তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৮
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত
মোট পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
৯ হাজার ১৮৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৬৫৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫২ জন।
কারিগরি বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশালে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেটে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩১ হাজার ৭৫২ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ২৫৮ জন, যশোরে ৮ হাজার ১২২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৯৭ জন, কারিগরি বোর্ডে ৭ হাজার ৯৭৭ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৩৩৯ জন, কুমিল্লায় ৫ হাজার ৬৫৫ জন, বরিশালে ৩ হাজার ৯৯৯ জন, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ২৪৪ জন এবং সর্বনিম্ন সিলেটে ১ হাজার ৬৯৯ জন।
এবছর বিদেশের আটটি কেন্দ্রে মোট ৩২১ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ৩০৩ জন। পাসের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
#
খায়ের/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৭
ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে পরিবেশের মান উন্নত হবে
--- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে দেশের পরিবেশের মান উন্নত হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সংখ্যা বাড়লে পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। দেশকে ভালোবেসে সবাই মিলে দেশের পরিবেশের মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় পুকুর ও বিল পুনঃখনন কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক, কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন, সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা প্রকল্প এবং সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ গুণগতমান বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৬
সহিংসতা নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতাই নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা। নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অর্থনৈতিকসহ সকল অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নারীর প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশ্বে প্রতি তিন জনে এক জন নারী সহিংসতার শিকার। সময় পরিবর্তনের সাথে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁও এ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ বাংলাদেশ এবং এলসিজিওয়েজ এর যৌথ উদ্যোগে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন-সহিংসতা প্রতিরোধে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, ইউএন এজেন্সিস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নারীদের সহায়তার জন্য ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে। নারী নির্যাতন -সহিংসতা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন সংস্কার ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন, নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। অধিকাংশ নারীরা পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়। এ সহিংসতা সামাজিক রীতিনীতি, আচার, আচরণ এবং পুরুষের মনমানসিকতা দ্বারাও প্রভাবিত হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে নারীদের প্রতি স্টেরিওটাইপড মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিজ আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, ইউএন। উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটিভ গীতাঞ্জলী সিং, ইউএনএফপিএ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটিভ ক্রিস্টিন ব্লকউস, অধ্যাপক তানিয়া হক ও ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগামের প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী।
#
আলমগীর/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১৭৭৫
আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে আন্দোলন দিয়েছে বিএনপি
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসকারীদের হাত থেকে দেশ ও রাজনীতিকে রক্ষা করতে এবং দেশ যাতে তাদের হাতে না যায় সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের আন্দোলন এখন আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে দিয়েছে, সাথে ওদের কর্মীরাও আছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানাব।’
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে আজকে গণভবন থেকে প্রেসক্লাবে আসতে আমার ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। জ্যাম না থাকলে ১০ মিনিট লাগার কথা। অর্থাৎ বিএনপির অবরোধ কেউ মানে না, এতে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নাই, যারা অবরোধ ডাকছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের কোনো সমর্থন নাই। তারা হঠাৎ হঠাৎ একটা গাড়ির মধ্যে বোমা মারে, এটি তো কোনো রাজনীতির কর্মসূচির কোনো অংশ হতে পারে না। তাদের কর্মী পাওয়া যায় না, কিছু কর্মীর সাথে কিছু মাদকাসক্তদেরকে পয়সা দিয়ে গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করাচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি আউটসোর্সিং করে এখন নেশাখোরদের হাতে তাদের আন্দোলন দিয়েছে।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই রাজনীতি হবে, সরকারের পদত্যাগ দাবি বা মন্ত্রীদের সমালোচনা হবে কিংবা রাস্তায় নেমে আন্দোলনও ঘোষণা করবে। কিন্তু গাড়ি-ঘোড়ায় আগুন দেওয়া, চোরাগোপ্তা হামলা করা, এটা তো কোনো আন্দোলন না, এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, রাজনীতিকে এর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চাই।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষকে পথ দেখায়, আলো দেখায়, সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারে। জনগণ যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আজকে যে দেশটা বদলে গেছে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে, এটা যেন অব্যাহত থাকে। যারা পেট্রোলবোমা মারে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো শিশুদের গুলি করে হত্যার পরও যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না, যারা স্কুলে ঘরে আগুন দেয়, তাদের হাতে যাতে দেশটা না যায় সে জন্য আপনাদের সমর্থন চাই।’
এ সময় ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের মঙ্গল কামনা করে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সরকারি পেনশন স্কিমে সাংবাদিকদের জন্য যেন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাঁদা দেওয়া হয় এবং এটি যেন দশম ওয়েজবোর্ডে আসে, সে বিষয়ে কাজ করছি, আপনাদেরও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলার অনুরোধ জানাব।
ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ মফিজুর রহমান খান বাবুর সঞ্চালনায় এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, মাতৃভূমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাইনউদ্দিন মিয়া সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ও মন্ত্রীর হাতে স্মারক সম্মাননা তুলে দেন।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এ সময় ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৬ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৩
ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
ডা. শামসুল আলম খান মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক। ’৯০-এর ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে তিনি শহিদ হন।
তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সারাদেশ। তাঁদের সকলের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার।
আমি ডা.শামসুল আলম খান মিলনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/রাসেল/শামীম/২০২৩/১১২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭২
শহিদ ডাঃ মিলন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল শহিদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ২৭ নভেম্বর। শহিদ ডাঃ মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক শহিদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদত বরণ করেন। আমি শহিদ
ডাঃ মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
ডাঃ মিলন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। ফলশ্রুতিতে দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয় এবং উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং শহিদ ডাঃ মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডাঃ মিলনসহ সকল বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। ডাঃ মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন প্রজন্ম দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে-এ প্রত্যাশা করি।
আমি শহিদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা