Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ এপ্রিল ২০১৮

তথ্যবিবরণী 30.04.2018

তথ্যবিবরণী                                                                              নম্বর : ১৩৭১

বিশেষায়িত চ্যানেল ছাড়া কাক্সিক্ষত মান অর্জন সম্ভব নয়
   ---সংস্কৃতি মন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল): 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, দেশে বিশেষায়িত টিভি চ্যানেলের সংখ্যা খুবই কম। বিশেষায়িত চ্যানেল ছাড়া কাক্সিক্ষত মান অর্জন সম্ভব নয়। বিদেশি চ্যানেলগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বেশিরভাগ চ্যানেলই বিশেষায়িত। কিন্তু বাংলাদেশে একই চ্যানেল সংবাদ প্রচার থেকে শুরু করে নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্পসংস্কৃতি, সাহিত্য ও বিনোদনসহ নানাধর্মী অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। ফলে তাদের পক্ষে সংবাদ ও অনুষ্ঠানের কাক্সিক্ষত মান বজায় রাখা সম্ভব হয় না। 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নওগাঁ জেলা মিডিয়া ফোরাম ঢাকা’ কর্তৃক আয়োজিত ‘নওগাঁ জেলা মিডিয়া ফোরাম, ঢাকা অভিষেক ও প্রকাশনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, নওগাঁ প্রতœতাত্ত্বিক বিচারে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি জেলা। এ জেলায় আরো নতুন নতুন প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধান ও আবিষ্কৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও স্থান দেখতে এদেশে আসেন। যুগোপযোগী অবকাঠামো সৃষ্টি করতে পারলে এক্ষেত্রে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।  

দেশটিভি’র অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান ও নওগাঁ জেলা মিডিয়া ফোরামের সভাপতি রবিউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা মিডিয়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সরদার মেহেদী হাসান, সহসভাপতি সোহেল চৌধুরী, পেট্রোবাংলার সাবেক মহাব্যবস্থাপক এস এম আবদুল মান্নান, ব্যারিস্টার আহমেদ সোহেল, নওগাঁ জেলা সমিতি ঢাকার সহসভাপতি আহমেদ হোসেন এবং রানার গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আলী দ্বীন প্রমুখ। 


#
ফয়সল/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৯৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৭০
 
কল্যাণ ও অবসর সুবিধা প্রদানে অনলাইন ব্যবস্থা উদ্বোধন
১৮শ’ শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা প্রদান
 
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
পবিত্র হজ ও তীর্থ গমনেচ্ছু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে অনলাইন ব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধার টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা  হয়েছে। এ উপলক্ষে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড যৌথভাবে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ২০১৮ সালে হজ গমনেচ্ছু ১ হাজার ৩২৯ জনসহ প্রায় ১ হাজার ৮০০ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ৬৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার কল্যাণ ও অবসর ভাতা প্রদান করেন। হজ ও তীর্থ গমনেচ্ছু শিক্ষক-কর্মচারী ছাড়াও মৃত এবং গুরুতর অসুস্থ কিছু শিক্ষক কর্মচারীর কল্যাণ ও অবসর সুবিধার টাকাও প্রদান করা হয়। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের বিয়ানীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কল্যাণ ও অবসর সুবিধাভোগী শিক্ষক-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে সম্ভব সবকিছু করছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেও শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ভাতা ও অবসর সুবিধা খাতে গত বাজেটে ৮৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত জামায়াত-বিএনপি সরকারের আমলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ১০৩ জন শিক্ষককে মোট ৩ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা কল্যাণ ও অবসর সুবিধা প্রদান করেছে। ক্রমান¦য়ে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বক্তব্য রাখেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী অনলাইন ব্যবস্থাপনায় আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই এবং টাকা প্রেরণ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 
#
আফরাজুর/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৬৯
 
মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দু’টি চুক্তি স¦াক্ষর 
 
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং সাতটি স্টেশন নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে দু’টি পৃথক চুক্তি স¦াক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি ও সদস্য নাজমুল হক প্রধান এমপি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল রুট-৬ এর নির্মাণকাজ আটটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তৃতীয় ও চতুর্থ প্যাকেজের আওতায় উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় বার কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
চুক্তি অনুযায়ী দুটি প্যাকেজের মধ্যে পঞ্চম প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও তিনটি স্টেশন নির্মিত হবে এবং ষষ্ঠ প্যাকেজের আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশন নির্মিত হবে। 
প্রায় চার হাজার দুইশত কোটি টাকার দুটি পৃথক চুক্তিপত্রে ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক এবং লিড পার্টনার হিসেবে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেককেন কর্পোরেশন (ঞবশশবহ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ) এর পক্ষে তাকাতোশি নিশিমুরা (ঞংুঁড়ংযর ঘরংযরসঁৎধ) এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝঁসরঃড়সড় গরঃংঁর ঈড়হংঃৎঁপঃরড়হ ঈড়. খঃফ. এর পক্ষে ইকুয়োকিতাদা (ওশঁড়শরঃধফধ) স¦াক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানসহ মন্ত্রণালয় এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
 
নাছের/মাহমুদ/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর ঃ ১৩৬৮
 
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে জাপানের টিপিএম কৌশল গ্রহণের পরামর্শ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)ঃ 
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে শিল্পোন্নত জাপানের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ (টিপিএম) কৌশল অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এ কৌশল বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ফলপ্রসূ হতে পারে। এর যথাযথ প্রয়োগ শিল্প কারখানায় ‘স্মার্ট প্রোডাক্টিভিটি’ বাড়াতে সক্ষম বলে তারা মন্তব্য করেন। 
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতে সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ কৌশলের যথাযথ প্রয়োগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।  
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ (টিপিএম) কৌশল প্রয়োগ শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসার গুণগত উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখে। এ পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে জ্ঞানের দিগন্ত প্রসারে সহায়তা করে। জ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারের মাধ্যমে এ পদ্ধতি বাংলাদেশসহ এপিও’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।  
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. এনামুল হক বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতে প্রযুক্তি দক্ষ জনবল তৈরি ও লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়াস উৎপাদনশীলতা ও সেবার মান বাড়াবে। জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সবুজশিল্পায়ন ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশিয় শিল্প উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হচ্ছে। ক্রেতা ভোক্তাদের সন্তুষ্টি অর্জনকে আধুনিক শিল্পায়ন ও বাণিজ্যের মূল লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচামালের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অল্পখরচে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য ও সেবা উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন।  
চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশ থেকে আগত ১৯ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ২ জন আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। 
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক। এতে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক 
এস এম আশরাফুজ্জামানসহ জাপান ও মালয়েশিয়ার উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।  
 
#
 
জলিল/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৩০১ ঘণ্টা 
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা যাবে না
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৩৬৭ 
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  
 
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ মে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
“পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আমার আন্তরিক মোবারকবাদ। 
সৌভাগ্যের এই রজনি মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন, সকল প্রকার কুসংস্কার ও কূপমন্ডূকতা পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।
রহমতের এই রাত আমাদের জন্য বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন। আমীন।
 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১০৫৮ ঘণ্টা
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা যাবে না
 
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা যাবে না
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৬৬
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী 
 
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ মে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।
শবেবরাত মুসলমানদের জন্য এক মহিমান্বিত ও বরকতময় পবিত্র রজনি। মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনি বারতা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবেবরাত প্রধানত সৌভাগ্যের রজনি হিসেবে পালিত হয়। মানবজাতিকে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয় পবিত্র এই রজনি। নফল রোজার পাশাপাশি আল্লাহর নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের লক্ষ্যে মুসল্লিগণ সারারাত জেগে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করেন। পবিত্র শবেবরাত সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনিতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যম-িত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন। আমীন।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
 
আজাদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১১০৫ ঘণ্টা 
 
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা যাবে না 
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৩৬৫ 
মে দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :  
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান মে দিবস শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।   
১৮৮৬ সালের এ দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকরা আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক অধিকার। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে  শোষক, আরেক দিকে শোষিত-আমি শোষিতের পক্ষে’। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। 
বর্তমান সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্পখাতের শ্রমিকদের জন্য নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করেছি। শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্পখাতের শ্রমিকদের নি¤œতর মজুরি ১,৬৬২ টাকা থেকে  ৫ হাজার ৩ শ টাকায় উন্নীত করেছি। ইতিমধ্যে শ্রম আইন যুগোপযোগী করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা বিএনপি-জামাত জোট আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানা চালু করেছি। 
আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কার্যক্রম আরো সুদৃঢ় হয়েছে। মালিক শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন ২০১৩’ ও বিধি, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, জাতীয়  পেশাগত স¦াস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি প্রণয়ন করেছি। শিল্পকারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে সার্বিক নিরাপত্তা সন্তোষজনক রাখার লক্ষ্যে মানসম্মত ও যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছি। আমাদের এ সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের সুফল শ্রমজীবী মানুষ পেতে শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। 
চলমান পাতা/২
 
 
 
 
-২-
 
শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করেছি। এ তহবিলে ২০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ তহবিল থেকে তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত ১০৯টি শ্রমিক পরিবারকে ১০ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৯৬৬ জন শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারকে প্রায় ৫ কোটি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্নখাতে কর্মরত ১ হাজারেরও বেশি শ্রমিককে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা কল্যাণ, গোষ্ঠীবিমার প্রিমিয়াম ও শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।  
আমি আশা করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষ উভয়ই সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরো নিবেদিত হবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সক্ষম হব।
আমি মহান মে দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
 
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১১৩০ ঘণ্টা 
 
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না 
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর ঃ ১৩৬৪
মে দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী 
 
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ ( ৩০ এপ্রিল ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ মে মহান মে দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই হচ্ছে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা ‘রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১’ বাস্তবায়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমজীবী মানুষের সার্বিক কল্যাণসাধন ও তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিকমালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের অধিকার, তাঁদের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার এ লক্ষ্যে ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতসহ শ্রমিকের স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। 
দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক মালিক পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। শ্রমিক ও মালিকের ইতিবাচক ও প্রাগ্রসরমাণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন- এ প্রত্যাশা করি।
আমি মহান মে দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
 
আজাদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১০৫৪ ঘণ্টা 
 
Todays handout (4).docx