Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ৩৪৬৮

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্য সম্পর্কিত জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন জরুরি

                --বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা,  ২২ বৈশাখ (৫ মে):

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্য সম্পর্কিত সকল ইস্যুতে সামগ্রিকভাবে জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

আজ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলন ২০২৫’ এর তৃতীয় অধিবেশন ‘খাদ্যের বাজার, সরবরাহ ও দেশজ সক্ষমতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আলাদা মূল্যস্ফীতি সূচক থাকা উচিত। বাজার ব্যবস্থা তদারকি করতে এটা আমাদের সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ১৭টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট আছে। আমরা যদি নিত্য প্রয়োজনীয় ১৭টি পণ্যের উৎপাদন ও সরবারহ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আছে তা কাজে লাগাতে পারবো। তিনি বলেন, কৃষি মানেই শুধু মানুষের খাদ্য নয় -এখানে পশু খাদ্যও জরুরি বিষয়।

বিগত সময়ে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। একজনের কাছ থেকে শুনে কোয়াসিজুডিশিয়াল নয় জুডিশিয়াল কিলিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু হয়েছে, এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। এখান থেকে যে উত্তরণে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং সরকারের যে অঙ্গগুলো আছে এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। অতিরঞ্জিত তথ্য উপাত্ত মারাত্মক ফ্যাসাদ তৈরি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যানগত নিয়ামকগুলোকে আমরা গ্রহণ করি অধিকাংশ সময় খুবই বিভ্রান্তিকর। এটার সংস্কার দরকার। বড় বড় অর্থনীতিবিদরাই এই পরিসংখ্যান তৈরি করছেন, এগুলো ফ্যাসাদ তৈরি ছাড়া কোনো কিছুই করে না। গতবছর দেখা গেল আলুর উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন মেট্রিক টন। ব্যবহৃত হয়েছে ৮০ লাখ মেট্রিক টন। তারপর আলুর দাম হয়ে গেছে ৯০ টাকা কেজি। কোনোভাবেই এটা মিলে না। কেন না পরিসংখ্যান ছিল ভুল। পরিসংখ্যানের শুদ্ধি প্রয়োজন বলে যোগ করেন তিনি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের খাদ্যের যে বাজার এই বাজারের আর্থিক মূল্য ৩০ লাখ কোটি টাকা। আমরা এর বিপণন আরো ভালোভাবে করতে চাই। কৃষির যে অর্থনীতিকীকরণ এখানে সিন্ডিকেশন অফ ফেয়ার মাইন্ড এবং সিন্ডিকেশন অফ ফেয়ার পলিসিস দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। উদাহরণ টেনে উপদেষ্টা বলেন, রমজানের আগে ডিমের দাম ১৮০ টাকা ছিল। আমরা দেখেছি যে ডিম মজুত করে রাখা হয়েছিল কোল্ড স্টোরেজে। মজুত করে কৃত্রিমভাবে দর বাড়ানো হয়েছিল।

বিগত সরকার ব্যয়ের মহোৎসব করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নাগরিকদের উপর চূড়ান্ত দায় তৈরি করেছে। বিভিন্ন সময়ে মিটিংয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যে ব্যয়ের ফিরিস্তি দেখা যায় খরচ করতে পারাটাই যেন কৃতিত্বের ব্যাপার ছিলো। আমরা এখান থেকে ফেরত এসে একটি কাঠামো তৈরি করতে চাই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন মেঘনা গ্রুপ অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, কাজী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন, কোয়ালিটি ফিডসের পরিচালক এম সাফির রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাব্বির হাসান নাসির এবং স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

#

 

কামাল/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৫/২২২০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৬৪৬৭

ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ নিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তারা

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

           জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ফ্যাট চেকিং প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।

          আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান।

          সিনিয়র সচিব বলেন, বর্তমান সময়ে মিস ইনফরমেশন, ডিস ইনফরমেশন ও ম্যাল ইনফরমেশন বেড়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সাহসী হতে হবে। তথ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, নেতিবাচক বিষয় দ্রুত ছড়ায়। এটা মানব জীবনকেও বেশি প্রভাবিত করে। এ থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। এ জন্য তথ্য কর্মকর্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক খবর ছড়িয়ে দিতে হবে। 

          সভাপতির বক্তৃতায় আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ায়, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সেগুলো চিহ্নিত করে জনগণকে সঠিক তথ্য জানানোর দায়িত্ব তথ্য কর্মকর্তাদের।

          বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেন, গুজব বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান থাকলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব প্রকট। তাই ছয় ধরনের গুজব বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অতি চালাক আর বোকারাই সমাজে হুমড়ি খেয়ে গুজব ছড়ায়। তাই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। নির্বাচনের সময় ব্যাপকভাবে গুজব ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। তাই গুজব প্রচারকারীদের সনাক্ত করতে হবে। এজন্য তথ্য কর্মকর্তাদের কাজের স্বার্থে একটি করে ল্যাপটপ প্রদানে আইসিটি বিভাগকে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

          প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সনদ তুলে দেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব।

          উল্লেখ্য, দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে ৬৪ জেলা তথ্য অফিস, ৪টি উপজেলা তথ্য অফিস এবং ৭টি আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

#

জসীম/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ৩৪৬৬

 

কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে মেয়েদের সমান সুযোগ দিতে চায় সরকার

--শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকা,  ২২ বৈশাখ (৫ মে):

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সরকার কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের সমান সুযোগ দিতে চায়। তিনি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে মেয়েদের নতুন কর্মসুযোগ সৃষ্টিতে, নতুন পরিকল্পনা, নতুন ভাবনায় সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অধিকার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত মেয়েদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিপ্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। যাতে স্বাচ্ছন্দে কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা কাজ করতে পারবে এবং ডে-কেয়ারে শিশুরা মাতৃত্বসুলভে বেড়ে উঠবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নত মানের কেয়ার ডেভিং ডেভেলপ করা হবে।

 

নারীরা ঘরের বাইরে কাজে যাচ্ছে এবং ঘরে ফিরছে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের ভাবনার বিষয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শ্রমিক মেয়েদের যৌন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। মেয়েদের জন্য ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে । মেয়েদের আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পুরুষতান্ত্রিক হওয়ার কারণে শ্রমিক মেয়েদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ পাওয়া যায় না, ফলে মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে হেরেজমেন্ট লক্ষ্য করা যায়। তিনি আরো বলেন, নারী শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।

 

আলোচনা অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাওতিয়েনেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহমিদ আহমেদ, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের চেয়ারম্যান বাদল খান, বিবিডিএন ও বহ্নিশিখার পরিচালক এবং বিভিন্ন উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রফিক/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৫/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৪৬৫

সকল শ্রমিকের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট

                                                                                          --- শ্রম উপদেষ্টা

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

          শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার অটল। সকল খাতের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

          আজ ঢাকায় বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনভেনশন সেন্টারে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ উপলক্ষ্যে আইএলও-আয়োজিত ÔBuilding Better Futures: Celebrating Voices of Resilience and Change for Workplace InclusionÕ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে শিল্পায়ন হলেও রেডি মেইড গার্মেন্টস (আরএমজি) ছাড়া অন্য খাতের বিকাশ সীমিত। তিনি বলেন, বড় নির্মাণ কোম্পানিগুলো যদি শ্রম আইন মেনে কেন্দ্রীয় তহবিলে লভ্যাংশ জমা না দেয় তাহলে তারা সরকারি ক্রয় থেকে বাদ পড়বে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও সুপার শপকে বাধ্যতামূলকভাবে শ্রম আইন, ২০০৬ এর আওতায় আনা হবে।

          শ্রম উপদেষ্টা আরো বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়নের সাথে বৈঠকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএমএইচ) নিশ্চিত করে এবং অনানুষ্ঠানিক খাত ও কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে।

          এ সময় শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুটিয়ানিন, বিবিডিএন ও বহ্নিশিখার পরিচালক এবং বিভিন্ন উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৩৪৬৪

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

          আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, সরকার আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্ব দিচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে মানসম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাকে আরো সহজতর করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি, স্যাটেলাইট পদ্ধতিতে দূরশিক্ষণ এবং প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার জন্য হোস্টেল বিল্ডিং নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। 

          সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ দেশের মূল ধারার সাথে এখনো সম্পৃক্ত হতে পারেনি। সরকার এ বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সরকার নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকলেই নির্ভয়ে চলাফেরা করছে। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে কয়েকজন রাষ্ট্রদূত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ করে এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে গেছেন। এবারের ঈদ, পুঁজা পার্বনে বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে এসেছেন। পার্বত্য অঞ্চল উত্তপ্ত কোনো এলাকা বরং এটি শান্তিপূর্ণ এলাকা। তিনি আরো বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

          পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়গুলো আলোচনা হয়। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন।

          সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা-সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজুয়ান/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২২০০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৪৬৩

 

চিত্রশিল্প পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ নাগরিক গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে

    - পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা,  ২২ বৈশাখ (৫ মে):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘যেখানে পরিবেশ সংকট প্রতিদিন প্রকট হচ্ছে, সেখানে সৃজনশীল গল্প বলা ও চিত্রশিল্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃতিবান্ধব করে গড়ে তুলতে পারে’। তিনি বলেন, ছবির গল্প শুধুই বিনোদন নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।

 

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ইকরিমিকরি: এক কল্পনার জগৎ—ছবির বইয়ের দুনিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

                                                                        

উপদেষ্টা বলেন, ছবির বই শুধু ছবি আর গল্প নয়। এগুলো শিশুর মনে সহমর্মিতা, কৌতূহল ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতির সৌন্দর্য শিশুদের কাছে তুলে ধরলে, তারা পরিবেশের রক্ষক হয়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, শিশুরা প্রকৃতিকে যেন ভয় না পায়, বরং ভালোবেসে বড় হয়।

 

অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে আঁকা অসাধারণ সব ছবি প্রদর্শিত হয়। এতে শিশুরা যেমন আনন্দ পায়, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়েও সহজভাবে ধারণা লাভ করে।

রিজওয়ানা হাসান এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সৃজনশীলতা ও পরিবেশ সচেতনতার মিলনস্থল তৈরি করে। তিনি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং উপস্থিত শিশু, অভিভাবক, শিল্পী ও আয়োজকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

#

দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৫/২০৪৫ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                       Number: 3462

Storytelling and Visual arts can shape the next generation of eco-conscious citizens
                                                                                                       — Environment Advisor


Dhaka, 5 May 2025:

             ‘In a time of environmental crisis, creative storytelling and visual arts can play a powerful role in shaping the next generation of eco-conscious citizens,’ said Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change.

            The Advisor made this statement while gracing as Chief Guest the evocative programme ‘IKRIMIKRI: A Realm of Imagination–the World of Picture Books’, held today at Alliance Française de Dhaka, Dhanmondi.

            Terming such initiatives as more than mere cultural engagements, the Environment Advisor observed, ‘Programmes like storytelling with pictures are not just cultural events — they are investments in our planet’s future.’

            In her remarks, Rizwana Hasan underscored the transformative potential of picture books in environmental education. ‘Picture books are not just stories with pictures,’ she said. ‘They are gateways to empathy, curiosity, and respect for the natural world. When we introduce children to the beauty of wildlife and nature through such creative formats, we plant the seeds of environmental stewardship.’ Urging society to foster a compassionate bond between children and the environment, she poignantly added, Let children grow up loving nature, not fearing it.

            The event celebrated the imaginative power of picture books in shaping young minds and featured a compelling exhibition of illustrations centered on wildlife and the natural world. Advisor Rizwana Hasan lauded the initiative for crafting a space where creativity and environmental consciousness converge.

            Drawing a vibrant and intergenerational audience of children, parents, educators, and artists, the programme showcased vivid depictions of forests, rivers, and endangered species — sparking meaningful conversations around biodiversity, climate change, and conservation in a language children could both understand and feel.

            Organized in collaboration with local educators and illustrators, IKRIMIKRI stood as a testament to the power of visual storytelling in nurturing future guardians of the Earth.

#

Dipankar/Mahmudul/Rana/Rafiqul/Joynul/2025/2050 hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                           নম্বর: ৩৪৬১

ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

            ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম। আজ তথ্য ভবনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।

            বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, গুম, অপহরণ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সম্মতি উৎপাদনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে। এসব অসৎ উদ্দেশ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম তৈরি করেছে। বিগত সরকারের আমলে যেসব গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া তদন্ত করা হবে।

            সম্প্রতি চাকরিচ্যুত তিনজন সাংবাদিক প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার চায় না বিনা নোটিশে কোনো সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হোক। কোনো সাংবাদিক অপরাধ করলে তাকে প্রক্রিয়া মেনেই চাকরিচ্যুত করতে হবে। বিনা নোটিশে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি সরকার সমর্থন করে না।

            মাহফুজ আলম বলেন, কিছু গণমাধ্যম ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’কে আন্দোলন হিসাবে অভিহিত করছে। এর পাশাপাশি বর্তমান সরকারকে পটপরিবর্তনের পরবর্তী সরকার বলা হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো গণমাধ্যমকে কিছু বলা হয়নি। আমরা মনে করি, জনগণ বিষয়টি মূল্যায়ন করবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো গণমাধ্যম সরকারের পক্ষে লিখুক। সরকারকে প্রশ্ন করুন। সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’

            তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের ১৯শে জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, এত স্বল্প সময়ে ফিলিস্তিনেও এই পরিমাণ মানুষ হত্যা করা হয়নি। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কোনো হত্যাকাণ্ড তুলনীয় নয়। পতিত সরকারের দুঃশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র ছিল গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের রাজনীতিকীকরণের ফলে সাংবাদিকরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের বোঝা উচিত।

            উপদেষ্টা বলেন, যেসব সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, সরকার তাঁদের পরিবারকে সহযোগিতা করবে।

            আলোচনায় অংশ নিয়ে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ৪৪ ধাপ অবনতি হয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গণমাধ্যমের চিত্র উপলব্ধি করা যায়। বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশেই তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে অন্য কোনো শাসনামলের তুলনা চলে না। এ বিষয়ে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বাধীন গণমাধ্যম একসঙ্গে চলতে পারে না। তিনি ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

            বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যেসব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়। তিনি গণমাধ্যমের টেকসই ব্যবসায়িক মডেল প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

             সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিভাজিত করা হয়েছিল। সরকারের আনুগত্যে নিয়ে আসার জন্য বিগত সরকার সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। গণমাধ্যম সংস্কার  প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কীভাবে গণমাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা যায়, সে লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

            মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন।  তিনি বলেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৮ জন সাংবাদিক।

             সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, দৈনিক নয়াদিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলি, শীর্ষ নিউজের সম্পাদক একরামুল হক ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য শাহীন হাসনাত।

             সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন বিষয়ে সেমিনারে স্মৃতিচারণ করেন নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিক হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ববি, শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান, নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান ও সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম।

            তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, হত্যা-নিপীড়নের শিকার সাংবাদিক-পরিবারের সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

#

মামুন/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৪৬০

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরো কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি

                                                                  --- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

          ইতালি বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরো বেশি হারে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

          উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান। বৈঠকে ইতালির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে সফররত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী Matteo Piantedosi ।

          উপদেষ্টা বলেন, ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের শ্রমিকরা খুব পরিশ্রমী ও দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশটি নতুন করে বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী। তবে অন্য দেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার প্রবণতাকে তারা সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করেছে। তিনি বলেন, ইতালি অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে ও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা নিরাপত্তা খাতেও সহায়তা বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে যেসকল বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালিতে গমন করেছেন, তাদেরকে যেন উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেওয়া হয়- সে বিষয়েও ইতালিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

          লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ইতালির পুলিশ মাফিয়া চক্র-সহ সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে পারদর্শী। সেজন্য তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে চায়। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ইতালির সহায়তা কামনা করেছি।

          সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় ৫৪ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

          বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ; অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত নীতি ও কর্মপন্থা; অপরাধ দমন ও বিচার প্রক্রিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

          দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ এবং ইতালির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত Antonio Alessandro, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমেটিক অ্যাডভাইজার Macro Villani ও ডেপুটি হেড অভ কেবিনেট Sabina Madaro, ইমিগ্রেশন ও বর্ডার পুলিশের সেন্ট্রাল ডিরেক্টর Claudio Galzerano প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

          এর আগে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অভ্ অনার প্রদান করা হয়।

#

ফয়সল/মাহমুদুল/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৪৫৯

 

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক

2025-05-05-17-03-7126d94d852347ebed31bdd11baaca92.docx