তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭
চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের
মৃত্যুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন।
এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আব্দুল কুদ্দুছ সরকার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা ৩৩ বছর সাধারণ সম্পাদক এবং চিলমারী উপজেলা পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। চিলমারীর মানুষ একজন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতাকে হারালো।
প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
রবীন্দ্রনাথ/রোকসানা/সাহেলা/খালিদ/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬
প্রাথমিকের শিক্ষার ডিজিটাইজেশন প্রকল্প শুরু
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের টেলিকম অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমঝোতা স্মারক আজ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিটিআরসির সার্ভিস অবলিগেশন তহবিলের অর্থায়নে হাওর, প্রত্যন্ত, অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার ৬৫০টি স্কুলে এই প্রকল্প ২ বছরের মাঝে বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল ক্লাসরুম ডিজিটাল হবে। তন্মধ্যে ৩০টি স্কুলে শিশুরা বইবিহীন বা অনলাইনে ট্যাবে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের ক্লাসে ডিজিটাল টিভি, আইপিএস ও ইন্টারনেট থাকবে। তাদেরকে ২০২০ সালে ইনটেলের সাথে উইটসা পুরস্কার প্রাপ্ত ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পাঠদান করা হবে। ডিভাইস ও ইন্টারনেট থাকলে শিশুরা বাড়িতে বসে বা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। বেসরকারিভাবে ২০০০ ও ২০১৫ সালে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চালু হলেও সরকারিভাবে কোন প্রকল্প গ্রহণ করে পাঠ্য বিষয়ের সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় শিক্ষার সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন এই প্রথম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে গেছেন। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা আনন্দময় করে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা পাঠ্যক্রম আবশ্যক। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত পদ্ধতির শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম বক্তৃতা করেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিশু বয়সকে সৃজনশীলতা ও মেধা অর্জনের সঠিক সময় উল্লেখ করে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বইয়ের পরিবর্তে একদিন ট্যাব বা ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে যাবে এবং সেদিন খুবই কাছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে শতকরা ৮৮ ভাগ শিশুর হাতে ট্যাব আছে। তাদের বইয়ের দিকে তাকাতে হয় না। প্রাথমিক শিক্ষা ডিজিটাল রূপান্তরের পথিকৃৎ মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে সামান্য ফল দেবে কিন্তু প্রাথমিকের ডিজিটাল রূপান্তরে শতভাগ ফল পাওয়া সম্ভব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল শিক্ষা প্রবর্তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, করোনাকালে অচল জীবনধারা সচল রাখার পাশাপাশি ঘরে বসে শিশুরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বড় দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে আমরা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই।
শেফায়েত/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৫
শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর কৌশল নির্ধারণ’ সংক্রান্ত একটি সভায় মাতৃমৃত্যুর হার নিয়ে গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান দেখে দেশের মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পরিসংখ্যান থেকে তথ্য তুলে ধরে সভায় জানান, ‘দেশে বর্তমানে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যু ১৬৫ জন, যা ২০০৯ সালে ছিল ২৫৯ জন। গত ১০ বছরে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে প্রায় ৯৪ জন। যদিও গত ১০ বছরের পরিসংখ্যানে কিছুটা উন্নতি দেখা যাচ্ছে, কিন্তু মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ৭০ জনের নিচে নিয়ে আসতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ উপস্থিত সকল মহাপরিচালকের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। মাতৃমৃত্যুর হার কেন দ্রুত কমিয়ে আনা যাচ্ছে না সে ব্যাপারে সভায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। যত্রতত্র ও অস্বাস্থ্যকর ক্লিনিকে মায়েদের ডেলিভারি বন্ধ করতে হবে। দেশের সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। যেসব ক্লিনিক স্বাস্থ্য সম্মত নয় সেগুলি প্রয়োজনে সিলগালা করে দিতে হবে। লোকবল আরো প্রয়োজন হলে নিয়োগ দিতে হবে। মিডওয়াইফ কর্মীদের কাজে লাগাতে হবে, তাঁদেরকে নিরাপদ ডেলিভারি করতে উৎসাহিত করতে হবে। যেখানে যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেখানে সেভাবেই কাজ করতে হবে, তবুও মাতৃমৃত্যু হার ধীরে ধীরে ৫০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে।’ এ বিষয়ে মন্ত্রী সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের ইমিডিয়েট প্লান, মিডটার্ম ও লং-টার্ম প্লান নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এর মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার সাহাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
মাইদুল/রোকসানা/সাহেলা/মনিরুজ্জামান/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৪
বিএনপি’র নিজেদের দলের ঐক্য রাখার চেষ্টাই শ্রেয়
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপি’র ভেতরেই ঐক্য নেই। তাদের বরং নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।
আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ‘২০২১ সালেই বিএনপি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতন ঘটাবে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত তারা ডান-বাম-অতিবাম-অতিডান, প্রতিক্রিয়াশীল এবং ধর্মান্ধগোষ্ঠীর সবাইকে এক করে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। কাঁচের গ্লাসের মতো সেই ঐক্য ভেঙে গেছে। যে দলগুলো একত্রিত হয়েছিল, সেগুলোর অভ্যন্তরীণ ঐক্য নেই এবং বিএনপি’র ভেতরেও তা নেই। যেহেতু বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টায় কোনো ফল তারা পাননি সুতরাং তাদের নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।’
‘বিএনপি নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, গত কিছুদিন ধরে যেভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন এবং সামনের সারিতে বসা নিয়ে যে মারামারি করেছেন, এতে তাদের দলের যে প্রচণ্ড অনৈক্য, সেটি বেরিয়ে আসছে’ বলেন ড. হাছান।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার তালবাহানা করছে’-এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যেই নিরসন হয়েছে। এরপরও একথাগুলো বলে বিএনপি জনগণের মধ্যে প্রথম থেকেই যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তা জিইয়ে রাখতে চায়।’ বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়েই এই ভ্যাকসিন পাবে, বলেন তিনি।
১০ জানুয়ারি বিএনপি যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সে বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে তাদের বিশ্বাসকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছিল।’
নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা কাদেরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা কাদের যে বক্তব্য রেখেছেন সেটির ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নোয়াখালীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষাপটেই তিনি কথা বলেছেন, সারাদেশের রাজনীতি নিয়ে নয়। আমি মনে করি, আমাদের দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, যে কেউ তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারে, মির্জা কাদেরের বক্তব্য সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।’
এর আগে অনলাইনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন এবং সেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরি যে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আমাদের এই দেশ রচনা করেছিলেন, তাদেরকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়া-এরশাদ সাহেবদের আমলে অসম্মানিত, নিগৃহীত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন, তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের সন্তানদের জন্য চাকুরিতে বিশেষ কোটা রাখা হয়েছে এবং প্রতি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আকরাম/রোকসানা/সাহেলা/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৩
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদেরকে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, পরামর্শ প্রদান ও জনপ্রিয় করতে কৃষি সম্প্রসারণের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
কৃষিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর কাউন্সিল হলে ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিযন্ত্রপাতির বেশিরভাগ আসে বিদেশ থেকে, যার দামও অনেক বেশি। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কম দামে, সাশ্রয়ী মূল্যে এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরিতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা জাপানের ইয়ানমার কোম্পানি, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অনেকের সাথে আলোচনা করেছি। তাদেরকে এদেশে যন্ত্রপাতি তৈরির বা অ্যাসেম্বল কারখানা স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারলে একদিকে যেমন যন্ত্রপাতির দাম কমবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
ড. রাজ্জাক এ সময় কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ও এগ্রো প্রসেসিংয়ে প্রকৌশলীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের সকল কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। কৃষি প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল হতে হবে।
সেমিনারে আইইবির কৃষি কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মোয়াজ্জেম হুসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল আলম, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, প্রকৌশলী মিছবাহুজ্জামান চন্দন, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্ট হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আইয়ুব হোসেন।
কামরুল/রোকসানা/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 92
High Commissioner of Pakistan Pays a Courtesy
call on the State Minister for Foreign Affairs
Dhaka, 7 January :
The newly appointed High Commissioner of Pakistan to Bangladesh Imran Ahmed Siddiqui paid a courtesy call on the State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam today at the Ministry of Foreign Affairs.
The State Minister cordially welcomed the High Commissioner and highlighted that enhancing relations with all neighbouring countries was a foreign policy priority of the Government. In line with that spirit, Bangladesh look forward to engaging with Pakistan, he said.
The Minister reiterated the importance of resolving outstanding bilateral issues with Pakistan, including offering of an official apology from Pakistan for the genocide committed in the Bangladesh Liberation War of 1971, completing repatriation of Pakistanis stranded in Bangladesh, and settling the issue of the division of assets. He also urged Pakistan to grant access to more Bangladeshi products by utilizing the existing SAFTA provisions, relaxing the negative list and removing trade barriers. The current trade balance tilts towards Pakistan, he added.
High Commissioner Siddiqui conveyed the very best wishes of the people and the Government of Pakistan to the State Minister and said that he would give due diligence to advancing bilateral relations in every possible area of cooperation. Both sides agreed on the need to hold the long-pending Foreign Office Consultations, which was last held in 2010.
The State Minister assured the High Commissioner of all cooperation and assistance during his tenure in Dhaka.
#
Tohidul/Roksana/Sahela/Monir/Joynul/2021/1910 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯১
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নতুন ৩৭৮ জন চিকিৎসকের পদোন্নতি
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
আজ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন ৩৭৮ জন মেডিকেল অফিসারকে ৪টি পদের বিপরীতে জুনিয়র কনসালটেন্ট (৬ষ্ঠ গ্রেডে) পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকবৃন্দ তাঁদের যোগদানপত্র email: per3@hsd.gov.bd-তে প্রেরণ করবেন।
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আবু রায়হান মিঞার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে পদোন্নতি প্রাপ্তদের নামের তালিকা ও বিষয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোভিড মহামারিতে গত ৩ মাসে মোট ১৩২৮ জন মেডিকেল অফিসারকে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
#
মাইদুল/রোকসানা/সাহেলা/আব্বাস/২০২১/১৮৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০
ভূমিমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটাইজেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও বিশ্ব অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে।
বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়ন ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করার জন্য বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভূমিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।
ভূমিমন্ত্রীর সাথে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাসুদ করিম।
#
নাহিয়ান/রোকসানা/সাহেলা/মনির/জয়নুল/২০২১/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০০৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন-সহ এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৭১৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জন।
#
হাবিবুর/রোকসানা/সাহেলা/আব্বাস/২০২১/১৭৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮
সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী
ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি):
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা হয়েছে। সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদান করছে। বেশিরভাগ কার্যক্রম ইতোমধ্যে ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের সাথে সোনালী ব্যাংক লি. এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং ই-পেমেন্ট কার্যক্রম ‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ততায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ফি বা চার্জ এখন থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে জমা প্রদান করা যাবে। এলক্ষ্যে আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের সাথে সোনালী ব্যাংক এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হলো, এখন থেকে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হলো। গত বছরের জুলাই মাস থেকে অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি, ইনডেন্টিং এবং শিল্পনিবন্ধন সনদপত্র প্রদান সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে ডিজিটাল সেবাপ্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ সফল ভাবেই সে কাজটি করছে।
ই-পেমেন্ট সেবা চালুর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের ফি বা চার্জ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। গ্রামের মানুষও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সমঝোতা স্মারকে আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের পক্ষে প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলেমান খান এবং সোনালী ব্যাংক লি. এর পক্ষে চিফ ফিনানশিয়াল অফিসার সুভাস চন্দ দাস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে এর মাধ্যমে ক্যাশ অন কাউন্টার, অনলাইন এ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডেভিড-ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করে অন-লাইনে পেমেন্ট করা যাবে। এতে করে ব্যবসায়ীদের সময়, শ্রম এবং ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় হ্রাস পাবে।
আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল বিভাগীয় প্রধান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
লতিফ/পরীক্ষিৎ/জসীম/খোরশেদ/২০২১/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৭
চাষিদের কাছে পাট চাষকে লাভজনক করে তোলা হবে
- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
অন্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা পাটবীজের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। আমরা পাটবীজের উৎপাদন বাড়াব। পাটের উৎপাদন বাড়াব। পাট চাষকে এদেশের চাষিদের নিকট লাভজনক ফসলে উন্নীত করব। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পাটের অসাধারণ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আবার ফিরেয়ে আনব।
কৃষিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো: নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছে। সেই জিনোম ব্যবহার করে আমাদের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল পাটবীজ রবি-১ জাত উদ্ভাবন করেছেন, যার ফলন ভারতের পাটজাতের চেয়ে ১০-১৫ ভাগ বেশি। কৃষক পর্যায়ে এটির চাষ বাড়াতে পারলে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, দেশে পাটবীজ উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে চায় না। পাটবীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে ও কৃষকেরা যাতে চাষ করে লাভবান হয় সেজন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, ভর্তুকি দিয়ে হলেও পাটবীজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকলে সবসময় অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়। তার সাথে পাটবীজ রপ্তানির ওপর সংশ্লিষ্ট দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভয়ও থাকে।
বাংলাদেশে বছরে কৃষক পর্যায়ে প্রত্যায়িত বীজের চাহিদা হলো পাঁচ হাজার ২ শত ১৫ মেট্রিক টন। আর চাহিদার বিপরীতে বিএডিসি সরবরাহ করে ৭৭৫ মেট্রিক টন। তোষা পাটবীজের প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আনতে হয়। এই বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় পাঁচ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে চার হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পরীক্ষিৎ/জসীম/কুতুব/২০২১/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬
ভারত থেকে চাল আমদানি
দ্রুত সম্পন্ন করতে বন্দরে অগ্রাধিকার প্রদানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের আশ্বাস
ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি):
বাংলাদেশ সরকারের জি টু জি এবং উন্মুক্ত দর পদ্ধতির মাধ্যমে ভারত থেকে যাতে দ্রুততার সাথে চাল আমদানি সম্পন্ন হয় সেজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভারতীয় বন্দরগুলোর সকল সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
&n