Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ মে ২০১৭

তথ্যবিবরণী (১৬ মে ২০১৭)

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৩২

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :
দশম জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৫তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। 
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মোঃ মাহ্বুবুর রহমান, মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এবং হোসনে আরা বেগম অংশগ্রহণ করেন। 
কুয়েতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেশ কিছু সংখ্যক জনবল নেয়া হবে মর্মে বৈঠকে অবহিত করা হয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
কমিটি সিএমএইচ এর চিকিৎসা সেবার পরিসীমা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সকল বাহিনীর বেসামরিক চর্তুথ শ্রেণি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যসহ অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারীদেরও সিএমএইচ এ চিকিৎসা সুবিধা পর্যায়ক্রমে নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।
কমিটি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর কার্যক্রম আধুনিকায়নের জন্য ও সাংগঠনিক কাঠামো আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবল সংযোজন, আইএসপিআর এর নিজস্ব ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনবল নিয়োগের সুপারিশ করে। 
বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
হালিম/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২১০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৩১

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :
দশম জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৩তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর  সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মোঃ আলী আজগার,  মোহাম্মদ নোমান এবং  ফাতেমা জোহরা রানী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীন যেসব রেলভূমি বিনা নিলামে তথা নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রদান করা হয়েছে সেই সব জমি উদ্ধারে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি সুপারিশ করে।
কমিটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রেলওয়ের জায়গায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মৃতি বিজড়িত তৎকালীন ইউরোপিয়ান ক্লাব ভবন এবং মাষ্টারদা সূর্যসেনের স্মৃতি বিজড়িত তৎকালীন অস্ত্রাগারটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের কাজ শুরুর সুপারিশ করে ।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কোচ, ইঞ্জিন ও যাবতীয় খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকৃত অথরাইজড ডিলারদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট অভ্ অরিজিন দেখে সংগ্রহ করার সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য চলমান ট্রেনগুলোতে কোচ বৃদ্ধি, অধিক সংখ্যায় কনটেইনার পরিবাহী ট্রেন এবং মালবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/২০৫৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৩০

দেশের সকল মা জয়ী হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন জয়ী হবে
                      -- মেহের আফরোজ চুমকি

ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশের সকল মা জয়ী  হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন অর্জিত হবে।  বিশেষ কোন দিন নয়, বছরের ৩৬৫ দিনই মায়েদের জন্য।

তিনি আজ রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মিলনায়তনে বিশ্ব মা দিবস উপলড়্গে স্বপ্ন জয়ী মায়েদের মাঝে বিশেষ সম্মাননা  প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির  বক্তৃতায় এ কথা বলেন। যে সকল সংগ্রামী মা আনেক ত্যাগ-তিতিড়্গার মাধ্যমে তাদের সনত্মানদের  বিভিন্ন ড়্গেত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এ রকম নয় জন স্বপ্ন জয়ী মাকে বিশেষ সম্মাননা  প্রদান করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি।

প্রতিমন্ত্রী মায়েদের উদ্দেশে বলেন, সনত্মানরা কেবল ভাল ফলাফল ও  ভাল চাকুরী পেলেই  সফল মা হওয়া যায় না। সফল মা হতে হলে সনত্মানদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে  তুলতে হবে। সনত্মানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বাবা মার সংগ্রামের ফলে উচ্চ শিড়্গিত হচ্ছি।  দেশ-বিদেশে ভাল চাকুরী করছি। আর বাবা -মা বৃদ্ধ বয়সে একাকী জীবনযাপন করছে। এটা হতে পারে না। তিনি  বৃদ্ধ মা-বাবাকে সময় দেয়ার জন্য সনত্মানদের আহ্বান জানান।

স্বপ্ন জয়ী মায়েরা হলেন দিনাজপুরের দেলোয়ারা রহমান, কিশোরগঞ্জের ফারজানা মফিজ, ঢাকার মমতাজ বেগম, ফেরদৌসি আক্তার, জোবেদা চৌধুরী, পিরোজপুরের কাওসার পারভীন, বাগেরহাটের শাহীন সুলতানা, ঠাকুরগাঁওয়ের নূর জাহান বেগম এবং কিশোরগঞ্জের পারভীন সুলতানা।

বিশ্ব মা দিবস উপলড়্গে স্বপ্ন জয়ী মা বাছাই করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে আবেদন আহ্বান করা হয়। দাখিলকৃত আবেদন থেকে  সফল নয় জনকে স্বপ্ন জয়ী মা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

#

খায়ের/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩২৯

আর নয় রাজাকার সমর্থিত সরকার
                                  -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :
ক্ষমতাচ্যুত রাজাকার সমর্থিত সরকার যাতে আর কখনো দেশ শাসনে না আসে, সেটাই রাজনীতি ও গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নবনির্বাচিত সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, পিছু হটলেও জঙ্গি-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এখনো এদিক-ওদিক ছোবল মারতে উদ্যত। তাই গণতন্ত্রকে নিরাপদ করে দেশে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জঙ্গি ও তাদের সঙ্গীদের সমূল উৎপাটন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় নবম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, বোর্ডের প্রধান হিসেবে বিচারপতি নিয়োগদান সম্পন্ন হয়েছে, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের নামও পাওয়া গেছে।  মালিকপক্ষ প্রতিনিধির নাম পাওয়া গেলেই প্রজ্ঞাপন জারী করবে সরকার।
কাউন্সিলের নবনির্বাচিত সভাপতি কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রমুখ। সভাশেষে কাউন্সিলের নবনির্বাচিত সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
#

আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৪০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩২৮

 
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর দু’দেশের সহযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা 
                                                                                -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর দু’দেশের সহযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 
আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা হেরিটেজ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শীর্ষ সম্মেলন ছাড়িয়ে : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সাফল্য’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ভারতের সাথে সাইবার নিরাপত্তা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য চুক্তি দু’দেশের সহযোগিতার আরেকধাপ অগ্রগতি ও উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা। 
হেরিটেজ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশীর সাথে বিরোধের বদলে নিষ্পত্তি, অসহযোগিতার বদলে সহযোগিতা ও নিরবতার বদলে আলাপের নীতি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দু’দেশের বাণিজ্য যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি সীমাপার সন্ত্রাস ও সন্ত্রাস রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। এ সময় ‘তিস্তা চুক্তি হবে’ বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও যৌথ বিবৃতিতে এর উল্লেখকে শেখ হাসিনার জোরালো দাবি ও ওকালতির ফসল বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক প্রকৃত অর্থে নতুন কোনো বিষয় নয়, সামরিক সহযোগিতার বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোরই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত রূপমাত্র।’
ইনু বলেন, সার্কের পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটানের উপআঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা পানিসম্পদ প্রকল্প গ্রহণও বাংলাদেশের উন্নয়নে একান্ত প্রয়োজন। 
#

আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯১০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩২৭
 
শিশু ও নারী হত্যা-নির্যাতনকারীদের একচুল ছাড় নয়
                                                           -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :  
‘শিশু ও নারী হত্যা-নির্যাতনকারীদের একচুল ছাড় নয়। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যেমন শূন্যসহিষ্ণুতা, এদের বিরুদ্ধেও তেমনি বিচার-দমনের নীতি।’ 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কিশোর মাসুক ফেরদৌস হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। শনিবার রাতে বগুড়া জেলা জাসদ নেতা এডভোকেট এমদাদুল হক এমদাদের ছেলে মাসুক ফেরদৌসকে (১৫) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে। 
শিশু ও নারী হত্যা-নির্যাতনকারীরাও মানুষরূপী দানব, জঙ্গিদের মতোই এদেরকেও দমন-বর্জন ও নির্মূল করতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বিবেকবান সকল মানুষকে এ হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।’
#

আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩২৬

আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রীর সাথে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রীর বৈঠক

ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম বি.এসসি আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে সে দেশের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রী ঝধয়ৎ এযড়নধংয ঝধববফ এযড়নধংয এর সাথে দ্বিপাড়্গিক বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সে দেশে আরো অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণ এবং কর্মীদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে বিসত্মারিত আলোচনা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।  

    বৈঠকে মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ জারীকৃত ডিক্রিসমূহ অন্য বিদেশি কর্মীদের মতো বাংলাদেশি কর্মীদের ড়্গেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কর্মীরা নিয়োগকর্তা কর্তৃক ভিসা প্রাপ্তির আগে স্ট্যান্ডার্ড এমপস্নয়মেন্ট কন্ট্রাক্টের আওতায় তাদের সকল সুযোগ সুবিধা পবেন। তিনি আরো বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন বছর বা তদূর্ধ্ব সময় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের নিয়োগকর্তা পরিবর্তন এবং উভয় পড়্গ পারস্পরিক নির্ধারিত নোটিশ পিরিয়ডে নোটিশ প্রদান করে চুক্তিপত্র বাতিল করতে পারবে এবং কর্মীরা তাদের সুবিধা ও পছন্দ মতো কাজের সুযোগ পাবে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার আরো উন্মুক্তকরণে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। বাংলাদেশি কর্মীরা দড়্গতা, আনত্মরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে বলে তিনি উলেস্নখ করেন।

উলেস্নখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যনত্ম সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখের অধিক বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস'ান সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজারের অধিক নারী কর্মীর কর্মসংস'ান হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার উন্মক্তকরণের লড়্গ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সাথে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সে দেশে কর্মী প্রেরণে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত সহযোগিতা চুক্তির উদ্ধৃতিতে দ্বিপাড়্গিক এ সভায় এদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশিস্নষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস'ান মন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে আগামী ২১ মে  দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
    
#

জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৩২৫ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক বিরোধী এমপাওয়ার নীতি 
বাস্তবায়ন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :  

    তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বর্তমান বিশ্বে অকাল মৃত্যু ও প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রায় ১২ লাখ মানুষ হৃদরোগ, ফুসফুস ও মুখগহব্বরের ক্যান্সার, স্ট্রোক, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগসহ প্রাণঘাতী ৮টি রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গত্ব বরণ করে, যার চিকিৎসা ব্যয় তামাক থেকে আহরিত রাজস্বের দ্বিগুণেরও বেশি। 

    আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনসটিটিউশন মিলনায়তনে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, ‘স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট’ ও ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’ এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমপাওয়ার নীতি বাস্তবায়ন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এসব তথ্য তুলে ধরেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার তামাকের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়ন করেছে যা বাংলাদেশ স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর করেছে। সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তামাক নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর সহায়ক ভূমিকা অপরিহার্য।

    দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল ইসলাম, বিইউএইচএস’র উপাচার্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম মোস্তফা জামান এবং অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কমকর্তা ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। 

    এর আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন, এডভোকেট ফজিলাতুন নেসা, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) ডাঃ আবদুল মালিক, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা মোজাফফর হোসেন পল্টু উপস্থিত ছিলেন।

#
আহসান/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩২৪
 
রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের চালকল মালিকদের সাথে খাদ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়
 
ঠাকুরগাঁও, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :  
খাদ্যমন্ত্রী মোঃ কামরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ঠাকুরগাঁও ও রংপুরের মাঠ পর্যায়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
 সভায় তিনি আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সরকারের দেয়া ৩৪ টাকা মূল্যে চাল সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় উপস্থিত ৩৭ জন মিল মালিক ব্যাংক জামানত দিয়ে ২৫০০ মেট্রিক টন চালের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের মিল মালিকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঠাকুরগাঁওয়ে বরাদ্দকৃত ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করার আশ্বাস দেন। এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। উপস্থিত মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সংগ্রহে চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলে খাদ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। 
অন্যান্যের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বদরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঠাকুরগাঁও ও রংপুর জেলার চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।  
#
সুমন মেহেদী/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৩২৩ 

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের চর্চা বাড়াতে হবে
                       - প্রধান তথ্য অফিসার
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :  
সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা দ্বারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সর্বক্ষেত্রে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের চর্চা বাড়াতে হবে। 
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে তাঁর অফিসকক্ষে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।     
তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের নির্দেশ দেন। তিনি রাজশাহী সিল্কসহ জেলার ঐতিহ্য ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রচারের জন্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। এছাড়া ভবিষ্যতে তিনি রাজশাহীর সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।   
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) আকতার হোসেন, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রশাসন) বিধান চন্দ্র কর্মকার, উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. জসীম উদ্দিন, সিনিয়র তথ্য অফিসার (সমন্বয়) দীপংকর বর এবং তথ্য অফিসার মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 
#
আলমগীর/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/রফিকুল/জসীম/আসমা/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৩২২ 

প্লেট কাটিং অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নৌমন্ত্রীর চীন যাত্রা

ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে ) :     
বাংলাদেশ চীনের নিকট থেকে ছয়টি নতুন জাহাজ ক্রয় করবে। ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) বহরে জাহাজগুলো যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। ছয়টি জাহাজের মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার। প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজগুলো চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ওয়াই জেড জে শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন। 
গত ১৫ মে জাহাজগুলোর প্লেট কাটিং (কীল লেয়িং) অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। 
মন্ত্রী তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কুদ্দুস খান এবং বিএসসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সায়েদ উল্লাহ। 
 চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট মেশিনারিজ কর্পোরেশন (সিএমসি) থেকে ছয়টি জাহাজ ক্রয়ে     ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে চীন সরকারের লোন ১ হাজার ৪৪৮ কোটি এবং বিএসসি’র নিজস্ব ৩৯৫ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, অয়েল ট্যাংকার দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিশোধিত আমদানিকৃত তেল পরিবহণ করা হবে। বাল্ক ক্যারিয়ারে খোলা পণ্য, সারসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহণ করা হবে। ছয়টি জাহাজ যুক্ত হলে বিএসসির আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা হবে, বিএসসি আগের মতো ঘুরে দাঁড়াবে। 
 আরো উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে বিএসসির যাত্রা শুরু হয়। কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবত সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমান বিএসসি’র বহরে ৩টি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কন্টেইনার এবং দু’টি লাইটার ট্যাংকার।   
মন্ত্রী ২০ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। 
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/নুসরাত/গিয়াস/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৪৪ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩২১  
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে ) :     
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমি তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রায় এটা একটি মাইলফলক। সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ। 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি। মা, বাবা, ভাইসহ আপনজনদের হারানো বেদনাকে বুকে ধারণ করে পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লীতে তাঁদের চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো তাঁকেও স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন তাঁদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হন, আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বৈরী পরিবেশে মাতৃভূমির কল্যাণে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে তিনি শপথ নেন।
দেশে ফিরে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ’৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়, বিজয় হয় গণতন্ত্রের। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ¦লতর করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে সরকার পরিচালনা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু ও রায়ের বাস্তবায়নসহ সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তিসহ গণমানুষের কল্যাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। তাঁর দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি¦ অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। 
আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১১০০ ঘণ্টা 
 


তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৩২০ 
ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু 
উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  
ঢাকা, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) :  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৭ মে ২০১৭ ডড়ৎষফ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝড়পরবঃু উধু পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। 
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'ইরম উধঃধ ভড়ৎ ইরম ওসঢ়ধপঃ' সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। 
আওয়ামী লীগ সরকার বিগত আট বছরে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।   ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। মোবাইল ফোন গ্রাহকগণ উন্নত টেলিসেবা পাচ্ছেন। দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করা হবে। সম্প্রতি উৎক্ষেপণ করা দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে।    
আমরা দেশের সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় ‘জেলা 
তথ্য বাতায়ন’ এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের

Todays handout (8).docx