Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Handout                                                                                                                Number :  761

Bangladesh and India seek more engagements to strengthen bilateral ties

Dhaka, 24 February :

Both the Foreign Secretaries of Bangladesh and India have underscored the need to work together to further deepen the multifaceted relations between the two countries. Foreign secretary Masud Bin Momen and his Indian counterpart Harsh Vardhan Shringla held a meeting in New Delhi today, where they discussed a wide range of issues of mutual interests.

Both the Foreign secretaries emphasised on all the major fields especially economic and commercial, border management, counter-terrorism, water sharing, connectivity and people-to-people contact. They expressed their satisfaction on the excellent bilateral relations that exist between the two countries during the meeting that was held today in New Delhi.

Both the Foreign Secretaries also discussed the possibilities of future engagements as well as important high-level visits in the upcoming months.

They noted that 2021 was a landmark year as both the countries were celebrating the 50th year of establishment of diplomatic relationship and witnessed the landmark visits of the President and the Prime Minister of India to Bangladesh which had immensely contributed in consolidating the bilateral relationship between the two countries.

Foreign Secretary Momen enumerated that India is the closest and most important neighbor of Bangladesh and assured his Indian counterpart that the Government of Bangladesh is committed to sustain the momentum of having a friendly relation with India which is based on mutual trust and respect. Foreign Secretary sought India’s cooperation in resolving the outstanding issues, especially early completion of the water sharing agreement of the common rivers including Teesta. He urged the Foreign Secretary of India to extend necessary support to facilitate the early, safe, secure and sustainable repatriation of Rohingyas to their homeland in Myanmar. 

Foreign Secretary Shringla thanked Ambassador Masud for visiting him in New Delhi and emphasized on the regular interactions at the Foreign Secretary level. He reiterated India’s commitment in working together to support each other in various platforms including the United Nations. He noted that the newly established Bangladesh Mission in Chennai would further facilitate the relations between the two countries especially with the Southern States of India. He also emphasized on the joint celebration of events of bilateral significance as the celebrations of Moitri Dibosh (Friendship Day) in some selected cities across the globe could successfully project the historic relations between the two countries. He also reiterated the commitment of the Government of India in fast tracking of various projects undertaken under the Indian Line of Credit in Bangladesh.  

Foreign Secretary Momen requested the Indian Foreign Secretary to extend his support in completing Shadhinota Sharak and hand over the historic building at 8, Theatre Road, which served as the headquarters of the first Bangladesh Government in 1971, as Bangladesh is celebrating the Golden Jubilee of her independence. Both the Foreign Secretaries emphasized on going back to normalcy as COVID-19 situation improved satisfactorily. They discussed commencing bus and rail services between different cities which were suspended due to COVID–19 pandemic. Both the Foreign Secretaries also discussed regional cooperation and contemporary global issues.   

Earlier, on 23 February 2022 Foreign Secretary Masud Bin Momen visited the newly opened Bangladesh Deputy High Commission in Chennai. He arrived in India yesterday on a two day visit. During his visit, he was briefed by the Deputy High Commissioner about the various activities and initiatives taken to make the Mission fully functional. Foreign Secretary exchanged his views with Mission’s officials and urged them to work sincerely to promote relations of Bangladesh with all the southern states of India and also extend necessary consular assistance for thousands of Bangladeshis visiting every year to these cities for medical treatments. 

High Commissioner of Bangladesh to India Muhammad Imran, Secretary (East) Ambassador Mashfee Binte Shams and Director General (South Asia) Rokebul Haque were among the delegation of the Foreign Secretary during the visit. Foreign Secretary is expected to return to Bangladesh on the 25th February 2022.

#

Mohsin/Enayet/Mosharaf/Salim/2022/2200 Hrs 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:  ৭৬০

 

বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে চলচ্চিত্র

                                -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, চলচ্চিত্র বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবটি এর একটি মাইলফলক।

 

আজ ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সফররত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আসামের গুয়াহাটিতে হোটেল ভিভান্ত মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত ‘প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব' উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব উদ্বোধনে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে যোগ দেন আসামের পরিবেশ, বন ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী রিংকি শর্মা ভুঁইয়া বিশেষ আলোচকের বক্তব্য দেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহ্‌মুদ আসামবাসীর উদ্দেশে বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের আসাম আর বাংলাদেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের পোশাকেরও মিল রয়েছে। আমরা একই পাখির কলতান শুনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের যৌথ উদ্যোগে নিশ্চয়ই দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও আমাদের যোগাযোগ আরো বাড়বে, আশাপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।

 

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ৭ বছরের শিশু। একাত্তরের অনেক স্মৃতি আমাকে আবেগতাড়িত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা, ভারতের সেনাবাহিনীর ভূমিকা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক  রক্তের অক্ষরে লেখা যা কখনো ভুলবো না। 

 

'আমরা ভারতীয় হতে পারি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামটা মনে গেঁথে আছে'

 

আসামের পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একটি বিখ্যাত নাম শেখ মুজিবুর রহমান যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র স্বাধীনতা পেয়েছে।  তিনি বলেন, 'আমি ভারতের নাগরিক হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ঠাকুরমার সম্পর্ক।  আমার পূর্ব পুরুষরা একজন বিশ্ব নন্দিত সংগ্রামী নেতা পেয়েছিলেন যার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা ভারতীয় নাগরিক হতে পারি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামটা আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে আছে।'

 

চলমান পাতা/২

 

--০২--

 

সমাজ গবেষক রিংকী শর্মা ভুঁইয়া বলেন, গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যেহেতু প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে।

 

আসামে দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

 

এদিন গুয়াহাটির আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এন এন দত্ত ও ভাইস চ্যান্সেলর ড. নারায়ণ চন্দ্র তালুকদার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

 

এসময় ড. হাছান বলেন, আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রতিষ্ঠা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আজ গর্বিত এবং এর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচির ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে।

 

এর আগে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী কমিশনেও বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। আসামের প্রখ্যাত দুই ভাস্কর তুইচিন্দ্রাই জয়ন্ত ও জিতুমণি বৈশ্যের তৈরি বঙ্গবন্ধুর দু'টি ভাস্কর্য এই কর্নারে স্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান সেখানে সহকারী হাইকমিশন পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী জামদানি বিপণি বিতান 'অনামিকা' উদ্বোধন করেন।

 

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সাইমুম সারওয়ার কমল, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, দিল্লিতে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ এবং গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সফরসঙ্গী চিত্রতারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস ও সংগীতশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে আগরতলা ও গুয়াহাটিতে শুরু হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে হাসিনা : আ ডটারস টেল, দেবী, পুত্র, সত্তা, গেরিলা, আগুনের পরশমণি, পোস্টমাস্টার, ৭১, রাতজাগা ফুল'সহ ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

 

#

 

আকরাম/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                     Number : 759

 

On the recent developments in Ukraine

 

Dhaka, 24 February :

 

Bangladesh is deeply concerned at the recent escalation of violence in Ukraine. Such violence would seriously impact the peace and stability of the whole region. Therefore, we urge all parties to exercise maximum restraint, cessation of hostilities and endeavour to resolve this crisis through returning to diplomacy and dialogue.

 

Meanwhile, we have asked the Bangladesh nationals in Ukraine to move to a safer location and if necessary to Poland. The Ministry of Foreign Affairs has been maintaining close coordination with the Embassy of Bangladesh in Poland. We have been extending all out support to the stranded Bangladeshis there for their immediate repatriation to Bangladesh. For smooth coordination of the repatriation process, Bangladesh Embassy in Warsaw has already been strengthened with additional manpower and resources. All consular assistances are being extended free of cost.

 

We are also assessing the possible impacts of the crisis on the economy of the region and beyond following the deteriorating situation in the region.

 

#

 

Mohsin/Sahela/Enayet/Mosharaf/Mahmud/Salim/2022/2050 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৭৫৮

 

কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপন

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

          ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতপর অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

          রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

          মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বারো সদস্যের একটি নৃত্য প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদল ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করে, যা দর্শকদের বিমুগ্ধ করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজ বিশ^বাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।

          অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

#

 

সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৫৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৭৫৭

 

রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির ১০ জনের নামের তালিকা পেশ

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা পেশ করেন। এসময় কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক উপস্থিত ছিলেন।

 

রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাদের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে যারা আগামীতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসমূহ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম আইনের অধীনে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে।

 

অনুসন্ধান কমিটির সদস্যগণ তাদের কার্যক্রমে সাচিবিক সহায়তাসহ সার্বিক সহায়তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ সামসুল আরেফিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ইমরানুল/সাহেলা/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৭৫৬

 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          আজ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সাথে সচিবালয়ে তাঁর নিজ দপ্তরে ইতালির রাষ্ট্রদূত Enrico Nunziata সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          ইতালির রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সময়ে আর্চারিসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের ক্রীড়ার উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ইতালি সহযোগিতা করতে চায় মর্মে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্ব ফুটবলে ইতালি একটি শক্তিশালী দল। তাই বাংলাদেশের ফুটবলকে বিশ্ব ফুটবলে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ প্রশিক্ষণখাতে ইতালি সহযোগিতা করতে চায়। তাছাড়া দু’দেশের খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স¦াক্ষর করা যেতে পারে।

          ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইতালির রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফুটবলসহ দেশে সকল খেলার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন এক অপরাজিত শক্তি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছি। ফুটবল, আর্চারি, স্যুটিং ও অন্যান্য খেলাতেও সাফল্য আসছে। ফুটবলসহ দেশের ক্রীড়ার উন্নয়নে বন্ধু রাষ্ট্র ইতালির সহযোগিতার প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানাই এবং বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।

          ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইতালি সরকারকে বাংলাদেশের বিকেএসপির মেধাবী ছাত্রদের ও অন্য তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়দের ইতালিতে স্কলারশিপ প্রদানের আহ্বান জানান। দেশের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ইতালিতে গিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি ফুটবলসহ অন্যান্য খেলায় ইতালির কোচদের বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ করে দিতে ইতালি সরকারকে অনুরোধ জানান।

#

 

আরিফ/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৭৫৫

 

সরকার মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছে

                                                                    -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

 

খুলনা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, সরকার একটি শিক্ষিত মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে। প্রতিবছর কোমলমতি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে কোটি কোটি বই তুলে দিচ্ছে।

 

আজ খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে মেধাসম্পন্ন উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবকিছু করছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে করোনা মহামারির মধ্যে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে  শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছে। এজন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার সবকিছুর ওপর শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়। বিএল কলেজের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন সব উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি লেখা পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সুস্থ মননশীলতার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনের কোনো বিকল্প নেই।  সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ তবিবর রহমান ও ছাত্রপ্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে খুলনা শ্রম বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানাউল্লাহ নান্নু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযাদ্ধা নুরুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

 

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের উদ্বোধন করেন।

#

 

আকতারুল/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৭৫৪

 

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে

                                                                        -- শিল্পমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ ইউনিভার্সিটি অভ্‌ এশিয়া প্যাসিফিক  (ইউএপি) আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা এবং কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ঢাকার ফার্মগেটে ইউনিভার্সিটি অভ্‌ এশিয়া প্যাসিফিকের মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটিজ বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারউদ্দিন।

 

ইউএপি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোহাম্মাদ হাশিম, ইউএপির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. এম আলাউদ্দিন, সদস্য কে এম মজিবুল হক, ইউএপির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী প্রমুখ।

 

প্রধান আলোচক মালয়েশিয়ার মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বলেন, করোনাকালীন সময়ে লিঙ্গ সমতা একটা বিশেষ মোড় নেয়, তবে নারীর ক্ষমতায়নে কোন বিরুপ প্রভাব পড়েনি। এছাড়া, তিনি নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, নারীর এই অধিকার নিশ্চিত করতে তার দেশে ইতোমধ্যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, গত ৫০ বছর ধরে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ছিল অন্যতম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের সরকার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো উন্নত হবে।

 

শিল্পমন্ত্রী লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগসমূহ এবং এক্ষেত্রে অগ্রগতির বিবরণও তুলে ধরেন।

 

#

 

মাহমুদুল/সাহেলা/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯.৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭৫৩

 

 

জাতীয় সবজি মেলা শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          ঢাকায় খামারবাড়িতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হবে জাতীয় সবজি মেলা-২০২২। তিন দিনব্যাপী এ মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’। সবজির পুষ্টিমান, উপকারিতা, উৎপাদন থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত সবজি নিরাপদ রাখতে করণীয় ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবার গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

          মেলায় দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি ও সবজি উৎপাদন প্রযুক্তির প্রদর্শনী থাকবে। ১২টি সরকারি ও ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪৭টি প্রতিষ্ঠান সবজি মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় রয়েছে সবজি বিক্রি কর্নার। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১ কোটি ৯৭ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন করে এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

          উল্লিখিত মেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে আজ সচিবালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

          সভায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেলক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। নিরাপদ সবজির জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষক-উৎপাদক, ভোক্তা, পরিবহণকারী, প্রক্রিয়াজাতকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। এ ধরনের মেলা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

          সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

          মেলাটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে কৃষিমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

 

#

 

ইফতেখার/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০১৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর: ৭৫২

 

জমির মালিকানা হবে শুধু দলিল-পত্রাদির ভিত্তিতে

                                              -- ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সেবা প্রবর্তন এবং আইন ও বিধি-বিধান সংশোধন করে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপনে জোর দিচ্ছে। এই টেকসই ভূমি ব্যবস্থায় সঠিক দলিলাদি ছাড়া কেউ কোনো জমি দখল করে রাখতে পারবে না। এর ফলে অবৈধ দখলদারদের ভূমি দস্যুতার সুযোগ পাবে না।

আজ 'বার্তা, দাপ্তরিক স্মৃতিকোষ এবং অনলাইনে জলমহালের আবেদন প্রক্রিয়া'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এসময় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।

মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সরকারের সব সায়রাত মহালের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় চলে আসবে। ইতোমধ্যে ৭৬ শতাংশ সরকারি ভূ-সম্পদ, খাস জমি ও সায়রাত মহালের তপশিল ভূমি তথ্য ব্যাংকে আপলোড করা হয়েছে। ভূমি তথ্য ব্যাংক চালু হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রকৃত পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে সরকারি সম্পদ ইজারা দেওয়া সম্ভব হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে 'বার্তা' অ্যাপের মাধ্যমে শুভেচ্ছা পাঠান। এছাড়া, একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অনুষ্ঠানস্থলে অনলাইনে জলমহাল আবেদন করেন। অনুষ্ঠানে ‘দাপ্তরিক স্মৃতি কোষ’এর ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেলের প্রধান ড. মোঃ জাহিদ হোসেন পনির।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ব্যাপারটি আইনের আওতায় নিয়ে আসলে তাঁরা আইনি কাঠামোর মধ্যে তাদের সমস্যার প্রতিকার পেতে পারবেন।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খানসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর-সংস্থা, কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন: সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ অনুযায়ী নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কর্তৃক অনলাইনে ইজারার আবেদন দাখিলের ব্যবস্থা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক land.gov.bd ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি jm.lams.gov.bd ওয়েব পোর্টালে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যাবে। এছাড়া, জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত উপর্যুক্ত ওয়েবপোর্টাল থেকেই জানা যাবে।

 

চলমান পাতা-২

 

 

 

 

পাতা-২

 

 

উল্লেখ্য, 'উন্নয়ন প্রকল্পে' ৬ বছরের জন্য ২০ একরের ঊর্ধ্বে সরকারি জলমহাল এবং বিশেষ ধরনের বিবিধ জলমহাল ইজারা আবেদন মন্ত্রণালয় পর্যায়ে ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে 'সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটি'র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়। 'সাধারণ আবেদনে' ৩ বছরের জন্য ২০ একরের ঊর্ধ্বে বদ্ধ সরকারি জলমহালের ইজারা আবেদন ‘জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়। 'সাধারণ আবেদনে' ৩ বছরের জন্য ২০ একর পর্যন্ত বদ্ধ জলমহালের ইজারা আবেদন ‘উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়।

দাপ্তরিক স্মৃতি কোষ: দাপ্তরিক স্মৃতি কোষ হচ্ছে ভূমি সংশ্লিষ্ট সকলের অভিজ্ঞতার ডিজিটাল আর্কাইভ কোনো অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ, কেউ অবসরে গেলে বা বদলি হলে তার অভিজ্ঞতার স্থায়ী সংরক্ষণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের লাভবান হবার সুযোগ থাকবে এতে।

বার্তা অ্যাপ: ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য আদান প্রদানের অ্যাপ হচ্ছে ‘বার্তা’। তাৎক্ষনিক ভয়েস বা টেক্সট আদান প্রদানের সুযোগ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ, এবং তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় বা বিভাগভিত্তিক বা জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরির সুযোগ রয়েছে এ অ্যাপসে। 

#

নাহিয়ান/সাহেলা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯১০ঘণ্টা

 

তথ্যব

2022-02-24-16-34-290f0ae4f3f66b0c59dae01e5fed566e.doc