তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১২
অক্টোবর মাসে মাদকবিরোধী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গৃহীত
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অক্টোবর মাসে মাদকবিরোধী অভিযান, প্রচার, কার্যক্রম ও মাঠ পর্যায়ে মাদকবিরোধী ফিলার প্রচার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে গত অক্টোবর মাসে মাদকবিরোধী অভিযান, প্রচার কার্যক্রম ও মাঠ পর্যায়ে প্রচারিত ফিলারগুলো তথ্য নি¤œরূপ : ঢাকা বিভাগে মাদকবিরোধী সভা ৫৯টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ৭৫টি ও মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ১৩টি; ময়মনসিংহে মাদকবিরোধী সভা ২০টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ১১টি ও মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ১০টি; চট্টগ্রামে মাদকবিরোধী সভা ৩৮টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ৭২টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ১২টি; রাজশাহীতে মাদকবিরোধী সভা ২৬টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ৩৯টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ২৮টি; রংপুরে মাদকবিরোধী সভা ১৬টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ২১টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ১১টি; খুলনায় মাদকবিরোধী সভা ৪৪টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ৩২টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ১৪টি; বরিশালে মাদকবিরোধী সভা ১১টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ৩২টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ৩৬টি এবং সিলেটে মাদকবিরোধী সভা ২৩টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা ২৫টি, মাদকবিরোধী ফিলার প্রচারে স্থানের সংখ্যা ৯টি। অক্টোবর মাসে আটটি বিভাগে মাদকবিরোধী সভা হয়েছে ২৩৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনা সভা হয়েছে ৩০৭টি ও মাদকবিরোধী ফিলার প্রচার হয়েছে ১২২টি।
এছাড়া, অক্টোবর মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে ৪ হাজার ৮৪৩টি, মামলা করেছে ১ হাজার ১৭৪টি এবং আসামি আটক করেছে ১ হাজার ২৭৩ জন। অভিযানকালে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইনজেকটিং ড্রাগ, বিদেশি মদ, বিয়ার, ডি/এস, জাওয়া/ওয়াশ, চোলাই মদ, যানবাহন, মোবাইল সেট, রিভালবার, এলজি পাইপগান এবং নগদ অর্থসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক পত্রে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১১
কোন অনুকম্পা নয়-রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান
-- স্পিকার
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বে অনন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে জাতিকে এই সংবিধান উপহার দেন। কোন অনুকম্পা কিংবা সমঝোতা নয়-রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান। ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ ও গৌরবময় সংবিধান।
স্পিকার আজ ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্টস্থ ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)-এর শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘পার্লামেন্ট: রোল, ফাংশন এন্ড পার্লামেন্টারি প্র্যাকটিসেস ইন দ্য কনটেক্সট অভ্ পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্পিকার সংবিধানের আলোকে সংসদীয় গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, শোষণ-বৈষম্যহীন আইনের শাসন, সংসদীয় চর্চা ও রীতিনীতির ওপর বিশদ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, দেশের সর্বময় ক্ষমতার মালিক জনগণ, আর সংসদ হচ্ছে সেই ক্ষমতার প্রতীক। সংসদের সকল কর্মকা- পরিচালিত হয় সংবিধান, কার্যপ্রণালী বিধি ও সংসদীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে। সংসদের মূল কাজ আইন প্রণয়ন। সংসদ সদস্যগণ সংবিধানের সাথে কোন সাংঘর্ষিক আইন প্রণয়ন করেন না। আইন প্রণয়ন ছাড়াও সরকারের জবাদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটিগুলো কাজ করে থাকে। সরকার ও বিরোধীদলের যৌথ অবদান সংসদকে কার্যকর করতে সহায়তা করে। সেক্ষেত্রে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় দশম জাতীয় সংসদ ছিল অনন্য।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ-নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ। প্রত্যেকটি বিভাগ সংবিধানের আওতায় নিজ সীমারেখায় সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিটি বিভাগের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র সচল থাকে। এই তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকলে রাষ্ট্র স্বাভাবিক গতিতে চলে।
বক্তব্য শেষে স্পিকার অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিএসসিএসসি কোর্সে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১৭০ জনসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪৫ জন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। এ সময় ডিএসসিএসসি’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মোঃ এনায়েত উল্লাহ, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট কমোডর এম রাশেদ আলী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মাহবুব উল আলমসহ সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
#
তারিক/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১০
প্রশাসন ও ইকনমিক ক্যাডার একীভূতকরণ আদেশ জারি
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
সরকার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডার এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক) ক্যাডার একীভূতকরণ আদেশ, ২০১৮ জারি করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিপি-১ অধিশাখা থেকে সচিব ফয়েজ আহম্মদ স¦াক্ষরিত এসআরও
নম্বর-৩৩৫ আদেশের গেজেট আজ প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে আদেশের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক) ক্যাডারকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের সাথে একীভূত করা হয়েছে।
#
মাসুম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৯
সিনিয়র সচিব গোলাম ফারুকের স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগদান
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে কর্মরত সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক একই পদে আজ স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগদান করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী গোলাম ফারুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এবং মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
এস এম গোলাম ফারুক ১৯৬০ সালের ১ জুন শরীয়তপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালে যথাক্রমে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন।
গোলাম ফারুক চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ অর্জন করেন। এসব প্রশিক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমির আইন ও প্রশাসন কোর্স, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স, সিনিয়র স্টাফ কোর্স এবং সিভিল সার্ভিস কলেজ সিঙ্গাপুরের অধীন ম্যানেজিং এট দ্য টপ (ম্যাট) কোর্স। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইনস্টিটিউট, চীনের ন্যাশনাল স্কুল অভ্ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্সে সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করেন।
ফারুক সরকারি কাজে বিভিন্ন সময়ে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, সৌদি আরব, জাপান ও থাইল্যান্ড সফর করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দু’পুত্র সন্তানের জনক।
#
আহসান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৮
আসন্ন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে
- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে। দেশের রাজনৈতিক জোট ও দলের দাবির প্রেক্ষিতে আন্তরিক পরিবেশে দুই দফায় সংলাপ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল পুনঃনির্ধারণ করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক জোট ও দলে যে সকল দাবি সংবিধান ও বাস্তবসম্মত সেগুলো সরকার মেনে নিয়েছে। এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনের সাথে মতবিনিময়শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশ হিসেবে নরওয়ে বাংলাদেশকে এভ্রিথিংকস বাট আর্মস (ইবিএ) এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। তৈরিপোশাকসহ গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নরওয়েতে ৯৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৬৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আগামী দিনে নরওয়েতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরো বাড়বে। বাংলাদেশে নরওয়ের গ্রামীণ ফোন, পাওয়ার সেক্টর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ রয়েছে এবং আরো বিনিয়োগের চিন্তা করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সকল কাজ শান্তিপূর্ণভাবে সঠিক পথেই এগিয়ে চলছে। সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা আদালত নির্ধারণ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
লতিফ/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৭
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় (গাজা) কার্যত ঃ স্থির থেকে একই এলাকায় (১২.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ (দুই) নম্বর (পুনঃ) ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেতন করা এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এবং বিনামূল্যে ৩০ পদের ঔষধ প্রদানসহ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে নগরায়ণ ও পরিবর্তিত জীবনধারণের কারণে যেমন ডায়াবেটিস বাড়ছে, তেমনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকেরও বেশি পরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণে শিশু অপুষ্টির শিকার হলে এবং সে শিশু পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর অতিরিক্ত ওজন হলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বেশি থাকে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানামুখী কার্যক্রম করে চলেছে। এ সমিতির উদ্যোগে রাজধানীসহ সারাদেশে গর্ভকালীন নারীদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও স্বল্পসমূল্যে সেবা দিতে দেশব্যাপী সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। কাজীদের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সচেতন করতেও বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করে চলেছে।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে একটি সুস্থ জাতি গঠনের মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৫
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে গর্বের এ জন্য যে আজ থেকে এগারো বছর আগে বাংলাদেশের উদ্যোগেই দিবসটি 'জাতিসংঘ দিবস'-এর মর্যাদা লাভ করে।
প্রযুক্তির প্রসার ও নগরায়ণের প্রভাবে মানুষের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। কায়িক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীরচর্চার স্থান ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। অতিমাত্রায় ফাস্টফুড, কোমল পানীয়র মতো ক্যালরিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ফলে বাড়ছে ¯’‚লতার ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের মতে পরিবর্তিত জীবনধারণসহ জিনগত এ অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণেও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়াবেটিস এখন উদ্বেগের অন্যতম কারণ। এ প্রেক্ষাপটে এবারের 'বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস' - এর প্রতিপাদ্য 'ডায়াবেটিস প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ' যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে হলে এ রোগের ঝুঁকি এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি শুরু করতে হবে পরিবারের মধ্য থেকেই। আমি ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি 'বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস' উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
হাসান/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা