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপাক্ষিক উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। বাংলাদেশের 'এলডিসি' থেকে উত্তরণের পর সহযোগিতার ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করেন এবং হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে আরো বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকা'কে (KOICA) ধন্যবাদ জানান ও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থার অনুরোধ করেন।
কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোর জন্য কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধানকল্পে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে দু'টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে, যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত বৈঠকে ম্যান-মেইড ফাইবার (MMF) এবং দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর এবং সরাসরি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরো আধুনিকায়নের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৬০
বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। টেকসই কৃষি ব্যবস্থা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির অগ্রগতি তাই লক্ষনীয়। ডিজেল থেকে সোলার সেচ পাম্প শুধু কার্বন নি:সরণই কমাবে না; একই সাথে ভূগর্ভস্থ জল সম্পদ সংরক্ষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জার্মানীর বার্লিনে Berlin Energy Transition Dialogue ২০২৪- এ ÔDialogue Hub: Energy-Water-Food Nexus: Holistic Solutions for food and water supply Powered by Renewables ’শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫০০০ সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৩ লাখ কৃষক সুবিধা পাবে আশা করা যাচ্ছে। সেই সাথে ডিজেল ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া কমে আসবে। ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত উত্তোলন প্রশমিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আর্থিক জোগান ও অভিজ্ঞতার বিনিময় টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। জার্মানীসহ উন্নত দেশসমূহকে প্রযুক্তি হস্তান্তরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত।
এ সময় বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ-২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৫৯
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন
--- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
রাজশাহী, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। কেননা, বঙ্গবন্ধু মানুষের আদর্শের রাজনীতি করতেন।
মন্ত্রী আজ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে শেখ রাসেল পৌর মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোন জিনিসের দাম বাড়লে সেই জিনিস লোকে কম কেনে বা বর্জন করে। আর আমাদের দেশে দাম বাড়লে সেই জিনিস কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ি। এমনকি বাসায় সেই জিনিস কিনে জমাই। তখন আমরাই বাড়িতে ছোটখাটো মজুতদার হয়ে যাই।’
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানেই হচ্ছে মানুষের সরকার, জনমানুষের সরকার, জনবান্ধব সরকার। এটি ঠিক যে আজকে আমরা দেখছি, রোজার মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার দাম বেঁধে দিচ্ছে। এই সময়ে মানুষ যাতে একটু স্বস্তিতে থাকে সেজন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী তারপরও ঝামেলা করছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। কেননা, বঙ্গবন্ধু মানুষের আদর্শের রাজনীতি করতেন। তিনি দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কীভাবে এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক মুক্তি মিলবে। কীভাবে এদেশের মানুষ ভালো থাকবে-সুখে থাকবে সেই চেষ্টা করতেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটি করছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে দারিদ্রের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২১ ভাগ থেকে এখন ৫ দশমিক ৬ ভাগে নেমে এসেছে।
বাগমারা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার মিতা,জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় অসহায়দের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। সফরকালে মন্ত্রী তাহেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
#
জাকির/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৫৮
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রাজনীতিতে একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রাজনীতিতে একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে কখন ছোবল মারবে।’
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আজকের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। সংকটে সংগ্রামে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে ধৈর্যহারা না হয়ে অবিচল থাকতে হয়, নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকতে হয়, তার উদাহরণ তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় গণতন্ত্রকে যেভাবে শেকল পরানো হয়েছিল, একজন শেখ হাসিনা না থাকলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। এবং সেই সময় শেখ হাসিনার পাশে ছায়ার মতো ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
‘আর টেলিভিশনের পর্দায়, পত্রিকার পাতায় আপনারা দেখেন সেই ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা প্রতিনিয়ত জাতিকে 'জ্ঞান' দিতে থাকে, নাম বলে কাউকে খাটো করতে চাই না' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা গত নির্বাচনের আগেও সক্রিয় হয়েছিল, আবার যদি কিছু করা যায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে বিএনপি-জামাতের অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছে, ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের স্বপ্নও তেমনি ধুলিস্যাৎ হয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা, যারা দেশের ওপর শকুন আহ্বান করে, তারা ঘাপটি মেরে আছে, যদি কোনো সুযোগ কোনো সময় পাওয়া যায় ছোবল মারার জন্য। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে।’
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের অনুসরণীয় নানা দিকের ওপর আলোকপাত করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শেখ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু,
ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খোকা, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৫৭
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্লাস্টিক পলিথিন পণ্য বর্জন করতে হবে
- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিন পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করেছে সরকার। বায়ুদূষণে এককভাবে নয় যৌথভাবে কাজ করা হলে আগামী বছর কিছুটা উন্নতি দেখতে পাওয়া যাবে।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডস্থ, পূর্ব বাসাবো, প্রিন্স গার্ডেন কনস্ট্রাকশন মাঠে প্রায় ৫ হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার (শাড়ি, লুঙ্গি) বিতরণ উৎসব ২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধবভাবে আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ঈদুল ফিতর একটি আনন্দের উৎসব। এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ইফতার পার্টির আয়োজনের পরিবর্তে ঐ অর্থে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের সকলের উচিত ধনী ও দরিদ্র সকলের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৫৬
মানব পাচার রোধে টেকসই সমাধান ও পারস্পরিক
সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্র সচিবের
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিনের সাথে ‘বালি প্রসেস’এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) এবং রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। তিনি মানব পাচারের জটিল ও অন্তর্নিহিত কারণসমূহ এবং সেগুলো মোকাবিলার অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচার সমস্যার টেকসই সমাধান করা ও এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
বালি প্রসেস কো-চেয়ারগণ মানব পাচার মোকাবিলাকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যা মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বৃদ্ধিতে কো- চেয়ারগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য বালি প্রক্রিয়ার সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রুহুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৫৫
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলো ‘প্রত্যয় স্কিম’
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
সরকার ১৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি. তারিখে জারীকৃত এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি. তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন, তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া, ১৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি. তারিখে জারীকৃত এস.আর.ও. নং-৪৮-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসকল প্রতিষ্ঠানসমূহের বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারীগনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে। তবে, যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি. তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীগনের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহে পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীগণ আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ (Contributory Provident Fund) ব্যবস্থা প্রযোজ্য। উক্ত ব্যবস্থায় কর্মচারীগণ চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোন পেনশন প্রাপ্য হন না। ফলশ্রুতিতে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূলবেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা, যাহা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমান অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং উক্ত ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসাবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে।
বিদ্যমান সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রদান করে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশণ প্রাপ্য হবেন। এক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থা