তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ভোট হবে
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
রংপুর, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভোট হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ভোট হবে। সে আন্দোলনে আমাদেরকে রাজপথ দখলে রাখতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে দিব দুই তারিখে (২ আগস্ট) আমরা রাজপথে আছি। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যতই পায়তারা করুক না কেন; সেই নির্বাচন ভন্ডুল হতে দিব না। আমরা অতন্দ্র প্রহরীর মত আছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুরে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আগামী ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদেরকে রংপুর বিভাগ দিয়েছেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ আধুনিকায়ন করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রক্রিয়াধীন আছে, প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় তিনি ইউনিভার্সিটি দিচ্ছেন, মেডিকেল কলেজ দিচ্ছেন। রংপুরের রাস্তাঘাট সব থেকে সুন্দর। সবকিছু বদলে গেছে প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়ায়। সমগ্র বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন কৃষককে, একজন খেটে খাওয়া মানুষকে, শ্রেণী পেশার মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে -আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদকে কে? তিনি বলবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদের নাম হচ্ছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পরে যদি কেউ কিছু দিয়ে থাকেন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। মির্জা ফখরুলরা ২০০১ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে দখল করে জয়লাভ করেছিল। ‘হ্যা’ ‘না’ ভোট দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। তারা আমাদেরকে ভোটের ছবক দেয়।
#
জাহাঙ্গীর/আরমান/সেলিমুজ্জামান/জয়নুল/২০২৩/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে
-- কলকাতা প্রেসক্লাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘সাংবাদিকদের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সফররত মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এখানে সাম্প্রদায়িকতা ফণা তুলবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিতো। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বলছেন- ‘কিছু লোককে ধরে এনে আটকিয়ে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।’
‘বাংলাদেশে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে আমরা হেরে যাই এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারপর অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মা-মেয়েকে এক রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে, ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহহারাদের জন্য তখন ঢাকায় আমাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসে লঙ্গরখানা ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল।’
নিজ দলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেই সাম্প্রদায়িকতাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর ধর্মীয় রাজনীতিটা বন্ধ করা হয়েছিলো, সেটি ’৭৫ সালে আবার চালু করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির বহুদলীয় জোটের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে। সেখানে অনেক দল আছে যে দলের নেতারা তালেবানের সাথে যুদ্ধ করেছে। এ সমস্ত অনেক নেতা প্রকাশ্যে ‘বাংলা হবে তালেবান’শ্লোগান দিয়েছিল।’
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না -এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমন কি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বেশিরভাগই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বিধায় তারা পারে না। যারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে দাবি করে বা গণমানুষের দল হিসেবে টিকে থাকতে চায় তাদের জন্য ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা অত্যন্ত ক্ষতির কারণ। আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে তাহলে সেই ক্ষতি তারা আরও টের পাবে।’
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের মানুষ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবার গিয়েছি, আমার হিসেবে এখন প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ। আমাদের দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, কোনো রকমে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চাপ, অর্থনীতির চাপ। তাদের খাওয়াতে হচ্ছে, পরাতে হচ্ছে, চিকিৎসাসহ সবকিছু দিতে হচ্ছে। এ জন্য ভারত সরকারের সাথে আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করছি।’
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সাথে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসাথে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দু’দেশের সহযোগিতা।
ইদানীং মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে কূটনীতিকদের বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে -মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কিম্বা পশ্চিমা দেশেও কথায় কথায় কেউ বিবৃতি দেয় না। কারণ তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লংঘন হয়। আমাদের এখানে এ ধরণের বিবৃতির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইলিশ ও ভারতের সিনেমা নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান জানান, আমরা ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করার অনুমতি দিয়েছি। আমাদের দেশে ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছে, আরো কয়েকটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। আর আমাদের ইলিশ রপ্তানি বন্ধ নয়, মাঝে মধ্যে ধরা বন্ধ করা হয়, গত দু’মাস ইলিশ ধরা বন্ধ ছিলো। যখন বন্ধ থাকে তখন সবখানেই বন্ধ থাকে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এ আয়োজনে অংশ নেন। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনের পুকুরে
মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনের পদ্মপুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, মহাশোল, সুবর্ণ রুই, পাবদা, চিংড়ি ও গুলসার বিভিন্ন প্রজাতির ৩২ কেজি পোনা অবমুক্ত করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ উপলক্ষ্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
#
রাহাত/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে সুপ্রদীপ চাকমার যোগদান পত্র গ্রহণ
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং-এর নিকট পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান পত্র দাখিল করেন সুপ্রদীপ চাকমা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৪ জুলাই ২০২৩ তারিখের ০৫.০০.০০০০.১৪৬.০০.০০৭.১৭-২৯৮ নং স্মারক আদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৪ এর ধারা-৬(২) অনুযায়ী বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমাকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দু’বছর মেয়াদে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তাঁর মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি ও যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে সুপ্রদীপ চাকমার যোগদান পত্রটি ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৯.০০.০০০০.২১৩.৩১.০১৩.২৩-৩৮০ স্মারকে জনস্বার্থে গৃহীত ও জারী করা হয়।
#
রেজুয়ান/আরমান/সেলিমুজ্জামান/জয়নুল/২০২৩/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখনই এগিয়ে যায় ঠিক তখনই একটি মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দিনাজপুর, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে দেশ প্রেম আছে, মেধা আছে, দূরদর্শিতা আছে, প্রজ্ঞা আছে, এই ধরনের নেতৃত্ব বাংলাদেশ আর দ্বিতীয় কেউ নেই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেবা কি জিনিস বাংলাদেশের মানুষ তা ভুলে গিয়েছিল। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে। মৎস্য উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে আমরা দ্বিতীয়। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরনে আমরা তৃতীয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পোনামাছ অবমুক্তকরণ, র্যালী শেষে এক সুধি সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় সম্পদ। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি আছেন বলেই দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। অনেকেই অনেক কথা বলেছে কিন্তু বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখনই এগিয়ে যায় ঠিক তখনই একটি মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তিনি বলেন, শুধু নেতা হলেই হবে না, নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। যদি যোগ্যতা না থাকে সেই নেতা কখনই দেশের এবং জনগনণের কল্যাণে কিছুই করতে পারবেনা।
বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ডালিম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফছার আলী, সহসভাপতি মোঃ নঈম শাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হোসেন ।
#
জাহাঙ্গীর/আরমান/সেলিম/জয়নুল/২০২৩/১৮৫০ঘণ্টাত
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬
‘হ্যা’ ‘না’ ভোটের প্রবক্তারা আমাদেরকে নির্বাচনের কথা বলতে আসে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর), ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘হ্যা’ ‘না’ ভোটের প্রবক্তারা আমাদেরকে নির্বাচনের কথা বলতে আসে। ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত রাজাকারের ছেলে মির্জা ফখরুল আমাদেরকে নির্বাচনের ছবক দেয়। মির্জা ফখরুল ও জেনারেল মাহবুব দিনাজপুরের নির্বাচনে ভোট কেড়ে নিয়েছিল। তারা আমাদেরকে ভোটের ছবক দেয়। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই করেছি। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। মির্জা ফখরুলরা আমাদেরকে লড়াইয়ের ভয় দেখায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। সন্ত্রাস কি জিনিস আওয়ামী লীগ জানে না। সন্ত্রাসের পথ আওয়ামী লীগ ধরে না। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব।’ আওয়ামী লীগ রক্ত দিতে জানে। আওয়ামী লীগ কখনো রক্ত নেয়ার রাজনীতি করে না। রক্ত নেয়ার রাজনীতি করে বেগম খালেদা জিয়া। রক্ত নেয়ার রাজনীতি করে জিয়াউর রহমান। ’৭৫ এর ’১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে খুনি জিয়া। হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে খালেদা জিয়া। জঙ্গিবাদ কায়েম করেছে খালেদা জিয়া। ২৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে খালেদা জিয়া। নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছে খালেদা জিয়া। সেই রক্তাক্ত হাত এর মির্জা ফখরুল, বিএনপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে যতই ভয় দেখায় না কেন; এ রক্ত ভয় পাওয়ার রক্ত নয়, এ রক্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের রক্ত। একজন খালিদকে হত্যা করলেও হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি কোটি খালিদ মাহমুদ তৈরি হবে। সেই উদ্দীপনা ও সাহস নিয়ে দুই আগস্ট রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশকে সফল করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আগামী ২ আগস্ট ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জনসভায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান চৌধুরী মিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেক।
#
জাহাঙ্গীর/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৫
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারকসৌধ উদ্বোধন
এবং ‘রেকর্ড ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আগামীকাল
বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারকসৌধ উদ্বোধন এবং ‘রেকর্ড ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।
উক্ত অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জ, এফ. এম. ১০২ মেগাহার্জ, এফ. এম. ১০৬.০ মেগাহার্জ ও ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম ৮৮.৮ মেগাহার্জে এবং www.betar.gov.bd ওয়েবসাইটে ও মোবাইল অ্যাপ-Bangladesh Betar থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের সকল আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যম তরঙ্গ ও সংশ্লিষ্ট এফ. এম. ব্যান্ডে অনুষ্ঠানটি একযোগে রিলে করা হবে।
#
হক/আরমান/সেলিম/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪
উন্নত বাংলাদেশের জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাথে প্রতিটি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে
--- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম স্তর ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য আইন ও বিধিমালাতে সংশোধন এনেছেন। জেলা পরিষদের সদস্যদের স্থানীয় জনগণের সমস্যার সমাধানের পথ এতে সুগম হয়েছে। জেলা পরিষদের প্রত্যেকটি সদস্যই স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাথে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স এসোসিয়েশনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বারস এসোসিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
জেলা পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ দিয়ে শুনে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সকল সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা না গেলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। ভুলে গেলে চলবে না আপনারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের সমস্যার সমাধানের জন্যই আপনারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সময় মন্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্যদেরকে অন্যান্যদের মাঝে দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির চেয়েও দেশের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারছি সেটাই আমাদের চিন্তা হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে ধারায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন তাতে ধীরে ধীরে জেলা পরিষদের সদস্যদের আরো ক্ষমতায়ন করা হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তবে সবকিছুর উপর জনগণের কল্যাণকেই আপনাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা পরিষদ একসময় নিস্ক্রিয় ছিল এখন তাকে সক্রিয় করা হয়েছে। এতে সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন ঘাটতি এখন আমাদের নজরে আসছে, চেষ্টা করা হবে সব সমস্যারই আস্তে আস্তে সমাধান করার জন্য। এতে অধৈর্য হলে চলবে না।
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্যদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে জেলা পরিষদের সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে হবে কারণ বিএনপি-জামাত দেশে আন্দোলনের নামে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কলুষিত করার সমস্ত দায়ভার বিএনপির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম অত্যন্ত দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন। জেলা পরিষদের সদস্যদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই তিনি ধীরে ধীরে সমাধান করবেন এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে সমস্ত সহযোগিতা করা হবে।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়ায সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আমিনুর রহমান এবং বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি. এম তৌফিক ইসলাম।
#
হেমায়েত/আরমান/সেলিমুজ্জামান/জয়নুল/২০২৩/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় অর্থনীতিতে, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাতের ভূমিকা হবে অনন্য-অসাধারণ। স্মার্ট ব্যবস্থা প্রয়োগের জন্য মৎস্য খাতে বিশাল সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র থেকে শুরু করে উন্মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। মাছের উৎপাদন, আহরণ, পরীক্ষা, বিপণন ও বহুমুখী ব্যবহারে স্মার্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মশিউর রহমান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ, মৎস্য চাষী ও উদ্যোক্তাগণ এবং মৎস্য খাতের অংশীজনরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় মন্ত্রী আরো জানান, মৎস্য খাত আজ আর গতানুগতিক কোনো বিষয় নয়। মৎস্য খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ মাছ উৎপাদন করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের খাদ্য উপাদান, মাছ চাষের জন্য জলাশয়ের পানির উপাদান সব নিরাপদ রাখতে হবে। মৎস্য খাতের প্রতিটি পর্যায়ে স্মার্ট পদ্ধতি, যন্ত্রপাতি ও গবেষণার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত কীভাবে ভূমিকা রাখবে, সেটা নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। মাছের গতানুগতিক ব্যবহারের বাইরে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্যজাত বিভিন্ন খাবার তৈরি করতে হবে। মাছ থেকে পুডিং, বিস্কিট, চকলেট বা অন্য কোনো সুস্বাদু খাবার তৈরি করলে সেটা নতুন প্রজন্ম সহজেই মৎস্যজাত খাবার গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদন, আহরণ, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিসহ মৎস্য খাতে এ মানুষরা কাজ করেন। এক সময় মাছ চাষে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাছ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত হয়েছে। মৎস্য খাতকে বিকশিত করার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মাছ হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, মাছে-ভাতে বাঙালির কৃষ্টি বাঙালি জাতির বড় অংশ। এটি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। খাবারের একটি বড় যোগান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে, উদ্যোক্তা তৈরি হবে না। মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে। মাছের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতা ব্যাপক। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে, পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, উদ্যোক্তা তৈরিতে, বেকারত্ব দূর করতে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে সবক্ষেত্রে মৎস্য খাতের অবদান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেরা কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা পেয়েছি। সেখানে সুনীল অর্থনীতির একটি বড় অংশ হবে প্রচলিত ও অপ্রচলিত মাছসহ অন্যান্য জলজ সম্পদ। এই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, আহরণ ও উন্নয়নে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। মাছ উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্