Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd অক্টোবর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 03.10.2017

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৫৫৭

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে
                                -- এলজিআরডি মন্ত্রী

কক্সবাজার, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, সরকার আশা করে মিয়ানমার শীঘ্রই তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আগতদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এ সমস্যা মিয়ানমারের, তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।

    মন্ত্রী আজ টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত অসহায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাশে বর্তমান সরকার শুরু থেকেই ছিল, এখনও আছে। আশ্রয়প্রার্থীদের মানবিক জীবনযাপন এবং তাদের জন্য স¦াস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    মন্ত্রী এসময় জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর  রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সুপেয় পানির জন্য ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার ল্যাট্রিন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ত্রাণ সরবরাহের সুবিধার জন্য এলজিইডি কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাম্পে নির্মাণাধীন ১০টি রাস্তার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। প্রয়োজনে আরো নলকূপ ও ল্যাট্রিন নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসময় মন্ত্রী এক হাজার রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন আকতার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমানসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

    এর আগে মন্ত্রী কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন ও  ত্রাণ বিতরণ করেন।

#

জাকির/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২১২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২৫৫৬

আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে

উখিয়া (কক্সবাজার), ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

আজ কুতুপালং ক্যাম্পে ২ হাজার ৩৭ জন পুরুষ, ৮ শত ৬৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৯ শত জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ হাজার ৪ শত ৯৫ জন পুরুষ, ১ হাজার ৩ শত ৫৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৮ শত ৫৪ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ১৫ জন পুরুষ, ৫ শত ৭৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৮ শত ৮৮ জন এবং পুরোদিনে ৩টি কেন্দ্রে মোট ৭ হাজার ৬ শত ৪২ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৬০ হাজার ৯ শত ৫০ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।

#

সাইফুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৫৫৫

আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

উখিয়া (কক্সবাজার), ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

         উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আজ ৫২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ৯৬টি ট্রাকের মাধ্যমে ১৫৭ মেট্রিক টন ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ও বিতরণকৃত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩ শত ২৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৭ হাজার ৭ শত ২০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ৪ হাজার ৫ শত প্যাকেট রান্না করা খাবার, ৪ শত পিস পোশাক ও ২ হাজার ৪ শত ৫০ পিস গৃহস্থালি সামগ্রী।

আজ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ৩টি গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ৩৯৫ মেট্রিক টন চাল, ১২৭ মেট্রিক টন ডাল, ৯৭ হাজার ১ শত ৯৮ লিটার তেল, ৬৪ হাজার ৭ শত ১৫ কেজি লবণ, ৮৭ মেট্রিক টন চিনি, ১০ হাজার  কেজি আটা/ময়দা, ১ মেট্রিক টন গোলআলু,  ৭৭ হাজার ৫ শত ৪৬ কেজি গুঁড়ো দুধ, ৪ হাজার ৭৫ কেজি মুড়ি, ১৯ হাজার ৬ শত পিস কম্বল এবং ২০টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।

#

সাইফুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ২৫৫৪

অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে
                                         --- তারানা হালিম

ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন বন্ধ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হলে সব অবৈধ মোবাইল ফোন অকার্যকর হয়ে যাবে। তিনি আজ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে টেলিকম খাতের রিপোর্টারদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) নতুন কমিটি ও সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন ঠেকাতে ডেটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রক্রিয়ার ফলে বিটিআরসির কাছে থাকা বৈধপথে আসা মোবাইল ফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন চালু হবে না। ফলে যে হ্যান্ডসেটগুলো অবৈধভাবে আসবে তা অকার্যকর হয়ে যাবে। 
টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে ফোরজি সেবা চালু হবে। এজন্য তরঙ্গ নিলামের নীতিমালার বিষয়ে অপারেটরদের সাথে আলোচনা চলছে। এছাড়া আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে এমএনপি সেবা শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারানা হালিম। 
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ টিআরএনবির নেতৃবৃন্দ এসময় বক্তব্য রাখেন। 
#
এনায়েত/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৫০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২৫৫৩

তিন স্তরে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান
                                                     -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
    তাৎক্ষণিক, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদ-এই তিন স্তরে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও জাতিসংঘের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।  
    আজ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও এটিএন বাংলার যৌথ আয়োজনে রাজধানীর এফডিসিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের বর্বরোচিত নির্যাতন, গণহত্যা এবং অত্যাচারের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ফলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের ওপর এসে পড়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বাংলাদেশ আক্রমণ করেনি, আমরাও মিয়ানমার আক্রমণ করিনি। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা যা ধৈর্য ধরে মুন্সিয়ানার সাথে মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনার সরকার তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক, স্বল্পমেয়াদে ২ হাজার একর জমিতে জরুরি আবাসন ও প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদে চরাঞ্চলে অস্থায়ী আবাসন-এই তিন স্তর পরিকল্পনা করছে।
    উদ্বাস্তু সংকটের স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত, নাগরিক সুবিধা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘ ও বিশে^র সকল দেশ এসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। ভারত, চীন, রাশিয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়নের পক্ষে নয় এবং তারা বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে সহযোগিতার কথা বলেছে। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের মন্ত্রী এখন বাংলাদেশ সফর করছেন, দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনা হবে এবং অং সান সুচি যে তার ভাষণে স্বীকার করেছেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসা এ মানুষেরা মিয়ানমারের নাগরিক, সেটিও আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতারই বিজয়।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের রাজনৈতিক মাত্রা আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে রেখে মানবতাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে উদ্বাস্তুদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। আন্তর্জাতিক সাহায্য না চেয়ে একাই মোকাবেলার চেষ্টা করেছেন। তিনি মনে করে ১৬ কোটি মানুষ খেতে পারলে তারাও খেতে পারবে।  উদ্বাস্তু সংকটের সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই সমস্যা তুলে ধরতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম। তাদের সংবাদ দেশবাসী ও বিশ^বাসীর বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
    প্রতিযোগিতায় বিজেএমই ইউনিভার্সিটি অভ্ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি প্রতিপক্ষ প্রাইম ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের হাতে তথ্যমন্ত্রী ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাঈনুল আলম, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস ও সিনিয়র কূটনৈতিক সাংবাদিক আঙ্গুর নাহার মন্টি বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
    এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জসিম উদ্দিন ম-লের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন্ ও শোকবইতে স্বাক্ষর করেন তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ২৫৫২

উত্তর, মধ্য ও হাওর অঞ্চলে কৃষকদের পুনর্বাসনে ১৩৭ কোটি টাকা প্রদান

ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ২৪টি জেলার কৃষকদের মাঝে সরকার ১৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫ শত ৫১ টাকার সার, বীজ ও নগদ সহায়তা বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি আজ কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকার বর্তমান অর্থবছরে ইতোমধ্যে ৬৪ জেলায় ৫ লাখ ৪১ হাজার ২ শত ১ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১০টি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৫৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩ শত ৮৫ টাকার প্রণোদনা প্রদান করেছে। কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয় পাহাড়ী ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরভুক্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এ ৬টি জেলায় চলতি পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় বোরো/২০১৭-১৮ মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার এবং নগদ সহায়তা বাবদ ৬ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১ শত ১৭ কোটি টাকার বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার এবং নগদ ১ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। 
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে চলতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ মোট ১৮টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২ শত ২ জন কৃষককে রবি/২০১৭-১৮ মৌসুমে ১৯ কোটি ৯৯  লাখ ৯৯ হাজার ৫ শত ৫১ টাকায় গম, ভূট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, খেসারি, বোরো ধান চাষে বিনা মূল্যে বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার এবং শাকসব্জীর বীজ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। 
অর্থাৎ সরকার বোরো ২০১৭-১৮ এবং রবি ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২ শত ২ জন কৃষককে পুনর্বাসন বাবদ ১৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫ শত ৫১ টাকার সার ও বীজ প্রদান করছে। 
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্্, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অধীন দপ্তর বা সংস্থার প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
বিবেকানন্দ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৫৫১

মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সাথে স¦াস্থ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়

ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা আইন দ্রুত মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নীতিমালা অনুসরণে প্রায় ক্ষেত্রে বিচ্যুতি দেখা যাচ্ছে। শুধু নীতিমালা প্রয়োগ করে কলেজ পরিচালনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ে বলে এ জন্য আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। এই আইনের সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করে দ্রুত তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন ও সংসদে উপস্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএমডিসির যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করে বিদেশি চিকিৎসকরা চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থাকেন, এই তথ্য তুলে ধরে বিদেশি চিকিৎসকদের কাজ করার অনুমতি প্রদানের নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য মন্ত্রী বিএমডিসিকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা প্রায় সময় বিদেশি চিকিৎসক দেশে এনে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। অনেক সময় তাঁরা যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন দেশে থাকছেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য এ সংক্রান্ত নীতিমালা কঠোরভাবে পর্যালোচনা করতে বিএমডিসিকে নির্দেশ দেন মোহাম্মদ নাসিম।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সহিদুল্লাসহ মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৫৫০

রোহিঙ্গাদেরকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখা হবে
                                 -- ত্রাণমন্ত্রী
                  
কুতুপালং (কক্সবাজার), ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সকল রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখা হবে। এ উদ্দেশ্যে ক্যাম্পের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।

    মন্ত্রী আজ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বান্দরবান থেকে ফিরিয়ে আনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও শেড  হস্তান্তর পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ এমএ হাসেম ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী বলেন, বান্দরবান, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় যারা রয়েছে তাদেরকে কুতুপালং ক্যাম্পে আনা হয়েছে। শুধু বান্দরবানে ১৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। প্রাপ্ত তথ্যমতে ২৫টি জায়গায় রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের সকলকে কুতুপালং মূল ক্যাম্পে আনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা এবং রেজিস্ট্রেশন সুবিধার জন্য একই ক্যাম্পে রাখা হবে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা পরিচিতজনের কাছে গিয়ে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে মর্মে তথ্য রয়েছে। তাদের সকলকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। না জেনে বুঝে অবৈধভাবে যারা রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মন্ত্রী। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে স্থানীয় পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলার বিঘœ ঘটাতে না পারে তার জন্য সামাজিকভাবে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    মন্ত্রী পরে ক্যাম্পের বিভিন্ন পরিসেবার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
    
#

দেওয়ান/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :২৫৪৯
 
শিক্ষা পরিবারের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে জাতিকে জাগ্রত করতে হবে
                                                                          - গণশিক্ষামন্ত্রী  
 
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
 
শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন গুণগতমান বজায় রাখা। গুণগতমান বজায় রাখার দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পিত তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে জাতিকে জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যার যার দায়িত্ব এমনভাবে পালন করতে হবে যাতে অন্যজন দায়িত্বপালনে উৎসাহিত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক সকলকে কাজ করে যেতে হবে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। তিনি বলেন, যেসকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, আর যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া সম্ভব নয় সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের খোঁজখবর নেন এবং সকল প্রকল্পের কাজ যাথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে সকল জরাজীর্ণ বিদ্যালয় মেরামত করে শিক্ষা উপযোগী শ্রেণিকক্ষের নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণসহ দ্রুত তালিকা প্রণয়নের তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক ঢাকা শহরের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করার বিষয় সভায় আলোচিত হয়। এছাড়া ১৫’শ বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন নভেম্বর ২০১৭’র মধ্যে শেষ করার পরামর্শ দেন। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় আরো ১ হাজার নতুন বিদ্যালয় নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, যুগ্মসচিববৃন্দ, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
গিয়াস/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৫৪৮ 
 
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘মাদার অভ্ হিউমিনিটি’ নামে আখ্যায়িত হয়েছেন
                                                                                  - নৌমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩ অক্টোবর :
 
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছে। জীবন ও সম্ভ্রম বাচাঁনোর জন্য ইতোমধ্যে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়  নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়ে আজ ‘মাদার অভ্ হিউমিনিটি’ নামে আখ্যায়িত হয়েছেন। 
 
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠন দু’টি টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য শতাধিক ট্রাক ভর্তি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রী উক্ত দু’টি সংগঠনের আহ্বায়ক। 
 
জাতিসংঘে ৭২তম সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘২৫ শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হিসেবে পাঁচদফা পরিকল্পনা তুলে ধরায় তাঁকে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও প্রস্তাবিত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 
 
সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, রোকেয়া প্রাচী, কামরুল আলম সবুজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫৪৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৫৪৭
সমবেত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে
                                                              - ত্রাণমন্ত্রী
কক্সবাজার, ৩ অক্টোবর :
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করে প্রত্যেক ব্লকের সার্বিক তদারকির জন্য কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি, নিরাপত্তা প্রদান, রেজিস্ট্রেশনে সহযোগিতা করবে। 
ত্রাণমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে সম্প্রতি আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানান। 
সভায় জানানো হয়, কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করবে। শেড নির্মাণ ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা কাজ করবেন। ২০টি ব্লকে রোহিঙ্গাদের আবাসন নিশ্চিত করা ও নতুন আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ব্যবস্থা করবেন। তারা সার্বক্ষণিক ক্যাম্প এলাকায় থেকে ক্যাম্পের খাদ্য মজুদ ও চাহিদা নিরূপণ করে সদরদপ্তরকে অবহিত করবেন এবং প্রতিদিনের ক্যাম্প পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট করবেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একান্ত মানবিক কারণে মায়ানমার সরকারের নির্যাতন ও সহিংসতায় পালিয়ে আসা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছেন। সরকার তাদের সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতা করবে। মায়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা যাতে সব ধরনের মানবিক সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সকল আশ্রয়প্রার্থীর আশ্রয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন তাদের চিকিৎসা, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশি বিদেশি সংস্থা এর জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সহসাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. শাহ্ কামাল, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ওমর ফারুক/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪১০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৫৪৬ 
কলম্বোতে বাংলাদেশের স্পিকার ও ভারতের স্পিকারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) : 
কলম্বোতে সফররত স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন গতরাতে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। উভয় দেশের স্পিকার '৮ঃয ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ ঃযব অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝঅঅজঈ ঝঢ়বধশবৎং ধহফ চধৎষরধসসবহঃধৎরধহং'  অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কলম্বোতে অবস্থান করছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার ১-৮ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি) আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, ৬৩তম সিপিসি’র আয়োজনের প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি আসন্ন ৬৩তম সিপিসি সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ ও বিভিন্ন সিপিএ ব্রাঞ্চের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, পার্লামেন্ট সদস্য ও অন্যান্য সদস্যসহ প্রায় ছয়শত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতের স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, বিগত আইপিইউ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসন্ন সিপিএ সম্মেলন আয়োজনেও বাংলাদেশ সফল হবে। ৬৩তম সিপিসিতে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভা থেকে একটি বড় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি বাংলাদেশের স্পিকারকে অবহিত করেন।
উভয় দেশের স্পিকার পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দু’দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
নুরুল/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৭/১২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৫৪৫ 
বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে এএসএ চুক্তি স্বাক্ষর                                                         
দুবাই, ৩ অক্টোবর :
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে (ইউএই) এএসএ (এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট) চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। 
গতকাল ২ অক্টোবর দুবাই’র সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দপ্তরে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ইউএই’র ইকনমি মিনিস্টার ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল সুলতান বিন সিদ আল মনসুরি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ার সফল রূপায়ন সম্ভব হলো। চুক্তিস্বাক্ষরের ফলে বিমান বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি, রুট সুবিধা পাওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হবে।  
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বিমান ও পর্যটণ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটণখাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান না করায় এ সম্ভাবনা দারুনভাবে বিঘিœত হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবেও এ ভিসা প্রদান পুনরায় চালু করতে তিনি ইউএই সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। 
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয়ে বিনিয়োগ, বিশেষজ্ঞ প্রেরণ, একাডেমিক ও এডমিনিস্ট্রেটিভসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে ইউএই কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহযোগিতার আশ^াস দেন। 
এছাড়া মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত ফ্লাইট ক্রু, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, এয়ার ক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু আছে। তাদের থেকে নিয়োগ করার জন্য ইউএই’র বিমান সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান। ইউএই কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ভিসা প্রক্রিয়া চালুসহ সব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 
বৈঠকে পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মো. ইমরান,  সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান এবং ইউএই’র পক্ষে ইকনমি মিনিস্টার ও সিভিল এভিয়েশ
Todays handout (7).docx