তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৫
চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু। পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চায়না কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য চীন সরকার প্রদত্ত জরুরি খাদ্য সহায়তা বিষয়ক অনলাইন সার্টিফিকেট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো যায় ততই সবার জন্য মঙ্গল।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের দেয়া তালিকা থেকে ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার। এই তালিকা ধরে আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা যায় ।
চলমান আলোচনা অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত Li Jiming সকল সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন। বিশেষত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে ফেরত পাঠাতে তারা কাজ করে যাবেন।
হস্তান্তর চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চীন সরকার ২ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে এই চাল আমরা পেয়েছি। চাল এখনও রোহিঙ্গাদের বিতরণ করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসিন এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত Li Jiming চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন শরণার্থী প্রত্যাবর্তন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্মসচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
#
সেলিম/রোকসানা/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪
স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের সাথে প্রকল্পের কাজ গতিশীল করতে হবে
--মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের সাথে প্রকল্পের কাজ আরো গতিশীল করার জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যকালে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, “করোনার মধ্যেও প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন প্রকার শৈথিল্য দেখানো চলবে না। প্রকল্পের কাজ আন্তরিকভাবে দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিতে হবে। অজুহাত দেখিয়ে উন্নয়ন কাজ থামিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। প্রকল্পের কাজে কোনো ধরনের অভিযোগ যাতে না আসে, কোনো প্রকার অনিয়ম যাতে না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যে কোনো সমস্যায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/রোকসানা/মনির/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩
এক হাজার মণের বেশি কাঁচা পাট এক মাসের বেশি সময় মজুত করা যাবে না
-- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে কাঁচা পাটের ডিলার ও আড়তদারগণ এক হাজার মণের বেশি কাঁচা পাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুত করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচা পাটের সংকট তৈরির কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণকে কাঁচা পাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত হতে বিরত রাখা, ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচ বছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদ মিয়া-সহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
সৈকত/রোকসানা/মনির/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২
প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীরা যে বিষয় নিয়েই অধ্যয়ন করুক, তার পাশাপাশি ডিজিটাল বিষয়ে তাদের বেসিক দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য। কর্মসংস্থানের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। মেধাচর্চার কেন্দ্রভূমি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ বগুড়ায় ওয়েবিনারে পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া আয়োজিত ‘কোভিড -১৯ মোকাবিলায়, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী করোনাকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জীবনযত্রা সচল রাখতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির ওপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি দেশের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভাল করার মূলমন্ত্রটি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। দেশের শতকরা সত্তর ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে অনলাইনে চিকিৎসা নিয়েছে। শিক্ষা-বাণিজ্য, অফিস, আদালত সবই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল রয়েছে। দুর্গম গ্রামের শিশুটিও ইন্টারনেটকে তার শিক্ষার পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করছে। এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী দিনের শিক্ষা কাগজ নির্ভর হবে না। তিনি বলেন, বিগডাটা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির ফলে সামনের দিনে ড্রাইভারবিহীন গাড়ি এবং কর্মীবিহীন গার্মেন্টস কারখানা দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষেত্রে টিকিয়ে রাখতে তাদেরকে ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দিতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি বিদ্যালয়ে বই খাতা ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হলো ইন্টারনেট। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞানার্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের ভাল এবং মন্দ দু’টি দিকই আছে। মন্দটি অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ এন এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অভ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সিটি ব্যাংক কর্মকর্তা অরূপ হায়দার বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০১
বিএনপি সবকিছুতেই লুটপাট দেখে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
‘নিজেরা লুটপাটের দল বলেই বিএনপি সবকিছুতে লুটপাট দেখে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরীসহ রফিক উল্যা সিকদার, কাজী আনোয়ার কামাল, মাসুদুর রহমান, নীতিশ সাহা সভায় করোনাকালে সংবাদপত্র শিল্পরক্ষার নানাদিক নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে লুটপাট করছে’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল, এই করোনা মহামারি সরকার সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে না। তারা প্রথম থেকেই ধারণা এমনকি হয়তো প্রার্থনাও করেছিল যে, এই মহামারিতে যেন ব্যাপক লোকক্ষয় হয় এবং দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। তাতে তারা প্রচণ্ড হতাশ হয়ে ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে গুজব রটিয়েছিল, সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে না।’ কিন্তু ভ্যাকসিন সঠিক সময়েই আসছে, এমনকি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আমরা বিনামূল্যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি যখন সবকিছুতেই ব্যর্থ হচ্ছে, তখন ভ্যাকসিন নিয়ে লুটপাটের কাল্পনিক কথা বলছে। প্রকৃতপক্ষে লুটপাটের দল তো বিএনপি, সেজন্য তারা সবকিছুতেই লুটপাট দেখার চেষ্টা করে।’
ভ্যাকসিন সরকার একটি নীতিমালার ভিত্তিতে প্রয়োগ করবে এবং যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার এই করোনা মহামারির ক্ষেত্রে তারা নিশ্চয়ই প্রথমে ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার রাখে, ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করবে, যাদেরকে আগে দেয়া প্রয়োজন তাদেরকে আগে দেয়া হবে। সাংবাদিকরা এই করোনা মহামারির সময় অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কাজ করেছে। আমি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো। ‘তবে বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন পেতে চায়, তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি, বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেয়া হয়’ বলেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘দেশে সরকার কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি কায়েম করেছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, উনি যেই দল করেন সেই দলে যে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আছে, আগে সেটি নিয়ে একটু কথা বলুন। একজন শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েদী আর আরেকজন শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামী, সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে যেটি বলে সেটিই হয় এবং সেভাবে তাদের দলে সিদ্ধান্ত হয়।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দলে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে কাদের মির্জা এতো কথা বলতে পারতেন না, কারণ বললে সে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হতো, সেটি হয়নি। অথচ তাদের দলের মেজর হাফিজ তাদের একটু সমালোচনা করেছে, সেজন্য তাকে যে ভাষায় শো-কজ করা হয়েছে, সেই দলের মহাসচিবের এই রাজনীতি নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।’
#
আকরাম/রোকসানা/খালিদ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০
উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশ
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর), ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে সমগ্র পৃথিবী একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। করোনাকে মোকাবিলার জন্যে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবী নিরলসভাবে মেধা, মনন ও শক্তি বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ মহামারি করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের জিডিপি এখনো প্লাস আছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিরল উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও অস্বচ্ছল শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু স্কুলে যায়, জনগণ চিকিৎসা পায়। করোনা ভ্যাকসিন আসছে; দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
#
জাহাঙ্গীর/রোকসানা/খালিদ/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৯
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। ই-কমার্সের এই যুগে শিল্পখাতে বিপ্লব আনতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি পণ্যে বৈচিত্র্য এনে তা ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে হবে। করোনা মহামারির সময় বড় শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলেও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ থেমে থাকেনি বলেই দেশের অর্থনীতি এখনও সচল রয়েছে।
বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের আয়োজনে হাজার উদ্যোক্তার ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘এসএমই শপ বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যাতে নির্বিঘ্নে পেতে পারে, সে ব্যবস্থা সরকার পর্যায়ক্রমে করেছে। কোভিড-১৯ এর মাঝেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। জেলা, উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স মার্কেট প্লেস ‘এসএমই শপ বাংলাদেশ’ (smeshop.com.bd) এর উদ্বোধন শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের এসএমই পণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সভাপতি সরদার শামস্ আল মামুন এর সভাপতিত্বে মতিঝিলের বিসিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এবং ইকোনমিক রিপোর্টস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম।
#
জাহাঙ্গীর/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮
ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হবে
--স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলেছেন, অ্যাস্ট্রেজেনেকার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছে তাঁদের শারীরিকভাবে বড় কোনো সমস্যা এখনো দেখা দেয়নি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে পরবর্তীতে কারো শরীরে কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলিমেডিসিন সেবা দেবে সরকার।
আজ তেজগাঁওস্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের স্বাস্থ্য বিটের সংবাদ কর্মীদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভ্যাকসিন দেশে আসার পর কীভাবে মানুষকে দেয়া হবে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আরো জানান, ভ্যাকসিন দেশে আসার পর প্রথমে ঢাকার ৪টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল-কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন কর্মীদের দেয়া হবে। এরপর ৭ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যবেক্ষণ শেষে ভ্যাকসিন দেশের মানুষের জন্য প্রয়োগের কাজ শুরু করা হবে।
দেশে কোনো নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিয়মের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য সরকার “সুরক্ষা অ্যাপ” নামে একটি মাত্র সরকারি অ্যাপ থেকেই ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের আর কোনো সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ জানান ভ্যাকসিন দেশে এলে সেটিকে যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং এই ভ্যাকসিন প্রদানে যেন কোনো প্রকার অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে সরকার কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা রাখবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/রোকসানা/খালিদ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৪১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৯৫০ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন।
#
হাবিবুর/রোকসানা/খালিদ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৬
‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে গুচ্ছভিত্তিক কমিটি গঠন
ঢাকা, ৬ মাঘ (২০ জানুয়ারি) :
শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছভিত্তিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'আমার গ্রাম আমার শহর' দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভাশেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে সকল মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরনের মিল আছে সেগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রয়োজন। এই কমিটিগুলো নিয়মিত সভা করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে এবং সিদ্ধান্তসমূহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির কাছে উপস্থাপন করবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে গ্রামে উন্নত নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি আর কোন কোন প্রকল্প নিতে হবে, গুচ্ছ কমিটি তা নির্ধারণ করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ একক কোনো প্রকল্প নয়। গ্রামকে শহর করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে। সবগুলো প্রকল্পের সমন্বয় হচ্ছে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প। যেহেতু দেশের প্রতিটি গ্রাম এই প্রকল্পের অধীন, তাই সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই গ্রামীন উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে দুইবছর অতিবাহিত হয়ে গেছে বাকী সময়ের মধ্যে আশা করি ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ উদ্যোগটি দৃশ্যমান হবে।
উল্লেখ্য, 'আমার গ্রাম আমার শহর' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫টি গ্রামকে পাইলটিং হিসেবে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একটি কারিগরি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে এবং তা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, অতিরিক্ত সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাহ আলম/জসীম/মাসুম/২০২১/১৫৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫
মানবসম্পদ উন্নয়নে বোয়েসেল ও জাপানি কোম্পানির মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর
টোকিও (জাপান), ২০ জানুয়ারি :
আজ বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) ও জাপানি প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অভ্ ফরেন স্টুডেন্ট এন্ড হিউম্যান রিসোর্সেস টোটাল সাপোর্ট অর্গানাইজেশন (আইএফটিও) মধ্যে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানসংক্রান্ত একটি চুক্তিস্বাক্ষর হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইএফটিও পরিচালক চিহারু হিরাই এবং ঢাকা থেকে বোয়েসেলের পক্ষে কোম্পানি সচিব
মোঃ আব্দুস সোবহান অনলাইনে চুক্তিস্বাক্ষর করেন। এসময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধুরাষ্ট্র। জনশক্তি চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে জাপান টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ও স্পেসিফাইড স্কিল্ড ওয়ার্কারস নিয়োগ করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪৬টি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানকে অ